আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭

হজ্বের মাসাইল: পর্ব ১৭- হাজীদের কুরবানী ও হলক করা

হজ্বের কোরবানীর ৭টি মাদানী ফুল

﴾১﴿ দশ তারিখে বড় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপের পর কোরবানীর স্থানে তাশরীফ নিয়ে যাবেন এবং কোরবানী করবেন। ইহা ঐ কোরবানী নয়, যা ঈদুল আযহার সময় করা হয় বরং হজ্বের শোকরিয়া স্বরূপ ‘হজ্বে কিরানকারী’এবং ‘তামাত্তুকারীর’ উপর এটা ওয়াজিব, যদিও সে ফকির হোক, আর ‘হজ্জে ইফরাদকারীর’জন্য এই কোরবানী মুস্তাহাব যদিও সে ধনী হোক। 

হাজীদের কুরবানী ও হলক করা 
﴾২﴿ এখানেও প্রাণীর জন্য ঐ শর্তসমূহ প্রযোজ্য, যা ঈদুল আযহার কোরবানীর জন্য প্রযোজ্য। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৪০ পৃষ্ঠা) যেমন ছাগল (এর হুকুমের মধ্যে ছাগী, দুম্বা, দুম্বী এবং ভেড়া, ভেড়ী সব অন্তর্ভূক্ত) এক বৎসর বয়সী হতে হবে। এর চেয়ে কম বয়সী হলে কোরবানী জায়েয হবে না। এক বছরের চাইতে বেশী বয়সী হলে জায়েয বরং উত্তম। হ্যাঁ তবে দুম্বা কিংবা ভেড়ার ছয় মাসের বাচ্চা যদি এতবড় হয় যে, দূর থেকে দেখতে এক বছর বয়সী মনে হয়, তাহলে তা দ্বারা কোরবানী জায়েয হবে। (দুররে মুখতার, ৯ম খন্ড, ৫৩৩ পৃষ্ঠা) স্মরণ রাখবেন! সাধারণত ছয় মাসের দুম্বার কোরবানী জায়েয নয়। (জায়েয হওয়ার জন্য) তা এতটুকু মোটা তাজা ও উঁচু হওয়া জরুরী যে, দূর থেকে দেখতে যেন এক বছরের পশুর মত লাগে। যদি ৬ মাস নয় বরং এক বছর থেকে ১ দিন কম বয়সী দুম্বা অথবা ভেড়ার বাচ্চা যদি দূর থেকে ১ বছর বয়সীর মত না লাগে, তবে তা দ্বারা কোরবানী হবে না। 

﴾৩﴿ যদি পশুর কানের তিন ভাগের এক অংশের বেশী কাটা হয়ে থাকে, তাহলে মূলত কোরবানী আদায় হবে না, আর যদি তিন ভাগের এক অংশ কিংবা তার চেয় কম কাটা হয়ে থাকে বা কান ছেড়া হয় অথবা কানের মধ্যে ছিদ্র থাকে, এধরনের কোন সাধারণ দোষত্রুটি থাকলে, তাহলে এ ধরনের প্রাণী দ্বারা কোরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে মাকরূহ (তানযিহী) হবে। 

﴾৪﴿ যদি যবেহ করতে জানেন, তাহলে নিজেই কোরবানী করবেন, কারণ ইহাই সুন্নাত। অন্যথায় যবেহের সময় উপস্থিত থাকবেন। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৪১ পৃষ্ঠা) অন্যকেও কোরবানী করার জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ করতে পারেন১৪। 

﴾৫﴿ উট দ্বারা কোরবানী করা উত্তম। কারণ আমাদের প্রিয় আক্বা صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বিদায় হজ্বের সময় নিজের হাত মোবারক দ্বারা ৬৩টি উট নহর (জবেহ) করেছেন, আর নবী করীম صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অনুমতিক্রমে অবশিষ্ট উট গুলো হযরত মাওলা আলী کَرَّمَ اللہُ تَعَالٰی وَجۡہَہُ الۡکَرِیۡم নহর করেন। (মুসলিম, ৬৩৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১২১৮) অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে যে, ছরকারে নামদার, মদীনার তাজদার صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট ৫টি অথবা ৬টি উট আনা হয়। তখন উট গুলোর মাঝেও এক ধরনের অবস্থা ছিল, আর তারা এভাবে সামনে অগ্রসর হচ্ছিল, যেন প্রতেকটি উটই চাচ্ছিল যে, প্রথমে আমার নহর হওয়ার সৌভাগ্য মিলে যায়। (আবু দাউদ, ২য় খন্ড, ২১১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৭৬৫)
হার এক ভি আরজু হে পেহলে মুঝকো জবেহ ফরমায়ে
তামাশা কর রহে হে মরনে ওয়ালে ঈদে কোরবা মে। (যওকে না’ত)

﴾৬﴿ উত্তম হচ্ছে যে, জবেহ করার সময় পশুর সামনের দুই হাত (পা), পিছনের এক পা বেঁধে নিন। জবেহ করার পর খুলে দিন। এই কোরবানী করে আপনার নিজের এবং সকল মুসলমানের হজ্ব ও কোরবানী কবুল হওয়ার (জন্য) দোআ করুন। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৪১ পৃষ্ঠা) 

﴾৭﴿ দশ তারিখে কোরবানী করা উত্তম। ১১ ও ১২ তারিখেও কোরবানী করতে পারেন। কিন্তু ১২ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে কোরবানীর সময় শেষ হয়ে যায়।
-------------------
১৫কোরবানীর মাসয়ালা সমূহ বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত “বাহারে শরীয়াত” ৩য় খন্ডের ৩২৭ নং পৃষ্ঠা হতে ৩৫৩ নং পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়ুন । এর সাথে মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত রিসালা “ঘোড়ার আরোহী” পড়ুন ।
-------------------

হাজী এবং ঈদুল আযহার কোরবানী

প্রশ্ন: হাজী সাহেব-সাহেবার উপর ঈদুল আযহার কোরবানী করা ওয়াজিব নাকি ওয়াজিব নয়?

উত্তর: মুকীম (স্থানীয়) ধনী হাজীর উপর ওয়াজিব, মুসাফির হাজীর উপর ওয়াজিব নয়। যদিও সে ধনী হোক। ঈদুল আযহার কোরবানী হেরেম শরীফের মধ্যে করা জরুরী নয়। নিজ দেশেও কাউকে বলে করিয়ে নিতে পারেন। অবশ্য দিন, তারিখ সময়ের খেয়াল রাখতে হবে যে, যেখানে কোরবানী করা হবে ওখানে এবং যেখানে কোরবানী দাতা আছেন সেখানেও উভয় স্থানে কোরবানীর দিন হতে হবে। মুকীম হাজীর উপর কোরবানী ওয়াজীব হওয়ার ব্যাপারে “আলবাহরুর রাঈক” কিতাবের মধ্যে রয়েছে: যদি হাজী সাহেব মুসাফির হয়, তবে তার উপর কোরবানী ওয়াজিব নয়। অন্যথায় সে (অর্থাৎ মুকীম হাজী) মক্কাবাসীর ন্যায় এবং (ধনী হওয়া অবস্থায়) তার উপর কোরবানী ওয়াজিব। (আল বাহরুর রাঈক, ২য় খন্ড, ৬০৬ পৃষ্ঠা) ওলামায়ে কেরাম যেই হাজীর উপর কোরবানী ওয়াজিব না হওয়ার কথা বলেছেন, তা দ্বারা ঐ হাজী উদ্দেশ্যে যিনি মুসাফির। সুতরাং ‘মাবসূত’ কিতাবে রয়েছে: কোরবানী শহরবাসীদের উপর ওয়াজিব, হাজীগণ ছাড়া, আর এখানে শহরবাসী দ্বারা মুকীম উদ্দেশ্য এবং হাজীগণ দ্বারা মুসাফির উদ্দেশ্য। মক্কাবাসীদের উপর কোরবানী ওয়াজিব যদিও তারা হজ্ব করে। (আল মবসূত লিস্‌সারাখসী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১২তম পর্ব, ২৪ পৃষ্ঠা)

কোরবানীর টোকেন

আজকাল অনেক হাজী সাহেব-সাহেবানরা ব্যাংকে কোরবানীর টাকা জমা করিয়ে টোকেন সংগ্রহ করে থাকেন। আপনি এরকম করবেন না। এসব যে কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোরবানী করানোর ক্ষেত্রে সরাসরি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা তামাত্তুকারী এবং কিরানকারীর জন্য এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব যে, প্রথমে রমী তথা কংকর নিক্ষেপ করবে। অতঃপর কোরবানী করবে। এরপরে হলক করবে। যদি এই ধারাবাহিকতার বিপরীত করে থাকে, তাহলে দম ওয়াজিব হয়ে যাবে। এখন ঐ প্রতিষ্ঠানকে আপনি টাকা জমা দিয়েছেন তারা যদি আপনার নামে কোরবানী দেওয়ার সময়ও যদি জানিয়ে দেয় তারপরও আপনার নিকট এ কথার সংবাদ পাওয়া সীমাহীন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে যে, আপনার কোরবানী সময়মত হয়েছে কিনা? যদি আপনি কোরবানীর পূর্বেই হলক তথা মাথা মুন্ডন করিয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপর ‘দম’ ওয়াজিব হয়ে যাবে। যে হাজী সাহেব এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোরবানী করাতে চায় তাকে এই ইখতিয়ার দেওয়া যায় যে, যদি তিনি নিজের কোরবানীর সঠিক সময় জানতে চায় তাহলে ৩০টি প্রাণীর উপর নিজের একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করে নিবে। অতঃপর তাকে বিশেষ পাশ দেওয়া হয়, আর তিনি গিয়ে সকলের কোরবানী সমূহ আদায় করার অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে পারেন। তবে এখানেও এই ত্রুটির সম্ভাবনা রয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটির মালিক লক্ষ লক্ষ প্রাণী ক্রয় করে এবং এগুলোর প্রত্যেকটি ত্রুটিমুক্ত হওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। অধিকাংশ (হজ্ব) ব্যবস্থাপকরাও সম্মিলিতভাবে কোরবানীর ব্যবস্থা করে থাকে, কিন্তু এক্ষেত্রেও অনেকের সুদঘুষের মত লেনদেনের খুব জঘন্য কালো হাত থাকে। সর্বোপরি যথার্থ এটাই হবে যে, নিজ কোরবানী নিজের হাতেই করা।

صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب! صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد

হলক এবং তাকছিরের ১৭টি মাদানী ফুল

হজ্ব ও ওমরায় ইহরাম খোলার সময় মাথা মুন্ডন করার ব্যাপারে নবী করীম صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুইটি ইরশাদ মোবারক: 

﴾১﴿ “মাথা মুন্ডন করার ক্ষেত্রে প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি নেকী (মিলবে) এবং একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (আত্‌তারগীব ওয়াত্‌তারহীব, ২য় খন্ড, ১৩৫ পৃষ্ঠা) 
﴾২﴿ “মাথা মুন্ডনের সময় যে চুল মাটিতে পড়বে। তা তোমার জন্য কিয়ামতের দিন নূর হবে।”(প্রাগুক্ত) 
﴾৩﴿ কোরবানী হতে অবসর হয়ে পুরুষেরা কিবলার দিকে মুখ করে হলক তথা মাথা মুন্ডন করবে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ মাথা মুন্ডাবে অথবা তাকসীর করবে। অর্থাৎ কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ মাথার চুল আঙ্গুলের গিরা বরাবর কেটে নিবে। দুই তিন স্থান থেকে কাঁচি দ্বারা কিছু চুল কেটে নিলে যথেষ্ট হবে না। 
﴾৪﴿ হলক করুন কিংবা তাকছির, তা ডান দিক হতে শুরু করবেন। 
﴾৫﴿ ইসলামী বোনেরা শুধুমাত্র তাকসীর করাবেন। অর্থাৎ মাথার এক চতুর্থাংশের প্রতিটি চুল হাতের আঙ্গুলের এক গিরা পর্যন্ত কাটিয়ে নিবে অথবা নিজেই কাঁচি দ্বারা কেটে নিবে। তাদের জন্য মাথা মুন্ডানো হারাম। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৪২ পৃষ্ঠা) (স্মরণ রাখবেন! মহিলাদের জন্য পর পুরুষ দ্বারা চুল কাটানো এমনকি তার সামনে নিজের চুল দেখানো (প্রকাশ করাও জায়েয নেই।) 
﴾৬﴿ হ্যাঁ! চুল যেহেতু ছোট বড় হয়ে থাকে, তাই এক গিরা হতে কিছু বেশী কাটাবেন। যাতে মাথার এক চতুর্থাংশের সকল চুল কমপক্ষে এক গিরার সমান কাটা যায়। 
﴾৭﴿ এখন আপনার ইহরাম হতে বের হয়ে আসার সময় চলে এসেছে, তাই আপনি মুহরিম ব্যক্তি (অর্থাৎ ইহরাম পরিহিত ব্যক্তি) নিজের অথবা অন্যের মাথা মুন্ডন কিংবা ক্বসর করতে পারবেন। যদিও অপর ব্যক্তিটি মুহরিম (ইহরাম ওয়ালা) হয়ে থাকে। 
﴾৮ হলক অথবা তাকছিরের পূর্বে যদি নখ কাটেন অথবা চেহারায় খত্‌ বানান, তাহলে কাফ্‌ফারা আবশ্যক হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় মাথা মুন্ডানোর পর মোঁচ কাটা নাভীর নিচের লোম পরিষ্কার করা মুস্তাহাব। 
 ﴾৯﴿ হলক অথবা তাকসীরের সময় হল কোরবানীর দিন সমূহ। অর্থাৎ জুলহিজ্জা মাসের ১০, ১১, ১২ তারিখ। তবে উত্তম হল জিলহাজ্জ মাসের ১০ তারিখ। যদি ১২ তারিখ পর্যন্ত হলক অথবা ক্বসর না করে থাকেন, তাহলে দম আবশ্যক হয়ে যাবে। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা। রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৬১৬ পৃষ্ঠা) 
﴾১০﴿ যার মাথায় চুল নেই, সৃষ্টিগতভাবে মাথায় টাক আছে তারও নিজের মাথার উপর ক্ষুর টেনে নেওয়া ওয়াজিব। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা) 
﴾১১﴿ যদি কারো মাথার উপর ফোঁড়া অথবা জখম ইত্যাদি থাকে, যার কারণে মাথা মুন্ডন করা সম্ভব হচ্ছে না, আর চুলও এত বড় হয়নি যে, কাটা সম্ভব হবে। তাহলে এ অপারগতার কারণে তার মাথা মুন্ডানো এবং চুল কাটার হুকুম বিলুপ্ত হয়ে গেল। তার জন্যও মাথা মুন্ডানো এবং চুল কাটানো ব্যক্তির মত সকল জিনিস হালাল হয়ে যাবে। তবে উত্তম হল, সে যেন কোরবানীর দিন সমূহ শেষ হওয়া পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকে। (প্রাগুক্ত) 
﴾১২﴿ হলক অথবা ক্বসর মীনা শরীফের মধ্যে করা সুন্নাত, আর হেরমের সীমানার মধ্যে করা ওয়াজিব। যদি হেরমের সীমানার বাহিরে করেন, তাহলে ‘দম’ ওয়াজিব হবে। (মীনা হেরমের সীমানার ভিতরে অবস্থিত।) 
﴾১৩﴿ হলক অথবা তাকছিরের সময় এই তাকবীরটি পড়তে থাকুন এবং বাক্যটি শেষ হলেও পড়ুন:

اَللہُ اَکْبَرُطاَللہُ اَکْبَرُط لَآاِلٰہَ اِلَّا اللہُ وَاللہُ اَکْبَرُط اَللہُ اَکْبَرُط وَلِلہِ الْحَمْدُ

﴾১৪﴿ (হলক বা তাকসীর থেকে) অবসর হওয়ার পর শুরু এবং শেষে দরূদ শরীফ পড়ে এই দোআটি পড়ুন:

اَللّٰھُمَّ اَثْبِتْ لِيْ لِکُلِّ شَعْرَةٍ حَسَنَةً وَّامْحُ عَنِّيْ بِهَا سَيِّئَةً وَّارْفَعْ لِيْ بِهَا عِنْدَکَ دَرَجَةً ط

অনুবাদ: ইয়া আল্লাহ! প্রতিটি চুলের বিনিময়ে তুমি আমার জন্য একটি নেকী লিখে দাও এবং একটি গুনাহ মুছে দাও, আর প্রতিটি চুলের বিনিময়ে আমার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি কর। (ইহ্‌ইয়াউল উলুম, ১ম খন্ড, ৩৪৩ পৃষ্ঠা) 
﴾১৫﴿ ইফরাদ হজ্বকারী যদি কোরবানী করতে চায়, তাহলে তার জন্য মুস্তাহাব হল; হলক অথবা তাকছির কোরবানীর পর করাবে। আর যদি হলকের পরে কোরবানী করে থাকে তাহলেও কোন অসুবিধা নেই। আর ‘তামাত্তু’ ও ‘কিরানকারীর’ জন্য হলক অথবা তাকছির কোরবানীর পরে করা ওয়াজিব। যদি হলক অথবা তাকছির পূর্বে করে নেয় তাহলে দম ওয়াজিব হবে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৪২ পৃষ্ঠা) 
﴾১৬﴿ চুল মাটির নিচে দাফন করে দিন, আর সবসময় শরীর থেকে যে সকল বস্তু যেমন: চুল (লোম ইত্যাদি), নখ, চামড়া আলাদা হলেই তা দাফন করে দিন। (প্রাগুক্ত, ১১৪৪ পৃষ্ঠা) 
﴾১৭﴿ হলক অথবা তাকছির হতে অবসর হওয়ার পর এখন স্ত্রী সহবাস করা, উত্তেজনা সহকারে তাকে ছোঁয়া, চুমু খাওয়া, লজ্জাস্থান দেখা ব্যতীত যে সকল কাজ ইহরামের কারণে হারাম ছিল তা সব হালাল হয়ে গেল। (প্রাগুক্ত)

صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب! صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for supporting.

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন