কুফু (যোগ্যতা) কাকে বলে?
প্রশ্ন:- কুফু কাকে বলে?
উত্তর:- সাধারণ পরিভাষায় শুধুমাত্র স্ব-জাতিকে (বংশ) কুফু বলা হয়ে থাকে এবং শরীয়াতে কুফুর সংজ্ঞা হলো; “জাতি অথবা ধর্ম অথবা পেশা অথবা চলাফেরা অথবা অন্য কোন কর্মে অযোগ্য না হওয়া, যা দ্বারা বিয়ে হওয়ায় অভিভাবকের জন্য (অর্থাৎ মেয়ের বাবা, দাদা ইত্যাদি) সামাজিক ভাবে লজ্জা ও বদনামীর কারণ হয়।” (ফতোওয়া মালেকুল উলামা, ২০৬ পৃষ্ঠা) সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরিকা হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ “বাহারে শরীয়াত”এ বর্ণনা করেন: “যোগ্যতার জন্য ছয়টি জিনিসের উপর নির্ভর করা হয়: ১. জাত (বংশ)। ২. ইসলাম। ৩. পেশা। ৪. আযাদ (স্বাধীন হওয়া)। ৫. সততা। ৬. সম্পদ।” (বাহারে শরীয়াত, ৭ম অংশ, ৫৩ পৃষ্ঠা)
কুফু'র প্রতিটি শর্তের বিস্তারিত বর্ণনা
(১) জাত (বংশ) এর বর্ণনা
প্রশ্ন:- বংশের মধ্যে যোগ্যতা দ্বারা কি উদ্দেশ্য?
উত্তর:- বংশের মধ্যে যোগ্যতা দ্বারা উদ্দ্যেশ হলো; প্রচলিত নিয়মানুযায়ী মেয়ের বিপরীতে ছেলের বংশ হয়তো উচ্চ হবে অথবা সমান, আর যদি সামান্য কম হয়েও যায় তবে এতটুকু যেন কম না হয় যে, মেয়ের অভিভাবকের (অর্থাৎ বাবা ও দাদা ইত্যাদি) জন্য অসম্মানের কারণ হয়। বংশের উচ্চতা ও নিম্নতা সমান পর্যায় হওয়ার কিছু বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নরূপ: (ক) কোরাইশের যতগুলো বংশ রয়েছে তা সবগুলো পরস্পর যোগ্যতা রাখে। শুধু তাই নয়, কোরাইশ তো বটে, কিন্তু হাশেমি নয়। তবে এমন কোরাইশি হাশেমি বংশের যোগ্য। “ফতোওয়ায়ে রযবীয়া”য় বর্ণিত আছে: “সৈয়দজাদীর বিয়ে কোরাইশ বংশের প্রতিটি বংশের সাথে হতে পারবে, হোক সে আলাবী বংশের অথবা আব্বাসি অথবা জাফরি অথবা সিদ্দীকি অথবা ফারুকি অথবা উসমানি অথবা উমাবী।” (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ১১তম খন্ড, ৭১৬ পৃষ্ঠা)