আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮

কিয়ামতের পরীক্ষা

মাদানী মুন্নার ভয়

অর্ধরাতে একটি ছোট্ট মাদানী মুন্না হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে বসে গেল এবং চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। তার পিতা গভীর রাতে কান্নার আওয়াজ শুনে ভয়ে জাগ্রত হয়ে গেলেন এবং বলতে লাগলেন: “হে আমার প্রিয় বৎস! কাঁদছ কেন?” মাদানী মুন্না কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিল: “আব্বাজান! আগামীকাল বৃহস্পতিবার। শিক্ষক আগামীকাল পূর্ণ সপ্তাহের পরীক্ষা নিবেন।আমি পড়ার প্রতি মনোযোগ দিই নাই। তাই আগামীকাল শিক্ষক আমাকে প্রহার করবে। একথা বলে বাচ্চা হাউমাউ করে আরো উচ্চ আওয়াজে কাঁদতে লাগল। এ ঘটনায় পিতার চোখে অশ্রু এসে গেল এবং সে নিজের নফস কে সম্বোধন করে বলতে লাগলেন: “এই বাচ্চাকে মাত্র এক সপ্তাহের হিসাব দিতে হবে এবং শিক্ষককে চাইলে কোন বাহানাও দেয়া যায়। তারপরও সে কাঁদছে এবং প্রহারের ভয়ে তার চোখে ঘুম আসছে না। আর আফসোস! হায় আফসোস! আমার উপরতো পূর্ণ জীবনের হিসাব ঐ একক পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলার নিকটেই দিতে হবে। যাকে কোন বাহানা দেয়া যাবে না। তদুপরি আমার কিয়ামতের পরীক্ষা সামনে রয়েছে। কিন্তু আমি অলসতার ঘুমে ঘুমিয়ে রয়েছি। অবশেষে আমার কোন ভয় আসছে না কেন? (দুররাতুন নাছেহীন, ২৯৫ পৃষ্ঠা)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ঘটনায় আমাদের জন্য শিক্ষণীয় অসংখ্য মাদানী ফুল রয়েছে। আমাদের চিন্তা করা উচিৎ যে, একটি মাদানী মুন্না তার ধ্যান এবং মাদানী চিন্তাধারা দেখুন! মাদানী মুন্না মাদ্রাসার হিসাবের ভয়ে কান্না করছে, আর তার পিতা কিয়ামতের হিসাব নিকাশের কঠোরতা স্মরণ করে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছেন।

করীম আপনে করম কা সদকা লাঈম বে কদর কো না শরমা
তো আওর গাদা ছে হিসাব লেনা গাদা ভী কোয়ী হিসাব মে হে।

আল্লাহর অলীর দাওয়াতের ঘটনা

কোন এক ধনবান ব্যক্তি একদা হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ কে দাওয়াত দিল এবং আমন্ত্রণে যাওয়ার জন্য খুব জোর করল। তিনি বললেন: তুমি যদি আমার এ তিনটি শর্ত মেনে নাও, তাহলে আসব। ১. আমার যেখানে ইচ্ছা বসব। ২. আমার যা ইচ্ছা খাব। ৩. আমি যা বলব, তোমাদের তা করতে হবে। ধনবান লোকটি এই তিনটি শর্ত মেনে নিল। আল্লাহর অলীর সাক্ষাতের জন্য অসংখ্য লোকজন জমা হল। নির্দিষ্ট সময়ে হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এসে পৌঁছলেন। লোকজন যেখানে তাদের জুতো রেখেছিল তিনি এসেই সেখানে বসে গেলেন। খাওয়া-দাওয়া যখন শুরু হল, হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ আপন থলের ভিতর থেকে একটি শুকনো রুটি বের করে তা খেয়ে নিলেন। খাওয়া- দাওয়া যখন শেষ হয়ে গেল, তিনি মেজবানকে উদ্দেশ্য করে বললেন: একটি চুলা নিয়ে আস আর তাতে একটি তাবা রাখ। যেই হুকুম সেই কাজ। আগুনের তাপে যখন তাবাটি কয়লার মত লাল হয়ে গেল, তিনি তখন সেই তাবাটির উপর খালি পায়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। আর বললেন: আজকের খাবারে আমি শুকনো রুটি খেয়েছি। এই কথা বলে তিনি তাবা থেকে নেমে গেলেন। এরপর উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বললেন: আপনারা প্রত্যেকেও এক এক করে এই তাবায় দাঁড়িয়ে আজকের দাওয়াতে যা যা খেয়েছেন তার হিসাব দিয়ে যান। এ কথা শুনে লোকদের মুখে চিৎকার শুরু হল। সকলে সমস্বরে বলল: হুজুর! এই ক্ষমতা তো আমাদের কারো নেই। (কোথায় গরম তাবা আর কোথায় আমাদের নরম পা। আমরা সবাই তো এমনিতেই গুনাহ্গার দুনিয়াদার লোক)।বললেন: যেক্ষেত্রে আপনারা দুনিয়ার এই গরম তাবায় দাঁড়িয়ে আজকের মাত্র এক বেলা খাবারের মত নেয়ামতের হিসাব দিতে অপারগ রয়ে গেলেন, সেক্ষেত্রে কাল কিয়ামতের দিন এত দীর্ঘ জীবনের সকল নেয়ামতের হিসাবগুলো কীভাবে দিবেন? অতঃপর তিনি সূরা তাকাসুরের শেষের আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন: 

ثُمَّ لَتُسْئَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيْمِ

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের সবাইকে নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে”। 

মর্মস্পর্শী এই বক্তব্য শুনে উপস্থিত সবাই অঝোর নয়নে কান্না আরম্ভ করে দিলেন এবং গুনাহ থেকে তাওবা করলেন। (তাজকিরাতুল আউলিয়া, ১ম খন্ড, ২২২ পৃষ্ঠা) আল্লাহ তাআলা রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।

সদকা পিয়ারে কি হায়া কা কেহ না লে মুজছে হিসাব
বখশ বে পুছে লাজায়ে কো লাজানা কিয়া হে। (হাদায়িকে বখশিশ শরীফ)

কিয়ামতের পাঁচটি প্রশ্ন

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা হয়ত হাসি বা কাঁদি। জাগ্রত হই বা অলসতার নিদ্রায় ঘুমাই। তবে কিয়ামতের পরীক্ষা সত্যই।“তিরমিযী শরীফে” এই পরীক্ষার ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, “মানুষ কিয়ামতের দিন ঐ সময় পর্যন্ত নিজ পা নাড়তে পারবে না, যতক্ষণ সে পাঁচটি প্রশ্নের জবাব দিবে না। যেমন- 
(১) তুমি জীবন কিভাবে কাটিয়েছ? 
(২) যৌবন কিভাবে অতিবাহিত করেছ? 
(৩) সম্পদ কোথথেকে উপার্জন করেছ? 
(৪) এবং কোথায় কোথায় খরচ করেছ? 
(৫) নিজ ইলম অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছ? (তিরমিযী, ৪র্থ খন্ড, ১৮৮ পৃষ্ঠা, হাদীস-২৪২৪)

পরীক্ষা মাথার উপরেই

আজ দুনিয়াতে যে শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কাছে এসে যায়, সে অনেক দিন আগে থেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে। তার উপর সর্বদা এক ধরনের ধ্যান সাওয়ার হয়ে যায়। “পরীক্ষা মাথার উপর” সে রাত জেগে এর জন্য প্রস্তুতি এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সমূহ আয়ত্ব করতে খুবই সাধনা করে যে, হয়ত এই প্রশ্ন আসবে হয়ত ঐ প্রশ্ন আসবে। আর এভাবে হয়তঃ প্রত্যেক সম্ভাবনাময়ী প্রশ্ন সমূহ আয়ত্ব করে নেয়। অথচ দুনিয়ার পরীক্ষা খুবই সহজ। তাতে হেরফের হতে পারে। ঘুষ চলতে পারে, আর তার উপকারীতাও মাত্র এতটুকু যে, সফলতা লাভকারীর এক বছরের উন্নতি লাভ হয়। অথচ ফেল হওয়া ব্যক্তিকে জেল খানায় পাঠানো হয় না। মাত্র এতটুকু ক্ষতি হয় যে, সে এক বছরের উন্নতি লাভ থেকে বঞ্চিত হয়। ভাবুন! সত্যিই এই দুনিয়াবী পরীক্ষার জন্য মানুষ কতই না সাধনা করছে। এভাবেই সে ঘুম দূরকারী ট্যাবলেট (ঔষধ) খেয়ে সারারাত জেগে জেগে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কিন্তু আফসোস! কিয়ামতের পরীক্ষার জন্য আজ মুসলমানদের চেষ্টা মোটেই না হওয়ার মতই। যার ফলাফলে সফলতা প্রাপ্তিতে জান্নাত মিলবে। যা অশেষ শান্তিময় স্থান। আর ফেল হওয়াতে জাহান্নামের চরম শাস্তির যোগ্য হতে হবে।

পেশতর মরনে ছে করনা চাহিয়ে,
মওত কা সামান আখির মওত হে।

মুসলমানদের সাথে ষড়যন্ত্র সমূহ্

আফসোস! আজ মুসলমানদের সাথে কঠিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ধীরে ধীরে ইসলামের মুহাব্বত অন্তর থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।মুহাব্বাত ও শানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাদের অন্তর থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। সুন্নাতে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে মিঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। যা কিছু আমাদের সমাজে হচ্ছে তাতে অবশ্যই চিন্তা করা চাই। আফসোস! বিবাহ এবং খুশী উদযাপনের মাহফিলে মুসলমানগণ রাস্তায় নাচানাচি (লাফালাফি) করতে দেখা যাচ্ছে। লজ্জা ও শরম এর পর্দা বিলুপ্ত করে দেয়া হয়েছে।

ওয়ালওয়ালা সুন্নাতে মাহবুব কা দেদে মালিক
আহ! ফ্যাশন পে মুসলমান মারা জাতা হে।

এক লক্ষ টাকার পুরস্কার

প্রকাশ্য যে, ইসলামের শত্রুদের ক্ষমতার এই ষড়যন্ত্র সমূহ এখনই নয় বরং যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। প্রথমে মুসলমানদেরকে তাজেদারে মদীনা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাত থেকে সরিয়ে দাও তাদেরকে বিলাসীতাপূর্ণ জীবন-যাপনের অভ্যস্ত করে দাও। অতঃপর যেভাবে চাও তাদেরকে অপদার্থ বানাও। তখনই তাদের উপর নেতৃত্ব দাও। আমার মনে হয় যে, আজকাল শতকরা মাত্র ৫% মুসলমানই নামাযী পাওয়া খুবই কঠিন হবে, অর্থাৎ ৯৫% মুসলমান হয়ত নামাযই পড়ে না, আর যারা নামায পড়ে তাতেও হয়তঃ হাজারের মধ্যে নগন্য কয়েক জন মুসলমান এমন রয়েছে যারা যাহেরী ও বাতেনী আদব সমূহের সাথে নামায পড়তে পারে। এই মুহুর্তে বিরাট সমাবেশ বিদ্যমান। তাতে একজন থেকে অন্যজন শিক্ষিত হবে তাতে কেউ মাষ্টার থাকবে। কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার কেউ অফিসারও থাকতে পারে। উলামায়ে কিরাম ছাড়া লাখো সাধারণ মুসলমানের মজলিশে যদি এক লক্ষ টাকা দেখিয়ে এই প্রশ্ন করা হয়।বলুন! নামাযের রুকনসমূহ্ কয়টি? সঠিক উত্তরদাতাকে একলক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। হয়তঃ আপনার লক্ষ টাকা রক্ষিত থাকবে। কেননা একারণেই যে, দুনিয়াবী বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেছে কিন্তু নামাযের রুকন সমূহ্ শিক্ষার প্রতি কোন আগ্রহই তাদের ছিল না। আজকাল নামায পড়ুয়া ব্যক্তিকেও হয়তঃ একথা জিজ্ঞাসা করা হয় যে, নামাযের রুকন সমূহ্ কয়টি? সিজদা কয়টি হাড্ডির উপর করতে হয়? অথবা অজুতে ফরজ কয়টি? হয়তঃ উত্তর পাওয়া যাবে না।

কাম দ্বী ছে রাখ না রাখ দুনিয়া ছে কাম, ফির না ছর গর্দান আখির মওত হে ॥
দৌলতে দুনিয়া কো নফা ছমজা হে, দ্বী কা হে নুকছান আখির মওত হে ॥

صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد

পিতার জানাযা

পিতার জানাযা (লাশ) সামনে রাখা হয়েছে। কিন্তু মডার্ণ ছেলে তার সামনে মুখ দেখিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে রইল। বেচারা জানাযার নামায পড়তে জানে না। কেন? একারনেই যে, সে দূর্ভাগা পিতা নিজপুত্রকে শুধু দুনিয়াবী শিক্ষায় শিক্ষিত করেছে। শুধু সম্পদ উপার্জনের কৌশলই শিক্ষা দিয়েছে। তার জন্য শত কোটি আফসোস! জানাযা নামাযের পদ্ধতি শিক্ষা দেওয়া হয়নি। যদি পিতা জানাযার নামায শিক্ষা দিত, কুরআনে পাকের শিক্ষা দিত। সুন্নাত সমূহের উপর আমল করার অভ্যাস করাতো। তবে পিতার মৃত্যুর পর পুত্র দূরে কেনই বা দাঁড়িয়ে রইল? সে তো আগে এসে নিজেই জানাযার নামায পড়াত? এবং বেশি বেশি ইছালে সাওয়াবও করতো। আফসোস! ওদেরতো ইছালে সাওয়াব করাতেও জানে না। হায়! হায়! মৃত পিতার দুর্ভাগ্য।

ঘরের বাহিরে ইছালে সাওয়াব চলছে কিন্তু ভিতরে.....?

একজন ইসলামী ভাই আমাকে মারকাযুল আউলিয়া লাহোর এর এই ঘটনা শুনিয়েছে যে; আমার একজন আত্মীয় সম্পদ উপার্জনে পাকিস্তান ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমালেন। সম্পদ উপার্জন করতে করতে সে রঙ্গিন টিভি ও ভিসিআর ঘরে পাঠাল। অতঃপর সে যখন বাড়ীতে আসল ইনতিকাল হয়ে গেল। ইসলামী ভাইয়ের বক্তব্য যে, আমার বড় ভাই আত্মীয়তার সুত্রে মৃত ব্যক্তির দশম দিবসে মারকাযুল আউলিয়া লাহোর গেলেন। যখন ঘরের কাছে পৌঁছলেন, দেখলেন ঘরের বাইরে কুরআনে পাক পাঠ করা হচ্ছে এবং ফাতিহার জন্য নিয়াজ পাকানো হচ্ছে। আর যখন তার ঘরের ভিতরে গেলেন তবে এটা দেখে সে আশ্চর্য হয়ে গেলেন যে, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এবং সন্তানেরা ভিসিআর এ ফিল্ম দেখাতে ব্যস্ত। ঘরের বাইরে ইছালে সাওয়াব আর অভাগা মৃতব্যক্তির সংগৃহীত ভিসিআর مَعَاذَ الله عَزَّوَجَل ঘরের ভিতরে গুনাহ কর্ম সম্পাদিত হচ্ছে।

দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে

হে নিজ সন্তানদেরকে মুহাব্বতকারী লোকেরা! যদি আপনি আপনার সন্তানদেরকে সিনেমা-নাটক দেখার জন্য টিভি ও ভিসিআর এর ব্যবস্থা করে দেন। হয়তঃ সে আপনার জানাযার নামায পড়তে পারবে না বরং এমনকি আপনার কবরের পাশে গিয়ে সহীহ্ (শুদ্ধ) ভাবে ফাতিহাও পড়তে পারবে না। যার দৃষ্টির সামনে কিয়ামতের কঠিন পরীক্ষা থাকে। তার অন্তর কাঁদে। আমাদের অন্তরে ইসলামের সামান্য মুহাব্বত ও যা বিদ্যমান ছিল তাও বের করে দেয়া হচ্ছে। দেখুন স্পেন! যা এককালে ইসলামের মূলকেন্দ্র ছিল।আজ সেখানে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি এমন রাষ্ট্রও রয়েছে যেখানে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত তো দূরের কথা, ঘরেও রাখার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আছে। ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে যে, এই মুসলমানদের অন্তর থেকে দ্বীনের মুহাব্বত বের করে নাও। নিশ্চয় ঐ লোকেরা নিজেই নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করে। কিন্তু তাদেরকে ভিতর থেকে পূর্ণ খালি করে দাও।

কছরতে আওলাদ ছারওয়াত পর গুরুর
কিউ হে আয় জী-শান আখির মওত হে।

মুসলমানকে মুসলমান হিসেবে কখন রাখা হয়েছে?

একদা একজন পাকিস্তানী আলিমের সাথে কোন অমুসলিম মাজহাবী পথপ্রদশর্কের সাথে আলোচনা হল। তা নিজস্ব ভঙ্গিতে আরয করছি: আলোচনার মাঝে অমুসলিম পদপ্রদর্শক ব্যক্তিটি বলল যে, পাকিস্তানে আমাদের মাজহাবের প্রচারের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়। ঐ আলিম সাহিব জিজ্ঞাসা করলেন: তোমরা এ পর্যন্ত শতকরা কয়জন ব্যক্তিকে মাজহাব পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছ? সে বলল: খুবই নগন্য সংখ্যককে। ঐ আলিম সাহিব ভূমিকা হিসেবেই বললেন: তার মানে এই যে তোমাদের আন্দোলন আমাদের দেশে সফল নয়। একথা শুনে সে হেসেই বললেন: মৌলভী সাহিব! একথা সত্য যে, আমরা মুসলমানদেরকে আমাদের মাযহাবী বানাতে সফল হয়নি, কিন্তু এটিও দেখুন যে, আমরা মুসলমানদেরকে বাস্তব আমলকারী কোথায় হতে দিয়েছি। আপনি কি ক্লিন শেভ, প্যান্ট-শার্টে সজ্জিত মুসলমান এবং অমুসলিম ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন?আপনার একজন আধুনিক মুসলমানও একজন অমুসলিম ব্যক্তিকে যদি পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়, আপনি কি পার্থক্য করতে পারবেন? যে তাতে মুসলমান কোনটি? তার এ কথায় আলিম সাহিব নিরুত্তর হয়ে গেলেন।

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ইহা বাস্তবতা যে, আল্লাহর পানাহ! আমাদের চালচলণ এবং পোষাক-পরিচ্ছেদ থেকে এখন মুসলমানদের প্রকাশ্য নিদর্শন সমূহ প্রায় বিদায় নিয়ে গেছে। সুন্নাত থেকে অনেক দূরেই সরে পড়েছে। যাদের চেহারা নবীয়ে পাক, সাহিবে লাওলাক, সাইয়াহে আফলাক صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাত মোতাবেক হবে, হয়তঃ এমন মুসলমান বর্তমানে শতকরা একজনও নেই।

শয়তানের ষড়যন্ত্র

আহ্! আফসোস! প্রায় ৯৯% মুসলমান আজকে অমুসলিমদের মতই চেহারা এবং পোষাক পরিহিত থাকে। কারো নিকট আমার কথা অপছন্দনীয় হতে পারে, আর একারণে হয়তঃ সে আমার উপর রাগান্বিতও হয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন! এটাও একটি শয়তানী ষড়যন্ত্র যে মুসলমানদেরকে যখন দ্বীনি (ধর্মীয়) কোন কথা বলা হবে, তখন সে রাগান্বিত হয়ে যাবে। আর সে মজলিস থেকে উঠে চলে যায়। যেন তার স্মৃতিতে কোন ভাল কথা প্রতিস্থাপিত হতে না পারে। তখন হয়তঃ শয়তান আমার কথার উপর খুবই হাসছে। যদিও লাখো মুসলমান দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশে এসে গেছে তা দ্বারা কি হবে? অথচ দুনিয়াতে কোটি কোটি মুসলমান এমনই রয়েছে যে, তারা দাঁড়ি মু-ন্ডিয়ে অথবা এক মুষ্টি থেকে ছোট করে চেহারা ইসলামের শত্রুদের মতই করে নিয়েছে এবং পোষাক পরিচ্ছেদ গ্রহণ করেছে।আজকাল শয়তান অসংখ্য মুসলমানদের আমলহীন তার কারণে মুবাল্লিগানে দা’ওয়াতে ইসলামীদেরকে বলতে পারে যে তুমি যত জোর লাগাতে চাও লাগাও। কিন্তু মানুষ এখন তোমার কথায় আসার মত নয়। আমি তাদের চালচলন আচার অভ্যাস একদম পরিবর্তন করেই রেখে দিয়েছি। তাদের চেহারা এবং পোষাক তোমারই মাহবুব صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাত মোতাবেক নয়। বরং তারা আমারই অনুগামী এবং জাহান্নামে আমার সাথে থাকা ব্যক্তির মত। তাদের মতই হয়ে গেছেন। আমি তাদের কে নিজ নফসের পছন্দনীয় কাজে ব্যস্তই রেখে দিব।

সারওয়ারে দ্বী লিজে আপনে নাতোয়ানো কি খবর,
নফসো শয়তান সায়্যিদা কব তক দাবাতে জায়েঙ্গে।

গুনাহের অস্ত্র সমূহ

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রথমেই দেখুন রেডিও পাকিস্তানেরই উপর। আপনার মর্জি মতে বিভিন্ন বিষয়ে রেডিওতে গান শুনানো হতো। কিন্তু প্রত্যেকে তার পছন্দ মোতাবেক এর পরও গান শুনতে পারত না। অতঃপর টেপ রেকর্ডারের ধারাবাহিকতা শুরু হয়, আর প্রত্যেকেই আপন মর্জি মোতাবেক গান শুনতে শুরু করে। হয়তঃ কেউ বলতে পারে আমি টেপ রেকর্ডার দিয়ে বয়ান এবং নাত ইত্যাদি শুনে থাকি। আপনি যথার্থই বলেছেন। কিন্তু আমি অধিকাংশের কথাই বলছি। অবশ্য এখন হাজারে বরং লাখে কোন একজন এমন মুসলমান হতেই পারে। যিনি শুধু তিলাওয়াত, নাত সমূহ্ এবং বয়ান শুনার জন্য টেপ রেকর্ডার কিনেন। অধিকাংশ লোক গান শুনার জন্যই টেপ রেকর্ডার ক্রয় করেন।বরং অনেকবার সুন্নাতের প্রতি ভালবাসা পোষণকারী ইসলামী ভাইয়েরা আমাকে দুঃখ করে বর্ণনা করেছিলেন যে, যখন আমরা কখনো আপনার বয়ান অথবা নাত শরীফ এর ক্যাসেট চালু করি তখন ঘরের অধিবাসীরা আমাদের সাথে প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু করে দেয় এবং বাধ্য করে ফিল্মী গানের ক্যাসেট সমূহ চালু করে দেয়। আমাদেরকে লাঞ্চিত করে। সগে মদীনা عُفِىَ عَنْهُ কেও ভালমন্দ বলে থাকে। আহ! ইয়া রাসুলাল্লাহ্ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم !

টুকরায়ে কোয়ী দুরকারে কোয়ী, দিওয়ানা সমজকর মারে কোয়ী,
সুলতানে মদীনা লিজে খবর হো আপ কে খিদমতগারো মে।

টি.ভি কখন আবিস্কার হল?

মানুষদের অধিক বিলাসিতায় নিমজ্জিত করনের লক্ষ্যে একজন শয়তান ১৯২৫ইং তে টি.ভি চালু করে দেয় প্রথমে তা তাদের কাছেই সীমিত ছিল। এরপর মুসলমানদের কাছেও এসে গেল। প্রথমে বড় শহর সমূহের বিশেষ বিশেষ পার্কেই তা লাগানো হত এবং তথায় মানুষের ভীড় জমে যেত। অতঃপর ধীরে ধীরে ঘরে ঘরে আসা শুরু করল এবং প্রচার চালু করে দিল। কিন্তু তখনও তা সাদা-কালো রংয়ের ছিল। অতঃপর অতিরিক্ত বিলাসীতাও প্রমোদের জন্য এখন রঙ্গিন টি.ভি আবিস্কার করিয়ে দিল, আর কিছুদিন পর পাকিস্তানে ভি.সি.আর নামক খুবই ধ্বংসাত্মক বিপদ আগমণ করল এবং লোকেরা চুপি চুপি ১০ টাকার টিকিটে ফিল্মসমূহ্ দেখতে লাগল। আর ঐ সময় পত্রিকায় প্রকাশিত হল, করাচীর জন্য ভি.সি.আর এর এত এত লাইসেন্স চালু করা হয়েছে। এখন যে পাপ লোকেরা ঘুষ দিয়ে চুপিচুপি করছে ঐ গুনাহকে مَعَاذَ الله عَزَّوَجَل “সরকারী নিরাপত্তায় বৈধতা অর্জিত হয়েছে।আর বিভিন্ন ধরণের গুনাহে ভরা নোংরা সিনেমার ভয়াবহতা নিয়ে ভি.সি.আর ঘরে ঘরে এসে গেল। স্মরণ রাখুন! যদি রাষ্ট্রীয় আইনে কোন গুনাহকে বৈধ করে দেয় তখন ঐ গুনাহ কখনো বৈধ হয়ে যায় না।

কব গুনাহো ছে কানারাহ মে করোঙ্গা ইয়া রব!
নেক কব এ মেরে আল্লাহ! বনোঙ্গা ইয়া রব!

জাহান্নামে নিক্ষেপের ধমক

একবার কোন একজন যুবক সগে মদীনা عُفِىَ عَنْهُ কে বললেন: “আমি বাবুল মদীনা করাচী এলাকার রনছুট লাইনে আপনার সুন্নাতের ভরা বয়ান শুনে আমার মুখে দাঁড়ি মোবারকের সুন্নাত সাজিয়ে নিলাম। আমার মা আমাকে দাঁড়ি রাখাতে নিষেধ করে থাকে এবং ধমক দিতে লাগলেন যে, তুমি যদি দাঁড়ি না কাট আমি বিষ খেয়ে মরে যাব। আর তিনি কোন কাফিরের সন্তান নয়, মুসলমানেরই সন্তান ছিল। মুসলমান দাবীকৃত তার মা তাকে সুন্নাত থেকে বাধা প্রদান করে নিজের আত্মহত্যার হুমকি দিত। যেন বলত: “হে বৎস! দাঁড়ি মু-ন্ডিয়ে ফেল না হয় নিজেকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আফসোস! মুসলমান নাম ধারী আজ সুন্নাত থেকে অনেক দূরে। আল আমান ওয়াল হাফিজ। (মহান আল্লাহই নিরাপত্তা বিধানকারী ও সংরক্ষক)

ওহ দাওর আয়া কেহ দিওয়ানায়ে নবী কেলিয়ে,
হার এক হাত মে পাত্থর দেখায়ী দেতা হে।

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মনে রাখবেন! দাঁড়ি মু-ন্ডানো বা এক মুষ্ঠি থেকে ছোট করা উভয়টি গুনাহ, হারাম এবং জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মত কাজ। আর মা বাবা যদি কোন গুনাহের হুকুম দেয়, তবে ঐ আদেশ মান্য করা যাবে না। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে “لَا طَاعَةَ فِىْ مَعصِيَةِ اللهِ اِنَّمَا الطَّاعَةُ فِىْ المَعْرُوْفِ অর্থাৎ- আল্লাহ্ তা’আলার নাফরমানীতে কারো আনুগত্য বৈধ নয়। আনুগত্য শুধুমাত্র ভাল কাজেরই হয়ে থাকে।” (মুসলিম, ১০২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৮৪০) 

এমনকি যে মা-বাবা নিজের/ আপন সন্তানকে দাঁড়ি রাখা থেকে বাধা প্রদান করে তাদের এই কাজ থেকে বিরত থাক উচিত। দাঁড়ি লম্বা করা/ বাড়ানো/ এক মুষ্ঠি করা সুন্নাতে রাসুল এবং এক মহান ভাল কাজ। নেক কাজ এবং কল্যাণ থেকে বাধা প্রদান করা মুসলমানদের নয় অমুসলিমদের অভ্যাস। এমনকি অনেক বড় নবী বিদ্বেষী ওয়ালীদ বিন মুগীরার যে দশটি দোষ কুরআনুল করীমে আলোচনা করা হয়েছে, তাতে একটি দোষ এটিও যে: 

مَنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ”সৎ কাজে বড় বাধা প্রদানকারী।” (পারা- ২৯, সূরা- ক্বলম, আয়াত- ১২)

অজ্ঞ প্রফেসর

কেউ কেউ বলে যে, টি.ভি চ্যানেল সমূহে ভাল ভাল কথাও রয়েছে। ভাল কথা রয়েছে ঠিকই কিন্তু আমাকে বলতে দিন যে, এই টি.ভির গুনাহে ভরা এবং দায়িত্বহীন চ্যানেল সমূহ মূলতঃ ভয়ানক দুষ্ট আচরনের তুফান দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ইসলামী সমাজকে সমূলে বিনাস করে দিয়েছে। বলা হয়: একদা টি.ভিতে কোন চ্যানেলে এক প্রফেসর এসে ছিল, প্রশ্ন ও উত্তর চলছিল। ইতিমধ্যেই দাঁড়ি প্রসঙ্গে একটি প্রশ্ন আসল। উত্তরে সে বলল: দাঁড়ি রাখাও ঠিক আর না রাখা তাও ঠিক। দাঁড়ি না রাখা কোন গুনাহের কাজ নয়। এখনতো অনেক পিতামাতা নিজ যুবক পুত্রদের আরো পরিবর্তনে নিমজ্জিত করে দিল এবং তাদেরকে এলোমেলো বকাবকি শুরু করে দিল।বলছে যে, তোমরা দা’ওয়াতে ইসলামী ওয়ালারা নিজেদের উপর অনেক বোঝা চাপিয়ে নিয়েছো। অত বড় প্রফেসর টি.ভিতে আসল আর সে বলল; দাঁড়ি না রাখাতে কোন গুনাহ নেই। আর তোমরা বলছ গুনাহ। দ্বীনের ব্যাপারে ইসলামী জ্ঞান থেকে অন্ধ ঐ মূর্খ প্রফেসারের এই শরীয়াত বিরোধী ফতোওয়া বরং আমলহীন ব্যক্তিদের নফসকে উদ্বুদ্ধকারী জবাবে জানা নেই যে কত মুসলমানের মন মানসিকতাকে নষ্ট করেছে। কিন্তু ইশকে রাসূল দ্বারা ভরপুর অন্তর থেকেই এই শব্দ সদা শুনা যায়।

মুজে পিয়ারা ওহ লাগতা হে, মুজে মিঠা ওহ লাগতা হে,
ইমামাহ সরপে আওর ছেহরে পে জু দাঁড়ি সাজাতা হে।

নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! কিভাবে চালাকী করে ইসলামের মূল ভিত্তি সমূহকে উৎখাত করে দেয়া হচ্ছে। আমি কি কিছুই করতে পারি না? কেন পারব না? প্রথমে অন্তর কাঁদাতে পারি আর মনকে জানিয়ে দিতে পারি, ফলে এভাবে সাওয়াবতো অর্জন করতে পারি। اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে আমাদের এই যুদ্ধ জারী থাকবে।

সুন্নাতে আম করে দ্বীন কা হাম কাম করে ,
নেক হো জায়ে মুসলমান মদীনে ওয়ালে।

দাঁড়ি মু-ন্ডানো হারাম

আমার আক্বা আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মাওলানা শাহ্ ইমাম আহমদ রযা খান رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ নিজের রিসালা “লুমআতুদ দোহা ফি ইফায়িল লুহা”এর মধ্যে আয়াতে করীমা,হাদীসে মোবারকা এবং বুযুর্গানে দ্বীন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِمْ এর বাণী সমূহের আলোকে দাঁড়ি বাড়ানো ওয়াজিব আর মু-ন্ডানো এবং কেটে এক মুষ্ঠি থেকে ছোট করা হারাম সাব্যস্ত করেছেন। দাঁড়ি রাখার গুরুত্বের উপর মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত রিসালা “কালো বিচ্ছু” অবশ্যই অধ্যয়ন করুন। আর যদি আল্লাহ্ না করুন আপনি দাঁড়ি রাখেননি তবেاِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ তাওবা করে মাদানী চেহারাওয়ালা হয়ে যাবেন।

মৃত্যু যন্ত্রণার হৃদয় কাপানো কল্পনা

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কখনো একা বসে চিন্তা করুন যে, এক সময় মৃত্যু যন্ত্রণাও আসবে, রূহ শরীর থেকে বের হতে থাকবে, মৃত্যুর যন্ত্রণার উপর যন্ত্রণা আসতে থাকবে এবং যন্ত্রণাও এমন যে হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে: মৃত্যু যন্ত্রণা তরবারীর হাজার আঘাত থেকে গুরুতর। (মালফুযাতে আ’লা হযরত, ৪৯৭ পৃষ্ঠা। হিলয়াতুল আউলিয়া, ৮ম খন্ড, ২১৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১১৯৩৪) হায়! আফসোস! আমার কি অবস্থা হবে। আমি তো দুনিয়ারী রং-তামাশার মধ্যে মত্ত রয়েছি আমি উন্নত থেকে উন্নতর স্বাদময় খাবার সমূহ এবং দুনিয়াবী নেয়ামত সমূহের বিলাসী অথচ রেওয়ায়াতে বর্ণিত আছে: নিশ্চয় মৃত্যু যন্ত্রণার কঠিনতা দুনিয়াবী স্বাদ অনুযায়ী হবে। তাই যে দুনিয়াবী স্বাদ সমূহ ভোগ করেছে তার মৃত্যু যন্ত্রণাও বেশি হবে। (মিনহাজুল আবেদীন, ৮৬ পৃষ্ঠা) অতঃপর ঐ সময়ও এসে যাবে যে, আমার নামের ধুম পড়ে যাবে যে, অমুকের ইন্তিকাল হয়ে গেছে। হয়তো আপনার জীবনে এমনও একটি সময় আসবে যে, আপনার নামের সাড়া পড়ে যাবে। যে অমুক ব্যক্তি ইনতিকাল হয়ে গেছে। দ্রুত গোসলদাতাকে নিয়ে এস। হয়তঃ এখনই গোসলদাতা ব্যক্তি তখতা নিয়ে চলে আসছে। তখন আপনার উপর চাদর আবৃত করা হবে।আপনার মাথা থেকে সম্পূর্ণ মুখাবয়ব বন্ধ করে দেয়া হবে। পায়ের উভয় গিরা বন্ধ করে দেয়া হবে। গোসলদাতাও আপনাকে গোসল দিয়ে দিবে, কাফন পরিধান করাবে। আর আপনার সন্তানেরা আপনাকে গোসল দিতে পারবে না। কাফনও পরিধান করাতে পারবে না। কেননা, যখন বাচ্চার বুদ্ধি হয়েছে, তখন আমি তাকে স্কুলের দরজা দেখিয়েছি। যখন বড় হয়েছে তখনই কলেজেই তাদেরকে ভর্তি করিয়ে দিয়েছি। অতঃপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য আমেরিকা প্রেরণ করেছিলাম। দুনিয়াবী পরীক্ষা সমূহের তৈরীর জন্য খুবই আগ্রহ জাগিয়েছি। কিন্তু (ইসলামী শিক্ষায়) শিক্ষিত করিনি। মৃত ব্যক্তির গোসল সে কিভাবে দিতে হবে তার কাছেতো জীবিত ব্যক্তি হিসেবে গোসল করার সুন্নাত সমূহও জানা নেই। হ্যাঁ! হ্যাঁ! অবশ্যই পিতার শেষ খেদমত এই যে, তার ছেলে তাকে গোসল করিয়ে দিবে। কাফন পরিধান করাবে। জানাযার নামাযও পড়াবে এবং নিজ হাতে তাকে দাফন করবে। প্রকাশ্য যে, যদি পুত্র গোসল দেয় তবে তখনই নম্রতাসহ কেঁদে কেঁদে সুন্নাত মোতাবেক তাকে গোসল দিবে। আর যখন ভাড়াকৃত গোসলদাতা আনা হবে। তখন সে যত্রতত্র পানি ভাসিয়ে কাফন পরিহিত করে পকেটে টাকা-পয়সা আসা পর্যন্ত সে মাথা থেকে পা পর্যন্ত গোসল করিয়ে চলে যাবে।

মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করার শাস্তি

এখন জানাযার লাশ উঠানো হবে। ঘরের মহিলারা চিৎকার করবে আর আমি তাদেরকে এ কাজ থেকে জীবদ্দশায় নিষেধও করিনি যে, চিৎকার করে কাঁদিওনা। কেননা মৃত ব্যক্তির উপর বিলাপ করা হারাম এবং জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মত কাজ। হাদীসে পাকে এসেছে যে: ‘মৃত্যুর সময় বিলাপকারীরা যদি নিজের মৃত্যুর পূর্বে তাওবা না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে এ নিয়মেই দাঁড় করানো হবে যে, একটি ডুমুরের অপরটি খাজলি এর (এক প্রকার বৃক্ষ) জামা থাকবে।’ (সহীহ মুসলিম, ৪৬৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯৩৪)

জানাযাকে কাঁধে নেওয়ার পদ্ধতি

যাই হোক জানাযার লাশ কাঁধে নিয়ে লোকেরা কবরস্থানের পথে চলা শুরু করবে। সন্তান হয়তঃ সে সঠিক নিয়মে লাশকে বহনও করতে জানবে না। কেননা আমি তাকে সে ব্যাপারে কখনো শিক্ষা দিইনি! এ বেচারার তো জানা নেই যে, সুন্নাত মোতাবেক লাশ বহন করার পদ্ধতি কি? আর জানাযার লাশকে বহন করার পদ্ধতি শুনুন। দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত কিতাব “বাহারে শরীয়াত”এর ১ম খন্ডের ৮২২ পৃষ্ঠাতে বর্ণিত আছে: সুন্নাত পদ্ধতি হল; একের পর এক চারটি পায়াকে কাঁধে নেয়া, আর প্রত্যেকবার দশ কদম করে চলা। আর পূর্ণ সুন্নাত হচ্ছে প্রথমে মাথার দিকের ডান পাশ কাঁধে নিবে এরপর ডান পায়ের দিকের ডান পাশ, অতঃপর মাথার দিকের বাম পাশ এবং সবশেষে পায়ের দিকের বাম পাশ কাঁধে বহণ করবে। আর দশ কদম করে চলবে তবে মোট চল্লিশ কদম হবে।

জানাযাকে কাঁধে নেওয়ার ফযীলত

হাদীসে পাকে এসেছে যে; “যে (ব্যক্তি) জানাযাকে কাঁধে নিয়ে চল্লিশ কদম চলবে, তার চল্লিশটি কবীরা গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (আল মুজামুল আওসাত, ৪র্থ খন্ড, ২৬০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৫৯২০) অন্য এক হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে: “যে ব্যক্তি জানাযার চারটি পায়াকে কাঁধে নিবে,আল্লাহ তা’আলা তাকে (স্থায়ী) ক্ষমা করে দিবেন।” (আল জাওহারাতুন নিয়্যিরা, ১ম খন্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা) অবশেষে আমার আত্মীয় স্বজনরা নিজেদের হাতে আমাকে ছোট ও অন্ধকার কবরে রেখে উপরে মাটি দিয়ে একাকী রেখে চলে যাবে। আফসোস!

কবর মে মুজকো লেটা কর আওর মিটি কর,
চল দিয়ে সাথী না পছ আব কুয়ী রিশতেদার হে।
খাওয়াব মে ভি এয়ছা আন্ধেরা কভি দেখা না থাহ্,
জেয়ছা আন্ধেরা হামারী কবর মে ছরকার হে।
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আ-কর কবর রওশন কিজিয়ে,
যাত বে শক আপ কি তো মান্বায়ে আওয়ার হে।
(ওয়াসায়িলে বখশিশ শরীফ)

কবরের আলোর অনুভূতি রইল না

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দুনিয়াতে বসবাসের জন্য ঘর সমূহ্ অনেক বড় করে তৈরী করা হয়। কিন্তু আফসোস! কবর সুন্নাত মোতাবেক তৈরী করা হয় না। মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত রিসালা “মাদানী ওসিয়তনামা” নামাক রিসালা অবশ্যই অধ্যয়ন করুন। এই রিসালার শেষের দিকে মৃত ব্যক্তির গোসল এবং কাফন দাফনের জরুরী আহকাম ও বর্ণিত আছে। ঘর সমূহের প্রশস্থতা করার ধ্যান ধারণাতো আমাদের ভিতরে প্রচুর। কিন্তু কবর প্রশস্ত করার কোন চিন্তা ভাবনা নেই। দুনিয়া উন্নত ও উজ্জল করার খেয়াল আমাদের প্রত্যেকের আছে। কিন্তু কবর আলোকিত করার প্রতি কারো খেয়াল নেই। অথচ চিন্তা করলে, কবরও ভবিষ্যৎ জীবনের অন্তর্ভূক্ত। ঘরে আলোর সকল ব্যবস্থা আপনি রেখেছেন। কিন্তু কবরকে আলোকিত করার কোন চিন্তা ভাবনা আমাদের নেই। সম্পদ বৃদ্ধি করার আাকাংখা প্রত্যেকের আছে। কিন্তু সাওয়াব বৃদ্ধি করার খেয়াল কারো মধ্যে দেখা যায় না। জীবনের নিরাপত্তার জন্য ধ্যান ধারণা চরম চিন্তা ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ঈমান হিফাযতের অনুভূতি অনেক কম হয়ে গেছে।

মাল সালামত হার কোয়ী মাঙ্গে 
দ্বীন সালামত কোয়ী হো।

আরোগ্যতা ক্রয় করা যায় না

মনে রাখবেন! সম্পদ দ্বারা ঔষধতো পাবেন, কিন্তু রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায় না। যদি সম্পদ দ্বারা রোগ থেকে শিফা পাওয়া যেত তাহলে বড় বড় ধনীর পুত্রগণ হাসপাতাল সমূহে রোগে ধুকে ধুকে মারা যেত না। সম্পদ বিপদ সমূহ এবং চিন্তা মুক্তির চিকিৎসা নয়। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, হালাল পদ্ধতিতে ধনসম্পদ উপার্জন করা এবং তা জমা করা শরয়ীভাবে বৈধ, যখন সে ওয়াজিব হক সমূহ আদায় করতে থাকে। তবে সম্পদের আধিক্যের লোভ ভাল জিনিস নয়। এটির অনেক খারাপ প্রভাব রয়েছে। সম্পদের আধিক্য সাধারণত গুনাহের দিকে দ্রুতগতিতে নিয়ে যায়। বরং সত্য যে, সম্পদের আধিক্যতা, বিপদ সমূহরই ঘাটি। আর ডাকাতি সমূহ্ও সম্পদশালীদের দালানেই হয়ে থাকে। সাধারণত সম্পদশালীদের সন্তানেরা গুম হয়ে থাকে। ডাকাতরা ভয়ানক পত্র প্রেরণ করতঃ সম্পদশালীদের নিকট থেকে প্রচুর টাকা আদায় করে থাকে। সম্পদের আধিক্যতায় আন্তরিক শান্তি কোথায় বরং উল্টা শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ হয়ে থাকে। আশ্চর্যের কথা যে, তার পরেও লোকেরা সম্পদের তালাশে অলিগলিতে ঘুরতে থাকে এবং হালাল-হারামের পার্থক্য করে না।

জুসতোজো মে কিউ ফিরে মাল কি মারে মারে
হাম তো ছরকার কে টুকড়ো পে পালা করতে হে।

ধনাঢ্যতা এবং অসুস্থতা

বড় বড় সম্পদশালী ব্যক্তিদেরকে আপনি দেখুন! তারা নানা রকম দুর্দশায় আক্রান্ত রয়েছে। কেউ কেউ সন্তানের আহাজারী করছে, আর কারো মা অসুস্থ। আর কারো পিতা অসুস্থ। আর কেউ নিজে কষ্টদায়ক রোগে আক্রান্ত রয়েছে। অনেক ধনী ব্যক্তি আপনি পাবেন যারা হার্টের রোগী আর অনেকে সুগারের রোগী। যারা কখনো মিষ্টি দ্রব্যাদি খেতে পারে না। নানা রকম খাদ্যের দ্রব্যাদি সামনে বিদ্যমান রয়েছে, কিন্তু কোটিপতি সাহেব তার স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন না। অবশেষে বেচারা সম্পদ ও ধনের কল্পনায় নিজ অন্তরকে শান্তনা দিয়েছে তারপরেও সম্পদের নেশা খুবই আশ্চর্যজনক। যা দূর হওয়ার নামও নেয় না। নিশ্চিত জেনে রাখুন: হালাল হারাম পার্থক্য না করে, ধন উপার্জন করতে থাকা মূর্খদেরই অভ্যাস। এতটুকু চিন্তা করে না যে, অবশেষে এত সম্পদ কোথায় রাখব? অমুক অমুক সম্পদ শালীরা ও তো শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ঘাটে পর্দাপন করেছে। তাদের সম্পদ তাদের কি কাজে আসল? পক্ষান্তরে ওয়ারিশরাই সেই সম্পদ বন্টনে যুদ্ধ করল, শত্রু হয়ে গেল, শেষে কোটে ফেসে গেল এবং পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে গেল, আর বংশের সম্মান নষ্ট হয়ে গেল।

দৌলতে দুনিয়া কে পিছে তো না জা, আখিরাত মে মাল কা হে কাম কিয়া।

মালে দুনইয়া দো-জাহা মে হে ওবাল, কাম আয়েগা না পেশে যুলজালাল।

কবরের প্রশ্ন ও উত্তর

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কখনো কখনো এভাবে চিন্তা করুন যে, আমার লাশটি কয়েক মন মাটির নিচে দাফন করে বন্ধুবান্ধব সকলেই চলে যাবে। এই সুবাসিত বাগান। ফলে ফুলে ভরা ক্ষেতটি, নতুন মডেলের চাকচিক্যময় গাড়িগুলো, চমৎকার দালান ইত্যাদি কিছুই তখন আমার কাজে আসবে না। দুই ভয়ানক আকৃতি বিশিষ্ট ফিরিশতা মুনকার নাকীর কবরের দেয়ালগুলি ভেদ করে আমার নিকট হাজির হবে। তাদের মাথায় লম্বা লম্বা কালো কালো চুল হবে এবং যা পা পর্যন্ত আবৃত থাকবে তাদের চোখগুলোতে আগুন ঝরতে থাকবে। তখনই পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। মুহাব্বত সহকারে নয় বরং ধমক দিয়ে উঠাবেন এবং খুবই কঠোরভাবে প্রশ্নাবলী করবেন। যেমন-

(১) مَنْ رَّبُّكَ؟ অর্থাৎ- তোমার পালন কর্তা কে?
(২) مَا دِيْنُكَ؟ অর্থাৎ- তোমার ধর্ম কি? 
(৩) অতঃপর একটি অত্যধিক পবিত্র আকৃতি দেখানো হবে, যার জন্যে উৎসর্গ হতে সকল প্রেমিকরাই ছটপট করতে থাকে। অন্তর আকর্ষনকারী আকৃতি দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। مَا كُنْتَ تَقُوْلُ فِىْ حَقِّ هٰذَا الرَّجُلْ؟ অর্থাৎ- এ সত্তার ব্যাপারে তুমি কি বলে থাকতে? হে নামাযীরা! হে পিতা-মাতার বাধ্য সন্তানেরা! হে আত্মীয়দের সাথে সদাচরণকারীরা! হে শুধুমাত্র হালাল রুজি উপার্জনকারীরা! হে এক মুষ্টি দাঁড়িধারী ব্যক্তিরা? হে মাথায় সুন্নাত মোতাবেক চুল ধারণকারী ব্যক্তিরা! হে নিজ মাথায় আমামা শরীফ এর তাজ সাজানো ব্যক্তিরা! হে প্রতিদিন ফিকরে মদীনার মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে মাদানী ইনআমাত এর রিসালা জমাকারী ব্যক্তিরা! হে সুন্নাত প্রশিক্ষনের মাদানী কাফেলায় সফরকারী ব্যক্তিরা! اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ আপনারা অবশ্যই ঐ প্রশ্ন সমূহে সফল হয়ে যাবেন। আল্লাহ্ তা’আলা এবং নবী মুস্তাফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দয়ায় আপনার জন্য কৃত প্রশ্ন সমূহের উত্তর এভাবেই হবে। رَبِّىَ الله অর্থাৎ- আমার রব আল্লাহ্ তা’আলা دِيْنِىَ الْاِسْلَامُ অর্থাৎ- আমার ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। আর ঐ অন্তর আকর্ষনকারী সত্তার দিকে ইঙ্গিত করে বলা হবে,هُوَ رَسُوْلُ الله অর্থাৎ- ইহাতো আমারই প্রিয় আকা ও মাওলা মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এবং আন্দোলিত হয়ে, তুমি বলতেই থাকবে।

ছরকার ﷺ কি আমদ মারহাবা! 
দিলদার ﷺ কি আমদ মারহাবা!
কবর মে ছরকার আয়ে তো মে কদমো মে গিরো,
গর ফিরিশতে ভী উঠায়ে তো মে উন ছে ইউ কাহো।
ইনকে পায়ে নাজছে আয় ফিরিশতো! কিউ উঠো,
মরকে পৌহোছা হো ইয়াহা ইছ দিলরোবা কে ওয়াসিতে।

হে সালাত ও সালামে মতোয়ারা ব্যক্তিরা! নামে মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শ্রবণকারীরা বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয় চুম্বনকারীরা! এখন তাজেদারে মদীনা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিজ শানমান দেখিয়ে ঐ কবর থেকে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করবেন তখনই আত্মাহারা প্রেমিকের মতই তার জবানে বলতে থাকবে।

দিল ভী পিয়াসা নজর ভী হে পিয়াসী, কিয়া হে এ্যায়সী ভী জানে কি জলদী
ঠেহরো ঠেহরো যরা জানে আলম! হাম নে জি ভরকে দেখা নেহী হে।

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অবশেষে শেষ প্রশ্নের জবাব দেয়ার পর জাহান্নামের জানালা খোলা করা হবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যাবে। আর জান্নাতের জানালা খুলে যাবে এবং বলা হবে-
যদি তুমি সঠিক উত্তর না দিতে পারতে তখন তোমার ভাগ্যে ঐ দোযখের উন্মুক্ত জানালাটিই হত। একথা শুনার পর কবরের ব্যক্তি অনেক আনন্দিত হয়ে যাবে। আর এখনই তাকে জান্নাতি কাফন পরিধান করানো হবে। জান্নাতি বিছানা দেয়া হবে। কবর তার দৃষ্টি সীমা পর্যন্ত প্রশস্ত এবং বড় করা হবে। সকল কিছুই তার জন্য আনন্দদায়ক হবে।

কবর মে লেহেরায়েঙ্গে তা হাশর চশমে নূর কে,
জলওয়া ফরমা হোগী জব তলআত রাসুলুল্লাহ ﷺ কি।
(হাদায়িকে বখশিশ)

কবরের প্রশ্নের ব্যর্থ হওয়ার কারণ

আল্লাহ্ না করুন! আপনি নামায সমূহ্ নষ্ট করতেই চলেছেন। মিথ্যা কথাও বলছেন। গীবত করে যাচ্ছেন। হারাম উপার্জনেও করে যাচ্ছেন। সিনেমা-নাটক নিজেও দেখেন অপরাপরকে ও দেখান। আর গান বাজনা নিজেও শুনেন অপরকেও শুনাতে থাকেন। আর মুসলমানদের মনে কষ্ট দিতে থাকেন। যদি আপনার এ কাজে আল্লাহ্ তা’আলা আপনার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যায় এবং আল্লাহর মাহবুব صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ও আপনার নিকট থেকে বিমুখ হয়ে যায়। যদি গুনাহ সমূহের বোঝার কারণে مَعَاذَ الله عَزَّوَجَل আপনার ঈমানও নষ্ট হয়ে যায়। তখন ঐ ফিরিশতা দ্বয়ের প্রত্যেক প্রশ্নের জবাবে আপনার মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে। هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ لَا اَدْرِى (হায়! আফসোস, হায় আফসোস! আমি সে প্রসঙ্গে কিছুই জানিনা) হায়! হায়! যখনই চোখ খুলেছি টিভি এর উপরই নজর ছিল। যখন কানে কিছু শুনেছি অবশ্যই সিনেমার গানই শুনেছি। আমার তো জানা নেই যে, আল্লাহ্ তা’আলা কে? অনুরূপ দ্বীন কি তাও তো আমি জানি না? আমিতো দুনিয়াতে আগমণের উদ্দেশ্য শুধু এটা বুঝেছি যেমন ইচ্ছা তেমন করা, যে যেভাবে পার সম্পদ উপার্জন করা, স্ত্রী পুত্রদের লালন পালন করা। যদি কখনো কেউ আমাকে আমার পরকালের মঙ্গলের জন্য সুন্নাতে ভরা ইজতিমা অথবা মাদানী কাফিলাতে সফর করার জন্য দাওয়াত দেয়, তখনই এটা বলে দিতেন সারাদিন কাজ করে দূর্বল হয়ে গেছি। সময়ও পাই না।

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জীবিত অবস্থায় এই উত্তর চলতে থাকবে। আপনি সারা জীবনেও সময় পাবেন না। কিন্তু আপনি দুনিয়াবী কাজ কারবার চমৎকার করছেন। আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স বৃদ্ধি হতেই থাকবে। কিন্তু আপনাকে স্মরণ রাখা চাই যে,

সেটজী কো ফিকর থি ইক ইক কে দস দস কিজিয়ে
মাওত আঁপৌহোছি কেহ মিসটার! জান ওয়াপাস কিজিয়ে।

যাই হোক, যার ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে তার নিকট থেকে শেষ প্রশ্ন করার পর জান্নাতের জানালা তার জন্য অবশ্যই খুলে দেয়া হবে, আর সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাবে। অতঃপর জাহান্নামের জানালা খুলে এবং তাকে বলা হবে: যদি তোমাকে করা প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর প্রদানে সক্ষম হতে তখন তোমাকে ঐ জান্নাতের জানালাটি খুলে দেয়া হত। একথা শুনে সে খুবই পেরেশান হয়ে পড়বে, জাহান্নামের জানালা থেকে তার গরম ও অগ্নি শিখা আসতে থাকবে। তার কাফনটিকে আগুনের কাফনে পরিবর্তন করে দেয়া হবে। আগুনের বিছানা তার কবরে বিছানো হবে। তার উপর আযাবের ফিরিশতা নিযুক্ত করা হবে, যারা অন্ধ এবং বধির হবে, তাদের কাছে লোহার গদা (হাতুড়ী) থাকবে। এটি দ্বারা যদি পাহাড়ে আঘাত করা হয়, তবে তা মাটির সাথে মিশে যাবে। ঐ হাতুড়ী দ্বারা তাকে মারতে থাকবে।এমনকি সাপ এবং বিষধর বিচ্ছু তার কবরে ভরপুর হয়ে যাবে। সকলে তাকে দংশন করতে থাকবে। এমনকি তার খারাপ আমল সমূহ বিভিন্ন ভয়ংকর আকৃতি ধারণ করে কখনো কুকুর বা ভেড়া বা অন্য আকৃতি নিয়ে তাকে শাস্তি দিতে থাকবে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১০-১১১ পৃষ্ঠা)

আজ মাচ্ছর কা ভী ঢঙ্ক আহ! সাহা জাতা নেহী,
কবর মে বিচ্ছু কে ঢঙ্ক কেইসে সাহে গা ভায়ী?

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দুনিয়ার সম্পদকে নিজের সব কিছু মনে করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন হওয়া উচিত নয়, আল্লাহ্ তা’আলা ঈমানদারগণকে সতর্কতা প্রদানের নিমিত্তে ২৮ পারা, সুরাতুল মুনাফিকুনের ৯ নং আয়াতে ইরশাদ করেন: 

يٰاَيُّهَا الَّذِينَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ:” হে ঈমানদারগণ! তোমারই সম্পদ, তোমারই সন্তানগণ! যেন তোমাকে আল্লাহ্ (তা’আলার) স্মরণ থেকে অলস বানিয়ে না দেয়।

এটা বলিও না যে, কোন সঠিক পথ প্রদর্শক পাইনি

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হালাল রিযিক সন্ধান করতে গিয়েও কখনো ঐ রকম ব্যস্ততায় রাখবেন না, যা দ্বারা নামায সমূহ থেকে অলস করে দেয়। আর যদি আল্লাহ্ না করুক! হারাম উপার্জন এবং সুদের লেনদেন করে থাকেন, তবে ছেড়ে দিন। সুদ ঘুষের কারবার পরিত্যাগ করুন। দেখুন! মৃত্যুর পরে যেন আপনি এটা বলতে না পারেন যে, আমাদেরকে হিদায়াত প্রদানের কেউ ছিল না সঠিক পথ প্রদর্শক পাইনি।নানা রকম গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই ভয় করা প্রয়োজন যে, যদি কৃত গুনাহের কারণে আপনার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। তখন আপনি কি করবেন আল্লাহ্ তা’আলা ২৪ পারা, সুরাতুজ জুমার ৫৪নং আয়াতে ইরশাদ করেন: 

وَأَنِيبُوا إِلٰى رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُوا لَہٗ مِنْ قَبْلِ أَن يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنصَرُونَ 

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: “এবং আপনারা নিজ প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করুন এবং তার নিকটই প্রতি নিয়্যত উপস্থিত থাকুন। তোমাদের উপর আযাব নাযিল হওয়ার পূর্বে আর তখন তোমাদের কোন সাহায্যকারী হবে না।

ইয়া ইলাহী মেরা ঈমান সালামত রাখনা,
দোনো আলম মে খোদা সায়াহে রহমত রাখনা।

আমরা ছোট হতে যাচ্ছি

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জীবনের কিসের ভরসা! আপনার সুস্থতা লাখো ভাল হলেও আপনি কি জানেন না, যে হঠাৎ ভূমিকম্প আসতে পারে। বাস, কার এবং ট্রেন সমূহ উল্টে যায়। অথবা হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে এবং লাশের স্তুপ পড়ে যেতে পারে। আর যদি খোলা আকাশে বিমান বিধ্বংস্ত হয়ে যায়। তখন লাশ সমূহকে পরিচয় সনাক্তও করা যায় না। আপনার চাকুরী বাকুরী গুনাগুন, পদ মর্যাদা কিছুই কোন কাজে আসবে না। মানুষেরা এক আঘাতেই মারা যায়। এই অমূল্য নিঃশ্বাস খুব দ্রুতই বেরিয়ে যাচ্ছে। যা একবার বের হয়ে যায় তা আর ফিরে আসে না, অবশ্যই প্রত্যেক নিঃশ্বাস মৃত্যুর দিকে আমাদের এক একটি পদক্ষেপ। আপনি বলতে পারেন আমার সন্তান ১২ বছরে পদার্পন করেছে। আপনি তাকে বড় হয়েছে মনে করছেন।যদি গভীরভাবে দেখেন তবে, আপনার পুত্র বড় নয় বরং ছোটই হতে যাচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ সে যদি দুনিয়াতে ২৫ বছর বেঁচে থাকে, তবে তা থেকে ১২ বছর কমে গিয়েছে। সে লোক জীবন অতিবাহিত করে ফেলেছে। অবশ্যই আমরা সবাই ধীরে ধীরে মৃত্যুর নিকটেই পা বাড়াতে যাচ্ছি। আর আমাদের সকলের হায়াত ধীরে ধীরে কম হতে যাচ্ছে। এভাবে সবাই বয়সে বড় হচ্ছি না বরং ছোট হয়ে যাচ্ছি। ঘড়ির অতিবাহিত হওয়ার প্রতিটি ঘন্টা আমাদের বয়সের এক ঘন্টা কমে যাওয়ার সংবাদ দিয়ে থাকে।

গাফিল তুঝে ঘড়য়াল ইয়ে দেতা হে মুনাদী,
গর দোনে গড়ী উমর কি ইক আওর গাটাদী।

দুনিয়াবী পরীক্ষার গুরুত্ব

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কবরের পরীক্ষার মুখামুখী হয়ে অবশ্যই আপনাকে কিয়ামতের পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। আফসোস! আমাদের কাছে এর কোন প্রস্তুতি নেই। এমনকি চাকুরীর ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য স্কুল কলেজের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আমরা অনেক জোর প্রচেষ্টা চালাই। ঐ উক্তি مَنْ جَدَّ وَجَدَ অর্থাৎ ‘যিনি সাধনা করে সে কৃতকার্য হয়েছে। এর সত্যায়ন শুধু দুনিয়াবী পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একথা হয়ত বলা যেতে পারে। আপনি তা দ্বারা দুনিয়াবী অস্থায়ী খুশি আনন্দের ভাগীদার হতে পারেন। কিন্তু কিয়ামতের কঠিন পরীক্ষার অবস্থা কি হবে? একদিন অবশ্যই আমাদেরকে মৃত্যু বরণ করতে হবে। কবর এবং পরকালের পরীক্ষার মুখোমুখী হতে হবে। সেখানের পরীক্ষায় কোন ধোকার আশ্রয় নেয়া যাবে না। ঘুষও চলবে না। দ্বিতীয়বার যাচাইয়ের সময়ও দেয়া হবে না।
এত কিছু জানার পরেও আমাদের দুনিয়াবী পরীক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ট মাথা ব্যথা রয়েছে। কিন্তু আফসোসের বিষয়! কিয়ামতের পরীক্ষার ব্যাপারে আমরা খুবই উদাসীন। দুনিয়াবী পরীক্ষার জন্য আজকাল ছাত্ররা সারা রাত জাগ্রত থেকে পড়ালেখা করে। নিদ্রা এলে ঘুম বিনাসকারী ট্যাবলেট (ঔষধ) ANTI SLEEPING খেয়ে জাগ্রত অবস্থায় রাত কাটায়। আর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিয়ামতের পরীক্ষার জন্য আমাদের মধ্যে কেউ রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদতে কাটিয়েছি? দুনিয়াবী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আপনি স্কুল কলেজের দিকে বারবার ছুটে যাচ্ছেন। আর কিয়ামতের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আপনি কি কখনো সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় অংশগ্রহণ করেছেন? দুনিয়াবী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্যে অনেক ছাত্র টিউটর এর সেবা (গৃহ শিক্ষক) গ্রহণ করেছেন। আবার কেউ কেউ একাডেমী বা টিউশন সেন্টারে (JOIN) যোগদান করে। আর কিয়ামতের কঠিন পরীক্ষার জন্য আপনি সুন্নাতে ভরা মাদানী পরিবেশে কি সম্পৃক্ত হয়েছেন এবং আশেকানে রাসুলদের সংস্পর্শ অবলম্বণ করেছেন কি? দুনিয়াবী উন্নতির জন্য উচ্চতর শিক্ষা (HIGHER EDUCATION) অর্জনের নিমিত্তে অন্য নগরীতে বরং ভিন্ন দেশেও ভ্রমণ করে থাকে। আর আখিরাতের বাস্তব উন্নতির জন্য ও কিয়ামতের পরীক্ষার তৈরী গ্রহণে কি কখনো দা’ওয়াতে ইসলামীর সুন্নাত প্রশিক্ষনের মাদানী কাফিলার সঙ্গে সফর করেছেন? হে শুধুমাত্র দুনিয়াবী পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণকারী ইসলামী ভাইয়েরা! আখিরাতের ঐ জটিল পরীক্ষার প্রস্তুতি আরম্ভ করে দিন। যাতে উত্তীর্ণ ব্যক্তিরা জান্নাতের ঐ নেয়ামত সমূহ লাভ করবে যা চিরস্থায়ী বিদ্যমান থাকবে, আর অপরদিকে অকৃতকার্য ব্যক্তি জাহান্নামের প্রজ্জলিত আগুনেই জ্বলতে থাকবে।আর কিয়ামতের পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের সহজতার জন্য আপনি দা’ওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় অবশ্যই অংশগ্রহন করুন। আর নিজ এলাকায় মাদরাসাতুল মদীনায় (প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে) কুরআনে পাক বিনামূল্যে শিক্ষাগ্রহণ করুন। আর প্রত্যেক মাসে কমপক্ষে ৩ দিন আশেকানে রাসুলদের সাথে মাদানী কাফিলায় সফর করাকে আপনার অভ্যাসে পরিণত করুন। আর প্রত্যেক মাসে মাদানী ইনআমাত এর রিসালা পূরণ করে প্রত্যেক মাদানী মাসের প্রথম ১০ তারিখের মধ্যে নিজ এলাকার যিম্মাদারের নিকট জমা করুন। দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী কাফিলায় সফর করা, আর মাদানী ইনআমাতের রিসালা পূরণ করত: প্রত্যেক মাসে জমা করানোই আপনাকে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ আপনার কিয়ামতের পরীক্ষার জন্যে সহযোগিতা ও সাহায্যকারী হবে।

লুটনে রহমতে কাফিলে মে চলো, পায়োগে বারকাতে কাফিলে মে চলো।
হোগী হাল মুশকিলে কাফিলে মে চলো, দূর হো আফতে কাফিলে মে চলো।

صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد

--------
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত ৪০ পৃষ্ঠা সম্বলিত "কিয়ামতের পরীক্ষা" নামক রিসালার ০৩-৩২ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রিসালাটি অবশ্যই সংগ্রহে রাখুন। অন্যকে উপহার দিন।
যারা মোবাইলে (পিডিএফ) রিসালাটি পড়তে চান তারা ফ্রি ডাউনলোড করুন ।
ইসলামীক বাংলা বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন 
মাদানী চ্যানেল দেখতে থাকুন

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন