(১) নিয়্যতের শব্দ সমূহ মুখে উচ্চারণ করা। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত তানবীরুল আবছার, ২য় খন্ড, ১১৩ পৃষ্ঠা) (এটা অর্থবহ তখনই হবে যখন অন্তরে নিয়্যত থাকে অন্যথায় নামাযই হবে না।)
(২) কিয়ামের মধ্যে উভয় পায়ের গোড়ালীর মধ্যভাগে চার আঙ্গুলের দূরত্ব থাকা। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
(৩) কিয়াম অবস্থায় সিজদার স্থানে
(৪) রুকূ অবস্থায় উভয় পায়ের পিঠের উপর
(৫) সিজদাতে নাকের দিকে
(৬) বৈঠকে কোলের উপর
(৭) প্রথম সালামে ডান কাঁধের দিকে এবং
(৮) দ্বিতীয় সালামে বাম কাঁধের দিকে দৃষ্টি রাখা। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত তানবীরুল আবছার, ২য় খন্ড, ২১৪ পৃষ্ঠা)
(৯) একাকী নামায আদায়কারী রুকূ ও সিজদার মধ্যে বিজোড় সংখ্যায় তিনবারের বেশি (যেমন- ৫, ৭, ৯ ইত্যাদি) তাসবীহ বলা। (রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ২৪২ পৃষ্ঠা)
(১০) হিলইয়া ও অন্যান্য কিতাবে রয়েছে, হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ প্রমুখ থেকে বর্ণিত আছে যে, ইমামের জন্য তাসবীহ পাঁচবার বলা মুস্তাহাব।
(১১) যার কাঁশি আসে তার উচিত যতটুকু সম্ভব কাঁশি না দেওয়া। (তাহতাবীর পাদটিকা সম্বলিত মারাক্বিউল ফালাহ, ২৭৭ পৃষ্ঠা)
(১২) হাই আসলে মুখ বন্ধ করে রাখা। আর না থামলে ঠোঁটকে দাঁতের নিচে চেপে ধরা। এভাবেও যদি না থামে, তবে দাঁড়ানো অবস্থায় ডান হাতের পিঠ এবং দাঁড়ানো ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় বাম হাতের পিঠ দিয়ে মুখ চেপে রাখুন। (‘হাই’ থামানোর উত্তম পন্থা হচ্ছে এ কল্পনা করা যে, তাজেদারে মদীনা, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ও অন্যান্য নবীগণ عَلَیۡہِمُ الصَّلٰوۃُ وَ السَّلَام এর কখনো হাই আসতো না, اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلَّ তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যাবে।) (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ২১৫ পৃষ্ঠা)
(১৩) যখন মুকাব্বির حَیَّ عَلَی الفَلَاح বলে তখন ইমাম ও মুক্তাদী সকলেই দাঁড়িয়ে যাওয়া। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ৫৭ পৃষ্ঠা)
(১৪) কোন প্রতিবন্ধক ছাড়া জমিনে সিজদা করা। (তাহতাবীর পাদটিকা সম্বলিত মারাক্বিউল ফালাহ, ৩৭১ পৃষ্ঠা)
নামাযের মুস্তাহাব |
ওমর বিন আব্দুল আযীযের আমল
হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বর্ণনা করেন: ‘হযরত সায়্যিদুনা ওমর বিন আবদুল আযীয رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ সবসময় জমির উপরই সিজদা করতেন। (অর্থাৎ সিজদার স্থানে জায়নামাজ ইত্যাদি বিছাতেন না।) (ইহ্ইয়াউল উলূম, ১ম খন্ড, ২০৪ পৃষ্ঠা)
ধূলিময় কপালের ফযীলত
হযরত সায়্যিদুনা ওয়াসিলাহ বিন আসকা رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ থেকে বর্ণিত; প্রিয় আক্বা, মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত নামায থেকে অবসর হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের কপাল থেকে যেন (মাটি) পরিস্কার না করে। কেননা, যতক্ষণ পর্যন্ত সিজদার চিহ্ন তার কপালে বিদ্যমান থাকে ফিরিশতাগণ তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে।” (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ২য় খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীস-২৭৬১)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নামাযের মধ্যে কপাল থেকে মাটি ঝেড়ে ফেলা ভাল নয়, আর আল্লাহর পানাহ! অহংকার বশতঃ পরিস্কার করা গুনাহ্, আর নামায শেষে কারো যদি রিয়ার ভয় হয় তবে তার উচিত, নামাযের পর কপাল থেকে মাটি ঝেড়ে ফেলা।
--------
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত নামায বিষয়ের এনসাইক্লোপিডিয়া ও মাসাইল সম্পর্কিত “নামাযের আহকাম” নামক কিতাবের ১৬৭-১৬৯ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।
যারা মোবাইলে (পিডিএফ) কিতাবটি পড়তে চান তারা ফ্রি ডাউনলোড করুন অথবা প্লে স্টোর থেকে এই কিতাবের অ্যাপ ফ্রি ইন্সটল করুন
দাওয়াতে ইসলামীর সকল বাংলা ইসলামীক বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন
নামায বিষয়ক আরো পড়ুন- নামাযের পদ্ধতি, নামাযের ফরয, নামাযের ওয়াজিব, নামাযের সুন্নাত, নামায ভঙ্গের কারণ, নামাযের মাকরূহে তাহরীমা, নামাযের মাকরূহে তানযীহী, ইমাম ও জামাআতের বর্ণনা, সিজদায়ে সাহু্
মাদানী চ্যানেল দেখতে থাকুন