কথিত আছে, একবার কোয়েটার নিকটবর্তী এক গ্রামে ‘ক্লিন শেভ’করা এক বেওয়ারিশ যুবকের লাশ পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় কাজকর্ম শেষে লোকজন মিলে লাশটি দাফন করে দিল। ইত্যবসরে মৃতের ওয়ারিশগণ খোঁজ খবর নিয়ে সেখানে এসে পৌঁছল। তারা লোকজনের সামনে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করল যে, তাদের এই প্রিয়জনের লাশটি তাদের গ্রামে নিয়ে গিয়ে সেখানে দাফন করতে চায়। অতএব, কবরের মাটি সরিয়ে ফেলা হল। লাশটির মুখের দিক হতে যখন পাথরের খন্ডটি সরিয়ে ফেলা হল তখন মৃতের অবস্থা দেখে লোকদের মুখ থেকে ভয়ঙ্কর চিৎকার বেরিয়ে আসল। কারণ, এইমাত্র যে যুবকটির লাশ দাফন করা হয়েছে, তার মুখ কাল দাঁড়িতে ছেয়ে গেছে, আর সে দাঁড়ি কালো চুলের নয় বরং তা ছিল কালো কালো বিচ্ছুরই। ভয়ঙ্কর, লোমহর্ষক এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত লোকজন ইস্তেগফার পড়তে থাকে এবং তাড়াতাড়ি কবরটি ঢেকে দিয়ে ভয়ে সকলে পালিয়ে গেল।
বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ইস্তিখারা কি ও ইস্তিখারার নামাযের পদ্ধতি
ইস্তেখারার শিক্ষা দিতেন
মদীনার তাজেদার, হুযুরে আনওয়ার صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم লোকদেরকে গণনার পরিবর্তে ইস্তেখারার শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বণির্ত , রাসূলে আকরম, নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কোরআনের সূরা শিক্ষা দেওয়ার ন্যায় আমাদেরকে যে কোন বিষয়ে ইস্তেখারা করার শিক্ষা দিতেন। (বুখারী, কিতাবুত তাহাজ্জুদ, বাবু মা’জা ফিত তাতউয়ি মাছনা মাছনা, ১/ ৩৯৩, হাদীস- ১১৬২)
প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খান رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ হাদীস শরীফটির আলোকে লিখেন: ইস্তেখারা মানে হলো মঙ্গল কামনা করা বা কারো নিকট হতে ভাল পরামর্শ গ্রহণ করা। যেহেতু ইস্তেখারার নামাযে এবং দোয়ায় বান্দা যেনো স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার নিকট পরামর্শ চায় যে, অমুক কাজটি করবো কি করবো না! তাই একে ইস্তেখারা বলা হয়। (মিরাতুল মানাজীহ, ২/ ৩০১)
শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মুহাররম ও আশুরার রোযার ফযীলত
আশুরায় সংঘঠিত ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
﴾১﴿ আশুরার দিন (অর্থাৎ ১০ মুহাররামুল হারাম) হযরত সায়্যিদুনা নুহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর নৌকা জুদী পাহাড়ে ভিড়ে।
﴾২﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা আদম সফিয়্যুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর অনিচ্ছাকৃত ভূলের তাওবা কবুল করা হয়েছে।
﴾৩﴿ এই দিনেই হযরত ইউনুস عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর সম্প্রদায়ের তাওবা কবুল করা হয়।
﴾৪﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام জন্ম গ্রহণ করেন।
﴾৫﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রুহুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে সৃষ্টি করা হয়।(আল ফিরদাউস, ১ম খন্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৮৫৬।)
﴾৬﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা মূসা কলিমুল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام ও তারঁ সম্প্রদায়ের মুক্তি অর্জিত হয় এবং ফিরআউন নিজ গোত্রসহ ডুবে যায়।(বুখারী, ২য় খন্ড, ৪৩৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৩৯৭-৩৩৯৮।)
﴾৭﴿ এই দিন সায়্যিদুনা ইউছুফ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর কয়েদখানা থেকে মুক্তি অর্জিত হয়।
﴾৮﴿ এই দিনেই হযরত সায়্যিদুনা ইউনুস عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে মাছের পেট থেকে বের করা হয়।(ফয়যুল কদীর, ৫ম খন্ড, ২৮৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৭০৭৫।)
﴾৯﴿ সায়্যিদুনা ইমাম হুসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কে তাঁর শাহজাদা ও সঙ্গী সাথী সহ তিনদিন ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত রাখার পর এই আশুরার দিনেই কারবালার বুকে অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে শহীদ করা হয়।
বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
অশুভ প্রথা বা কুসংস্কারে বিশ্বাস (৩)
রাশির ভাল-মন্দ প্রভাবের উপর বিশ্বাস করা কেমন?
নিজেকে জ্ঞানী বলে মনে করা অনেকে রাশির প্রভাবের উপর এমন ভাবে বিশ্বাস করে যে, বিয়ে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও তারা নক্ষত্রের পরিভ্রমণ কিংবা অবস্থান অনুযায়ী করে থাকে। এ ধরনের লোক সহজেই জ্যোতিষী দাবীদারদের শিকারে পরিণত হয়, এদেরকে তারা বোকা বানিয়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে, ছেলে ও মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা পাকাপোক্ত হয়ে গেছে, প্রয়োজনীয় দেখা-সাক্ষাৎ এবং পরস্পর তথ্য-উপাত্তের কাজও শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু এক পক্ষ এই বলে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিল যে, আমি খোঁজ নিলাম যে, ছেলে আর মেয়ে পরস্পর রাশিতে মিলছে না, তাই এই বিয়ে হতে পারে না। আমার আক্বা আ’লা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিলাø ত, মাওলানা শাহ ইমাম আহমদ রযা খান رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো: আকাশের নক্ষত্ররাজির প্রভাব এবং সেগুলোর শুভ অশুভ প্রভাবে বিশ্বাস করা কেমন? আ’লা হযরত رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ উত্তর দিলেন: একজন আনুগত্যশীল মুসলমানের জন্য কোন বস্তুই অলক্ষুণে বা অশুভ নয়। অপরপক্ষে একজন কাফিরের জন্য কোন বস্তুই শুভ নয় এবং একজন গুনাহগার মুসলমানের জন্য তার ইসলামই শুভ, ইবাদত কেবল কবুল হওয়ার শর্তেই শুভ। গুনাহ করা বস্তুতই দুর্ভাগ্য। যদি রহমত এবং শাফায়াত তাকে সেই দুর্ভাগ্য থেকে বাঁচিয়ে নেয়, বরং দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করে দেয়, فَاُولٰئِكَ يُبَدِّلُ اللهُ سَيِّاٰتِهِمْ حَسَنٰتٍ (কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এমন লোকদের মন্দ কাজগুলোকে আল্লাহ সৎকর্মসমূহে পরিবর্তিত করে দেবেন;) (১৯তম পারা, আল ফুরকান, আয়াত ৭০) বরং কোন কোন সময় গুনাহ এভাবে সৌভাগ্য হয়ে যায় যে, বান্দা সেই গুনাহের কারণে ভীত ও সন্ত্রস্ত থাকে, তাওবা করে এবং নেক আমলের চেষ্টায় থাকে। তবে সেই গুনাহ দূরীভূত হয়ে গেছে এবং অনেক নেকী পেয়ে গেছে, বাকি রইল নক্ষত্রের বিষয়, সেগুলোতে শুভ অশুভ বলতে কিছুই নাই বরং কেউ যদি নক্ষত্রকে নিজস্ব গুণে প্রভাবশালী বলে মনে করে, তবে তা শিরক এবং সেগুলো থেকে সাহায্য চাওয়া হারাম, অন্যথায় সেগুলোর প্রতি মনোনিবেশ করা অবশ্যই তাওয়াক্কুলের বিপরীত। (ফতোয়ায়ে রযবীয়া, ২১/২২৩)
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
অশুভ প্রথা বা কুসংস্কারে বিশ্বাস (২)
কুসংস্কারের কোন বাস্তবতা নেই
বুখারী শরীফে হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বণির্ত , মদীনার তাজেদার, রাসূলদের সর্দার صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: সংক্রমণ বলতে কিছু নাই, না আছে কোন অশুভ ফাল তথা অশুভ ইঙ্গিত, আর নাই পেঁচা-ও, না শূন্য (খালি) ও কুষ্ঠ থেকে পালাবে, যেমনিভাবে বাঘ দেখে পালাও। (বুখারী, কিতাবুত তিব্ব, ৪/২৪, হাদীস- ৫৭০৭ ও ওমদাতুল কারী, কিতাবুত তিব্ব, ১৪/৬৯২, হাদীস- ৫৭০৭)
বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারী মুফতী মুহাম্মদ শরীফুল হক আমজাদী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِহাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় বলেন: এই হাদীস শরীফটি থেকে প্রাপ্ত কিছু মাদানী ফুল উপস্থাপন করা হলো,
۞ জাহেলীয়তের যুগে মানুষের বিশ্বাস ছিলো যে, এমন কতগুলো রোগ রয়েছে যা অন্যের প্রতি সংক্রমিত হয়। যেমন: কুষ্ঠ, খোস পাঁচড়া, প্লেগ ইত্যাদি। হুযুরে পাক صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সেই বিশ্বাসকে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন এবং নিষেধ করে দিলেন। একজন গ্রাম্য লোক এসে উপস্থিত হলো, সে বললো : আমার উটগুলো পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন ও উন্নত হয়ে থাকে। তা থেকে একটি খোস-পাচঁড়া বিশিষ্ট উট এসে সবাইকে খোস-পাচঁড়া বিশিষ্ট করে দিচ্ছে। হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: প্রথমটিকে খোস-পাঁচড়া কে বানিয়েছিলো? সে বললো: আল্লাহ তায়ালা। ইরশাদ করলেন: এভাবে বাকিগুলোকেও আল্লাহ তায়ালাই খোস-পাঁচড়া বিশিষ্ট বানিয়েছেন।
বুখারী শরীফে হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বণির্ত , মদীনার তাজেদার, রাসূলদের সর্দার صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: সংক্রমণ বলতে কিছু নাই, না আছে কোন অশুভ ফাল তথা অশুভ ইঙ্গিত, আর নাই পেঁচা-ও, না শূন্য (খালি) ও কুষ্ঠ থেকে পালাবে, যেমনিভাবে বাঘ দেখে পালাও। (বুখারী, কিতাবুত তিব্ব, ৪/২৪, হাদীস- ৫৭০৭ ও ওমদাতুল কারী, কিতাবুত তিব্ব, ১৪/৬৯২, হাদীস- ৫৭০৭)
বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারী মুফতী মুহাম্মদ শরীফুল হক আমজাদী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِহাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় বলেন: এই হাদীস শরীফটি থেকে প্রাপ্ত কিছু মাদানী ফুল উপস্থাপন করা হলো,
۞ জাহেলীয়তের যুগে মানুষের বিশ্বাস ছিলো যে, এমন কতগুলো রোগ রয়েছে যা অন্যের প্রতি সংক্রমিত হয়। যেমন: কুষ্ঠ, খোস পাঁচড়া, প্লেগ ইত্যাদি। হুযুরে পাক صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সেই বিশ্বাসকে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন এবং নিষেধ করে দিলেন। একজন গ্রাম্য লোক এসে উপস্থিত হলো, সে বললো : আমার উটগুলো পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন ও উন্নত হয়ে থাকে। তা থেকে একটি খোস-পাচঁড়া বিশিষ্ট উট এসে সবাইকে খোস-পাচঁড়া বিশিষ্ট করে দিচ্ছে। হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: প্রথমটিকে খোস-পাঁচড়া কে বানিয়েছিলো? সে বললো: আল্লাহ তায়ালা। ইরশাদ করলেন: এভাবে বাকিগুলোকেও আল্লাহ তায়ালাই খোস-পাঁচড়া বিশিষ্ট বানিয়েছেন।
রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮
অশুভ প্রথা বা কুসংস্কারে বিশ্বাস (১)
অলক্ষুনে কে?
কোন বাদশা একদা তার সভাসদদের নিয়ে দরবারে বসা ছিলো। এমন সময় কালো বর্ণের এক চোখ কানা ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হল বাদশার সম্মুখে। সবাই অভিযোগ করল, এই লোকটি এমন ধরনের অলক্ষুনে যে, কেউ যদি সকালে উঠে একে দেখে, সেই দিন তাকে অবশ্যই কোন না কোন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সুতরাং তাকে দেশ থেকে বহিস্কার করে দেওয়া হোক। কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর বাদশা বললেন, চূড়ান্ত বিচার করার আগে আমি নিজেই তা পরীক্ষা করে দেখবো, কাল সকালে সর্বপ্রথম আমি তাকে দেখবো, তারপর অন্য কাজে হাত দেবো। পরদিন সকালে বাদশা যখন ঘুম থেকে উঠলো, দরজা খুলতেই সর্বপ্রথম সেই কানা ব্যক্তিটিকেই দাঁড়ানো দেখতে পেলো। তাকে দেখেই বাদশা পেছনে ফিরে গেলো এবং দরবারে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলো। পোষাক পাল্টাবার পর বাদশা যখনই জুতোয় পা দিলো, তখনই তাতে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত বিচ্ছু তাকে দংশন করলো।
শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮
প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কিত ১৫ টি মাদানী ফুল
৮টি হাদীস শরীফ
(১) “আল্লাহ্ তা’আলা নেক মুসলমানের সদকায়/ খাতিরে তাঁর আশেপাশের ১০০টি ঘর থেকে বিপদাপদ দূরীভূত করে দেন। অতঃপর তিনি صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই আয়াতে করীমা তিলাওয়াত করেন:
وَلَوْلَا دَفْعُ اللهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّفَسَدَتِ الْأَرْضُ
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ”আর যদি আল্লাহ্ মানুষের মধ্য থেকে একজনকে অন্যের দ্বারা প্রতিহত না করেন, তবে অবশ্যই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।” (৩য় পারা, সূরা বাক্বারা, আয়াত- ২৫১) (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ৮ম খন্ড, ২৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৩৫৩৩)
(২) “আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সর্বোত্তম প্রতিবেশী হল- যে আপন প্রতিবেশীর কল্যাণকামী হয়ে থাকে।” (তিরমিযী, ৩য় খন্ড, ৩৭৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৯৫১)
(৩) “ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার দুষ্টামী থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।” (মুসলিম, ৪৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৬)
(৪) “ঐ ব্যক্তি মুমীন নয়, যে নিজে পেট ভরে আহার করেছে, আর তার প্রতিবেশী অনাহারে রয়েছে।”(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ২২৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৩৮৯) অর্থাৎ- সে পূর্ণঙ্গ মুমীন নয়।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮
কিয়ামতের পরীক্ষা
মাদানী মুন্নার ভয়
অর্ধরাতে একটি ছোট্ট মাদানী মুন্না হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে বসে গেল এবং চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। তার পিতা গভীর রাতে কান্নার আওয়াজ শুনে ভয়ে জাগ্রত হয়ে গেলেন এবং বলতে লাগলেন: “হে আমার প্রিয় বৎস! কাঁদছ কেন?” মাদানী মুন্না কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিল: “আব্বাজান! আগামীকাল বৃহস্পতিবার। শিক্ষক আগামীকাল পূর্ণ সপ্তাহের পরীক্ষা নিবেন।আমি পড়ার প্রতি মনোযোগ দিই নাই। তাই আগামীকাল শিক্ষক আমাকে প্রহার করবে। একথা বলে বাচ্চা হাউমাউ করে আরো উচ্চ আওয়াজে কাঁদতে লাগল। এ ঘটনায় পিতার চোখে অশ্রু এসে গেল এবং সে নিজের নফস কে সম্বোধন করে বলতে লাগলেন: “এই বাচ্চাকে মাত্র এক সপ্তাহের হিসাব দিতে হবে এবং শিক্ষককে চাইলে কোন বাহানাও দেয়া যায়। তারপরও সে কাঁদছে এবং প্রহারের ভয়ে তার চোখে ঘুম আসছে না। আর আফসোস! হায় আফসোস! আমার উপরতো পূর্ণ জীবনের হিসাব ঐ একক পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলার নিকটেই দিতে হবে। যাকে কোন বাহানা দেয়া যাবে না। তদুপরি আমার কিয়ামতের পরীক্ষা সামনে রয়েছে। কিন্তু আমি অলসতার ঘুমে ঘুমিয়ে রয়েছি। অবশেষে আমার কোন ভয় আসছে না কেন? (দুররাতুন নাছেহীন, ২৯৫ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ঘটনায় আমাদের জন্য শিক্ষণীয় অসংখ্য মাদানী ফুল রয়েছে। আমাদের চিন্তা করা উচিৎ যে, একটি মাদানী মুন্না তার ধ্যান এবং মাদানী চিন্তাধারা দেখুন! মাদানী মুন্না মাদ্রাসার হিসাবের ভয়ে কান্না করছে, আর তার পিতা কিয়ামতের হিসাব নিকাশের কঠোরতা স্মরণ করে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছেন।
করীম আপনে করম কা সদকা লাঈম বে কদর কো না শরমা
তো আওর গাদা ছে হিসাব লেনা গাদা ভী কোয়ী হিসাব মে হে।
শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮
সদকায়ে ফিতর ও এর বিধান
আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা ৩০তম পারার সূরা আ’লা এর ১৪ ও ১৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেন:
قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكّٰى - وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلّٰى
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত পৌঁছেছে, যে পবিত্র হয়েছে এবং স্বীয় প্রতিপালকের নাম নিয়ে নামায পড়েছে।
সদরুল আফাযিল হযরত আল্লামা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ “খাযায়িনুল ইরফানে” এই আয়াতে করীমার আলোকে লিখেন: এই আয়াতের তাফসীরে এ কথা বলা হয়েছে যে, “ تَزَكَّىٰ ّٰ ” দ্বারা ‘সদকায়ে ফিতর দেয়া’ এবং “প্রতিপালকে নাম নেওয়া” দ্বারা ‘ঈদগাহে যাওয়ার পথে তাকবীর বলা’ আর “নামায” দ্বারা ‘ঈদের নামায’কে বুঝানো হয়েছে। (খাযায়িনুল ইরফান, ১০৭৪ পৃষ্ঠা)
রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮
ইতিকাফের ফযিলত
ফয়যানে ইতিকাফ
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! রমযানুল মুবারকের বরকত সম্পর্কে কি বলবো! এমনি তো রমযানের প্রতিটি মুহুর্ত রহমতে পরিপূর্ণ, প্রতিটি মুহুর্ত অশেষ বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ রয়েছে। কিন্তু এ সম্মানিত মাসে শবে ক্বদর সর্বাপেক্ষা বেশী গুরুত্ব রাখে। সেটা পাবার জন্য আমাদের প্রিয় আকা মদীনা ওয়ালে মুস্তফা হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمপবিত্র মাহে রমযানের পুরো মাসও ই‘তিকাফ করেছেন।
আর আখেরী দশদিনের ই‘তিকাফ তো হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم খুবই গুরুত্ব দিতেন। এমনকি একবার কোন বিশেষ সমস্যার কারণে হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم রমাযানুল মুবারকে ই‘তিকাফ করতে পারেন নি। তাই শাওয়ালুল মুকাররামের শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করেছিলেন। (সহীহ বোখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৭১, হাদিস নং ২০৩১)
এক বার সফরের কারণে হুযুর মাদিনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার, হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইতিকাফ করতে পারেননি। তাই হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পরবর্তী রমযান শরীফে বিশ দিন ইতিকাফ করেছেন। (জামে তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২১২ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৮০৩)
মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮
কবর ও দাফনের মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)
۞আল্লাহ্ তাআলার বাণী:
أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ كِفَاتًا (25) أَحْيَاءً وَأَمْوَاتًا (26)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আমি কি জমিনকে একত্রকারী করিনি। তোমাদের জীবিত ও মৃতদের। (পারা- ২৯, সূরা- মুরসালাত, আয়াত- ২৫, ২৬)
এ আয়াতে মোবারাকার ব্যাখ্যায় “নূরুল ইরফান” ৯২৭ পৃষ্ঠার বর্ণিত আছে; এভাবে যে, জীবিতরা যমীনের পৃষ্ঠের উপর আর মৃতরা যমীনের পেটে একত্রিত আছে।
۞মৃতকে দাফন করা ফরযে কিফায়া (অথার্ৎ একজনও দাফন করে দেয় তবে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে, নতুবা যার কাছে সংবাদ পৌঁছেছিল আর দাফন করাইনি গুনাহগার হবে) মৃতকে যমীনে রেখে চারিদিক থেকে দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয়া জায়েয নেই। (বাহারে শরীয়তে, ১ম খন্ড, ৮৪২ পৃষ্ঠা)
۞কবর সমুহ আল্লাহ্ তাআলার নেয়ামত। কেননা, এতে মৃতকে দাফন করে দেয়া হয়। যাতে পশু এবং অন্যান্য বস্তগুলো তার খেয়ানত না করে।
মৃত ব্যক্তির অসহায়ত্ব
লাশ এবং গোসলদাতা
প্রখ্যাত আলিম ও মুহাদ্দিস এবং প্রসিদ্ধ তাবেয়ী বুযুর্গ হযরত সায়্যিদুনা সুফিয়ান ছওরী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ থেকে বর্ণিত; “মৃত ব্যক্তি সবকিছু জানতে পারে। এমনকি (সে) গোসলদাতাকে বলে: তোমাকে আল্লাহ্ তাআলার শপথ দিচ্ছি, তুমি গোসলদানে আমার সাথে নম্রতা প্রদর্শন করো। আর যখন তাকে খাটে রাখা হয়, তখন তাকে বলা হয়: “নিজের ব্যাপারে মানুষের মন্তব্যগুলো শুনো। (শরহুস্ সুদূর, ৯৫ পৃষ্ঠা)
মৃত ব্যক্তি কি বলে?
আমীরুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুকে আযম رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বর্ণনা করেন; মদীনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার, নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “মৃত ব্যক্তিকে যখন খাটে রাখা হয় এবং তাকে নিয়ে এখনোও তিন কদম পথ অতিক্রম করা হয়েছে মাত্র, তখন সে বলে, আর তার কথা মানুষ এবং জ্বীন ব্যতীত আল্লাহ্ তাআলা যাদের চান তাদেরকে শুনান। মৃত ব্যক্তি বলে: “হে আমার ভাইয়েরা! এবং হে আমার লাশ বহনকারীরা! তোমাদেরকে যেন দুনিয়া ধোকায় না ফেলে, যেভাবে আমাকে ধোঁকায় ফেলেছিল। আর সৃষ্টি যেন তোমাদেরকে খেলায় (মগ্ন) না রাখে। যেভাবে সে আমাকে মগ্ন রেখেছিল। আমি যা কিছু উপার্জন করেছি তা নিজের ওয়ারিশদের জন্য রেখে যাচ্ছি। আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন আমার কাছ থেকে হিসাব নিবেন। আর আমাকে পাকড়াও করবেন। অথচ (আজ) তোমরা আমাকে বিদায় জানাচ্ছ এবং আমাকে আহবান করছো (অর্থাৎ আমার জন্য কান্নাকাটি করছ)। (শরহুস সুদুর, ৯৩ পৃষ্ঠা, কিতাবুল কুবুর মাআ মাওসুআতে ইবনে আবিদ দুনিয়া, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৬১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৫)
মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮
জানাযার ১৫টি মাদানী ফুল
৪টি ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
১। যে (ব্যক্তি)কোন মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মৃতের পরিবারের নিকট গিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করলো, তবে আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য এক ক্বিরাত সাওয়াব লিখে দিবেন, অতঃপর যদি মৃতের সাথে যায় তবে আল্লাহ্ তাআলা দুই ক্বিরাত প্রতিদান লিখেন, অতঃপর যদি মৃতের জানাযার নামায আদায় করে, তবে তিন ক্বিরাত, অতঃপর যদি কাফন-দাফনে উপস্থিত থাকে তবে চার ক্বিরাত আর প্রতি ক্বিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। (সংশোধিত ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৯ম খন্ড, ৪০১ পৃষ্ঠা। উম্দাতুল ক্বারী, ১ম খন্ড, ৪০০ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪৭)
২। মুসলমানের প্রতি অপর মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে, (তার মধ্যে একটি হলো) যখন মৃত্যু হবে তখন তার জানাযায় অংশ নেয়া। (মুসলিম, ১১৯২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৫ (২১৬২), সংক্ষেপিত)
৩। “যখন কোন জান্নাতী ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে তখন আল্লাহ্ তাআলা ঐ সমস্ত লোকদের শাস্তি দিতে লজ্জাবোধ করেন যারা তার জানাযা নিয়ে চলে, যারা এর পেছনে চলে এবং যারা তার জানাযার নামায আদায় করে। (আল ফিরদাউস বিমাসুরিল খাত্তাব, ১০ম খন্ড, ২৮২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ১১০৮)
শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮
মৃত ব্যক্তির অনুশোচনা
কবরে মাটি দেয়ার কারণে ক্ষমা হয়ে গেলো
এক ব্যক্তির ইন্তিকালের পর কেউ তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলো: مَا فَعَلَ اللهُ بِكَ؟ অর্থাৎ আল্লাহ্ তাআলা আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন? উত্তরে বললেন: আমার আমল পরিমাপ করা হলো, গুণাহের ওজন বেড়ে গেলো, অতঃপর একটি থলে আমার নেকীর পাল্লায় রাখা হলো, যার কারণে اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَلّ আমার নেকীর পাল্লা ভারী হয়ে গেলো এবং আমার ক্ষমা হয়ে গেলো। যখন সেই থলেটি খোলা হলো তখন তার মধ্যে সেই মাটি দেখলাম যা আমি এক মুসলমানের দাফনের সময় তার কবরে দিয়েছিলাম। (মিরকাতুল মাফাতিহ, ৪র্থ খন্ড, ১৮৯ পৃষ্ঠা)
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
কেউ সত্যিই বলেছেন:
রহমতে হক ‘বাহা’ না মে জুইদ,
রহমতে হক ‘বাহানা’ মে জুইদ।
(অর্থাৎ আল্লাহ্ তাআলার রহমত মূল্য নয়, বাহানা খোঁজে থাকে)
কবরে মাটি দেওয়ার পদ্ধতি
মুসলমানের কবরে মাটি দেওয়া মুস্তাহাব। এর পদ্ধতি হলো: কবরের মাথার পার্শ্ব হতে দুই হাতে মাটি উঠিয়ে তিনবার কবরে দেবে, প্রথমবার দেওয়ার সময় বলবে: مِنْهَا خَلَقْنٰكُمْ (আমি জমিন থেকেই তোমাদের সৃষ্টি করেছি) দ্বিতীয়বার দেওয়ার সময় বলবে: وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ (সেটার মধ্যেই তোমাদেরকে আবার নিয়ে যাবো) এবং তৃতীয়বার দেওয়ার সময় বলবে: وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخرٰى (এবং সেটা থেকে পুনরায় তোমাদেরকে বের করবো।) এবার বাকী মাটি কোদাল ইত্যাদি দিয়ে ঢেলে দিন।
রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮
আশিকে আকবার (আবু বকর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী)
শৈশবের আশ্চর্যজনক ঘটনা
দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ৫৬১ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব ‘মালফূজাতে আলা হযরত’ ৪র্থ খন্ডের ৬০ থেকে ৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, সিদ্দীকে আকবর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কখনও মূর্তিকে সিজদা করেননি। অল্প বয়সে তাঁর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ পিতা তাঁকে মূর্তিঘরে নিয়ে যান আর বলেন, এটা হচ্ছে তোমার উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ প্রভু, তাকে সিজদা কর। যখন তিনি رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ মূর্তির সামনে গেলেন, তখন আবু বকর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বললেন: আমি ক্ষুর্ধাত, আমাকে খাবার দাও? আমি বিবস্ত্র, আমাকে পরিধানের বস্ত্র দাও? আমি পাথর ছুঁড়ে মারছি, তুমি যদি সত্যিকার প্রভু হয়ে থাক, তা হলে নিজেকে বাঁচাও। মূর্তি কী জবাব দেবে! তিনি رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ একটি পাথর ছুঁড়ে মারলেন, পাথরটি লাগতেই মূর্তিটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। পিতা এই অবস্থা দেখে রাগান্বিত হয়ে গেল, পুত্রের চেহারায় একটি থাপ্পর মারল, সিদ্দীকে আকবর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ কে তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে এল, সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করল: মা বললেন, আমার ছেলেকে তাঁর অবস্থায় ছেড়ে দিন, যখন সে ভূমিষ্ঠ হল, তখন অদৃশ্য হতে আওয়াজ এসেছিল...
يَا اَمَةَ اللهِ عَلَى التَّحْقِيْقِ اَبْشِرِىْ بِالْوَلَدِ الْعَتِيْقِ اِسْمُہٗ فِى السَّمَاءِ الصِّدِّيْقُ لِمُحَمَّدٍ صَاحِبٌ وَّ رفِيْقٌ
অনুবাদঃ “হে আল্লাহ পাকের সত্যিকার বাঁদী! তোমাকে সুসংবাদ দেওয়া হচ্ছে এ শিশুটি ‘আতীক’ বা মুক্ত, আসমানে এর নাম হচ্ছে ‘সিদ্দীক’। আর মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সফরসঙ্গী এবং তাঁর সাথী।”
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
পোস্ট শ্রেণি
অযু-গোসল-পবিত্রতা
(12)
আপডেট চলমান
(25)
আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী
(6)
আমাদের প্রিয় নবী ﷺ
(5)
আরবি মাস ও ফযীলত
(11)
ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা
(6)
ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র
(4)
ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায
(5)
উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ
(4)
কুরআন-তাফসীর ও হাদিস
(16)
কুরবানী
(6)
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন
(14)
জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত
(8)
নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী
(8)
নামায
(17)
পর্দা ও লজ্জাশীলতা
(16)
ফয়যানে জুমা
(3)
বদ আমল ও গুনাহের কাজ
(3)
মওত-কবর-হাশর ও আযাব
(12)
মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর
(15)
মাসাইল
(21)
যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান
(1)
রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত
(9)
সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল
(41)
হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা
(27)