যার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। কিন্তু নফল হজ্বের জন্য কোন শর্ত নেই। ইহা তো ইছালে সাওয়াবের একটি পদ্ধতি মাত্র। আর ঈসালে সাওয়াব ফরয নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত, সদকা এবং দান খয়রাত ইত্যাদি সর্ব প্রকার আমলের হতে পারে। তাই যদি নিজের মৃত মা-বাবা ও অন্যান্যদের পক্ষ থেকে আপনি আপনার ইচ্ছায় হজ্ব করতে চান, অর্থাৎ তাদের উপর যা ফরযও ছিলনা আবার তারা অছিয়তও করেনি, তাহলে এর জন্য কোন রকম শর্ত নেই। হজ্বের ইহরাম পিতা অথবা মাতার পক্ষ হতে নিয়্যত করে বেঁধে নিন এবং হজ্বের যাবতীয় বিধানাবলী আদায় করে নিন। এই পদ্ধতিতে এ উপকার অর্জন হবে যে, তার (অর্থাৎ যার পক্ষ থেকে হজ্ব করা হয়েছে) নিকট একটি হজ্জের সাওয়াব মিলবে এবং হজ্ব আদায়কারীকে হাদীসের হুকুম অনুযায়ী দশটি হজ্বের সাওয়াব দান করা হবে। (দারু কুতনী, ২য় খন্ড, ৩২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২৫৭৮) তাই যখনই নফল হজ্ব করবেন তখনই উত্তম হল যে, পিতা অথবা মাতার পক্ষ থেকে আদায় করবেন। মনে রাখবেন! ইছালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে করা হজ্বে তামাত্তু অথবা হজ্বে কিরান এর কোরবানী করা ওয়াজিব, আর হজ্বকারী স্বয়ং নিজের নিয়্যতে তা করবে এবং এর ইছালে সাওয়াব করে দিবে।
বদলী হজ্ব |
বদলী হজ্বের ১৭টি শর্তাবলী
যে সকল মানুষের উপর হজ্ব ফরয হয়েছে, তাদের বদলী হজ্বের জন্য যে সকল শর্তাবলী রয়েছে তা এখন উল্লেখ করা হচ্ছে:-