রোযা কার উপর ফরয?
বাকী পর্ব পড়তে ক্লিক করুন- প্রথম পর্ব তৃতীয় পর্ব
তাওহীদ ও রিসালাতকে বিশ্বাস করা ও দ্বীনের সব জরুরী বিষয়ের উপর ঈমান আনার পর যেভাবে প্রত্যেক মুসলমানের উপর নামায ফরয বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে, অনুরূপভাবে রমযান শরীফের রোযাও প্রত্যেক মুসলমান (নর ও নারী) বিবেকসম্পন্ন ও প্রাপ্ত বয়স্কের উপর ফরয। ‘দুররে মুখতার’ এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, রোযা ২য় হিজরীর ১০ই শা’বানুল মুআয্যামে ফরয হয়েছে। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৩০)রোযা ফরয হবার কারণ
ইসলামে বেশিরভাগ কাজ কোন না কোন মহান ব্যক্তির ঘটনাকে জীবিত রাখার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। যেমন, সাফা ও মারওয়ার মধ্যখানে হাজীদের ‘সাঈ’ হযরত সায়্যিদাতুনা হাজেরা رضى الله عنها এর স্মৃতিময়ী। তিনি رضى الله عنها তাঁর কলিজার টুকরা হযরত সায়্যিদুনা ইসমাঈল যবীহুল্লাহ عليه السلام এর জন্য পানি তালাশ করতে গিয়ে এ দুটি পাহাড়ের মাঝখানে সাতবার প্রদক্ষিণ করেছেন ও দৌঁড়িয়েছেন। আল্লাহর নিকট হযরত সায়্যিদাতুনা হাজেরা رضى الله عنها এর এ কাজটা অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে। তাই এই ‘সুন্নতে হাজেরা’ رضى الله عنها কে আল্লাহ তাআলা স্থায়ীত্ব দানের জন্য হাজীগণ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’র সাঈকে (প্রদক্ষিণ করাকে) ওয়াজিব করে দিয়েছেন। অনুরূপভাবে, রমযানের দিনগুলোতে কিছুদিন, আমাদের প্রিয় আকা, মক্কা ও মদীনার তাজেদার হুযুর পুরনূর হযরত মুহাম্মদ ﷺ হেরা পর্বতের গুহায় অতিবাহিত করেছিলেন। তখন হুযুর ﷺ দিনের বেলায় পানাহার থেকে বিরত থাকতেন, আর রাতে আল্লাহ তাআলার যিকরে মশগুল থাকতেন। তাই আল্লাহ তাআলা ওই দিন গুলোর স্মরণকে তাজা করার জন্য রোযা ফরয করেছেন; যাতে তাঁর মাহবুব ﷺ এর সুন্নতও স্থায়ী হয়ে যায়।