আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

দরূদ শরীফ পাঠের ফযিলত (৭)

❤❤ফযিলত-৫১❤❤
হযরত সায়্যিদুনা শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সোলায়মান জাযুলী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: আমি সফরে ছিলাম। এক স্থানে আসার পর নামাযের সময় হয়ে গেল। সেখানে একটি কূপ ছিল, কিন্তু বালতি আর রশি ছিল না। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম, তখনি একটি ঘরের উপর হতে এক মাদানী মুন্নী আমাকে আড়াল হতে দেখছিল, আর জিজ্ঞাসা করল: আপনি কী খুঁজছেন? আমি বললাম: কন্যা, রশি আর বালতি। সে জিজ্ঞাসা করল: আপনার নাম? বললাম: মুহাম্মদ ইবনে সোলায়মান জাযুলী। মাদানী মুন্নীটি আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলল: আচ্ছা! আপনিই কি সেই ব্যক্তি, যার প্রসিদ্ধির ডঙ্কা বাজছে চারদিকে। অথচ আপনার অবস্থা এই যে, কূপ থেকে পানিও নিতে পারছেন না! এ কথা বলেই সে কূপে থুথু ফেলল। মুহুর্তেই পানি উপরের দিকে উঠে গেল এবং পানি কুপ থেকে উপচে পড়তে লাগল। তিনি জাযুলী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ ওযু করার পর সেই অসাধারণ মাদানী মুন্নীকে বললেন: কন্যা! তুমি সত্যি করে বল তো, এ অসাধারণ ক্ষমতা তুমি কিভাবে অর্জন করেছ? সে বলল: আমি দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকি আর তার বরকতেই এই দয়া হয়েছে। তিনি বলেন: এই অসাধারণ মাদানী মুন্নীর কথায় প্রভাবিত হয়ে আমি সেখানেই সংকল্প করলাম যে, দরূদ শরীফের উপর কিতাব লিখব। (সা’আদাতুদ দারাইন, পৃষ্ঠা-১৫৯, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া বৈরুত) অতঃপর তিনি দরূদ শরীফের কিতাব রচনা করেন। যেটি সর্বজন গৃহীত হয়েছে আর সেই কিতাবের নাম হল “দালায়িলুল খায়রাত”।

সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

তেল লাগানো ও চিরুনী ব্যবহার সম্পর্কিত ১৯টি মাদানী ফুল

﴾১﴿ হযরত সায়্যিদুনা আনাস رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বলেন: আল্লাহর মাহবুব, হুযুর পুরনূর, নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রায়ই আপন মাথা মোবারকে তেল ব্যবহার করতেন, আর দাঁড়ি মোবারক চিরুনী দিয়ে আঁচড়াতেন। মাথা মোবারকে প্রায়ই কাপড় রাখতেন। এমনকি কাপড়টি তেলে ভিজা থাকত। [ আশ শামায়িলুল মোহাম্মদীয়া লিত তিরমিযী, ৪র্থ পৃষ্ঠা] বুঝা গেল, ‘সারবন্দ’ ব্যবহার করা সুন্নাত। ইসলামী ভাইদের উচিত, যখনই মাথায় তেল লাগাবে, ছোট একটি কাপড় মাথায় বেঁধে নেবে। এতে করে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ টুপি ও পাগড়ী মাথার তেল থেকে রক্ষা পাবে। اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَل সগে মদীনা عُفِىَ عَنْهُ (লিখক) অনেক বছর ধরে ‘সারবন্দ’ ব্যবহার করে আসছে।

﴾২﴿ নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যার চুল রয়েছে, সে যেন সেগুলোর সম্মান করে।” [সুনানে আবু দাঊদ, ৩ খন্ড, ১০৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪১৬৩]। অর্থাৎ সেগুলো ধৌত করবে, তেল লাগাবে, আর চিরুনী দিয়ে আঁচড়াবে। [আশি‘আতুল লুমআত, ৩ খন্ড, ৬১৭ পৃষ্ঠা]

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাদানী ফুল

আল্লাহর অলীর আমন্ত্রণের কাহিনী 

কোন এক ধনবান ব্যক্তি একদা হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ কে দাওয়াত দিল এবং আমন্ত্রণে যাওয়ার জন্য খুব জোর করল। তিনি বললেন: তুমি যদি আমার এ তিনটি শর্ত মেনে নাও, তাহলে আসব। ১. আমার যেখানে ইচ্ছা বসব। ২. আমার যা ইচ্ছা খাব। ৩. আমি যা বলব, তোমাদের তা করতে হবে। ধনবান লোকটি এই তিনটি শর্ত মেনে নিল। আল্লাহর অলীর সাক্ষাতের জন্য অসংখ্য লোকজন জমা হল। নির্দিষ্ট সময়ে হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِএসে পৌঁছলেন। লোকজন যেখানে তাদের জুতো রেখেছিল তিনি এসেই সেখানে বসে গেলেন। খাওয়া-দাওয়া যখন শুরু হল, হযরত সায়্যিদুনা হাতেম আসাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ আপন থলের ভিতর থেকে একটি শুকনো রুটি বের করে তা খেয়ে নিলেন। খাওয়া-দাওয়া যখন শেষ হয়ে গেল, তিনি মেজবানকে উদ্দেশ্য করে বললেন: একটি চুলা নিয়ে আস আর তাতে একটি তাবা রাখ। যেই হুকুম সেই কাজ। আগুনের তাপে যখন তাবাটি কয়লার মত লাল হয়ে গেল, তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ তখন সেই তাবাটির উপর খালি পায়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। আর বললেন: আজকের খাবারে আমি শুকনো রুটি খেয়েছি। এই কথা বলে তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ তাবা থেকে নেমে গেলেন। এরপর উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বললেন: আপনারা প্রত্যেকেও এক এক করে এই তাবায় দাঁড়িয়ে আজকের দাওয়াতে যা যা খেয়েছেন তার হিসাব দিয়ে যান। এ কথা শুনে লোকদের মুখে চিৎকার শুরু হল। সকলে সমস্বরে বলল: হুজুর! এই ক্ষমতা তো আমাদের কারো নেই। (কোথায় গরম তাবা আর কোথায় আমাদের নরম পা। আমরা সবাই তো এমনিতেই গুনাহ্গার (দুনিয়াবাজ লোক)। তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বললেন: যেক্ষেত্রে আপনারা দুনিয়ার এই গরম তাবায় দাঁড়িয়ে আজকের মাত্র এক বেলা খাবারের মত নেয়ামতের হিসাব দিতে অপারগ রয়ে গেলেন, সেক্ষেত্রে কাল কিয়ামতের দিন এত দীর্ঘ জীবনের সকল নেয়ামতের হিসাবগুলো কীভাবে দিবেন? অতঃপর তিনি সূরা তাকাসুরের শেষের আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন:
 ثُمَّ لَتُسئَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيْمِ 

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: অতঃপর অবশ্যই সেদিন তোমাদের সবাইকে নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। 

অশ্রুর বারিধারা (ইমাম আবু হানীফা)

জমজমাট বাজারে রেশমী কাপড়ের একটি দোকানে দোকানটির কর্মচারী আল্লাহ তাআলার কাছে জান্নাত চেয়ে দোআ করছিল। এ অবস্থা দেখে দোকানের মালিকের হৃদয় নরম হয়ে গেল। দু’চোখ থেকে এমনভাবে অশ্রু গড়াতে শুরু করল যে, তার উভয় কান ও কাঁধ কাঁপতে লাগল। দোকানের মালিক সাথে সাথে দোকান বন্ধ করার নিদের্শ দিলেন, নিজের মাথার উপর কাপড় মুড়িয়ে তাড়াতাড়ি উঠে গেলেন, আর বলতে লাগলেন: আফসোস! আমরা আল্লাহ তাআলার প্রতি কতই যে ভয়হীন হয়ে গেছি। আমাদের মধ্য থেকে কেবল একজন লোক নিজের মন থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে জান্নাত চেয়ে নিচ্ছে। (এ তো অনেক সাহসিকতার আবেদন)। আমাদের মত গুনাহ্গারদের উচিত, আল্লাহ তাআলার কাছে (নিজেদের গুনাহের) ক্ষমা প্রার্থনা করা। সে দোকানের মালিক আল্লাহর ভয়ে অত্যন্ত ভীত ছিলেন। রাতে নামাযের জন্য যখন দাঁড়াতেন, তাঁর চোখ থেকে এমনভাবে অশ্রু বের হত যে, চাটাইয়ের উপর টপ টপ করে চোখের পানির ফোঁটা পড়ার শব্দ শোনা যেত, আর এত বেশী কান্না করতেন যে, আশেপাশের লোকজনের মনে তার প্রতি দয়া সৃষ্টি হত। [আল খায়রাতুল হিসান লিল হায়তামী হতে সংক্ষেপিত, ৫০, ৫৪ পৃষ্ঠা] 

বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

মেহমানদারীর ২০টি মাদানী ফুল

۞ছয়টি হাদীস শরীফ:

  • (১) “যে (ব্যক্তি) আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার উচিত মেহমানকে সম্মান করা।” (বুখারী, ৪র্থ খন্ড, ১০৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬০১৮) প্রখ্যাত মুফাস্সীর হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন: মেহমানের সম্মান হলো; তার সাথে উৎফুল্লভাবে সাক্ষাৎ করবে, তার জন্য খাবার এবং অন্যান্য খেদমতের ব্যবস্থা করবে, যথাসম্ভব নিজের হাতে তার সেবা করবে। (মিরআত, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫২ পৃষ্ঠা)

(২) “যখন কোন মেহমান কারো কাছে আসে তখন নিজের রিযিক (সাথে) নিয়ে আসে আর (যখন) তার কাছ থেকে চলে যায় তখন ঘরের মালিকের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার মাধ্যম হয়ে থাকে।” (কানযুল উম্মাল, ৯ম খন্ড, ১০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৫৮৩১)
(৩) “যে নামায কায়েম করলো, যাকাত আদায় করলো, হজ্ব সম্পাদন করলো, রমযানের রোযা রাখলো এবং মেহমানদারী করলো তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (আল মুজামুল কবীর, ১২তম খন্ড, ১০৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১২৬৯২)
(৪) “যে ব্যক্তি (সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও) মেহমানদারী করে না, তার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।” (মুসনদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৪২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭৪২৪)

কবরের পরীক্ষা

কবরের হুংকার 
হযরত সায়্যিদুনা আবুল হাজ্জাজ সুমালী رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত; নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসূলে আমীন صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: যখন মৃত ব্যক্তিকে কবরে শায়িত করা হয়, তখন কবর তাকে সম্বোধন করে বলে: হে মানুষ! তোমার ধ্বংস হোক! তুমি কেন আমাকে ভুলে গিয়েছিলে? তোমার কি এতটুকুও জানা ছিলোনা যে, আমি ফিতনার ঘর, অতি অন্ধকারের ঘর। অতঃপর তুমি কিসের ভিত্তিতে আমার উপর দিয়ে সদম্ভে চলাফেরা করেছিলে?’ যদি সে মৃত ব্যক্তি নেককার বান্দা হয়, তখন এক গায়েবী আওয়াজ কবরকে সম্বোধন করে বলে: হে কবর! তোমার মধ্যে শায়িত ব্যক্তি যদি সৎ কাজের আদেশ দাতা হয় এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধকারী হয়, তাহলে তার সাথে তুমি কিরূপ আচরণ করবে? উত্তরে কবর বলে: যদি তাই হয়, তবে আমি তার জন্য মনোমুগ্ধকর বাগানে পরিণত হবো। অতঃপর সে ব্যক্তির শরীর নূরের শরীরে পরিণত হয়ে যায় এবং তার রূহ আল্লাহ্ তাআলার দরবারের দিকে উড়ে চলে যায়।” (মুসনাদে আবি ইয়ালা, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৬৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬৮৩৫) 


মুবাল্লিগদের জন্য শুভ সংবাদ! 
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! উপরোক্ত হাদীস শরীফের উপর একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন! যখনই কোন (ব্যক্তি) কবরবাসী হয়ে যায়, সে নেককার হোক কিংবা গুনাহগার, তাকে কবরে ভীতি প্রদর্শন করা হয়। দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগগণ! ফয়যানে সুন্নাতের দরস দাতাগণ! এলাকায়ী দাওরা বরায়ে নেকীর দাওয়াতে অংশগ্রহণকারীগণ! নিজ সন্তানদেরকে সুন্নাত মোতাবেক লালন-পালন কারীগণ! এবং সুন্নাত শিক্ষাদানের জন্য ইনফিরাদি কৌশিশকারীগণের জন্য সুসংবাদ এই হবে যে, কবরে একটি অদৃশ্য আওয়াজ সৎকাজের আদেশ দাতা ও মন্দ কাজে নিষেধকারীদেরকে সাহায্য-সহযোগীতা করবে এবং এভাবে কবর তাদের জন্য বাগানে পরিণত হবে। 

রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

ইসলামীক বই পাঠ প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর ফলাফল

প্রাথমিক ভাবে প্রকাশিত রেজাল্টের পর আজ ২৫ জানুয়ারী-২০১৭ প্রকাশিত হলো ফাইনাল রেজাল্ট। পূর্বের প্রাথমিক ভাবে প্রকাশিত রেজাল্ট এর পিডিএফ ফাইল সহ ফাইনাল রেজাল্ট এর পিডিএফ ফাইল পাবেন এখানে। আর টেক্সট আকারে পাবেন শুধুমাত্র ফাইনাল রেজাল্ট এর। ইসলামী জীবন এর প্রথম পাবলিক ইভেন্ট “ইসলামীক বই পাঠ প্রতিযোগিতা-২০১৭“ সমাপ্ত। আসছে অক্টোবরে আমাদের দ্বিতীয় সিজন আয়োজিত হবে। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানিয়ে প্রত্যেক কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বিজয়ীদের পূর্ণ ঠিকানা মেসেজ করার অনুরোধ রইলো। বিস্তারিত Winner List পিডিএফ ফাইলে দেখুন।

রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

ইসলামী বই পাঠ প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর সকল সেটের প্রশ্ন ও উত্তর

সংরক্ষনের জন্য ও সকলেই যাচাই করার জন্য আমাদের এবারের আয়োজনের সকল প্রশ্ন ও উত্তর ইসলামী জীবন ব্লগে পাবলিশ করা হলো। বইয়ের নাম ও পৃষ্ঠা সহ উল্লেখ করা হয়েছে। যারা মাসআলা গুলো জানেন না, ভুল উত্তর দিয়েছেন যার মানে দাঁড়ায় আপনি সেসকল মাসআলা জানেন না। তাদের প্রতি অনুরোধ, বিজয়ী হওয়া বাদ দিন, অন্তত মাসআলা গুলো শিখে নিন। কেননা, নবী করীম ﷺ বলেন "একটি মাসয়ালা শিক্ষা করা আমার মতে সারা রাত জেগে নফল নামাজ পড়ার চেয়েও উত্তম।"


প্রশ্ন সেট নং ১

১/ অযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ'র সাথে দুরুদ শরীফ পাঠ করা...?
উত্তর: মুস্তাহাব। (নামাযের আহকাম, ১৩/২৮)

২/ মাকে এমন কোন কথাটি বলল, যার দরুন মৃত্যুর পর তার আকৃতি গাধার মত হয়ে গেল?
উত্তর: তুমি গাধার মত চিৎকার কর। (সামুদ্রিক গম্বুজ, ২০)

৩/ সিলেবাস অনুযায়ী- বয়স্কদের ফ্রি কোরআন শিক্ষা দানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম কি?
উত্তর: মাদরাসাতুল মদীনা। (নামাযের আহকাম, ১৫৩/১০০)

৪/ পুলসিরাত তিনিই সহজে পার হতে পারবেন যিনি আল্লাহর... থাকেন। এখানে কি হবে?
উত্তর: ভয়ে প্রকম্পিত। (চার ভয়ঙ্কর স্বপ্ন, ১৯)

৫/ ২৮ টি কুফরী বাক্য বইটি নিতান্তই ছোট। এই বইটিতে আরো কুফরী বাক্য সম্পর্কে জানতে কোন কিতাবটি পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে?
উত্তর: কুফরীয়া কালেমাত কে বারে মে সুওয়াল জাওয়াব।  (২৮ টি কুফরী বাক্য, ১৩)

৬/ নামাযে আমীন উচ্চ আওয়াজে বলা কি?
উত্তর: মাকরূহে তানযীহি। (নামাযের আহকাম১৮২/১২৩)

৭/ যে একবার সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে, সে পুনরায় সমবেদনা জ্ঞাপন করতে যাওয়া কি?
উত্তর: মাকরূহ। (নেক্কার হওয়ার উপায়, ২৮)

৮/ নিজের কৃত কর্মের আত্মসমালোচনা করার জন্য সিলেবাসে উল্লিখিত রিসালা (ছোট পুস্কিতা) এর নাম কি?
উত্তর: মাদানী ইনআমাত। (আমি সংশোধন হতে চাই, ১২)

৯/ দাসীর বর্ণনানুযায়ী- কতজনকে পুলসিরাতে উঠানো হয় এবং এর মধ্যে কতজন পুলসিরাত পার হতে সক্ষম হন এবং তিনি কে?
উত্তর: ৪ জন, ১ জন, হযরত ওমর বিন আবদুল আজিজ رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ (চার ভয়ঙ্কর স্বপ্ন- ১৬,১৭)

১০/ রওজা শরীফ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে গোসল করা...?
উত্তর: মুস্তাহাব। (নামাযের আহকাম, ৮৬/৬০)

১১/ যে আমার সুন্নাত থেকে চল্লিশটি হাদীস আমার উম্মতদের শিক্ষা দেবে, কিয়ামতের দিন আমি তাকে আমার ... অন্তর্ভূক্ত করে নেব। কিসের অন্তর্ভূক্ত?
উত্তর: শাফায়াতের। (চার ভয়ঙ্কর স্বপ্ন- ২৯)

১২/ ব্যস! আল্লাহর ঘরের তো সমস্ত রীতিই উল্টো। বাক্যটি কোন প্রকারের কুফরী বাক্যের উদাহরণ?
উত্তর: অভিযোগ ও আপত্তির সময় উচ্চারিত। (২৮ টি কুফরী বাক্য, ৬)

রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭

মসজিদ সুবাশিত রাখুন (মসজিদের আদব)

মসজিদে কফ দেখে হুযুর পুরনূর এর অসন্তুষ্টি

একবার নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত, তাজেদারে রিসালাত صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মসজিদে নববী শরীফের زَادَهَا اللهُ شَرَفًا وَّتَعْظِيْمًا কিবলার দিকে কফ পড়ে থাকতে দেখে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। তা দেখে এক আনসারী সাহাবীয়া رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا উঠলেন এবং তা পরিস্কার করে সেখানে সুগন্ধি লাগিয়ে দিলেন। অতঃপর হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আনন্দচিত্তে ইরশাদ করলেন: مَا اَحْسَنَ هٰذا অর্থাৎ এই মহিলা কতইনা উত্তম কাজ করলো। (নাসাঈ, ১২৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৭২৫)

ফারুকে আযম এবং মসজিদে সুগন্ধি

সায়্যিদুনা ফারুকে আযম رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ প্রতি জুমা মোবারকে মসজিদে নববী শরীফে زَادَهَا اللهُ شَرَفًا وَّتَعْظِيْمًا সুগন্ধির ধোঁয়া দিতেন। (মুসনদে আবি ইয়ালা, ১ম খন্ড, ১০৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ১৮৫)

صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد 


মসজিদ সুবাসিত রাখুন!

উম্মুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দীকা رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا বর্ণনা করেন: প্রিয় আক্বা, উভয় জাহানের দাতা, রাসূলুল্লাহ্ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণের ও সেগুলো পরিস্কার এবং সুবাসিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। (সুনানে আবি দাউদ, ১ম খন্ড, ১৯৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৪৫৫)

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭

মদ এর ধ্বংসলীলা

۞ মদ অপবিত্র এবং (তা পান করা) শয়তানী কাজ। মদ থেকে বেঁচে থাকা শান্তি ও সফলতার নিদর্শন। (সূরা- আল মায়েদা, আয়াত- ৯০ থেকে সংকলিত) 

۞ মদ পরস্পর বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ থেকে বাধা প্রদান করে। (সূরা- আল মায়েদা: ৯১ থেকে সংকলিত) 

۞ ৫টি হাদীস শরীফ: 

(১) “প্রত্যেক নেশা আনয়নকারী বস্তু মদের অন্তর্ভূক্ত আর সব ধরণের মদ হারাম।” (মুসলিম, ১১০৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২০০৩) 

(২) “আল্লাহ্ তা‘আলা মদের উপর, সেটির উৎপাদনকারী এবং যাদের জন্য উৎপাদন করা হয়, তাদের উপর পানকারী এবং যারা পান করায় তাদের উপর, (মদ) আনয়নকারী এবং যাদের জন্য আনা হয়, তাদের উপর, ক্রেতা ও বিক্রেতার উপর এবং মদের মাধ্যমে উপার্জনের টাকা ভোগকারী সকল ব্যক্তিদের উপর অভিশাপ দিয়েছেন।” (আল মুস্তাদরাক, ১৯৯/৫, হাদীস- ৭৩১০) 

(৩) “মদকে দেওয়ালে ছুড়ে মারো, কেননা সেটি ঐ ব্যক্তির পানিয় যে আল্লাহ্ তা‘আলা এবং শেষ দিবসের উপর ঈমান রাখে না।” (হিলইয়াতুল আউলিয়া, ১৫৯/৬, হাদীস- ৮১৪৮) 

(৪) “মদ পানকারী যখন মদ পান করে, তবে ঐ সময় সে মুমীন থাকে না।” (মুসলিম, ৪৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৫৭) 

বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

কারবালার রক্তিম দৃশ্য (ধৈর্য্য বিষয়ে)

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ সগে মদীনা মুহাম্মদ ইলিয়াছ আত্তার কাদেরী রযবীর عُفِىَ عَنْهُ পক্ষ থেকে মদীনার প্রেমে আত্মহারা, প্রিয় নবী, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ইশ্কে পাগলপারা, দা’ওয়াতে ইসলামীর মহিলা মুবাল্লিগার* ........... খেদমতে মাদানী শরীফের আশপাশ ঘুরে আসা, নূরানী বাতাসের এবং সেখানখার পরিবেশের ঘনঘটার বরকতে পরিপূর্ণ সুগন্ধিময় সালাম!

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه اَلحَمدُ لِلهِ رَبِّ العلَمِين عَلٰى كُلِّ حَال
---------------
*বিপদগ্রস্থ এক মহিলা মুবাল্লিগাকে শান্তনা দেবার জন্য এবং তাঁরই আবেদনের প্রেক্ষিতে দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী কাজের কর্ম-পদ্ধতির উপর লিখিত এক গুরুত্বপূর্ণ শান্ত¡নামূলক মাকতুব পরিবর্ধন সহকারে পেশ করা হল। ... মজলিসে মাকতুব।
--------------
ইশকে রাসুল এ ভরপুর আপনারই হাতের লেখা এক মাকতুব আমি গুনাহগারের হাতে এসেছে। আমি আপনার সেই মাদানী সুধায় পরিপূর্ণ মাকতুবটি সম্পূর্ণ পাঠ করেছি। আপনি দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রতি অত্যন্ত আন্তরিকতা রাখেন এবং চেষ্টারত রয়েছেন জেনে আমার মন আনন্দিত হয়ে মদীনার বাগানে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। হে আমার মাদানী কন্যা! আপনি লোকজনের অপবাদের ভয় করবেন না। বর্তমানে যারাই সুন্নাতের পথে চলার চেষ্টা করে সমাজ তাদের সাথে এই ধরনের গর্হিত ব্যবহারই করে থাকে। হায়! 

ওহ দওর আয়া কে দীওয়ানায়ে নবী কে লিয়ে
হার এক হাত মেঁ পাত্থর দেখাই দেতা হে।

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

"বই পাঠ প্রতিযোগিতা-২০১৭" এর প্রতিযোগীদের নাম

৩০ নভেম্বর-২০১৭ তারিখের পর আর কারো রেজিষ্ট্রেশন করা হবে না।

আপনার ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে প্রতিযোগিতার ফ্রেম লাগাতে ক্লিক করুন  👉  এখানে

নিশ্চিতভাবে যারা অংশ নিবেন, নাম্বারটি সবুজ করতে যোগাযোগ করুন

১। ইফতেখার আলম>> চট্টগ্রাম>> হোয়াটসেপ

২। Sabekun Nahar (Simu)>> চাঁপাইনবাবগঞ্জ>> ফেসবুক পেজ

৩। Md Jobayer Mahmud>> নরসিংদী>> ফেসবুক পেজ

৪। মুহাম্মদ ইসমাঈল হুসাইন>> ঢাকা>> হোয়াটসেপ

৫। সোহেল রেজা>> ঢাকা>> হোয়াটসেপ
সাদা ও সবুজ এই দুই ক্যটাগরিই অংশ নিতে পারবে
৬। ইসমাইল>> কুমিল্লা>> হোয়াটসেপ

৭। M. M. Rahman Ashrafi>> ঢাকা >> ফেসবুক পেজ

৮। মুহাম্মদ খলিলুর রহমান>> চট্টগ্রাম>> ফেসবুক পেজ

৯। মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব>> চট্টগ্রাম>> ফেসবুক পেজ

১০। মোহাম্মদ আরমান হোসেন>> চট্টগ্রাম>> হোয়াটসেপ

১১। শামীম কাদরী>> দিনাজপুর>> হোয়াটসেপ

১২। Md Saidullah>> কুমিল্লা>> ফেসবুক পেজ

১৩। Md Rahamat Ullah>> চট্টগ্রাম>> হোয়াটসেপ

১৪। শাওন আহমেদ>> হবিগঞ্জ>> ফেসবুক পেজ

১৫। Masum Billah Sunny>> চট্টগ্রাম>> হোয়াটসেপ

১৬। মুহাম্মদ অামানুল ইসলাম>> ঢাকা>> ফেসবুক পেজ

১৭। এ.বি.এম. আবিদুর রহমান>> হবিগঞ্জ>> ফেসবুক পেজ

১৮। মোঃ বোরহান উদ্দিন>> কুমিল্লা>> ফেসবুক পেজ

১৯। সৈয়দ রাকিবুর রহমান>> ঢাকা>> ফেসবুক পেজ

২০। মোল্লা শাকির আহমদ মাছুম>> মৌলভীবাজার>> ফেসবুক পেজ
প্রতিযোগীদের ক্রম অনুসারে টেষ্টের তারিখ
২১। কাশফিয়া হক>> ঢাকা>> ফেসবুক পেজ

২২। নাফিসা সালসাবিল>> কুমিল্লা>> ফেসবুক পেজ

২৩। Juyel Ahmed Jawdan>> সিলেট>> ফেসবুক পেজ

২৪। ইসমাঈল হোসেন প্রামানিক>> পাবনা>> ফেসবুক পেজ

২৫। Md Mamun>> নোয়াখালী>> ফেসবুক পেজ

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

চলাফেরা করার ১৫টি সুন্নাত ও আদব

(১) পারা ১৫ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত নং ৩৭ এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّكَ لَن تَخْرِقَ الْأَرْضَ وَلَن تَبْلُغَ الْجِبَالَ طُولًا (৩৭)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং ভূ পৃষ্ঠে অহংকার করে চলাফেরা করো না নিশ্চয় কখনো তুমি ভূ-পৃষ্ঠকে বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং কখনো উচ্চতার মধ্যে পাহাড় সমান হতে পারবে না।

(২) দাওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মাদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ৩১২ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব বাহারে শরীয়ত এর ১৬ অংশের, ৭৮ পৃষ্টার মধ্যে ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বর্ণিত রয়েছে, এক ব্যক্তি দুইটি চাদর পরিহিত অবস্থায় অহংকার করে চলছিল তাকে ভূ-পৃষ্ঠে দাবিয়ে দেয়া হল। সে কিয়ামত পর্যন্ত দাবতেই থাকবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৪৬৫)

(৩) মাদীনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কখনো কখনো পথ চলতে চলতে কোন সাহাবীর হাত আপন হাত মুবারকে নিয়ে নিতেন। (আল মুজামুল কাবীর লিত তাবরানী, খন্ড-৭, পৃ-১৬২)

আমরাদ অর্থাৎ সুশ্রী বালকদের হাত ধরবেন না, কামভাব নিয়ে যে কোন ইসলামী ভাইয়ের হাত ধরা কিংবা মুসাফাহা করা (অর্থাৎ হাত মিলানো) অথবা কুলাকুলি করা হারাম ও জাহান্নামে নিক্ষেপকারী কাজ।

সামুদ্রিক গম্বুজ : পিতা-মাতার হক্ব

আল্লাহ তাআলা হযরত সায়্যিদুনা সুলায়মান عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام কে ওহী প্রেরণ করলেন সমূদ্রের তীরে গিয়ে আমার কুদরতের নিদর্শন দেখুন। তিনি عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام আপন সাথীদেরকে নিয়ে সমূদ্র তীরে তাশরীফ আনলেন কিন্তু তেমন কোন নিদর্শন দেখলেন না, তিনি একটি জ্বিনকে আদেশ করলেন সমূদ্রে ডুব দিয়ে তলদেশের সংবাদ নিয়ে আস। সে ডুব দিয়ে ফিরে আসার পর আরয করলেন, আমি তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারিনি এবং কোন কিছু দেখিনি। তিনি عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام তার চেয়েও শক্তিশালী জ্বিনকে আদেশ দিলেন, সে প্রথম জ্বীনের তুলনায় দ্বিগুন গভীরে ডুব দিল কিন্তু সেও কোন সংবাদ আনতে পারল না। তিনি عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام আপন ওযীর হযরত আসীফ বিন বারখিয়া رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ কে হুকুম দিলেন, তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি চার দেয়াল বিশিষ্ট কাফুরের আলীশান সামুদ্রিক গম্বুজ সায়্যিদুনা সুলায়মান عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর মহিমান্বিত দরবারে উপস্থিত করলেন। এর একটা দরজা মুক্তার, দ্বিতীয়টি ইয়াকুতের, তৃতীয়টি হীরার এবং চতুর্থটি যামাররুদ (এক প্রকার সবুজ পাথর) এর ছিল। চারটি দরজা খোলা থাকা সত্ত্বেও সমূদ্রের পানির একটা ফোটাও ভিতরে প্রবেশ করেনি। এ সামুদ্রিক গম্বুজের ভিতর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিহিত একজন সুদর্শন যুবক নামাযে মশগুল ছিল। যখন সে নামায শেষ করল, তিনি عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام তাকে সালাম করে এ সামুদ্রিক গম্বুজ সম্পর্কে জানতে চাইলেন। সে আরয করল, হে আল্লাহর নবী عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام আমার পিতা পঙ্গু এবং আমার মা অন্ধ ছিলেন। اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَلّ আমি সত্তর বছর তাদের খিদমত করেছি, আমার মা ইন্তেকালের পূর্বে দুআ করলেন, হে আল্লাহ আমার ছেলেকে মঙ্গলজনক দীর্ঘায়ু দান করুন। আমার পিতা মহোদয় ইন্তেকালের সময় দুআ করলেন, আমার ছেলেকে এমন স্থানে ইবাদতের ব্যবস্থা করে দিন যেখানে শয়তান প্রবেশ করতে পারবে না। আমার মরহুম পিতার দাফনের পর আমি সমূদ্রে এসে এ সামুদ্রিক গম্বুজটা দেখতে পেলাম এবং আমি সেটার ভিতর প্রবেশ করলাম। এমন সময় এক ফিরিশতা আসল এবং সে এ গম্বুজকে সমূদ্রের তলায় নামিয়ে দিল।

মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

পর্দার মাসআলা (ত্রয়োদশ পর্ব)

কুফু (যোগ্যতা) কাকে বলে?
প্রশ্ন:- কুফু কাকে বলে? 
উত্তর:- সাধারণ পরিভাষায় শুধুমাত্র স্ব-জাতিকে (বংশ) কুফু বলা হয়ে থাকে এবং শরীয়াতে কুফুর সংজ্ঞা হলো; “জাতি অথবা ধর্ম অথবা পেশা অথবা চলাফেরা অথবা অন্য কোন কর্মে অযোগ্য না হওয়া, যা দ্বারা বিয়ে হওয়ায় অভিভাবকের জন্য (অর্থাৎ মেয়ের বাবা, দাদা ইত্যাদি) সামাজিক ভাবে লজ্জা ও বদনামীর কারণ হয়।” (ফতোওয়া মালেকুল উলামা, ২০৬ পৃষ্ঠা) সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরিকা হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ “বাহারে শরীয়াত”এ বর্ণনা করেন: “যোগ্যতার জন্য ছয়টি জিনিসের উপর নির্ভর করা হয়: ১. জাত (বংশ)। ২. ইসলাম। ৩. পেশা। ৪. আযাদ (স্বাধীন হওয়া)। ৫. সততা। ৬. সম্পদ।” (বাহারে শরীয়াত, ৭ম অংশ, ৫৩ পৃষ্ঠা) 

কুফু'র প্রতিটি শর্তের বিস্তারিত বর্ণনা 
(১) জাত (বংশ) এর বর্ণনা 
প্রশ্ন:- বংশের মধ্যে যোগ্যতা দ্বারা কি উদ্দেশ্য? 
উত্তর:- বংশের মধ্যে যোগ্যতা দ্বারা উদ্দ্যেশ হলো; প্রচলিত নিয়মানুযায়ী মেয়ের বিপরীতে ছেলের বংশ হয়তো উচ্চ হবে অথবা সমান, আর যদি সামান্য কম হয়েও যায় তবে এতটুকু যেন কম না হয় যে, মেয়ের অভিভাবকের (অর্থাৎ বাবা ও দাদা ইত্যাদি) জন্য অসম্মানের কারণ হয়। বংশের উচ্চতা ও নিম্নতা সমান পর্যায় হওয়ার কিছু বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নরূপ: (ক) কোরাইশের যতগুলো বংশ রয়েছে তা সবগুলো পরস্পর যোগ্যতা রাখে। শুধু তাই নয়, কোরাইশ তো বটে, কিন্তু হাশেমি নয়। তবে এমন কোরাইশি হাশেমি বংশের যোগ্য। “ফতোওয়ায়ে রযবীয়া”য় বর্ণিত আছে: “সৈয়দজাদীর বিয়ে কোরাইশ বংশের প্রতিটি বংশের সাথে হতে পারবে, হোক সে আলাবী বংশের অথবা আব্বাসি অথবা জাফরি অথবা সিদ্দীকি অথবা ফারুকি অথবা উসমানি অথবা উমাবী।” (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ১১তম খন্ড, ৭১৬ পৃষ্ঠা) 

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন