আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ইমাম হোসাইন এর কারামত (১)

এ রিসালা পাঠ করার ২১টি নিয়্যত

নবী করীম نِيَّةُ المُؤْمِنِ خَيْرٌ مِنْ عَمَلِه অর্থাৎ “মুসলমানের নিয়্যত তার আমলের চেয়ে উত্তম।” (তাবারানী, মুজামে কবীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৮৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৫৯৪২)

দুইটি মাদানী ফুল

  • ভাল নিয়্যত ব্যতীত কোন ভাল কাজের সাওয়াব অর্জিত হয় না।
  • ভাল নিয়্যত যত বেশি হবে, সাওয়াবও তত বেশি হবে।
(১) প্রত্যেকবার হামদ, 
(২) দরূদ শরীফ, 
(৩) তা’আউয়ূজ ও
(৪) তাসমিয়্যাহ দ্বারা রিসালাটি পাঠ করা শুরু করব। (এ পৃষ্ঠার উপরে প্রদত্ত আরবী ইবারতটুকু পাঠ করলে এ চারটি নিয়্যতের উপরই আমল হয়ে যাবে।) 
(৫) আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে রিসালাটি শুরু থেকে শেষ পযন্ত সম্পূর্ণ পাঠ করব, 
(৬) সামর্থ্য অনুযায়ী সম্ভব হলে ওযু সহকারে এবং, 
(৭) কিবলামুখী হয়েই পাঠ করব, 
(৮) কুরআনের আয়াত এবং
(৯) হাদীসে মোবারাকা মূল কিতাবের সাথে মিলিয়ে দেখব।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মুহাররম ও আশুরার দিনের ফযীলত ও রোযা

আশুরার দিনের ২৫টি বৈশিষ্ট্য

(১) ১০ই মুহাররামুল হারাম আশুরার দিন হযরত সায়্যিদুনা আদম ছফিউল্লাহ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর তাওবা কবুল হয়েছিল, 
(২) সে দিনই আদম عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, 
(৩) সে দিনই আদম عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল, 
(৪) সেদিনই আরশ, 
(৫) কুরসী, 
(৬) আসমান, 
(৭) জমিন, 
(৮) সূর্য, 
(৯) চন্দ্র, 
(১০) নক্ষত্র ও 
(১১) জান্নাত সৃষ্টি করা হয়েছিল, 

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বসন্তের প্রভাত: মিলাদুন্নবী (০২)

দা’ওয়াতে ইসলামী ও জশ্নে বিলাদতে মুস্তফা

কুরআন ও সুন্নাত প্রচারের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক সংগঠন “দা’ওয়াতে ইসলামী”র জশনে বিলাদতে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উদযাপনে নিজেদের একটি নিজস্ব পন্থা রয়েছে। পৃথিবীর অগণিত দেশে দা’ওয়াতে ইসলামীর ব্যবস্থাপনায় ঈদে মিলাদুন্নবী صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم রাতে আজিমুশ্শান ইজতিমায়ে মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বিশাল ইজতিমায়ে মিলাদ এর মাহফিল বাবুল মদীনা করাচীতে অনুষ্ঠিত হয়। তার বরকতের কথা কি বলব! এখানে অংশগ্রহণকারীরা জানি না কত সৌভাগ্যবানদের জীবনে মাদানী ইনকিলাব (পরিবর্তন) হয়েছে। এতদ্প্রসঙ্গে চারটি মাদানী বাহার আপনাদের সামনে পেশ করছি।

(১) পাপের চিকিৎসা মিলে গেল

একজন নবী প্রেমিকের কিছুটা এরূপ বর্ণনা যে: “ঈদে মিলাদুন্নবী” صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রাতে বাবুল মদীনা করাচী ‘কাকরী গ্রাউন্ডে’ অনুষ্ঠিত ইজতিমায়ে মিলাদ (১৪২৬ হিঃ) এ আমার পরিচিত একজন প্রসিদ্ধ বেনামাযী মডার্ণ যুবক অংশগ্রহণ করে। বসন্তের সকালের (১২ই রবিউল আউয়াল) আগমণের সময় দুরূদ সালামের আওয়াজ এবং মারহাবা ইয়া মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুললিত চিৎকারে তার অন্তরের জগতে পরিবর্তন এসে গেল। সৎকাজের প্রতি মুহাব্বত এবং অসৎ কাজে ঘৃণা চলে আসল। তিনি সাথে সাথেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পাবন্দী ও দাঁড়ি রাখার নিয়্যত করলেন, আর বাস্তবিকই শেষ পর্যন্ত তিনি নামাযী ও দাঁড়িওয়ালা হয়ে গেলেন। এছাড়াও তার ভিতর এমন এক মন্দ স্বভাব ছিল, যা এখানে আলোচনা করা আমি ভাল মনে করছি না। ইজতিমায়ে মিলাদের বরকতে اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَلّ তার ঐ মন্দ অভ্যাসও দূর হয়ে গেল। অন্যভাবে যদি বলতে চান তাহলে এভাবে বলতে হয়, ইজতিমায়ে মিলাদে অংশগ্রহণের বদৌলতে পাপীদের গুণাহের চিকিৎসা মিলে যায়।
মাংলো মাংলো উনকা গম মাংলো, চশমে রহমত নিগাহে করম মাংলো।
মাসিয়ত কি দাওয়া লা জারাম মাংলো, মাংনে কা মজা আজ কি রাত হে।

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বসন্তের প্রভাত: ঈদে মিলাদুন্নবী

মাহে রবিউন্ নূর তথা রবিউল আউয়াল শরীফ আসতেই চতুর্দিকে বসন্তকাল আগমন করে। প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা এর আশিকদের অন্তরে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। বৃদ্ধ হোক কিংবা যুবক, প্রত্যেক প্রকৃত মুসলমান যেন অন্তরের মুখ দিয়ে অন্তরের ভাষায় বলে উঠে:-

নিছার তেরী চেহেল পেহেল পর হাজার ঈদে রবিউল আউয়াল,
সিওয়ায়ে ইবলিস কে জাহা মে সবহি তো খুশিয়া মানা রহে হে।

যখন সমগ্র বিশ্ব কুফরী, শিরক, পশুত্ব, বর্বরতার ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল ঠিক তখনি ১২ই রবিউন নুর এর রাতে মক্কায়ে মোকাররমায় হযরত সায়্যিদাতুনা মা আমিনা رضى الله عنها এর পবিত্র ঘর থেকে এমন এক নূরের জ্যোতি বিচ্ছুরিত হল, যা সমগ্র বিশ্ব জগতকে আলোকিত করে দিল। ভুলুণ্ঠিত মানবতা যার আগমনের প্রতীক্ষায় ব্যাকুল ছিল, তাজেদারে মদীনা, রহমতের খযিনা, আল্লাহর প্রিয় মাহবুব صلى الله عليه وسلم সমগ্র বিশ্ব জগতের জন্য রহমত হয়ে এই পৃথিবীতে শুভাগমণ করলেন।

মোবারক হো কেহ খাতামুল মুরসালিন তাশরিফ লে আয়ে,
জনাবে রাহমাতুল্লিল আলামিন তাশরিফ লে আয়ে।

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ইমাম আহমদ রযার সংক্ষিপ্ত জীবনী

শুভ জন্ম

আমার আক্বা আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, ওলীয়ে নেয়ামত, আযিমুল বারকাত, আযিমুল মারতাবাত, পারওয়ানায়ে শময়ে রিসালাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, হামিয়ে সুন্নাত, মাহিয়ে বিদ্আত, আলিমে শরীয়াত, পীরে তরীকত, বায়িছে খাইর ও বরকত, হযরত আল্লামা মাওলানা আল হাজ্ব, আল হাফিজ, আল ক্বারী, শাহ্ ইমাম আহমদ রযা খান رحمة الله عليه ১০ ই শাওয়াল ১২৭২ হিজরী, ১৪ই জুন ১৮৫৬ ইং রোজ শনিবার যোহরের সময় বেরেলী শহরের যাচুলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম বৎসরের হিসাবে তাঁর ঐতিহাসিক নাম ‘আল মুখতার’ (১২৭২ হিঃ) (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ৫৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)

আ‘লা হযরতের জন্ম সাল

আমার আক্বা আ’লা হযরত رحمة الله عليه নিজের জন্ম সাল ২৮ পারার সূরাতুল মুজাদালার ২২ নং আয়াত থেকে বের করেন। এই আয়াতে করীমার ‘ইলমে আবজাদ’ মোতাবেক সংখ্যা ১২৭২ আর হিজরী সাল মোতাবেক এটাই তাঁর জন্ম সাল। যেমন: মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত “মলফুজাতে আ’লা হযরত” এর ৪১০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে: জন্মের তারিখ সমূহের আলোচনা ছিল এবং এর উপর (সায়্যিদী আ’লা হযরত বলেন: আল্লাহ তাআলার জন্য সকল প্রশংসা আমার জন্ম তারিখ এই আয়াতে করীমায় বিদ্যমান: 
أُولَٰئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مِّنْهُ :আয়াত
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ- “এরা ঐসব লোক যাদের অন্তরগুলোতে আল্লাহ ঈমান অংকিত করে দিয়েছেন এবং তাঁর নিকট থেকে রূহ দ্বারা তাঁদের সাহায্য করেছেন।”

তাঁর নাম মোবারক ছিল মুহাম্মদ। কিন্তু তাঁর পিতামহ তাঁকে আহমদ রযা বলে ডাকতেন বিধায় তিনি ঐ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

২৮ টি কুফরী বাক্য

অভাব-অনটন, রোগ-শোক, মানসিক কষ্ট এবং আপন জনের মৃত্যুতে অনেক লোক আঘাতের আতিশয্যে কিংবা উত্তেজনায় এসে আল্লাহর পানাহ্! কুফরী বাক্য বলে থাকে। আল্লাহ তাআলার বিরুদ্ধে আপত্তি করা, তাঁকে অত্যাচারী, অভাবী, পর-মুখাপেক্ষী অথবা অপারগ মনে করা কিংবা বলা, এসবই প্রকাশ্য কুফরী বাক্য। স্মরণ রাখবেন! শরীয়াতের অনুমতি ছাড়া জেনে বুঝে যে প্রকাশ্য কুফরী বাক্য বলে এবং অর্থ জানা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি তাতে হ্যাঁ বলে বরং এর পক্ষে যে ব্যক্তি মাথা নেড়ে সায় দেয়, সেও কাফির হয়ে যায়। এর বিবাহ-বন্ধন ও বাইয়াত ভঙ্গ হয়ে যায় এবং জীবনের সমস্ত নেক আমল ধ্বংস হয়ে যায়। যদি হজ্ব আদায় করে থাকে, তবে তাও নষ্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় ঈমান নবায়নের পর (অর্থাৎ পুনরায় নতুন ভাবে মুসলমান হওয়ার পর) সামর্থ্যবান হওয়া সাপেক্ষে নতুন সূত্রে হজ্ব ফরয হবে।

বিপদের সময় বলা হয়, এমন কতিপয় কুফরী বাক্যের উদাহরণ

(১) আপত্তি করে বলা: ঐ ব্যক্তি লোকদের সাথে যা কিছুই করুক, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য পূর্ণ (FULL) স্বাধীনতা রয়েছে।

(২) এইভাবে আপত্তি করে বলা: কখনো আমরা অমুকের সাথে সামান্য কিছু করলে আল্লাহ তৎক্ষনাৎ আমাদের পাকড়াও করে ফেলেন।

(৩) আল্লাহ সর্বদা আমার শত্রুদের সহায়তা করেছেন। 

(৪) সর্বদা সবকিছু আল্লাহর সমীপে সমর্পণ করেও দেখেছি, কিছুই হয়না। 

(৫) আল্লাহ তাআলা আমার ভাগ্যকে এখনো পর্যন্ত সামান্য ভাল করলেন না। 

কাফন-দাফনের নিয়মাবলী

পুরুষের সুন্নাত মোতাবেক কাফন

পুরুষের জন্য সুন্নাত মোতাবেক  কাফন তিনটি। যথা-    
(১)      লিফাফাহ    (চাদর)    ,     
(২)     ইযার (তাহবন্দ) ও
(৩) কামীস (জামা) ।

মহিলাদের সুন্নাত মোতাবেক কাফন

মহিলাদের      জন্য     সুন্নাত     মোতাবেক     কাফন  পাঁচটি।   যথা-  
(১)   লিফাফাহ,
 (২)  ইযার,  
(৩) কামীস,
(৪) সীনাবন্ধ ও
(৫) ওড়না।

হিজড়া অর্থাৎ মেয়েলি স্বভাবের পুরুষদেরকেও মহিলাদের     অনুরূপ       পাঁচটি      কাফন     পরাতে  হবে।

রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মাদানী অসিয়তনামা (কাফন-দাফনের আহকাম সম্বলিত)

اَلْحَمْدُ  لِلّٰہِ  عَزَّوَجَلَّ  এখন  ফযরের  নামাযের  পর  মসজিদে   নববী  শরীফে    عَلٰی  صَاحِبِہَا    الصَّلٰوۃُ  وَالسَّلَام       বসে  “মদীনা      মুনাওয়ারা        থেকে  চল্লিশখানা    অসিয়ত”   লিখার   সৌভাগ্য    অর্জন করছি। আফসোস! শত আফসোস! আজ আমার মদীনা   মুনাওয়ারাতে  উপস্থিতির  শেষ   সকাল। সূর্য  প্রিয়  মাহবুব صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم এর রওজা মোবারকে সালাম পেশ  করার  জন্য হাজির  হতে   চলেছে।  আহ!   আজ  রাতেই যদি জান্নাতুল বাক্বীতে সমাহিত হওয়ার কোন ব্যবস্থা না   হয়,   তবে    (আগামীকালই)   মদীনা    শরীফ ত্যাগ করতে  হবে। চোখ  অশ্রুসিক্ত, মন  অস্থির হয়ে আছে। হায়!

আফসোস   চন্দ  ঘড়িয়া  তয়্যবা  কি   রাহ  গেয়ী হে, 
দিল মে জুদায়ী কা গম তুফান মাচা রাহা হে।

আহ!   মন   ব্যথা   বেদনায়   নিমজ্জিত।   মদীনার  বিচ্ছেদের     হৃদয়     বিদারক    চিন্তা    আপাদমস্তক বেদনার প্রতিচ্ছবি বানিয়ে  দিয়েছে। এমন মনে হচ্ছে     যেন    মুখের    হাসি   কেউ   ছিনিয়ে    নিয়ে গেছে। আহ!  শীঘ্রই মদীনা ছেড়ে যেতে  হবে। তখন   মন   ভেঙ্গে    যাবে।   আহ!     মদীনা   থেকে স্বদেশের    উদ্দেশ্যে    রাওয়ানা   হওয়ার   মূহুর্তটি এমনি বেদনা দায়ক  হয়ে থাকে যে, যেন কোন দুগ্ধপোষ্য   শিশুকে   তার    মায়ের   কোল    থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আর সে খুবই আফসোস করে! কেঁদে কেঁদে বারবার মায়ের   দিকে ফিরে দেখছে,      হয়ত      মা       পুনরায়      তাকে       ডেকে নিবেন.....স্নেহ  ভরে  তাকে   কোলে  তুলে নিয়ে নিজের     বুকে    জড়িয়ে    ধরবে।     আর       শ্লোক শুনিয়ে     আপন     মায়াভরা     কোলে     মধুর     ঘুম  পাড়াবেন। হায়!

ইছালে সাওয়াবের পদ্ধতি

ইছালে     সাওয়াব     বা     কারো     জন্য     সাওয়াব  পৌঁছিয়ে    দেবার    জন্য       অন্তরে    নিয়্যত     করে নেওয়াই    যথেষ্ট।   মনে   করুন;আপনি    কাউকে  একটি টাকা দান করলেন কিংবা একবার দরূদ শরীফ    পাঠ    করলেন    অথবা    কাউকে    একটি  সুন্নাত     শিখালেন     নতুবা     কাউকে     ইন্ফিরাদি  কৌশিশের   মাধ্যমে   নেকীর     দাওয়াত    দিলেন অথবা সুন্নাতে ভরা বয়ান করলেন।  মোট কথা; যে কোন নেক কাজ করলেন, আপনি মনে মনে এভাবে  নিয়্যত  করে  নিন:  আমি  এই  মাত্র   যে  সুন্নাতটি       শিক্ষা       দিলাম,        সেটির        সাওয়াব তাজেদারে  মদীনা,  নবী  করীম    صَلَّی  اللّٰہُ    تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে পৌঁছে যাক। তবে اِنْ   شَآءَ     اللّٰہ   عَزَّوَجَلَّ     সাওয়াব   পৌঁছে   যাবে। তাছাড়া  আরো  যাদের  জন্য  নিয়্যত  করবেন,  তাদের কাছেও পৌঁছে যাবে। মনে মনে  নিয়্যত করার সাথে সাথে  মুখে উচ্চারণ করে নেওয়াও উত্তম। কেননা,  এটি সাহাবীرَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ থেকে প্রমাণিত   রয়েছে।   যেমন;হযরত সা’আদ رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ এর হাদীস। তিনি কূপ খনন করে  বলেছিলেন  :  هٰذِهٖ    لِأُمِّ  سَعد    ‘অর্থাৎ  এই কূপটি সা’আদের মায়ের জন্য’।

ফাতিহা ও ইছালে সাওয়াব কি?

মৃত আত্মীয়-স্বজনদেরকে স্বপ্নে দেখার উপায়


হযরত   আল্লামা   আবু   আবদুল্লাহ্   মুহাম্মদ   বিন  আহমদ মালেকী  কুরতুবী  رَحْمَۃُ اللّٰہِ  تَعَالٰی عَلَیْہِ বর্ণনা  করেন:  হযরত  সায়্যিদুনা     হাসান  বসরী رَحْمَۃُ   اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِএর খিদমতে হাজির   হয়ে এক     মহিলা   আবেদন   করলো,   আমার   যুবতী মেয়ে  মারা  গেছে।   এমন  কোন    আমল   আছে  কি? যা করলে আমি তাকে স্বপ্নে  দেখতে পাব। তিনি     رَحْمَۃُ    اللّٰہِ   تَعَالٰی   عَلَیْہِ    মহিলাটিকে    ঐ আমল     বলে    দিলেন।    মহিলাটি    তার   মরহুমা কন্যাটিকে    স্বপ্নে    তো    দেখলেন,    কিন্তু    এমন  অবস্থায়     দেখলেন     যে,       তার      সারা     শরীরে  আলকাতরার    পোষাক      ছিলো।      তার    ঘাড়ে শিকল,    আর    পায়ে     লোহার    বেড়ি      ছিলো। ভয়ানক এই দৃশ্য দেখে মহিলাটি কেঁপে   উঠল! পরের  দিন   সে  এসে   হযরত  সায়্যিদুনা  হাসান বসরী  رَحْمَۃُ   اللّٰہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ   কে   স্বপ্নের    কথা  বলল। স্বপ্নটি শুনে  তিনি رَحْمَۃُ اللّٰہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ অত্যন্ত   চিন্তিত    হয়ে   গেলেন।   কিছু    দিন     পর হযরত সায়্যিদুনা  হাসান  বসরী رَحْمَۃُ اللّٰہِ  تَعَالٰی عَلَیْہِ   এক   মেয়েকে   স্বপ্নে   দেখলেন।     মেয়েটি জান্নাতে একটি আসনে মাথায় তাজ   পরে বসে  আছে।   তিনি   رَحْمَۃُ   اللّٰہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  কে  দেখে মেয়েটি  বললো:আমি   হলাম    সেই  মহিলাটিরই কন্যা,    যিনি   আপনাকে    আমার   অবস্থার   কথা  বলেছিলেন।      তিনি     رَحْمَۃُ     اللّٰہِ      تَعَالٰی       عَلَیْہِ বললেন:     মহিলাটির     কথা      মত       কন্যা     তো আজাবে লিপ্ত  ছিলো।   তার এত বড় পরিবর্তন কীভাবে      হলো?        মরহুমা      মেয়েটি      বললো: কবরস্থানের পাশ দিয়ে একটি লোক যাচ্ছিলেন। লোকটি নবী করীম, রউফুর রহীম, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم     র উপর  দরূদ  শরীফ পাঠ করেছিলেন। তাঁর সেই দরূদ শরীফ পাঠের   বরকতে     আল্লাহ    তাআলা    ৫৬০    জন কবরবাসীর        উপর         থেকে       আযাব       উঠিয়ে নিয়েছেন।  (আত-তাযকিরাতু  ফি আহওয়ালিল  মাওতা ওয়া   উমুরিল আখিরাতে, ১ম খন্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা)

জানাযা নামাযের পদ্ধতি ও গায়েবানা জানাযার বিধান (পর্ব ২)

জানাযার নামাযের পদ্ধতি (হানাফী) 

মুক্তাদী  এভাবে   নিয়্যত  করবে:    আমি   আল্লাহর  ওয়াস্তে  এই  ইমামের  পিছনে  এই  মৃত  ব্যক্তির  দোয়ার জন্য  এই  জানাযার  নামাযের  নিয়্যত    করছি।    (ফতোওয়ায়ে    তাতারখানিয়্যাহ,    ২য়  খন্ড,  ১৫৩  পৃষ্ঠা) এবার      মুক্তাদী  ও      ইমাম উভয়ে প্রথমে কান পর্যন্ত হাত উঠাবেন এবং اَللهُ اَكْبَرُ বলে দ্রুত নিয়মানুযায়ী নাভীর নিচে  হাত বেঁধে নিবেন এবং সানা পড়বেন। সানা পড়ার সময় وَ تَعَالٰى جَدُّكَ এরপর وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَ لَآ اِلٰهَ غَيْرُكَ ط পড়বেন। অতঃপর হাত উঠানো ব্যতীত   اَللهُ   اَكْبَرُ   বলবেন,   অতঃপর   দুরূদে  ইবরাহীম পড়বেন,    এরপর    হাত   না   উঠিয়ে আবার   اَللهُ   اَكْبَرُ    বলবেন    এবং   দোয়া   পাঠ করবেন   (ইমাম    সাহেব  তাকবীর   সমূহ    উচ্চ আওয়াজে  বলবেন    আর  মুক্তাদীগণ   নিম্নস্বরে। বাকী  দোয়া, যিকির  আযকার ইত্যাদি ইমাম ও মুক্তাদী সকলেই নিম্নস্বরে পাঠ করবেন।) দোয়া পাঠ  শেষে  পুনরায়  اَللهُ  اَكْبَرُ     বলবেন এবং  হাত     ছেড়ে    দিবেন,     অতঃপর     উভয়    দিকে সালাম            ফিরাবেন।সালামে            মৃত            ব্যক্তি ফেরেশতাগণ             এবং             নামাযে             উপস্থিত ব্যক্তিবর্গদের   নিয়্যত  করবেন।    ঐভাবে  যেমন অন্যান্য নামাযের   সালামে   নিয়্যত   করা    হয়,  এখানে  এতটুকু  কথা      বেশি  যে  মৃত  ব্যক্তিরও নিয়্যত  করবেন। (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম  খন্ড,  ৮২৯, ৮৩৫ পৃষ্ঠা) 

বালিগ (প্রাপ্ত বয়স্ক)  পুরুষ  ও মহিলার জানাযার দোয়া


اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَ مَيِّتِنَا وَ  شَاهِدِنَا وَ غَآئِبِنَا وَ صَغِيْرِنَا  وَ  كَبِيْرِنَا   وَ  ذَكَرِنَا    وَ  اُنْثٰنَا  ط  اَللّٰهُمَّ  مَنْ  اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَ حْيِهٖ عَلَى الْاِسْلَامِ وَ  مَنْ تَوَفَّيْتَهٗ  مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَان

অনুবাদ: হে  আল্লাহ! ক্ষমা   করে দাও আমাদের প্রত্যেক       জীবিতকে      ও      আমাদের      প্রত্যেক  মৃতকে,     আমাদের     প্রত্যেক        উপস্থিতকে      ও প্রত্যেক অনুপস্থিতকে, আমাদের ছোটদেরকে ও আমাদের  বড়দেরকে,  আমাদের  পুরুষদেরকে  ও   আমাদের   নারীদেরকে।    হে   আল্লাহ!    তুমি  আমাদের   মধ্যে   যাকে    জীবিত   রাখবে    তাকে ইসলামের   উপর  জীবিত রাখো।আর আমাদের  মধ্যে   যাকে  মৃত্যু দান করবে, তাকে    ঈমানের উপর মৃত্যু দান করো। (আল মুসতাদরাক লিল  হাকিম, ১ম খন্ড, ৬৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস-১৩৬৬)

জানাযা নামাযের বিধান ও মাসআলা (পর্ব ১)

আল্লাহর ওলীর জানাযায় অংশগ্রহণ করার বরকত

এক ব্যক্তি হযরত সায়্যিদুনা সারী সাকতী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর জানাযার নামাযে অংশগ্রহণ করলেন। রাতে ঐ ব্যক্তির স্বপ্নে হযরত সায়্যিদুনা সারী সাকতী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ   এর যিয়ারত নসীব হলো। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: مَا فَعَلَ اللهُ بِكَ؟ অর্থাৎ-আল্লাহ্ তাআলা আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন?

উত্তর দিলেন: আল্লাহ্ তাআলা আমাকে এবং আমার জানাযার নামাযে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ঐ ব্যক্তি আরয করলো: ইয়া সায়্যিদী! আমিওতো আপনার জানাযায় অংশগ্রহণ করে জানাযার নামায আদায় করেছিলাম। তখন তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  একটি তালিকা বের করলেন কিন্তু এতে ঐ ব্যক্তির নাম অন্তর্ভূক্ত ছিলো না, যখন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন তখন দেখা গেলো, তার নাম তালিকার পার্শ্বটিকাতে ছিলো। (তারিখে দামেশক লিইবনে আসাকির, ২০তম খন্ড, ১৯৮ পৃষ্ঠা) আল্লাহ্ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসেবে ক্ষমা হোক। 

  اٰمِين بِجا  هِ  النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 

صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
 

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন