আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার ১০১ নং আয়াতে ইরশাদ করেন:
وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ ٭ۖ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَنۡ یَّفۡتِنَکُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ اِنَّ الۡکٰفِرِیۡنَ کَانُوۡا لَکُمۡ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا ﴿۱۰۱﴾
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং যখন তোমরা যমীনে সফর করো তখন তোমাদের এতে গুনাহ নেই যে, কোন কোন নামায ‘কসর’ করে পড়বে;যদি তোমাদের আশংকা হয় যে, কাফিররা তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। নিশ্চয় কাফিরগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পারা-৫, সূরা-নিসা, আয়াত- ১০১)
সদরুল আফাযিল হযরত আল্লামা মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: কাফিরদের ভয় কসরের জন্য শর্ত নয়, হযরত সায়্যিদুনা ইয়ালা ইবনে উমাইয়া হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُএর নিকট আরয করলেন: “আমরাতো নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছি, তারপরেও কেন আমরা কসর করবো?”বললেন: “এতে আমারও আশ্চর্যবোধ হয়েছিল তখন আমি রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলাম। হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহতাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: “তোমাদের জন্য এটা (কসর করা) আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে সদকা স্বরূপ, তোমরা তাঁর সদকা কবুল করে নাও।” (সহীহ মুসলিম, ১ম খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা)