ইছালে সাওয়াব বা কারো জন্য সাওয়াব পৌঁছিয়ে দেবার জন্য অন্তরে নিয়্যত করে নেওয়াই যথেষ্ট। মনে করুন;আপনি কাউকে একটি টাকা দান করলেন কিংবা একবার দরূদ শরীফ পাঠ করলেন অথবা কাউকে একটি সুন্নাত শিখালেন নতুবা কাউকে ইন্ফিরাদি কৌশিশের মাধ্যমে নেকীর দাওয়াত দিলেন অথবা সুন্নাতে ভরা বয়ান করলেন। মোট কথা; যে কোন নেক কাজ করলেন, আপনি মনে মনে এভাবে নিয়্যত করে নিন: আমি এই মাত্র যে সুন্নাতটি শিক্ষা দিলাম, সেটির সাওয়াব তাজেদারে মদীনা, নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে পৌঁছে যাক। তবে اِنْ شَآءَ اللّٰہ عَزَّوَجَلَّ সাওয়াব পৌঁছে যাবে। তাছাড়া আরো যাদের জন্য নিয়্যত করবেন, তাদের কাছেও পৌঁছে যাবে। মনে মনে নিয়্যত করার সাথে সাথে মুখে উচ্চারণ করে নেওয়াও উত্তম। কেননা, এটি সাহাবীرَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ থেকে প্রমাণিত রয়েছে। যেমন;হযরত সা’আদ رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ এর হাদীস। তিনি কূপ খনন করে বলেছিলেন : هٰذِهٖ لِأُمِّ سَعد ‘অর্থাৎ এই কূপটি সা’আদের মায়ের জন্য’।
রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ফাতিহা ও ইছালে সাওয়াব কি?
মৃত আত্মীয়-স্বজনদেরকে স্বপ্নে দেখার উপায়
হযরত আল্লামা আবু আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ বিন আহমদ মালেকী কুরতুবী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বর্ণনা করেন: হযরত সায়্যিদুনা হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِএর খিদমতে হাজির হয়ে এক মহিলা আবেদন করলো, আমার যুবতী মেয়ে মারা গেছে। এমন কোন আমল আছে কি? যা করলে আমি তাকে স্বপ্নে দেখতে পাব। তিনি رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ মহিলাটিকে ঐ আমল বলে দিলেন। মহিলাটি তার মরহুমা কন্যাটিকে স্বপ্নে তো দেখলেন, কিন্তু এমন অবস্থায় দেখলেন যে, তার সারা শরীরে আলকাতরার পোষাক ছিলো। তার ঘাড়ে শিকল, আর পায়ে লোহার বেড়ি ছিলো। ভয়ানক এই দৃশ্য দেখে মহিলাটি কেঁপে উঠল! পরের দিন সে এসে হযরত সায়্যিদুনা হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ কে স্বপ্নের কথা বলল। স্বপ্নটি শুনে তিনি رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে গেলেন। কিছু দিন পর হযরত সায়্যিদুনা হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ এক মেয়েকে স্বপ্নে দেখলেন। মেয়েটি জান্নাতে একটি আসনে মাথায় তাজ পরে বসে আছে। তিনি رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ কে দেখে মেয়েটি বললো:আমি হলাম সেই মহিলাটিরই কন্যা, যিনি আপনাকে আমার অবস্থার কথা বলেছিলেন। তিনি رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বললেন: মহিলাটির কথা মত কন্যা তো আজাবে লিপ্ত ছিলো। তার এত বড় পরিবর্তন কীভাবে হলো? মরহুমা মেয়েটি বললো: কবরস্থানের পাশ দিয়ে একটি লোক যাচ্ছিলেন। লোকটি নবী করীম, রউফুর রহীম, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم র উপর দরূদ শরীফ পাঠ করেছিলেন। তাঁর সেই দরূদ শরীফ পাঠের বরকতে আল্লাহ তাআলা ৫৬০ জন কবরবাসীর উপর থেকে আযাব উঠিয়ে নিয়েছেন। (আত-তাযকিরাতু ফি আহওয়ালিল মাওতা ওয়া উমুরিল আখিরাতে, ১ম খন্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা)
জানাযা নামাযের পদ্ধতি ও গায়েবানা জানাযার বিধান (পর্ব ২)
জানাযার নামাযের পদ্ধতি (হানাফী)
মুক্তাদী এভাবে নিয়্যত করবে: আমি আল্লাহর ওয়াস্তে এই ইমামের পিছনে এই মৃত ব্যক্তির দোয়ার জন্য এই জানাযার নামাযের নিয়্যত করছি। (ফতোওয়ায়ে তাতারখানিয়্যাহ, ২য় খন্ড, ১৫৩ পৃষ্ঠা) এবার মুক্তাদী ও ইমাম উভয়ে প্রথমে কান পর্যন্ত হাত উঠাবেন এবং اَللهُ اَكْبَرُ বলে দ্রুত নিয়মানুযায়ী নাভীর নিচে হাত বেঁধে নিবেন এবং সানা পড়বেন। সানা পড়ার সময় وَ تَعَالٰى جَدُّكَ এরপর وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَ لَآ اِلٰهَ غَيْرُكَ ط পড়বেন। অতঃপর হাত উঠানো ব্যতীত اَللهُ اَكْبَرُ বলবেন, অতঃপর দুরূদে ইবরাহীম পড়বেন, এরপর হাত না উঠিয়ে আবার اَللهُ اَكْبَرُ বলবেন এবং দোয়া পাঠ করবেন (ইমাম সাহেব তাকবীর সমূহ উচ্চ আওয়াজে বলবেন আর মুক্তাদীগণ নিম্নস্বরে। বাকী দোয়া, যিকির আযকার ইত্যাদি ইমাম ও মুক্তাদী সকলেই নিম্নস্বরে পাঠ করবেন।) দোয়া পাঠ শেষে পুনরায় اَللهُ اَكْبَرُ বলবেন এবং হাত ছেড়ে দিবেন, অতঃপর উভয় দিকে সালাম ফিরাবেন।সালামে মৃত ব্যক্তি ফেরেশতাগণ এবং নামাযে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গদের নিয়্যত করবেন। ঐভাবে যেমন অন্যান্য নামাযের সালামে নিয়্যত করা হয়, এখানে এতটুকু কথা বেশি যে মৃত ব্যক্তিরও নিয়্যত করবেন। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৮২৯, ৮৩৫ পৃষ্ঠা)
বালিগ (প্রাপ্ত বয়স্ক) পুরুষ ও মহিলার জানাযার দোয়া
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَ مَيِّتِنَا وَ شَاهِدِنَا وَ غَآئِبِنَا وَ صَغِيْرِنَا وَ كَبِيْرِنَا وَ ذَكَرِنَا وَ اُنْثٰنَا ط اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَ حْيِهٖ عَلَى الْاِسْلَامِ وَ مَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَان
অনুবাদ: হে আল্লাহ! ক্ষমা করে দাও আমাদের প্রত্যেক জীবিতকে ও আমাদের প্রত্যেক মৃতকে, আমাদের প্রত্যেক উপস্থিতকে ও প্রত্যেক অনুপস্থিতকে, আমাদের ছোটদেরকে ও আমাদের বড়দেরকে, আমাদের পুরুষদেরকে ও আমাদের নারীদেরকে। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখবে তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো।আর আমাদের মধ্যে যাকে মৃত্যু দান করবে, তাকে ঈমানের উপর মৃত্যু দান করো। (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম, ১ম খন্ড, ৬৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস-১৩৬৬)
জানাযা নামাযের বিধান ও মাসআলা (পর্ব ১)
আল্লাহর ওলীর জানাযায় অংশগ্রহণ করার বরকত
এক ব্যক্তি হযরত সায়্যিদুনা সারী সাকতী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর জানাযার নামাযে অংশগ্রহণ করলেন। রাতে ঐ ব্যক্তির স্বপ্নে হযরত সায়্যিদুনা সারী সাকতী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর যিয়ারত নসীব হলো। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: مَا فَعَلَ اللهُ بِكَ؟ অর্থাৎ-আল্লাহ্ তাআলা আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন?
উত্তর দিলেন: আল্লাহ্ তাআলা আমাকে এবং আমার জানাযার নামাযে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ঐ ব্যক্তি আরয করলো: ইয়া সায়্যিদী! আমিওতো আপনার জানাযায় অংশগ্রহণ করে জানাযার নামায আদায় করেছিলাম। তখন তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ একটি তালিকা বের করলেন কিন্তু এতে ঐ ব্যক্তির নাম অন্তর্ভূক্ত ছিলো না, যখন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন তখন দেখা গেলো, তার নাম তালিকার পার্শ্বটিকাতে ছিলো। (তারিখে দামেশক লিইবনে আসাকির, ২০তম খন্ড, ১৯৮ পৃষ্ঠা) আল্লাহ্ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসেবে ক্ষমা হোক।
اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
কাযায়ে ওমরী আদায় করার নিয়ম
প্রত্যেক দিনের কাযা হয় মাত্র ২০ রাকাত। ফজরের ২ রাকাত, জোহরের ৪ রাকাত, আছরের ৪ রাকাত, মাগরিবের ৩ রাকাত, ইশার ৪ রাকাত এবং বিতরের ৩ রাকাত মিলে মোট ২০ রাকাত। আর এভাবেই নিয়্যত করবে যে; “সর্বপ্রথম ফযরের যে নামায আমার উপর কাযা রয়েছে তা আমি আদায় করে দিচ্ছি।” প্রত্যেক নামাযে এভাবেই নিয়্যত করবে। আর যার যিম্মায় অধিক নামায কাযা রয়েছে সে সহজের জন্য এভাবে পড়লেও জায়েয হবে যে, প্রত্যেক রুকু ও সিজদাতে ৩+৩ বার سُبْحٰنَ رَبِّىَ الْعَظِيْم, سُبْحٰنَ رَبِّىَ الْاَ عْلٰى পড়ার পরিবর্তে মাত্র ১+১ বার পড়বে। কিন্তু সর্বদা এবং সব ধরণের নামাযে এটা খেয়াল রাখা বাঞ্চনীয় যে, রুকুতে পরিপূর্ণভাবে পৌঁছার পরেই “سُبْحٰنَ”এর সীন শুরু করবে (এর আগে নয়।) এবং “عَظِيْم” শব্দের মীম পড়া শেষ করেই রুকু থেকে মাথা উঠাবে। এরূপ সিজদাতেও করতে হবে। সহজতার এক পদ্ধতিতো এটা হলো। আর “দ্বিতীয় পদ্ধতি” এই যে, ফরয নামায সমূহের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতের মধ্যে اَلْحَمْدُ পড়ার পরিবর্তে শুধুমাত্র ৩ বার সুবহানাল্লাহ পড়ে রুকুতে চলে যাবে। কিন্তু বিতরের প্রত্যেক রাকাতেই اَلْحَمْدُ এবং সুরা অবশ্যই পড়তে হবে। আর “তৃতীয় সহজতর পদ্ধতি” এই যে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাত এর পরে উভয় দরূদ শরীফ এবং দোয়ায়ে মাছুরার পরিবর্তে শুধু اَللّٰہُمَّ صَلِّ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّاٰلِهٖ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিবে। আর “চতুর্থ সহজতর পদ্ধতি হলো, বিতরের ৩য় রাকাতের মধ্যে দোয়ায়ে কুনুত এর পরিবর্তে “اَللهُ اَکْبَرُ” বলে মাত্র একবার কিংবা তিনবার رَبِّ اغْفِرْ لِىْ পড়ে নিবে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া হতে সংগৃহীত, ৮ম খন্ড, ১৫৭ পৃষ্ঠা)
মনে রাখবেন! সহজতার এই পদ্ধতির অভ্যাস কখনো বানাবেন না। সামগ্রিক নামায সুন্নাত মোতাবেক আদায় করবেন এবং তাতে ফরয, ওয়াজীব সমূহের সাথে সাথে সুন্নাত ও মুস্তাহাব সমূহের ও খেয়াল রাখবেন।
তওবার পদ্ধতি ও কাযায়ে ওমরী আদায় করার পদ্ধতি
সদরুল আফাযিল হযরত আল্লামা সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী رَحۡمَۃُ اللہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: তাওবার রুকন তিনটি। যথা-
(১) কৃত পাপ স্বীকার করা।
(২) এতে লজ্জিত হওয়া।
(৩) ঐ গুনাহের কাজ ছেড়ে দেয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। আর যদি ঐ গুনাহের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে পরবর্তীতে যথাযথভাবে তা ক্ষতিপূরণ করে নেয়া আবশ্যক। যেমন- নামায ত্যাগকারী ব্যক্তির তাওবা শুদ্ধ হওয়ার জন্য ঐ নামায কাযা আদায় করে নেয়া জরুরী। (খাযায়েনুল ইরফান, ১২ পৃষ্ঠা)
(১) কৃত পাপ স্বীকার করা।
(২) এতে লজ্জিত হওয়া।
(৩) ঐ গুনাহের কাজ ছেড়ে দেয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। আর যদি ঐ গুনাহের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে পরবর্তীতে যথাযথভাবে তা ক্ষতিপূরণ করে নেয়া আবশ্যক। যেমন- নামায ত্যাগকারী ব্যক্তির তাওবা শুদ্ধ হওয়ার জন্য ঐ নামায কাযা আদায় করে নেয়া জরুরী। (খাযায়েনুল ইরফান, ১২ পৃষ্ঠা)
ঘুমন্ত ব্যক্তিকে নামাযের জন্য জাগিয়ে দেয়া ওয়াজিব
কেউ ঘুমাচ্ছে কিংবা নামায আদায় করতে ভুলে গিয়েছে তবে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জ্ঞাত ব্যক্তির জন্য জরুরী হবে যে, ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগিয়ে দেয়া কিংবা ভুলে যাওয়া ব্যক্তিকে নামাযের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া। (বাহারে শরীয়াত, ১মখন্ড, ৭০১পৃষ্ঠা) (অন্যথায় সে গুনাহগার হবে।) মনে রাখবেন! জাগ্রত করা কিংবা স্মরণ করিয়ে দেয়া তখনই ওয়াজীব হবে, যখন আপনার প্রবল ধারণা হয় যে, এ ব্যক্তি অবশ্যই নামায পড়বে অন্যথায় ওয়াজীব নয়।
কাযা নামাযের পদ্ধতি
৩০ পারায় (সুরাতুল মাঊন) এর আয়াত নং ৪ ও ৫ এ ইরশাদ হচ্ছে:
فَوَیۡلٌ لِّلۡمُصَلِّیۡنَ ۙ﴿۴﴾ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَنۡ صَلَاتِہِمۡ سَاہُوۡنَ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং ঐ সকল নামাযীদের জন্য অনিষ্ট রয়েছে, যারা আপন নামায থেকে ভুলে বসেছে।
প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী ইয়ার খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ সূরা মাঊন এর ৫নং আয়াতের টীকায় বলেন: নামায থেকে ভুলে বসার কিছু ধরণ রয়েছে: কখনো না পড়া, নিয়মিত ভাবে নামায না পড়া, নির্ধারিত সময়ে নামায না পড়া, শুদ্ধভাবে নামায না পড়া, আগ্রহ ভরে না পড়া, বুঝে-শুনে নামায আদায় না করা, অলসতা ও বেপরোয়া ভাবে নামায আদায় করা। (নূরুল ইরফান, ৯৫৮ পৃষ্ঠা)
জাহান্নামের ভয়ানক উপত্যকা
সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরীকা হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: জাহান্নামে “ওয়াইল” নামের একটি ভয়ানক উপত্যকা রয়েছে, যার ভয়াবহতা থেকে স্বয়ং জাহান্নামও আশ্রয় প্রার্থনা করে। আর জেনে বুঝে নামায কাযা কারীরাই ঐ স্থানের যোগ্য। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩৪৮ পৃষ্ঠা)
মুসাফিরের নামায
আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার ১০১ নং আয়াতে ইরশাদ করেন:
وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ ٭ۖ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَنۡ یَّفۡتِنَکُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ اِنَّ الۡکٰفِرِیۡنَ کَانُوۡا لَکُمۡ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا ﴿۱۰۱﴾
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং যখন তোমরা যমীনে সফর করো তখন তোমাদের এতে গুনাহ নেই যে, কোন কোন নামায ‘কসর’ করে পড়বে;যদি তোমাদের আশংকা হয় যে, কাফিররা তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। নিশ্চয় কাফিরগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পারা-৫, সূরা-নিসা, আয়াত- ১০১)
সদরুল আফাযিল হযরত আল্লামা মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: কাফিরদের ভয় কসরের জন্য শর্ত নয়, হযরত সায়্যিদুনা ইয়ালা ইবনে উমাইয়া হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُএর নিকট আরয করলেন: “আমরাতো নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছি, তারপরেও কেন আমরা কসর করবো?”বললেন: “এতে আমারও আশ্চর্যবোধ হয়েছিল তখন আমি রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলাম। হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহতাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: “তোমাদের জন্য এটা (কসর করা) আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে সদকা স্বরূপ, তোমরা তাঁর সদকা কবুল করে নাও।” (সহীহ মুসলিম, ১ম খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা)
সিজদায়ে সাহু ও তিলাওয়াতে সিজদার বর্ণনা
(১) নামাযের ওয়াজীবগুলোর মধ্য থেকে যদি কোন একটি ওয়াজীব ভুলে বাদ পড়ে যায় অথবা নামাযের ফরয ও ওয়াজীব সমূহে ভুলক্রমে দেরী হয়ে যায় তবে সিজদায়ে সাহু ওয়াজীব। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৬৫৫ পৃষ্ঠা)
(২) যদি সিজদায়ে সাহু ওয়াজীব হওয়া সত্ত্বেও করলো না, তবে নামায পুনরায় পড়া ওয়াজীব। (প্রাগুক্ত)
(২) যদি সিজদায়ে সাহু ওয়াজীব হওয়া সত্ত্বেও করলো না, তবে নামায পুনরায় পড়া ওয়াজীব। (প্রাগুক্ত)
(৩) ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়াজীব বর্জন করলো, তবে সিজদায়ে সাহু দিলে যথেষ্ট হবে না। পুনরায় নামায আদায় করে দেওয়া ওয়াজীব।
ইমামত ও জামাআতের বর্ণনা
সুস্থ সবল ব্যক্তির ইমামের জন্য ছয়টি শর্ত
(১) বিশুদ্ধ আকীদা সম্পন্ন মুসলমান হওয়া,
(২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া,
(৩) বিবেকবান হওয়া,
(৪) পুরুষ হওয়া,
(৫) কিরাত বিশুদ্ধ হওয়া,
(৬) মা’যুর না হওয়া (শরয়ী ভাবে অক্ষম না হওয়া) । (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ২৮৪ পৃষ্ঠা)
(২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া,
(৩) বিবেকবান হওয়া,
(৪) পুরুষ হওয়া,
(৫) কিরাত বিশুদ্ধ হওয়া,
(৬) মা’যুর না হওয়া (শরয়ী ভাবে অক্ষম না হওয়া) । (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ২৮৪ পৃষ্ঠা)
ইমামের অনুসরণ করার ১৩টি শর্ত
(১) নিয়্যত করা
(২) ইক্তিদা করা আর ইক্তিদার নিয়্যত তাহরীমার সাথে হওয়া অথবা তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে হওয়া তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো, নিয়্যত ও তাহরীমার মাঝখানে অন্য কোন বাহ্যিক কাজ দ্বারা যেন ব্যবধান সৃষ্টি না হয়)
(২) ইক্তিদা করা আর ইক্তিদার নিয়্যত তাহরীমার সাথে হওয়া অথবা তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে হওয়া তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো, নিয়্যত ও তাহরীমার মাঝখানে অন্য কোন বাহ্যিক কাজ দ্বারা যেন ব্যবধান সৃষ্টি না হয়)
শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
নামাযের ৩৩টি মাকরূহে তানযীহী
(১) অন্য কাপড় থাকা সত্ত্বেও কাজ কর্মের পোষাকে নামায আদায় করা। (গুনিয়াতুল মুসতামলা, ৩৩৭ পৃষ্ঠা) মুখে এমন কোন জিনিস রাখা যার দ্বারা কিরাতই পড়া সম্ভব হয় না কিংবা এমন শব্দাবলী বের হয়ে যায় যা কুরআনে পাকের নয় তাহলে নামাযই ভঙ্গ হয়ে যাবে। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার)
(২) অলসতাবশতঃ খালি মাথায় নামায আদায় করা। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১০৬ পৃষ্ঠা) নামাযরত অবস্থায় টুপি কিংবা ইমামা শরীফ পড়ে গেলে তা উঠিয়ে নেয়া উত্তম, যদি “আমলে কসীর” এর প্রয়োজন না হয়। “আমলে কসীর” করতে হলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর বার বার উঠাতে হলে তবে তা পতিত অবস্থায় রেখে দিন। না উঠানোতে যদি একাগ্রতা ও বিনয় প্রকাশ উদ্দেশ্য হয় তাহলে না উঠানোই উত্তম। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৪৯১ পৃষ্ঠা) যদি কাউকে খালি মাথায় নামায আদায় করতে দেখা যায় বা তার টুপি পড়ে যায় তাহলে তাকে অপর ব্যক্তি টুপি পরিয়ে দেবেন না।
নামাযের ৩২টি মাকরূহে তাহরীমা
(১) নামাযরত অবস্থায় দাঁড়ি, শরীর কিংবা কাপড় ইত্যাদি নিয়ে খেলা করা। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১০৪ পৃষ্ঠা)
(২) কাপড় গুটিয়ে নেয়া (যেমন-আজকাল কিছু কিছু লোক সিজদাতে যাওয়ার সময় পায়জামা ইত্যাদি সামনে অথবা পিছনের দিকে উঠিয়ে নেয়। (গুনিয়াতুল মুসতামলা, ৩৩৭ পৃষ্ঠা) হ্যাঁ! যদি কাপড় শরীরের সাথে লেগে যায় তবে এক হাতে ছাড়িয়ে নিলে কোন ক্ষতি নেই।
কাঁধের উপর চাদর ঝুলানো
(৩) সাদল অর্থাৎ কাপড় ঝুলানো। যেমন- মাথা অথবা কাঁধে এমনভাবে চাদর বা রুমাল ইত্যাদি রাখা যে উভয় পার্শ্ব ঝুলতে থাকে। অবশ্য যদি এক পার্শ্বকে অপর কাঁধের উপর তুলে দেয় এবং অপরটি ঝুলতে থাকে, তবে ক্ষতি নেই। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৪৮৮ পৃষ্ঠা)
(৪) আজকাল কিছু সংখ্যক লোক এক কাঁধের উপর এভাবে রুমাল রাখে যে, তার এক প্রান্ত পেটের উপর অপর প্রান্ত পিঠের উপর ঝুলতে থাকে এভাবে নামায আদায় করা মাকরূহে তাহরীমী। (বাহারে শরীয়াত, ৩য় অংশ, ১৬৫ পৃষ্ঠা)
(৫) উভয় আস্তীন হতে একটি আস্তীনও যদি অর্ধ কব্জি অপেক্ষা বেশি উঠে থাকে তবে নামায মাকরূহে তাহরীমী হবে। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৪৯০ পৃষ্ঠা)
বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
নামায ভঙ্গকারী ২৯টি বিষয়
(১) কথাবার্তা বলা। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৪৪৫ পৃষ্ঠা)
(২) কাউকে সালাম করা
(৩) সালামের উত্তর দেয়া। (তাহতাবী পাদটিকা সম্বলিত মারাক্বিউল ফালাহ, ৩২২ পৃষ্ঠা)
(৪) হাঁচির উত্তর দেয়া। (নামাযে নিজের হাঁচি আসলে চুপ থাকবেন।) যদি “اَلْحَمْدُ لِلّٰه” বলেও ফেলেন তবু কোন অসুবিধা নেই আর যদি ঐ সময় তা না বলে থাকেন তবে নামায শেষ করে বলবেন (আলমগিরী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৮)
(৫) সুসংবাদ শুনে উত্তরে “اَلْحَمْدُ لِلّٰه”বলা। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৯)
(৬) খারাপ সংবাদ (যেমন কারো মৃত্যুর সংবাদ) শুনে اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَ বলা। (প্রাগুক্ত)
(৭) আযানের উত্তর দেয়া। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১০০)
(৮) আল্লাহ তাআলার নাম শুনে উত্তরে جَلَّ جَلَا لُه ٗ বলা। (গুনিয়াতুল মুসতামলা, ৪২০ পৃষ্ঠা)
(৯) নবী করীম, রউফর রহীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মহান নাম শুনে উত্তরে দরূদ শরীফ পড়া। (যেমন- صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বলা) (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ৯৯ পৃষ্ঠা) (অবশ্য যদি جَلَّ جَلَا لُه ٗ বা صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এ কথা গুলো উত্তরের নিয়্যতে না বলে থাকলে নামায ভঙ্গ হবে না।)
নামাযে কান্না করা
নামাযের প্রায় ১৪টি মুস্তাহাব
(১) নিয়্যতের শব্দ সমূহ মুখে উচ্চারণ করা। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত তানবীরুল আবছার, ২য় খন্ড, ১১৩ পৃষ্ঠা) (এটা অর্থবহ তখনই হবে যখন অন্তরে নিয়্যত থাকে অন্যথায় নামাযই হবে না।)
(২) কিয়ামের মধ্যে উভয় পায়ের গোড়ালীর মধ্যভাগে চার আঙ্গুলের দূরত্ব থাকা। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
(৩) কিয়াম অবস্থায় সিজদার স্থানে
(৪) রুকূ অবস্থায় উভয় পায়ের পিঠের উপর
(৫) সিজদাতে নাকের দিকে
(৬) বৈঠকে কোলের উপর
(৭) প্রথম সালামে ডান কাঁধের দিকে এবং
(৮) দ্বিতীয় সালামে বাম কাঁধের দিকে দৃষ্টি রাখা। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত তানবীরুল আবছার, ২য় খন্ড, ২১৪ পৃষ্ঠা)
(৯) একাকী নামায আদায়কারী রুকূ ও সিজদার মধ্যে বিজোড় সংখ্যায় তিনবারের বেশি (যেমন- ৫, ৭, ৯ ইত্যাদি) তাসবীহ বলা। (রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ২৪২ পৃষ্ঠা)
(১০) হিলইয়া ও অন্যান্য কিতাবে রয়েছে, হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ প্রমুখ থেকে বর্ণিত আছে যে, ইমামের জন্য তাসবীহ পাঁচবার বলা মুস্তাহাব।
নামাযের ফযিলত ও কাযা করার শাস্তি
মদীনার তাজেদার, মাহবুবে গাফ্ফার, শাহানশাহে আবরার, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নামাযের পর হামদ ও সানা অর্থাৎ আল্লাহ্ তাআলার প্রশংসা, গুণকীর্তন ও দরূদ শরীফ পাঠকারীকে ইরশাদ করেন: “দোয়া করো কবুল করা হবে, প্রার্থনা করো প্রদান করা হবে।” (সুনানে নাসাঈ, ১ম খন্ড, ১৮৯ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কুরআন ও হাদীসের মধ্যে নামায আদায় করার অগণীত ফযীলত এবং নামায বর্জন করার কঠিন শাস্তির কথা বর্ণিত রয়েছে। যেমন-পারা ২৮ ‘সূরা মুনাফিকুন’ এর আয়াত নং ৯ এর মধ্যে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন:
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُلۡہِکُمۡ اَمۡوَالُکُمۡ وَ لَاۤ اَوۡلَادُکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۹﴾
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ধন সম্পদ, না তোমাদের সন্তান-সন্ততি কোন কিছুই যেন তোমাদের আল্লাহর যিকির (স্মরণ) থেকে উদাসীন না করে;এবং যে কেউ তেমন করে তবে ঐ সমস্ত লোক ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
পোস্ট শ্রেণি
অযু-গোসল-পবিত্রতা
(12)
আপডেট চলমান
(25)
আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী
(6)
আমাদের প্রিয় নবী ﷺ
(5)
আরবি মাস ও ফযীলত
(11)
ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা
(6)
ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র
(4)
ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায
(5)
উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ
(4)
কুরআন-তাফসীর ও হাদিস
(16)
কুরবানী
(6)
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন
(14)
জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত
(8)
নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী
(8)
নামায
(17)
পর্দা ও লজ্জাশীলতা
(16)
ফয়যানে জুমা
(3)
বদ আমল ও গুনাহের কাজ
(3)
মওত-কবর-হাশর ও আযাব
(12)
মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর
(15)
মাসাইল
(21)
যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান
(1)
রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত
(9)
সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল
(41)
হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা
(27)