আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

অশুভ প্রথা বা কুসংস্কারে বিশ্বাস (১)

অলক্ষুনে কে? 

কোন বাদশা একদা তার সভাসদদের নিয়ে দরবারে বসা ছিলো। এমন সময় কালো বর্ণের এক চোখ কানা ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হল বাদশার সম্মুখে। সবাই অভিযোগ করল, এই লোকটি এমন ধরনের অলক্ষুনে যে, কেউ যদি সকালে উঠে একে দেখে, সেই দিন তাকে অবশ্যই কোন না কোন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সুতরাং তাকে দেশ থেকে বহিস্কার করে দেওয়া হোক। কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর বাদশা বললেন, চূড়ান্ত বিচার করার আগে আমি নিজেই তা পরীক্ষা করে দেখবো, কাল সকালে সর্বপ্রথম আমি তাকে দেখবো, তারপর অন্য কাজে হাত দেবো। পরদিন সকালে বাদশা যখন ঘুম থেকে উঠলো, দরজা খুলতেই সর্বপ্রথম সেই কানা ব্যক্তিটিকেই দাঁড়ানো দেখতে পেলো। তাকে দেখেই বাদশা পেছনে ফিরে গেলো এবং দরবারে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলো। পোষাক পাল্টাবার পর বাদশা যখনই জুতোয় পা দিলো, তখনই তাতে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত বিচ্ছু তাকে দংশন করলো।

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮

প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কিত ১৫ টি মাদানী ফুল

৮টি হাদীস শরীফ 
(১) “আল্লাহ্ তা’আলা নেক মুসলমানের সদকায়/ খাতিরে তাঁর আশেপাশের ১০০টি ঘর থেকে বিপদাপদ দূরীভূত করে দেন। অতঃপর তিনি صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই আয়াতে করীমা তিলাওয়াত করেন: 

وَلَوْلَا دَفْعُ اللهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّفَسَدَتِ الْأَرْضُ 

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ”আর যদি আল্লাহ্ মানুষের মধ্য থেকে একজনকে অন্যের দ্বারা প্রতিহত না করেন, তবে অবশ্যই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।” (৩য় পারা, সূরা বাক্বারা, আয়াত- ২৫১) (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ৮ম খন্ড, ২৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৩৫৩৩) 

(২) “আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সর্বোত্তম প্রতিবেশী হল- যে আপন প্রতিবেশীর কল্যাণকামী হয়ে থাকে।” (তিরমিযী, ৩য় খন্ড, ৩৭৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৯৫১) 

(৩) “ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার দুষ্টামী থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।” (মুসলিম, ৪৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৬) 

(৪) “ঐ ব্যক্তি মুমীন নয়, যে নিজে পেট ভরে আহার করেছে, আর তার প্রতিবেশী অনাহারে রয়েছে।”(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ২২৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৩৮৯) অর্থাৎ- সে পূর্ণঙ্গ মুমীন নয়। 

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮

কিয়ামতের পরীক্ষা

মাদানী মুন্নার ভয়

অর্ধরাতে একটি ছোট্ট মাদানী মুন্না হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে বসে গেল এবং চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। তার পিতা গভীর রাতে কান্নার আওয়াজ শুনে ভয়ে জাগ্রত হয়ে গেলেন এবং বলতে লাগলেন: “হে আমার প্রিয় বৎস! কাঁদছ কেন?” মাদানী মুন্না কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিল: “আব্বাজান! আগামীকাল বৃহস্পতিবার। শিক্ষক আগামীকাল পূর্ণ সপ্তাহের পরীক্ষা নিবেন।আমি পড়ার প্রতি মনোযোগ দিই নাই। তাই আগামীকাল শিক্ষক আমাকে প্রহার করবে। একথা বলে বাচ্চা হাউমাউ করে আরো উচ্চ আওয়াজে কাঁদতে লাগল। এ ঘটনায় পিতার চোখে অশ্রু এসে গেল এবং সে নিজের নফস কে সম্বোধন করে বলতে লাগলেন: “এই বাচ্চাকে মাত্র এক সপ্তাহের হিসাব দিতে হবে এবং শিক্ষককে চাইলে কোন বাহানাও দেয়া যায়। তারপরও সে কাঁদছে এবং প্রহারের ভয়ে তার চোখে ঘুম আসছে না। আর আফসোস! হায় আফসোস! আমার উপরতো পূর্ণ জীবনের হিসাব ঐ একক পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলার নিকটেই দিতে হবে। যাকে কোন বাহানা দেয়া যাবে না। তদুপরি আমার কিয়ামতের পরীক্ষা সামনে রয়েছে। কিন্তু আমি অলসতার ঘুমে ঘুমিয়ে রয়েছি। অবশেষে আমার কোন ভয় আসছে না কেন? (দুররাতুন নাছেহীন, ২৯৫ পৃষ্ঠা)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ঘটনায় আমাদের জন্য শিক্ষণীয় অসংখ্য মাদানী ফুল রয়েছে। আমাদের চিন্তা করা উচিৎ যে, একটি মাদানী মুন্না তার ধ্যান এবং মাদানী চিন্তাধারা দেখুন! মাদানী মুন্না মাদ্রাসার হিসাবের ভয়ে কান্না করছে, আর তার পিতা কিয়ামতের হিসাব নিকাশের কঠোরতা স্মরণ করে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছেন।

করীম আপনে করম কা সদকা লাঈম বে কদর কো না শরমা
তো আওর গাদা ছে হিসাব লেনা গাদা ভী কোয়ী হিসাব মে হে।

শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮

সদকায়ে ফিতর ও এর বিধান

আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা ৩০তম পারার সূরা আ’লা এর ১৪ ও ১৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেন:

قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكّٰى  - وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلّٰى   

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত পৌঁছেছে, যে পবিত্র হয়েছে এবং স্বীয় প্রতিপালকের নাম নিয়ে নামায পড়েছে।

সদরুল আফাযিল হযরত আল্লামা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবাদী  رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ “খাযায়িনুল ইরফানে” এই আয়াতে করীমার আলোকে লিখেন: এই আয়াতের তাফসীরে এ কথা বলা হয়েছে যে, “ تَزَكَّىٰ ّٰ ” দ্বারা ‘সদকায়ে ফিতর দেয়া’ এবং “প্রতিপালকে নাম নেওয়া” দ্বারা ‘ঈদগাহে যাওয়ার পথে তাকবীর বলা’ আর “নামায” দ্বারা ‘ঈদের নামায’কে বুঝানো হয়েছে। (খাযায়িনুল ইরফান, ১০৭৪ পৃষ্ঠা)

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

ইতিকাফের ফযিলত

ফয়যানে ইতিকাফ 
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! রমযানুল মুবারকের বরকত সম্পর্কে কি বলবো! এমনি তো রমযানের প্রতিটি মুহুর্ত রহমতে পরিপূর্ণ, প্রতিটি মুহুর্ত অশেষ বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ রয়েছে। কিন্তু এ সম্মানিত মাসে শবে ক্বদর সর্বাপেক্ষা বেশী গুরুত্ব রাখে। সেটা পাবার জন্য আমাদের প্রিয় আকা মদীনা ওয়ালে মুস্তফা হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّمপবিত্র মাহে রমযানের পুরো মাসও ই‘তিকাফ করেছেন। 

আর আখেরী দশদিনের ই‘তিকাফ তো হুযুর صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم খুবই গুরুত্ব দিতেন। এমনকি একবার কোন বিশেষ সমস্যার কারণে হুযুর صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم রমাযানুল মুবারকে ই‘তিকাফ করতে পারেন নি। তাই শাওয়ালুল মুকাররামের শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করেছিলেন। (সহীহ বোখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৭১, হাদিস নং ২০৩১) 

এক বার সফরের কারণে হুযুর মাদিনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার, হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইতিকাফ করতে পারেননি। তাই হুযুর صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পরবর্তী রমযান শরীফে বিশ দিন ইতিকাফ করেছেন। (জামে তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২১২ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৮০৩)

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮

কবর ও দাফনের মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

۞আল্লাহ্ তাআলার বাণী: 

أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ كِفَاتًا (25) أَحْيَاءً وَأَمْوَاتًا (26) 

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আমি কি জমিনকে একত্রকারী করিনি। তোমাদের জীবিত ও মৃতদের। (পারা- ২৯, সূরা- মুরসালাত, আয়াত- ২৫, ২৬) 

এ আয়াতে মোবারাকার ব্যাখ্যায় “নূরুল ইরফান” ৯২৭ পৃষ্ঠার বর্ণিত আছে; এভাবে যে, জীবিতরা যমীনের পৃষ্ঠের উপর আর মৃতরা যমীনের পেটে একত্রিত আছে। 

۞মৃতকে দাফন করা ফরযে কিফায়া (অথার্ৎ একজনও দাফন করে দেয় তবে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে, নতুবা যার কাছে সংবাদ পৌঁছেছিল আর দাফন করাইনি গুনাহগার হবে) মৃতকে যমীনে রেখে চারিদিক থেকে দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয়া জায়েয নেই। (বাহারে শরীয়তে, ১ম খন্ড, ৮৪২ পৃষ্ঠা) 

۞কবর সমুহ আল্লাহ্ তাআলার নেয়ামত। কেননা, এতে মৃতকে দাফন করে দেয়া হয়। যাতে পশু এবং অন্যান্য বস্তগুলো তার খেয়ানত না করে। 

মৃত ব্যক্তির অসহায়ত্ব

লাশ এবং গোসলদাতা 
প্রখ্যাত আলিম ও মুহাদ্দিস এবং প্রসিদ্ধ তাবেয়ী বুযুর্গ হযরত সায়্যিদুনা সুফিয়ান ছওরী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ থেকে বর্ণিত; “মৃত ব্যক্তি সবকিছু জানতে পারে। এমনকি (সে) গোসলদাতাকে বলে: তোমাকে আল্লাহ্ তাআলার শপথ দিচ্ছি, তুমি গোসলদানে আমার সাথে নম্রতা প্রদর্শন করো। আর যখন তাকে খাটে রাখা হয়, তখন তাকে বলা হয়: “নিজের ব্যাপারে মানুষের মন্তব্যগুলো শুনো। (শরহুস্ সুদূর, ৯৫ পৃষ্ঠা) 

মৃত ব্যক্তি কি বলে? 
আমীরুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুকে আযম رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বর্ণনা করেন; মদীনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার, নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “মৃত ব্যক্তিকে যখন খাটে রাখা হয় এবং তাকে নিয়ে এখনোও তিন কদম পথ অতিক্রম করা হয়েছে মাত্র, তখন সে বলে, আর তার কথা মানুষ এবং জ্বীন ব্যতীত আল্লাহ্ তাআলা যাদের চান তাদেরকে শুনান। মৃত ব্যক্তি বলে: “হে আমার ভাইয়েরা! এবং হে আমার লাশ বহনকারীরা! তোমাদেরকে যেন দুনিয়া ধোকায় না ফেলে, যেভাবে আমাকে ধোঁকায় ফেলেছিল। আর সৃষ্টি যেন তোমাদেরকে খেলায় (মগ্ন) না রাখে। যেভাবে সে আমাকে মগ্ন রেখেছিল। আমি যা কিছু উপার্জন করেছি তা নিজের ওয়ারিশদের জন্য রেখে যাচ্ছি। আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন আমার কাছ থেকে হিসাব নিবেন। আর আমাকে পাকড়াও করবেন। অথচ (আজ) তোমরা আমাকে বিদায় জানাচ্ছ এবং আমাকে আহবান করছো (অর্থাৎ আমার জন্য কান্নাকাটি করছ)। (শরহুস সুদুর, ৯৩ পৃষ্ঠা, কিতাবুল কুবুর মাআ মাওসুআতে ইবনে আবিদ দুনিয়া, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৬১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৫) 

মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

জানাযার ১৫টি মাদানী ফুল

৪টি ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 

১। যে (ব্যক্তি)কোন মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মৃতের পরিবারের নিকট গিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করলো, তবে আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য এক ক্বিরাত সাওয়াব লিখে দিবেন, অতঃপর যদি মৃতের সাথে যায় তবে আল্লাহ্ তাআলা দুই ক্বিরাত প্রতিদান লিখেন, অতঃপর যদি মৃতের জানাযার নামায আদায় করে, তবে তিন ক্বিরাত, অতঃপর যদি কাফন-দাফনে উপস্থিত থাকে তবে চার ক্বিরাত আর প্রতি ক্বিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। (সংশোধিত ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৯ম খন্ড, ৪০১ পৃষ্ঠা। উম্দাতুল ক্বারী, ১ম খন্ড, ৪০০ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪৭) 

২। মুসলমানের প্রতি অপর মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে, (তার মধ্যে একটি হলো) যখন মৃত্যু হবে তখন তার জানাযায় অংশ নেয়া। (মুসলিম, ১১৯২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৫ (২১৬২), সংক্ষেপিত) 

৩। “যখন কোন জান্নাতী ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে তখন আল্লাহ্ তাআলা ঐ সমস্ত লোকদের শাস্তি দিতে লজ্জাবোধ করেন যারা তার জানাযা নিয়ে চলে, যারা এর পেছনে চলে এবং যারা তার জানাযার নামায আদায় করে। (আল ফিরদাউস বিমাসুরিল খাত্তাব, ১০ম খন্ড, ২৮২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ১১০৮) 

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

মৃত ব্যক্তির অনুশোচনা

কবরে মাটি দেয়ার কারণে ক্ষমা হয়ে গেলো 
এক ব্যক্তির ইন্তিকালের পর কেউ তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলো: مَا فَعَلَ اللهُ بِكَ؟ অর্থাৎ আল্লাহ্ তাআলা আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন? উত্তরে বললেন: আমার আমল পরিমাপ করা হলো, গুণাহের ওজন বেড়ে গেলো, অতঃপর একটি থলে আমার নেকীর পাল্লায় রাখা হলো, যার কারণে اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَلّ আমার নেকীর পাল্লা ভারী হয়ে গেলো এবং আমার ক্ষমা হয়ে গেলো। যখন সেই থলেটি খোলা হলো তখন তার মধ্যে সেই মাটি দেখলাম যা আমি এক মুসলমানের দাফনের সময় তার কবরে দিয়েছিলাম। (মিরকাতুল মাফাতিহ, ৪র্থ খন্ড, ১৮৯ পৃষ্ঠা) 

صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد 

কেউ সত্যিই বলেছেন: 
রহমতে হক ‘বাহা’ না মে জুইদ, 
রহমতে হক ‘বাহানা’ মে জুইদ। 
(অর্থাৎ আল্লাহ্ তাআলার রহমত মূল্য নয়, বাহানা খোঁজে থাকে) 

কবরে মাটি দেওয়ার পদ্ধতি 
মুসলমানের কবরে মাটি দেওয়া মুস্তাহাব। এর পদ্ধতি হলো: কবরের মাথার পার্শ্ব হতে দুই হাতে মাটি উঠিয়ে তিনবার কবরে দেবে, প্রথমবার দেওয়ার সময় বলবে: مِنْهَا خَلَقْنٰكُمْ (আমি জমিন থেকেই তোমাদের সৃষ্টি করেছি) দ্বিতীয়বার দেওয়ার সময় বলবে: وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ (সেটার মধ্যেই তোমাদেরকে আবার নিয়ে যাবো) এবং তৃতীয়বার দেওয়ার সময় বলবে: وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخرٰى (এবং সেটা থেকে পুনরায় তোমাদেরকে বের করবো।) এবার বাকী মাটি কোদাল ইত্যাদি দিয়ে ঢেলে দিন। 

রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮

আশিকে আকবার (আবু বকর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী)

শৈশবের আশ্চর্যজনক ঘটনা 

দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ৫৬১ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব ‘মালফূজাতে আলা হযরত’ ৪র্থ খন্ডের ৬০ থেকে ৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, সিদ্দীকে আকবর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কখনও মূর্তিকে সিজদা করেননি। অল্প বয়সে তাঁর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ পিতা তাঁকে মূর্তিঘরে নিয়ে যান আর বলেন, এটা হচ্ছে তোমার উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ প্রভু, তাকে সিজদা কর। যখন তিনি رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ মূর্তির সামনে গেলেন, তখন আবু বকর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বললেন: আমি ক্ষুর্ধাত, আমাকে খাবার দাও? আমি বিবস্ত্র, আমাকে পরিধানের বস্ত্র দাও? আমি পাথর ছুঁড়ে মারছি, তুমি যদি সত্যিকার প্রভু হয়ে থাক, তা হলে নিজেকে বাঁচাও। মূর্তি কী জবাব দেবে! তিনি رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ একটি পাথর ছুঁড়ে মারলেন, পাথরটি লাগতেই মূর্তিটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। পিতা এই অবস্থা দেখে রাগান্বিত হয়ে গেল, পুত্রের চেহারায় একটি থাপ্পর মারল, সিদ্দীকে আকবর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কে তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে এল, সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করল: মা বললেন, আমার ছেলেকে তাঁর অবস্থায় ছেড়ে দিন, যখন সে ভূমিষ্ঠ হল, তখন অদৃশ্য হতে আওয়াজ এসেছিল... 

يَا اَمَةَ اللهِ عَلَى التَّحْقِيْقِ اَبْشِرِىْ بِالْوَلَدِ الْعَتِيْقِ اِسْمُہٗ فِى السَّمَاءِ الصِّدِّيْقُ لِمُحَمَّدٍ صَاحِبٌ وَّ رفِيْقٌ 

অনুবাদঃ “হে আল্লাহ পাকের সত্যিকার বাঁদী! তোমাকে সুসংবাদ দেওয়া হচ্ছে এ শিশুটি ‘আতীক’ বা মুক্ত, আসমানে এর নাম হচ্ছে ‘সিদ্দীক’। আর মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সফরসঙ্গী এবং তাঁর সাথী।” 

মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

দরূদ শরীফ পাঠের ফযিলত (৭)

❤❤ফযিলত-৫১❤❤
হযরত সায়্যিদুনা শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সোলায়মান জাযুলী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: আমি সফরে ছিলাম। এক স্থানে আসার পর নামাযের সময় হয়ে গেল। সেখানে একটি কূপ ছিল, কিন্তু বালতি আর রশি ছিল না। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম, তখনি একটি ঘরের উপর হতে এক মাদানী মুন্নী আমাকে আড়াল হতে দেখছিল, আর জিজ্ঞাসা করল: আপনি কী খুঁজছেন? আমি বললাম: কন্যা, রশি আর বালতি। সে জিজ্ঞাসা করল: আপনার নাম? বললাম: মুহাম্মদ ইবনে সোলায়মান জাযুলী। মাদানী মুন্নীটি আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলল: আচ্ছা! আপনিই কি সেই ব্যক্তি, যার প্রসিদ্ধির ডঙ্কা বাজছে চারদিকে। অথচ আপনার অবস্থা এই যে, কূপ থেকে পানিও নিতে পারছেন না! এ কথা বলেই সে কূপে থুথু ফেলল। মুহুর্তেই পানি উপরের দিকে উঠে গেল এবং পানি কুপ থেকে উপচে পড়তে লাগল। তিনি জাযুলী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ ওযু করার পর সেই অসাধারণ মাদানী মুন্নীকে বললেন: কন্যা! তুমি সত্যি করে বল তো, এ অসাধারণ ক্ষমতা তুমি কিভাবে অর্জন করেছ? সে বলল: আমি দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকি আর তার বরকতেই এই দয়া হয়েছে। তিনি বলেন: এই অসাধারণ মাদানী মুন্নীর কথায় প্রভাবিত হয়ে আমি সেখানেই সংকল্প করলাম যে, দরূদ শরীফের উপর কিতাব লিখব। (সা’আদাতুদ দারাইন, পৃষ্ঠা-১৫৯, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া বৈরুত) অতঃপর তিনি দরূদ শরীফের কিতাব রচনা করেন। যেটি সর্বজন গৃহীত হয়েছে আর সেই কিতাবের নাম হল “দালায়িলুল খায়রাত”।

সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

তেল লাগানো ও চিরুনী ব্যবহার সম্পর্কিত ১৯টি মাদানী ফুল

﴾১﴿ হযরত সায়্যিদুনা আনাস رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বলেন: আল্লাহর মাহবুব, হুযুর পুরনূর, নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রায়ই আপন মাথা মোবারকে তেল ব্যবহার করতেন, আর দাঁড়ি মোবারক চিরুনী দিয়ে আঁচড়াতেন। মাথা মোবারকে প্রায়ই কাপড় রাখতেন। এমনকি কাপড়টি তেলে ভিজা থাকত। [ আশ শামায়িলুল মোহাম্মদীয়া লিত তিরমিযী, ৪র্থ পৃষ্ঠা] বুঝা গেল, ‘সারবন্দ’ ব্যবহার করা সুন্নাত। ইসলামী ভাইদের উচিত, যখনই মাথায় তেল লাগাবে, ছোট একটি কাপড় মাথায় বেঁধে নেবে। এতে করে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ টুপি ও পাগড়ী মাথার তেল থেকে রক্ষা পাবে। اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَل সগে মদীনা عُفِىَ عَنْهُ (লিখক) অনেক বছর ধরে ‘সারবন্দ’ ব্যবহার করে আসছে।

﴾২﴿ নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যার চুল রয়েছে, সে যেন সেগুলোর সম্মান করে।” [সুনানে আবু দাঊদ, ৩ খন্ড, ১০৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪১৬৩]। অর্থাৎ সেগুলো ধৌত করবে, তেল লাগাবে, আর চিরুনী দিয়ে আঁচড়াবে। [আশি‘আতুল লুমআত, ৩ খন্ড, ৬১৭ পৃষ্ঠা]

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাদানী ফুল

আল্লাহর অলীর আমন্ত্রণের কাহিনী 

কোন এক ধনবান ব্যক্তি একদা হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ কে দাওয়াত দিল এবং আমন্ত্রণে যাওয়ার জন্য খুব জোর করল। তিনি বললেন: তুমি যদি আমার এ তিনটি শর্ত মেনে নাও, তাহলে আসব। ১. আমার যেখানে ইচ্ছা বসব। ২. আমার যা ইচ্ছা খাব। ৩. আমি যা বলব, তোমাদের তা করতে হবে। ধনবান লোকটি এই তিনটি শর্ত মেনে নিল। আল্লাহর অলীর সাক্ষাতের জন্য অসংখ্য লোকজন জমা হল। নির্দিষ্ট সময়ে হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِএসে পৌঁছলেন। লোকজন যেখানে তাদের জুতো রেখেছিল তিনি এসেই সেখানে বসে গেলেন। খাওয়া-দাওয়া যখন শুরু হল, হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ আপন থলের ভিতর থেকে একটি শুকনো রুটি বের করে তা খেয়ে নিলেন। খাওয়া-দাওয়া যখন শেষ হয়ে গেল, তিনি মেজবানকে উদ্দেশ্য করে বললেন: একটি চুলা নিয়ে আস আর তাতে একটি তাবা রাখ। যেই হুকুম সেই কাজ। আগুনের তাপে যখন তাবাটি কয়লার মত লাল হয়ে গেল, তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ তখন সেই তাবাটির উপর খালি পায়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। আর বললেন: আজকের খাবারে আমি শুকনো রুটি খেয়েছি। এই কথা বলে তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ তাবা থেকে নেমে গেলেন। এরপর উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বললেন: আপনারা প্রত্যেকেও এক এক করে এই তাবায় দাঁড়িয়ে আজকের দাওয়াতে যা যা খেয়েছেন তার হিসাব দিয়ে যান। এ কথা শুনে লোকদের মুখে চিৎকার শুরু হল। সকলে সমস্বরে বলল: হুজুর! এই ক্ষমতা তো আমাদের কারো নেই। (কোথায় গরম তাবা আর কোথায় আমাদের নরম পা। আমরা সবাই তো এমনিতেই গুনাহ্গার (দুনিয়াবাজ লোক)। তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বললেন: যেক্ষেত্রে আপনারা দুনিয়ার এই গরম তাবায় দাঁড়িয়ে আজকের মাত্র এক বেলা খাবারের মত নেয়ামতের হিসাব দিতে অপারগ রয়ে গেলেন, সেক্ষেত্রে কাল কিয়ামতের দিন এত দীর্ঘ জীবনের সকল নেয়ামতের হিসাবগুলো কীভাবে দিবেন? অতঃপর তিনি সূরা তাকাসুরের শেষের আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন:
 ثُمَّ لَتُسئَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيْمِ 

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের সবাইকে নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। 

অশ্রুর বারিধারা (ইমাম আবু হানীফা)

জমজমাট বাজারে রেশমী কাপড়ের একটি দোকানে দোকানটির কর্মচারী আল্লাহ তাআলার কাছে জান্নাত চেয়ে দোআ করছিল। এ অবস্থা দেখে দোকানের মালিকের হৃদয় নরম হয়ে গেল। দু’চোখ থেকে এমনভাবে অশ্রু গড়াতে শুরু করল যে, তার উভয় কান ও কাঁধ কাঁপতে লাগল। দোকানের মালিক সাথে সাথে দোকান বন্ধ করার নিদের্শ দিলেন, নিজের মাথার উপর কাপড় মুড়িয়ে তাড়াতাড়ি উঠে গেলেন, আর বলতে লাগলেন: আফসোস! আমরা আল্লাহ তাআলার প্রতি কতই যে ভয়হীন হয়ে গেছি। আমাদের মধ্য থেকে কেবল একজন লোক নিজের মন থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে জান্নাত চেয়ে নিচ্ছে। (এ তো অনেক সাহসিকতার আবেদন)। আমাদের মত গুনাহ্গারদের উচিত, আল্লাহ তাআলার কাছে (নিজেদের গুনাহের) ক্ষমা প্রার্থনা করা। সে দোকানের মালিক আল্লাহর ভয়ে অত্যন্ত ভীত ছিলেন। রাতে নামাযের জন্য যখন দাঁড়াতেন, তাঁর চোখ থেকে এমনভাবে অশ্রু বের হত যে, চাটাইয়ের উপর টপ টপ করে চোখের পানির ফোঁটা পড়ার শব্দ শোনা যেত, আর এত বেশী কান্না করতেন যে, আশেপাশের লোকজনের মনে তার প্রতি দয়া সৃষ্টি হত। [আল খায়রাতুল হিসান লিল হায়তামী হতে সংক্ষেপিত, ৫০, ৫৪ পৃষ্ঠা] 

বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

মেহমানদারীর ২০টি মাদানী ফুল

۞ছয়টি হাদীস শরীফ:

  • (১) “যে (ব্যক্তি) আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার উচিত মেহমানকে সম্মান করা।” (বুখারী, ৪র্থ খন্ড, ১০৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬০১৮) প্রখ্যাত মুফাস্সীর হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন: মেহমানের সম্মান হলো; তার সাথে উৎফুল্লভাবে সাক্ষাৎ করবে, তার জন্য খাবার এবং অন্যান্য খেদমতের ব্যবস্থা করবে, যথাসম্ভব নিজের হাতে তার সেবা করবে। (মিরআত, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫২ পৃষ্ঠা)

(২) “যখন কোন মেহমান কারো কাছে আসে তখন নিজের রিযিক (সাথে) নিয়ে আসে আর (যখন) তার কাছ থেকে চলে যায় তখন ঘরের মালিকের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার মাধ্যম হয়ে থাকে।” (কানযুল উম্মাল, ৯ম খন্ড, ১০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৫৮৩১)
(৩) “যে নামায কায়েম করলো, যাকাত আদায় করলো, হজ্ব সম্পাদন করলো, রমযানের রোযা রাখলো এবং মেহমানদারী করলো তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (আল মুজামুল কবীর, ১২তম খন্ড, ১০৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১২৬৯২)
(৪) “যে ব্যক্তি (সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও) মেহমানদারী করে না, তার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।” (মুসনদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৪২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭৪২৪)

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন