আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net
আরবি মাস ও ফযীলত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আরবি মাস ও ফযীলত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৯ মে, ২০২০

ফয়যানে লাইলাতুল ক্বদর (পর্ব-২)

এক হাজার শাহজাদা

সূরা ক্বদরের অন্য এক শানে নুযুল হচ্ছে, প্রসিদ্ধ তাবেঈ হযরত সায়্যিদুনা কাবুল আহবার رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনী ইস্রাঈলে এক সৎচরিত্রবান বাদশাহ ছিলেন। আল্লাহ ওই যুগের নবী عَلَيْهِ السَّلَام এর প্রতি ওহী প্রেরণ করেন, অমুককে বলো, তার কি ইচ্ছা তা পেশ করতে। যখন তিনি সংবাদ পেলেন, তখন আরয করলেন, হে আমার মালিক! আমার আকাঙ্খা হচ্ছে, আমি আমার সমস্ত সম্পদ, সন্তান ও প্রাণ দিয়ে জিহাদ করবো। আল্লাহ তাআলা তাকে এক হাজার পুত্র সন্তান দান করলেন। সে তার একেকজন শাহজাদাকে তার সম্পদ সহকারে যুদ্ধযাত্রার জন্য প্রস্তুত করলেন। তারপর তাদেরকে আল্লাহ তাআলার রাস্তায় মুজাহিদ বানিয়ে প্রেরণ করতেন। সে এক মাস জিহাদ করতো এবং শহীদ হয়ে যেতো।

শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মুহাররম ও আশুরার রোযার ফযীলত

আশুরায় সংঘঠিত ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

﴾১﴿ আশুরার দিন (অর্থাৎ ১০ মুহাররামুল হারাম) হযরত সায়্যিদুনা নুহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর নৌকা জুদী পাহাড়ে ভিড়ে।
﴾২﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা আদম সফিয়্যুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর অনিচ্ছাকৃত ভূলের তাওবা কবুল করা হয়েছে। 
﴾৩﴿ এই দিনেই হযরত ইউনুস عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর সম্প্রদায়ের তাওবা কবুল করা হয়। 
﴾৪﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام  জন্ম গ্রহণ করেন। 
﴾৫﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রুহুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে সৃষ্টি করা হয়।(আল ফিরদাউস, ১ম খন্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৮৫৬।) 
﴾৬﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা মূসা কলিমুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام ও তারঁ সম্প্রদায়ের মুক্তি অর্জিত হয় এবং ফিরআউন নিজ গোত্রসহ ডুবে যায়।(বুখারী, ২য় খন্ড, ৪৩৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৩৯৭-৩৩৯৮।) 
﴾৭﴿ এই দিন সায়্যিদুনা ইউছুফ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর কয়েদখানা থেকে মুক্তি অর্জিত হয়। 
﴾৮﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা ইউনুস عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে মাছের পেট থেকে বের করা হয়।(ফয়যুল কদীর, ৫ম খন্ড, ২৮৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৭০৭৫।) 
﴾৯﴿ সায়্যিদুনা ইমাম হুসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কে তাঁর শাহজাদা ও সঙ্গী সাথী সহ তিনদিন ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত রাখার পর এই আশুরার দিনেই কারবালার বুকে অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে শহীদ করা হয়।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মুহাররম ও আশুরার দিনের ফযীলত ও রোযা

আশুরার দিনের ২৫টি বৈশিষ্ট্য

(১) ১০ই মুহাররামুল হারাম আশুরার দিন হযরত সায়্যিদুনা আদম ছফিউল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর তাওবা কবুল হয়েছিল, 
(২) সে দিনই আদম عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, 
(৩) সে দিনই আদম عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল, 
(৪) সেদিনই আরশ, 
(৫) কুরসী, 
(৬) আসমান, 
(৭) জমিন, 
(৮) সূর্য, 
(৯) চন্দ্র, 
(১০) নক্ষত্র ও 
(১১) জান্নাত সৃষ্টি করা হয়েছিল, 

সোমবার, ২৬ জুন, ২০১৭

শাওয়ালের ছয় রোযার ফযিলত

৬টি রোযার ৩টি ফযীলত

১. নবজাত শিশুর মত পাপমুক্ত

হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْا  থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তাআলার রসূল হযরত মুহাম্মদ   صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, তারপর শাওয়াল মাসে ছয়দিন রোযা রাখলো, তবে সে গুনাহ সমূহ থেকে এমনিভাবে মুক্ত হয়ে যাবে, যেন সে আজই মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হলো।” (মাজমাউয যাওয়াইদ, খন্ড-৩য়, পৃ-৪২৫, হাদীস নং-৫১০২)

২. যেন সারা জীবন রোযা রাখল

হযরত সায়্যিদুনা আবু আইয়ুব رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم এর সুগন্ধীময় বাণী হচ্ছে, “যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, তারপর আরো ছয়টি রোযা শাওয়াল মাসে রাখলো, সে যেনো সারা জীবনই রোযা রাখলো।” (সহীহ মুসলিম, পৃ-৫৯২, হাদীস নং-১১৬৪)

শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭

ফয়যানে লাইলাতুল ক্বদর

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা ! লাইলাতুল ক্বদর অত্যন্ত বরকতময় রাত। সেটাকে লাইলাতুল ক্বদর এজন্য বলা হয় যে, এতে সারা বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ ফিরিশতাগণ রেজিষ্টারগুলোতে আগামী বছর সংগঠিত হবে এমন বিষয়াদি লিপিবদ্ধ করে নেন। যেমন তাফসীরে সাভী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৩৯৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ হয়েছে:    اَيْ اِظْهَارُ هَافِى دَوَاوِيْنِ الْمَلَاءِ الْاَعْلٰى 
তাছাড়া আরো অনেক মর্যাদা এ মুবারক রাতের রয়েছে। প্রসিদ্ধ মুফাসসির মুফতী আহমদ এয়ার খান নঈমী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  বর্ণনা করেন, “এ রাতকে লাইলাতুর ক্বদর কয়েক কারণে বলা হয়:
শবে ক্বদর, রমযান, কুরআন নাযিলের মাস
১। এতে আগামী বছরের ভালমন্দ নির্ধারিত করে ফিরিশতাদের হাতে অর্পন করা হয়। ক্বদর মানে তকদীর (নির্ধারণ করণ) অথবা ক্বদর মানে সম্মান অর্থাৎ সম্মানিত রাত।
২। এতে ক্বদর বা সম্মানিত কোরআন নাযিল হয়েছে।
৩। যে ইবাদত এ রাতে করা হয়, তাতে মর্যাদা রয়েছে।
৪। ক্বদর অর্থ সংকীর্ণতা, অর্থাৎ ফিরিশতা এ রাতে এতো বেশি পরিমাণে আসে যে, পৃথিবী সংকীর্ণ হয়ে যায়, জায়গা সংকুলান হয়না। এ সব কারণে সেটাকে শবে ক্বদর অর্থাৎ সম্মানিত রাত বলে। (মাওয়াইযে নঈমিয়া, পৃষ্ঠা ৬২)
বোখারী শরীফের হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি এ রাতে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে, তার সারা জীবনের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৬০, হাদিস নং ২০১৪)

শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭

শাবান মাস : প্রিয় নবীর মাস (ফযিলত ও আমল) (পর্ব ৩)

সগে মদীনা عُفِيَ عُنْهُ এর মাদানী অনুরোধ

اَلْحَمْدُ لِلهِ عَزَّوَجَلَّ! সগে মদীনা عُفِيَ عُنْهُ (লিখক) এর বছরের পর বছর ধরে উল্লেখিত নিয়মানুসারে শবে বরাতের ৬ রাকাত নফল নামায আদায় ও তিলাওয়াত প্রভৃতির অভ্যাস রয়েছে। মাগরিবের পর আদায়কৃত এ ইবাদত নফল হিসেবে গণ্য। ফরয কিংবা ওয়াজিব নয় আর মাগরিবের পর নফল নামায আদায় ও কুরআন তিলাওয়াতে ব্যাপারে শরীয়তের মধ্যে কোন নিষেধাজ্ঞাও নেই। হযরত আল্লামা ইবনে রাজাব হাম্বলী رحمة الله عليه লিখেন: শাম বাসীদের মধ্যে সুপ্রসিদ্ধ তাবেয়ীগণ যেমন: হযরত সায়্যিদুনা খালিদ বিন মা’দান, হযরত সায়্যিদুনা মাকহুল, হযরত সায়্যিদুনা লোকমান বিন আমীর رحمة الله عليهم  অন্যান্যরা শবে বরাতের অনেক সম্মান করতেন আর এ রাতে খুব বেশি ইবাদত করতেন। তাঁদের কাছ থেকে অন্যান্য মুসলমানেরা এই মোবারক রাতের সম্মান করা শিখেছেন। (লাতায়িফুল মা’আরিফ, ১ম খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা) হানাফী মাযহাবের গ্রহনযোগ্য কিতাব “দুররে মুখতার” এর মধ্যে রয়েছে শবে বরাতে রাত জেগে ইবাদত করা মুস্তাহাব, (শুধু সম্পূর্ণ রাত জেগে থাকাকে রাত জাগ্রত থাকা বলেনা) বরং রাতের অধিকাংশ সময় জেগে থাকাও হচ্ছে রাত জাগ্রত থাকা। (দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৫৬৮ পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়ত, ১ম খন্ড, ৬৭৯ পৃষ্ঠা, মাকাতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা করাচী)

মাদানী অনুরোধ: সম্ভব হলে সকল ইসলামী ভাইয়েরা নিজ নিজ এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজের পর ৬ রাকাআত নফল প্রভৃতির ব্যবস্থা করুন আর অগনিত সাওয়াব অর্জন করুন। ইসলামী বোনেরা নিজ নিজ ঘরে এই আমল করুন। 

শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭

শাবান মাস : প্রিয় নবীর মাস (ফযিলত ও আমল) (পর্ব ২)

অসংখ্য গুনাহ্গারদের ক্ষমা হয়ে যায় কিন্তু...

হযরত সায়্যিদাতুনা আয়িশা সিদ্দিকা رضى الله عنها হতে বর্ণিত, প্রিয় নবী, রাসুলে আরবী, হুযুর পুরনূর ইরশাদ করেছেন: “আমার নিকট জিবরাঈল عليه السلام এসে বললেন; এটা শাবানের ১৫তম রাত, এ রাতে আল্লাহ তাআলা বনী কালব এর ছাগলের পশম পরিমাণ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। তবে কাফির ও শত্রুতা পোষনকারী, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী, টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী, মাতা-পিতার অবাধ্য এবং মদ পানে অভ্যস্তদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন না।” (শুয়াইবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৮৩৭) 
(হাদীসে শরীফে: টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী দ্বারা যে বর্ণনা রয়েছে তা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অহংকারবশত টাখনুর নিচে লুঙ্গি বা পায়জামা ইত্যাদি ঝুলানো) 
কোটি কোটি হাম্বলী মতাবলম্বীদের মহান ইমাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম আহমদ বিন হাম্বল رحمة الله عليه হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আমর رضى الله عنه হতে যে বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন, তাতে হত্যাকারীর কথাও উল্লেখ রয়েছে। (মুসনাদে ইমাম আহমদ, ২য় খন্ড, ৫৮৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬৬৫৩, দারুল ফিকর, বৈরুত)

শাবান মাস : প্রিয় নবীর মাস (ফযিলত ও আমল) (পর্ব ১)

প্রিয় নবীর মাস: শাবান

রাসুলে আকরাম, নূরে মুজাস্সম এর শাবানুল মুয়াযযাম সম্পর্কে সম্মানিত ফরমান হচ্ছে: “শাবান আমার মাস আর রমযান আল্লাহর মাস”।
(আল জামিউস্ সগীর, ৩০১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৪৮৮৯, দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত

শাবান মাসের ৫টি অক্ষরের বাহার

سُبحَان الله عَزَّوَجَل! শাবানুল মুয়াযযম মাসের মহত্বের উপর কুরবান হোন! এর ফযিলতের জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা  সেটাকে “আমার মাস” বলেছেন। সায়্যিদুনা গাওসে আযম, মাহবুবে সুবহানী, কিনদীলে নূরানী, শায়খ আবদুল কাদির জীলানী হাম্বলী رحمة الله عليه আরবী (শাবান) এর ৫টি অক্ষর ,ش ,ع ,ب ,ا ,ن সম্পর্কে নকল করেন। “ش” দ্বারা উদ্দেশ্য شَرف অর্থাৎ বুযুর্গী বা আভিজাত্য, “ ع” দ্বারা উদ্দেশ্য عُلو অর্থাৎ মর্যাদা বৃদ্ধি, “ ب” দ্বারা উদ্দেশ্য بِر অর্থাৎ অনুগ্রহ ও পূন্য, “ ا” দ্বারা উদ্দেশ্য أُلفَت অর্থাৎ ভালবাসা ও “ ن” দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে نُور অর্থাৎ আলো। সুতরাং এ সকল বস্তু গুলো আল্লাহ তা’আলা নিজের বান্দাগণকে এ মাসে প্রদান করে থাকেন। এটা ঐ মাস, যাতে নেকী সমূহের দরজা খুলে দেয়া হয়, বরকত সমূহ অবতীর্ণ হয়, গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং গুনাহ সমূহের কাফ্ফারা আদায় করা হয়।
আর নবী করীম  এর প্রতি দরূদে পাকের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়। এটা প্রিয় নবী  এর উপর দরূদ প্রেরণের মাস। (গুনইয়াতুত্ব ত্বালিবীন, ১ম খন্ড, ৩৪১-৩৪২ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত)

শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭

রজব মাসের ফযিলত, রোজা রাখা ও আমল (পর্ব ৩)

৬০ মাসের রোযার সাওয়াব

হাদীসে পাকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ২৭ রজবের রোযা রাখবে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য ষাট (৬০) মাসের রোজার সাওয়াব লিখে দিবেন। আর তা সেই দিন, যেই দিনে হযরত জিবরাঈল عليه السلام হযরত মুহাম্মদ এর জন্য প্রথম অহী নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। (তানযিহুশ শরীয়াহ, খন্ড-২য়, পৃ-১৬১, হাদীস নং-৪১)

শত বছরের রোজার সাওয়াব

হযরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী رضى الله عنه থেকে বর্ণিত, আল্লাহর মাহবুব হযরত মুহাম্মদ এর বাণী হচ্ছে, রজবে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে যে, সেই দিনে যে রোযা রাখবে ও রাতে কিয়াম তথা ইবাদত বন্দেগী করবে সে যেন একশত বছর রোযা রাখল। আর সেই দিন হল ২৭ রজব। এই দিন হযরত মুহাম্মদ কে আল্লাহ তাআলার প্রতি প্রেরণ করেছেন। (শুআবুল ঈমান, খণ্ড-৩য়, পৃ-৩৭৪, হাদীস নং-৩৮১১)

রজব মাসের ফযিলত, রোজা রাখা ও আমল (পর্ব ২)

একটি জান্নাতী নহরের নাম রজব

হযরত সায়্যিদুনা আনাস رضى الله عنه থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তাআলার রসূল হযরত মুহাম্মদ ইরশাদ করেন, “জান্নাতে একটা নদী রয়েছে, যাকে ‘রজব’ বলে, যা দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। তাই যে ব্যক্তি রজব মাসের একটি রোযা রাখবে, আল্লাহ তাকে ওই নদী থেকে পান করিয়ে তৃপ্ত করবেন।” (শুয়াবুল ঈমান, খন্ড-৩য়, পৃষ্ঠা-৩৬৭, হাদীস নং-৩৮০০)

নুরানী পাহাড়

একদা হযরত ঈসা عليه السلام আলোক ঝলমল এক পাহাড় দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আল্লাহ তাআলার দরবারে আরয করলেন, “হে আল্লাহ! এই পাহাড়কে কথা বলার শক্তি দান করুন।” তখন ঐ পাহাড় কথা বলতে লাগল। “ইয়া রুহুল্লাহ! আপনি কি চান?” ঈসা عليه السلام বললেন, তোমার অবস্থা বর্ণনা কর।” পাহাড় বলল “আমার ভিতর একজন মানুষ আছে।” তখন হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রুহুল্লাহ عليه السلام আল্লাহর দরবারে আরয করলেন, হে আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে আমার নিকট প্রকাশ করে দিন। (এই কথা বলার সাথে সাথে) সেই পাহাড় এমনিতে ফেটে গেল এবং এর ভিতর থেকে চাঁদের মত উজ্জল চেহারা বিশিষ্ট একজন মানুষ দেখা গেল। তিনি আরয করলেন, “আমি হযরত সায়্যিদুনা মুসা কলিমূল্লাহ عليه السلام এর উম্মত। আমি আল্লাহর কাছে এই দু’আ করেছিলাম যেন তিনি আমাকে তাঁর প্রিয় মাহবুব হযরত মুহাম্মদ এর আগমনের সময় পর্যন্ত জীবিত রাখেন যাতে আমি তার যিয়ারত করতে পারি এবং তাঁর উম্মত হওয়ার সম্মানও অর্জন করতে পারি।

রজব মাসের ফযিলত, রোজা রাখা ও আমল (পর্ব ১)

রজবুল মুরাজ্জবের রোযা

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ তাআলার নিকট চারটি মাস বিশেষভাবে সম্মানিত। সুতরাং আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- (কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ)


নিশ্চয় মাসগুলোর সংখ্যা আল্লাহর নিকট বার মাস, আল্লাহর কিতাবের মধ্যে, যখন থেকে তিনি আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে চারটা সম্মানিত। এটাই সহজ সরল দ্বীন। তাই এ মাসগুলোর মধ্যে নিজেদের আত্মাগুলোর উপর যুলুম করো না এবং মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বদা যুদ্ধ করো, যেমনিভাবে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বদা যুদ্ধ করে এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ খোদাভীরুদের সাথে রয়েছেন। (পারা-১০, সূরা-তওবা, আয়াত-৩৬)


পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন