৩০ পারায় (সুরাতুল মাঊন) এর আয়াত নং ৪ ও ৫ এ ইরশাদ হচ্ছে:
فَوَیۡلٌ لِّلۡمُصَلِّیۡنَ ۙ﴿۴﴾ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَنۡ صَلَاتِہِمۡ سَاہُوۡنَ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং ঐ সকল নামাযীদের জন্য অনিষ্ট রয়েছে, যারা আপন নামায থেকে ভুলে বসেছে।
প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী ইয়ার খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ সূরা মাঊন এর ৫নং আয়াতের টীকায় বলেন: নামায থেকে ভুলে বসার কিছু ধরণ রয়েছে: কখনো না পড়া, নিয়মিত ভাবে নামায না পড়া, নির্ধারিত সময়ে নামায না পড়া, শুদ্ধভাবে নামায না পড়া, আগ্রহ ভরে না পড়া, বুঝে-শুনে নামায আদায় না করা, অলসতা ও বেপরোয়া ভাবে নামায আদায় করা। (নূরুল ইরফান, ৯৫৮ পৃষ্ঠা)
জাহান্নামের ভয়ানক উপত্যকা
সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরীকা হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: জাহান্নামে “ওয়াইল” নামের একটি ভয়ানক উপত্যকা রয়েছে, যার ভয়াবহতা থেকে স্বয়ং জাহান্নামও আশ্রয় প্রার্থনা করে। আর জেনে বুঝে নামায কাযা কারীরাই ঐ স্থানের যোগ্য। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩৪৮ পৃষ্ঠা)