ইসলামী বোনেরা! আপনারা দেখলেন তো! সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় অংশগ্রহণ করার কেমন বরকত, এই কথাটি স্মরন রাখবেন! ইজতিমায় অংশগ্রহণ করার নিয়্যত যেন শুধুমাত্র দুনিয়াবী সমস্যা সমাধান হওয়ার কারণে না হয়। জ্ঞান অন্বেষন ও সাওয়াব অর্জনের নিয়্যতও অবশ্যই করে নেয়া উচিত। اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَلّ ইসলামী বোনদের শরয়ী পর্দা সহকারে পাকিস্তান সহ বাংলাদেশের অসংখ্য শহর এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ও বিভিন্ন স্থানে সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমা হয়ে থাকে। প্রত্যেক ইসলামী বোনের উচিত, দা'ওয়াতে ইসলামী ইজতিমায় শুধু নিজে অংশগ্রহণ করবেন না বরং অন্যান্য ইসলামী বোনদেরকেও মুহাব্বত সহকারে সাক্ষাত করে ইনফিরাদী কৌশিশ করে ইজতিমায় অংশগ্রহণের দাওয়াত দিতে থাকা।
মাদানী ফুল: হযরত সায়্যিদুনা জাবির رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত; খাতামুল মুরসালীন, শফীউল মুযনিবীন, রাহমাতুল্লিল আলামীন صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “প্রত্যেক নেকী সদকা স্বরূপ আর তোমাদের আপন ভাইয়ের সাথে উৎফুল্লতা সহকারে সাক্ষাত করাও নেকী, আর নিজের বালতি দ্বারা নিজের ভাইয়ের পাত্রে পানি ঢেলে দেয়াও নেকী।” (মুসনদে আহমদ বিন হাম্বল, ৫ম খন্ড, ১১১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৪৭১৫)
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
পর্দা করতে সংকোচবোধ হলে...
প্রশ্ন:- পরিবেশ খুবই আধুনিক এবং ফ্যাশন খুবই ছড়িয়ে পড়েছে, শরয়ী পর্দা করতে সংকোচবোধ হয়, এখন কি করা যায়?
উত্তর:- শরয়ী পর্দা ত্যাগ করা যাবে না। কেননা, এটা উচ্চ পর্যায়ের নেকী। আর বেপর্দা হওয়া মারাত্মক গুনাহ। পর্দা করাতে যত বেশি কষ্ট অনুভব হবে, সাওয়াবও اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ তত বেশি অর্জিত হবে। কথিত আছে: اَفْضَلُ الْعِبَادَاتِ اَحْمَزُهَا অর্থাৎ “সর্বোত্তম ইবাদত সেটাই যাতে বেশি কষ্ট হয়।” (কাশফুল খিফা, ১ম খন্ড, ১৪১ পৃষ্ঠা)
ইমাম শরফুদ্দিন নববী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: “যদি ইবাদতে কষ্ট ও খরচ বেশি হয় তবে সাওয়াব ও ফযীলতও বেশি হয়ে যায়।” (শরহে সহীহ্ মুসলিম লিন নববী, ১ম খন্ড, ৩৯০ পৃষ্ঠা) হযরত সায়্যিদুনা ওমর বিন আব্দুল আযিয رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বলেন: “উত্তম ইবাদত সেটা, যার জন্য নফসকে অপারগ হতে হয়।” (ইত্তিহাফু সাদাত লিয যুবায়দী, ১১তম খন্ড, ১০ পৃষ্ঠা) হযরত সায়্যিদুনা ইব্রাহিম বিন আদহাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: “যে আমল দুনিয়াতে যতটুকু কষ্টসাধ্য হবে, কিয়ামতের দিন তা (আমল) মিযানে (পরিমাপের পাল্লায়) ততটুকু ভারী হবে।” (তাযকিরাতুল আউলিয়া, ৯৫ পৃষ্ঠা সংকলিত) তবে হ্যাঁ! যদি কারো নিজের অন্তরই ভেজাল হয়, তখন আর কি বলব! প্রখ্যাত মুফাস্সীর হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ নূরুল ইরফানের ৩১৮ নং পৃষ্ঠায় বলেন: “যার জন্য গুনাহ করা সহজ ও নেক কাজ করা কষ্ট অনুভূত হয়, তবে মনে করো তার অন্তরে নিফাক রয়েছে।” আল্লাহ্ তাআলা রক্ষা করুন।
اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم