আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কেন ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ পালন করবেন?

 ১২ই রবিউল আওয়াল পবিত্র মিলাদুন্নবী صلى الله عليه وسلم


কুরআনের বাণী-
‘হে রসুল صلى الله عليه وسلم! আপনি বলুন, তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া (ফজল ও রহমত) প্রাপ্ত হয়ে আনন্দ প্রকাশ কর। এটি উত্তম সেই সমুদয় থেকে যা তারা (আমল ও সম্পদ) সঞ্চয় করেছে।’ (সুরা ইউনুস-৫৮)।

অন্য এক আয়াতে বর্ণিত- আমি আপনাকে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি। ' (সুরা-২১ আল আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)।
এর দ্বারা বুঝা যায় সবচেয়ে বড় রহমত আমাদের নবী। নবীকে, নবীর নূরকে যেদিন পেয়েছি (প্রথম আয়াত অনুযায়ী) সেদিনটা সবচেয়ে বড় খুশির তথা ঈদের দিন বটে। আল্লাহর নির্দেশ, খুশি প্রকাশ করা।

সন্তান আল্লাহর রহমত, দয়া। সেটা তো শুধু একটি পরিবারের জন্য মাত্র। এই দয়া প্রাপ্তিতে পিতা-মাতা কত খুশি হয়। আর নবী صلى الله عليه وسلم তিনি তো সমগ্র জাহানের রহমত। সেই রহমত প্রাপ্তিতে খুশি হবো না কি নাখোশ হবো?

আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এ ঈদ, কীসের ঈদ? উত্তর এ ঈদ প্রিয় নবীজি صلى الله عليه وسلم’র শুভাগমন তথা মিলাদুন্নবী صلى الله عليه وسلم’র ঈদ। প্রশ্ন হতে পারে, হাদিসে কি মিলাদুন্নবীর কথা আছে? জি, আমরা দেখতে পাই সহীহ তিরমিজি দ্বিতীয় খন্ডের ২০৩ পৃষ্ঠায় মিলাদুন্নবী صلى الله عليه وسلم নামে একটি অধ্যায়ই রয়েছে। অনুরূপভাবে ইমাম বায়হাকি (রহ.)-এর দালায়েলুন নবুয়ত প্রথম খন্ডের ৪৯ পৃষ্ঠায় ফি মিলাদে রসুল্লল্লাহ صلى الله عليه وسلم শীর্ষক একটি অধ্যায় রয়েছে। শব্দটা নতুন কিছু নয়।

আমি কুরআন অনুযায়ী খুশি। আপনি মুখ কালো করে রাখলে সেটা আপনার ব্যাপার। শয়তান ব্যতিত এই দিনটিতে সমগ্র জাহান খুশি ছিল। আসমানের ফেরেশতা থেকে জগতের প্রতিটি বস্তু খুশি ছিল। আমি তো খুশি হবোই, আহ্‌ সেই দিনটাতে যদি জন্ম নিতাম, যে দিনে তিনি আগমণ করেছিলেন, না জানি কত সৌভাগ্য হতো! কত খুশির কারণ হতো! সেই দিনটিকে স্মরণ করে আমি, মুমিন মুসলিমগণ আজও আনন্দিত হয়। খুশি হয়। খুশিই তো ঈদ...


অতএব, মুমিনের কর্তব্যই এটা, তার প্রভুর দয়া ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি হওয়া। যেমনটি নিচের ঘটনা থেকে বুঝা যায়...

রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ফরজ ছিল।

প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم যখন হিজরত করে মদিনায় গেলেন তখন তিনি দেখলেন, ইহুদিরা এই দিনে রোজা পালন করছে, রাসূল صلى الله عليه وسلم কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, এই দিনে আমাদের নবী হজরত মুসা عليه السلام জালেম ফিরাউনের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। (গযব থেকে মুক্তির দিনটি স্মরনীয় করে রাখতে) আমাদের নবী মুসা عليه السلام আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য এ দিন রোজা পালন করতেন। এ জন্য আমাদের নবীর অনুসরণ করে আমরা এই দিনে রোজা পালন করি। তখন রাসূল صلى الله عليه وسلم বললেন ‘আমরাই বেশি হকদার মুসা عليه السلام এর সঙ্গে সুসম্পর্কের’। তারপর তিনি সাহাবাদেরকেও এ দিনের রোজা রাখার নির্দেশ দেন।

জালেম থেকে বাঁচার দিনটি অবশ্যই রহমতের শুরুর দিন। আর সেই দিনটি যদি বছর বছর রোজা রেখে উৎযাপন করা হয় তবে কেন বড় রহমত প্রাপ্তির দিন উৎযাপন করা যাবে না?

নবী صلى الله عليه وسلم কে সোমবারের রোজার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেন, এদিনে আমার আবির্ভাব (বেলাদত) হয়েছে, এদিনে আমার প্রতি ওহী (সর্বপ্রথম) নাযিল হয়েছে। সহীহ মুসলিম শরীফ, ৫৯১/১১৬২।

উপরের হাদীস অনুযায়ী, আমরা বুঝতে পারি প্রতি সপ্তাহে মিলাদুন্নবী পালন করা দরকার। আমরা বছরে একবার পালন করি (নফল রোজা, নফল ইবাদত, দুরূদ শরীফ পাঠ, কুরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে)। আর এতেই কিনা জ্ঞানহীন অজ্ঞান (মুর্খ)গণ অহেতুক ফতোয়াবাজী করে বেড়ায়। আল্লাহ তাদের হেদায়াত দান করুক... আমীন।

[১৪৪৫ হিজরী, ১২ ই রবিউল আওয়াল]

২টি মন্তব্য:

  1. ঈদে মিলাদুন্নবী বেদাত

    রাসূল (ﷺ) এর জন্ম উপলক্ষে অনেকেই ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ পালন করে। কিন্তু শরীয়তে এর কোন ভিত্তি নেই। অনেকে আবার শ্লোগান দেয়— ‘সকল ঈদের সেরা ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবী।’ কিন্তু ইসলামে ঈদ দুটো তৃতীয় কোন ঈদ নেই। যদি থাকত তাহলে নবিজি (ﷺ) আমাদের জানিয়ে দিতেন।

    ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ পালন করা যদি জায়েজ কিংবা সওয়াবের কাজ হতো তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা জানিয়ে দিতেন। তার জীবদ্দশায় সাহাবিদের পালন করার নির্দেশ দিতেন। আমরা কি সাহাবিদের থেকে রাসূল (ﷺ) কে বেশি ভালোবাসতে পারব? যদি না পারি তাহলে যেখানে সাহাবিরা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করেননি, তাবে-তাবেঈনগন পালন করেননি সেখানে আমরা মনগড়া ইবাদত কিভাবে পালন করি। যার ভিত্তি শরীয়তে নেই।

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন — “বলুন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দেব তাদের যারা কর্মে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত?’ দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে করছে যে, তারা ভাল কাজই করছে’!” [সূরা কাহাফ : ১০৩-১০৪]

    রাসূল (ﷺ) বলেছেন — “আল্লাহ তায়ালা বিদআতী ব্যক্তির সালাত, সাওম, যাকাত, হাজ্জ, উমরাহ, জিহাদ, সদকাহ, ন্যায় বিচার, তাওবাহ, আমল ইত্যাদি কিছুই কবুল করবেন না। সে ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেভাবে আটার খামির থেকে চুল বের হয়ে যায়।” [ইবনে মাজাহ : ৪৯]

    শরীয়তবিহীন যেই আমল করে রাসূলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছেন, তার শাফায়াত কামনা করছেন কিংবা হাউজে কাউছার থেকে পানি পানের স্বপ্ন দেখছেন। তা কিন্তু সম্ভব নয় কেননা সেদিন নতুন এই কর্ম তৈরি করার জন্য আল্লাহর রাসূল আপনাকে হাউজ থেকে তাড়িয়ে দিবেন এবং বলবেন— ‘দূর হও! দূর হও! যারা আমার পরে আমার দ্বীনে বিকৃতি তৈরি করেছ।’ [বুখারী : ৬৫৮৩]

    আর শাফায়াত সেটাও মিলবেনা সেদিন। রাসূল (ﷺ) বলেছেন — “আমার উম্মতের জন্য আমার সুপারিশ হালাল। কিন্তু বিদআতীর জন্য আমার সুপারিশ হালাল নয়। [আল বিদাউ, ইবনে উদ্দাহ : ৮৫]

    আমল সেটাই যেটা নবী (ﷺ) করেছেন এবং তার উম্মতকে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। শরীয়তে যেটা নেই মনগড়া সেই আমল করলে কবূল হওয়া ত দূরে থাক বরং সেটা হবে গুনাহের কাজ!

    .
    *বেদাত কাকে বলে?
    উ:- (১) ইসলামে নতুন কোন আমল বা নিয়ম বা নীতি চালু করা যা নবী থেকে প্রমানিত নয় তা বেদাত হিসেবে গন্য।
    (২) কোন বিষয়ের উপর সুন্নত এর প্রমান থাকা অবস্থায় সুন্নতের পরিবর্তে সোয়াবের উদ্যেশে নতুন কোন আমল করা বেদাত।
    .

    .
    উ:- কারন তা নবী(স) থেকে প্রমানিত নয়।
    নবী(স) বলেন"মান আমিলা আমালা লাইসা আলাইহি ফাহুয়া আমরুনা রদ্দুন"
    অর্থঃ কেউ এমন কোন আমল করল যার উপর আমার তরফ থেকে প্রমান নেই তা প্রত্যখ্যাত (সাহিহুল মুসলিম)
    .

    ১.এটা এমন এক নতুন আমল যা নাবী(সঃ) কোন দিন করেন নাই!!!

    তাই এগুলা বেদাত!!!
    .
    আর নাবী(স) বলেন
    "কুল্লু বেদাতিন দলালা কুল্লু দলালিন ফিন্নার"
    অর্থঃ প্রত্যেক বেদাতই পথভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক
    পথভ্রষ্টতা জাহান্নামী (সাহিহুল মুসলিম)

    উত্তরমুছুন
  2. আরে ভাই বিদআত বললে এখন সবি বিদআত মোবাইল কি বেদাত না এটা বাদ দেন।কি বলব

    উত্তরমুছুন

Thanks for supporting.

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন