আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ইছালে সাওয়াবের পদ্ধতি

ইছালে     সাওয়াব     বা     কারো     জন্য     সাওয়াব  পৌঁছিয়ে    দেবার    জন্য       অন্তরে    নিয়্যত     করে নেওয়াই    যথেষ্ট।   মনে   করুন;আপনি    কাউকে  একটি টাকা দান করলেন কিংবা একবার দরূদ শরীফ    পাঠ    করলেন    অথবা    কাউকে    একটি  সুন্নাত     শিখালেন     নতুবা     কাউকে     ইন্ফিরাদি  কৌশিশের   মাধ্যমে   নেকীর     দাওয়াত    দিলেন অথবা সুন্নাতে ভরা বয়ান করলেন।  মোট কথা; যে কোন নেক কাজ করলেন, আপনি মনে মনে এভাবে  নিয়্যত  করে  নিন:  আমি  এই  মাত্র   যে  সুন্নাতটি       শিক্ষা       দিলাম,        সেটির        সাওয়াব তাজেদারে  মদীনা,  নবী  করীম    صَلَّی  اللّٰہُ    تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে পৌঁছে যাক। তবে اِنْ   شَآءَ     اللّٰہ   عَزَّوَجَلَّ     সাওয়াব   পৌঁছে   যাবে। তাছাড়া  আরো  যাদের  জন্য  নিয়্যত  করবেন,  তাদের কাছেও পৌঁছে যাবে। মনে মনে  নিয়্যত করার সাথে সাথে  মুখে উচ্চারণ করে নেওয়াও উত্তম। কেননা,  এটি সাহাবীرَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ থেকে প্রমাণিত   রয়েছে।   যেমন;হযরত সা’আদ رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ এর হাদীস। তিনি কূপ খনন করে  বলেছিলেন  :  هٰذِهٖ    لِأُمِّ  سَعد    ‘অর্থাৎ  এই কূপটি সা’আদের মায়ের জন্য’।

ইছালে সাওয়াবের প্রচলিত নিয়ম

ইছালে সাওয়াবের পদ্ধতি
বর্তমানে   মুসলমানদের  মাঝে   ভোজকে   কেন্দ্র  করে   ফাতিহার    যে     নিয়মটি   প্রচলিত     রয়েছে সেটিও       অত্যন্ত     চমৎকার।      যেসব     খাবারের ইছালে  সাওয়াব  করবেন  সেসব  খাবার  কিংবা  প্রত্যেক আইটেম     থেকে  কিছু কিছু তুলে নিয়ে  এক গ্লাস পানি সহ আপনার সামনে রাখুন।

এবার

اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ
পাঠ করে এক বার


بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

قُلۡ یٰۤاَیُّہَا الۡکٰفِرُوۡنَ ۙ﴿۱﴾ لَاۤ اَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُوۡنَ ۙ﴿۲﴾ وَ لَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ ۚ﴿۳﴾

وَ لَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدۡتُّمۡ ۙ﴿۴﴾ وَ لَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ ؕ﴿۵﴾ لَکُمۡ دِیۡنُکُمۡ وَلِیَ دِیۡنِ ﴿۶﴾
তিন বার


بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

قُلۡ ہُوَ اللّٰہُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللّٰہُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾

لَمۡ یَلِدۡ ۬ۙ  وَ لَمۡ   یُوۡلَدۡ ۙ﴿۳﴾ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّہٗ    کُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾
এক বার


بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنۡ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنۡ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾

وَ  مِنۡ شَرِّ  النَّفّٰثٰتِ  فِی  الۡعُقَدِ  ۙ﴿۴﴾ وَ مِنۡ شَرِّ حَاسِدٍ   اِذَا حَسَدَ ﴿۵﴾

এক বার


بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

قُلۡ اَعُوۡذُ   بِرَبِّ   النَّاسِ  ۙ﴿۱﴾    مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰہِ  النَّاسِ  ۙ﴿۳﴾ مِنۡ شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ  ۬ۙ   الۡخَنَّاسِ  ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیۡ  یُوَسۡوِسُ  فِیۡ  صُدُوۡرِ  النَّاسِ  ۙ﴿۵﴾  مِنَ الۡجِنَّۃِ  وَ النَّاسِ ﴿۶﴾

এক বার


بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

اَلۡحَمۡدُ  لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۙ﴿۱﴾ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوۡمِ الدِّیۡنِ ؕ﴿۳﴾ اِیَّاکَ  نَعۡبُدُ وَ اِیَّاکَ  نَسۡتَعِیۡنُ  ؕ﴿۴﴾  اِہۡدِ نَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ ۙ﴿۵﴾ صِرَاطَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمۡتَ عَلَیۡہِمۡ ۙ۬ غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ ﴿۷﴾

এক বার


بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

الٓـمّٓ    ۚ﴿۱﴾      ذٰلِکَ    الْکِتٰبُ   لَا  رَیۡبَ  ۚۖۛ  فِیۡہِ  ۚۛ  ہُدًی    لِّلْمُتَّقِیۡنَ ۙ﴿۲﴾

الَّذِیۡنَ   یُؤْمِنُوۡنَ   بِالْغَیۡبِ      وَیُقِیۡمُوۡنَ   الصَّلٰوۃَ     وَمِمَّا رَزَقْنٰہُمۡ  یُنۡفِقُوۡنَ  ۙ﴿۳﴾    وَالَّذِیۡنَ   یُؤْمِنُوۡنَ  بِمَاۤ    اُنۡزِلَ  اِلَیۡکَ وَمَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبْلِکَ ۚ وَ بِالۡاٰخِرَۃِ ہُمۡ یُوۡقِنُوۡنَ ؕ﴿۴﴾ اُولٰٓئِکَ عَلٰی ہُدًی   مِّنۡ  رَّبِّہِمۡ  ٭  وَ اُولٰٓئِکَ  ہُمُ الْمُفْلِحُوۡنَ ﴿۵﴾

এবার নিচের ৫টি আয়াত পাঠ করবেন:

 وَ اِلٰـہُکُمْ    اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚ  لَاۤ  اِلٰہَ   اِلَّا ہُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۶۳﴾

(পারা: ২, সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৬৩) 

اِنَّ رَحْمَتَ ا للّٰہِ قَرِیۡبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِیۡنَ ﴿۵۶﴾
(পারা: ৮, সূরা: আরাফ, আয়াত: ৫৬) 


 وَمَاۤ اَرْسَلْنٰکَ اِلَّا رَحْمَۃً لِّلْعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۰۷﴾
(পারা: ১৭, সূরা: আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭) 


مَا کَانَ مُحَمَّدٌ اَبَاۤ اَحَدٍ مِّنۡ رِّجَالِکُمْ وَلٰکِنۡ رَّسُوۡلَ ا للّٰہِ  وَ خَاتَمَ النَّبِیّٖنَ ؕ وَ کَانَ ا للّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمًا ﴿۴۰﴾

(পারা: ২২, সূরা: আহযাব, আয়াত: ৪০) 

اِنَّ اللّٰہَ وَمَلٰٓئِکَتَہٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ  یٰۤاَیُّہَا   الَّذِیۡنَ  اٰمَنُوۡا  صَلُّوۡا   عَلَیۡہِ   وَ  سَلِّمُوۡا    تَسْلِیۡمًا ﴿۵۶﴾

(পারা: ২২, সূরা: আহযাব, আয়াত: ৫৬) 

তার পর দরূদ শরীফ পাঠ করবেন:

صَلَّى اللهُ عَلَى النَّبِىِّ الْاُمِّىِّ وَ اٰلِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ

وَ سَلَّمَ صَلٰوةً وَّ سَلَامًا عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ
এর পর নিচের দোয়াটি পাঠ করবেন:

سُبْحٰنَ رَبِّکَ رَبِّ الْعِزَّۃِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۱۸۰﴾ۚ

وَ سَلٰمٌ عَلَی الْمُرْسَلِیۡنَ ﴿۱۸۱﴾ۚ وَالْحَمْدُ لِلّٰہِ رَبِّ  الْعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۸۲﴾
(পারা: ২৩, আয়াত: ১৮০-১৮২) 

এবার   ফাতিহা    পড়ানো    ব্যক্তিটি   উচ্চ      স্বরে ‘আল  ফাতিহা’ শব্দটি  বলবেন।   উপস্থিত  সবাই নিন্ম স্বরে সূরা ফাতিহাটি পাঠ করবেন। এর পর ফাতিহা     পড়ানো     ব্যক্তিটি     এভাবে     ঘোষণা  দিবেন: ‘প্রিয় ইসলামী   ভাইয়েরা!  আপনারা যা  যা   পাঠ  করলেন  সেগুলোর   সাওয়াব  আমাকে  দান     করে    দিন’।     উপস্থিত     সকলে    বলবেন: ‘আপনাকে      দিয়ে      দিলাম’।     এবার     ফাতিহা   পড়ানো      ব্যক্তিটি       ইছালে       সাওয়াব        করে দিবেন।

আ’লা     হযরত     رَحْمَۃُ     اللّٰہِ     تَعَالٰی     عَلَیْہِ     এর  ফাতিহার পদ্ধতি

ইছালে     সাওয়াবের       শব্দগুলো     লিখার     পূর্বে  ইমামে   আহ্লে   সুন্নাত   আ’লা   হযরত   মাওলানা  শাহ্  আহমদ   রযা     খাঁন  رَحْمَۃُ  اللّٰہِ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ ফাতিহার আগে যেসব   সূরাগুলো  পাঠ  করতেন সেগুলো এখানে উল্লেখ করা হলো: 

এক বার:
بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۙ﴿۱﴾  الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ ۙ﴿۲﴾ مٰلِکِ یَوۡمِ الدِّیۡنِ ؕ﴿۳﴾

اِیَّاکَ   نَعۡبُدُ   وَ   اِیَّاکَ   نَسۡتَعِیۡنُ   ؕ﴿۴﴾   اِہۡدِ   نَا   الصِّرَاطَ  الۡمُسۡتَقِیۡمَ ۙ﴿۵﴾

صِرَاطَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمۡتَ عَلَیۡہِمۡ ۙ۬ غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ ﴿۷﴾
এক বার:

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

اَ للّٰہُ   لَاۤ  اِلٰہَ   اِلَّا ہُوَ ۚ اَلْحَیُّ   الْقَیُّوۡمُ ۬ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّلَا نَوْمٌ  ؕ لَہٗ  مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الۡاَرْضِ ؕ مَنۡ ذَا  الَّذِیۡ یَشْفَعُ عِنْدَہٗۤ   اِلَّا  بِاِذْنِہٖ  ؕ یَعْلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمْ وَمَا     خَلْفَہُمْ       ۚ  وَلَا   یُحِیۡطُوۡنَ   بِشَیۡءٍ  مِّنْ  عِلْمِہٖۤ   اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚ  وَسِعَ  کُرْسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ  وَالۡاَرْضَ  ۚ  وَلَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفْظُہُمَا ۚ وَہُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیۡمُ ﴿۲۵۵﴾
(পারা: ৩, সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৫৫) 

তিন বার:

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ ﴿﴾

قُلۡ ہُوَ اللّٰہُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللّٰہُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾

لَمۡ یَلِدۡ ۬ۙ وَ  لَمۡ یُوۡلَدۡ  ۙ﴿۳﴾ وَ لَمۡ   یَکُنۡ لَّہٗ   کُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾

ইছালে সাওয়াবের দোয়া করার পদ্ধতি

হে    আল্লাহ!     যা    কিছু    আমরা     পাঠ      করলাম (খাবারের    ব্যবস্থা     করা    হয়ে   থাকলে    সেটির উল্লেখও    করবেন    যথাযথ    ভাবে)      ,    যে    সব খাবারের     ব্যবস্থা   করা   হলো,     আজকের   এই মূহুর্ত পর্যন্ত আমরা যেসব সামান্য আমল করতে পেরেছি,   সেগুলো  আমাদের  অসম্পূর্ণ আমলের মত   করে নয়,     বরং তোমার পরিপূর্ণ রহমতের মত করে  কবুল করে নাও।  সেগুলোর সাওয়াব আমাদের       সকলের       পক্ষ       থেকে       ছরকারে  নামদার,    মদীনার     তাজেদার,      তোমার     প্রিয় মাহবুব,  হুযুর    পুরনূর  صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  এর পবিত্র  নূরানী দরবারে হাদিয়া   স্বরূপ পৌঁছিয়ে দাও। তোমার হাবীবের সদকায় সকল আম্বিয়ায়ে        কেরাম       عَلَیْهِمُ        السَّلَام,       সকল সাহাবায়ে       কেরাম      عَلَیْہِم         الرِّضْوَان,      সকল আউলিয়ায়ে   এজামগণের    رَحِمَہُمُ  اللّٰہُ  السَّلَام   দরবারে     দরবারে     পৌঁছিয়ে     দাও।     ছরকারে  মদীনা, নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم   এর মাধ্যমে   হযরত সায়্যিদুনা আদম    ছফিউল্লাহ্     عَلٰی      نَبِیِّنَا      وَعَلَیْہِ    الصَّلٰوۃُ وَالسَّلَام থেকে আরম্ভ করে আজকের এই মূহুর্ত পর্যন্ত      যে    সমস্ত      মানব     ও     দানব    মুসলমান হয়েছেন   অথবা  কিয়ামত  পর্যন্ত  হয়ে   থাকবেন সকলের    রূহের  উপর   এর  সাওয়াব   পৌঁছিয়ে  দাও।    বিশেষ    ভাবে     যেসব     বুযুর্গানে    দ্বীনের উদ্দেশ্যে  ইছালে  সাওয়াব    করা    হচ্ছে  তাঁদের  নামও উল্লেখ করবেন।  নিজের মাতা-পিতা সহ সকল আত্মীয়-স্বজন   সহ পীর-মুর্শিদের উপরও  ইছালে সাওয়াব পৌঁছিয়ে দিবেন। 
মনে  রাখবেন! মৃতদের  মধ্য থেকে যাঁদের  নাম উচ্চারণ করা হয়,  তাঁরা আনন্দিত  হন। আপনি যদি সকল মৃত  ব্যক্তির  নাম  না    নিতে পারেন,  তাহলে     কেবল    এটুকু    বলবেন,    হে     আল্লাহ! আজকের দিন পর্যন্ত যত যত মানুষ ঈমান গ্রহণ করে    মু’মিন    হয়েছে,    প্রত্যেকের    রূহে    রূহে  এগুলোর   সাওয়াব   পৌঁছিয়ে   দাও।  (এভাবেও  সকলের  নিকট পৌঁছে যাবে) । এবার যথারীতি দোয়া শেষ করে দিবেন। (যেসব খাবার ও পানি সামনে রাখা হয়েছিল,   সেগুলো পুনরায় খাবার ও পানির সাথে মিশিয়ে দিবেন)।


খাওয়ার দাওয়াতে বিশেষ সাবধানতা

যখনই  আপনাদের  এলাকায়  নেয়াজ  বা  কোন  ধরণের   অনুষ্ঠান     হয়,   নামাযের    জামাআতের  সময় হওয়ার সাথে সাথে শরীয়াত সম্মত কোন বাঁধা  না  থাকে,    তাহলে  ইন্ফিরাদী  কৌশিশের মাধ্যমে সবাইকে  এক সাথে জামাআতের জন্য  মসজিদে     নিয়ে     যাবেন।     বরং     এমন     কোন  দাওয়াতে     যাবেন     না,     যে     অনুষ্ঠানে     গেলে  আল্লাহর      পানাহ!    নামাযের    সময়     জামাআত সহকারে   নামায   পড়ার   সুযোগই   থাকে   না।  দুপুরের    ভোজে   জোহর    নামাযের   পরে    এবং সন্ধ্যাকালীন      ভোজে     ইশার      নামাযের      পরে মেহমান   দাওয়াত     দিলে   জামাআত    সহকারে নামায   পড়ার   ক্ষেত্রে    সুবিধা     হয়।   দাওয়াত  দাতা,     বাবুর্চি,   সেচ্ছাসেবক   সকলেরই   উচিত  জামাআতের সময়   হওয়ার  সাথে  সাথেই  কাজ বাদ   দিয়ে   জামাআত   সহকারে  নামায   আদায় করতে      চলে      যাওয়া।      বুযুর্গদের      নেয়াজের  অনুষ্ঠানে   ব্যস্ত    থেকে    আল্লাহ্   তাআলার   জন্য আদায় করতে যাওয়া নামায জামাআতের সাথে আদায়    করার   ক্ষেত্রে    অলসতা   করা   নিতান্তই গুনাহ্।

মাজারে হাজিরী দেওয়ার পদ্ধতি

বুযুর্গদের     জীবদ্দশায়ও    তাঁদের     পায়ের     দিক থেকে   অর্থাৎ   চেহারার    সামনে   হাজির   হওয়া  উচিত। পিছন দিক থেকে আগমণ করার ক্ষেত্রে তাঁদের  মুখ  ফিরিয়ে   দেখতে   হয়।  এতে   করে তাঁদের কষ্ট হয়। তাই বুযুর্গানে দ্বীনদের رَحِمَہُمُ اللّٰہُ تَعَالٰیমাজারেও  পায়ের দিক  থেকেই হাজির হয়ে        তাঁর        কিবলার         দিকে        পিঠ          দিয়ে মাজারবাসীর   চেহারার   দিকে   মুখ      করে     কম পক্ষে চার হাত অর্থাৎ দুই গজ দূরত্বে দাঁড়াবেন এবং এভাবে সালাম আরয করবেন। 

اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا سَيِّدِىْ وَ رَحْمَةُ اللهِ وَ بَرَكَاتُهٗ

১বার সূরা ফাতিহা, ১১বার সূরা ইখলাস (আগে পরে  তিন  বার  করে   দরূদ     শরীফ  পাঠ  করে) উভয়   হাত   উপরের   দিকে   তুলে   ধরে   উপরে  বর্ণিত      নিয়ম      অনুযায়ী      (মাজারবাসীর      নাম  নিয়েও) ইছালে সাওয়াব করবেন এবং    আল্লাহ তাআলার  দরবারে দোয়া   করবেন। ‘আহসানুল ভিআ’কিতাবে উল্লেখ  রয়েছে: আল্লাহ্র ওলীদের মাজারের পাশে করা যে কোন দোয়া কবুল হয়ে থাকে। (আহসানুল ভিআ, ১৪০ পৃষ্ঠা) 

ইলাহী ওয়াসেতা কুল আউলিয়া কা- মেরা হার এক পুরা মুদ্দাআ হো।

صَلُّوْا عَلَی  الْحَبِیْب!                     صَلَّی  اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
--------
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত নামায বিষয়ের এনসাইক্লোপিডিয়া ও মাসাইল সম্পর্কিত “নামাযের আহকাম” নামক কিতাবের ৩৩১-৩৩৮ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।

যারা মোবাইলে (পিডিএফ) কিতাবটি পড়তে চান তারা ফ্রি ডাউনলোড করুন অথবা প্লে স্টোর থেকে এই কিতাবের অ্যাপ ফ্রি ইন্সটল করুন

বাংলা ইসলামীক বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন 
মাদানী চ্যানেল দেখতে থাকুন

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন