জিদ্দা শরীফ থেকে মক্কায়ে মুয়ায্যমা زَادَہَا للہُ شَرَفًا وَّ تَعۡظِیۡمًا
জিদ্দা শরীফের বিমান বন্দরে পৌঁছে আপনার হাতে থাকা জিনিস পত্র সঙ্গে নিয়ে “লাব্বায়িক”পড়তে পড়তে খুবই নম্র অন্তরে বিমান থেকে নেমে আসবেন। কাষ্টমস অফিসের কাউন্টারে নিজের পাসপোর্ট ও হেল্থ সার্টিফিকেট চেক করাবেন। অতঃপর জিনিস পত্রের ষ্টক থেকে নিজের জিনিসপত্র চিহ্নিত করে পৃথক করে নিবেন। কাস্টমস ইত্যাদি থেকে অব্যহতি পেতে এবং বাসের যাত্রার ব্যবস্থা করতে প্রায় ৬/৮ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। খুব ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথে কাজ করে যাবেন। জেদ্দা শরীফের হজ্ব টারমীনাল থেকে মক্কায়ে মুকাররমার زَادَ ہَا للہُ شَرَفًا وَّ تَعۡظِیۡمًا দূরত্ব প্রায় ১/১.৫ ঘন্টায় শেষ হতে পারে। কিন্তু গাড়ির ভিড় এবং সরকারী নিয়ম কানুনের কঠোরতার কারণে অনেক ধরণের পেরেশানী সামনে আসতে পারে। বাস ইত্যাদিরও অপেক্ষা করতে হয়। প্রত্যেক অবস্থায় ধৈর্য্য ও সন্তুষ্টির প্রতীক হয়ে لَبَّیۡکَ (তলবিয়া) পড়তে থাকবেন। রাগের বশবর্তী হয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে এবং শোরগোল করার দ্বারা সমস্যার সমাধান হওয়ার পরিবর্তে উল্টো আরো বেশী সমস্যায় পড়া, ধৈর্য্যের সাওয়াব নষ্ট হওয়া এবং আল্লাহর পানাহ! মুসলমানকে কষ্ট দেয়া, গীবত, অপবাদ দেয়া, দোষ অন্বেষণ করা ও কুধারণা ইত্যাদি ইত্যাদি গুনাহের আপদে ফেঁসে যাওয়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এক চুপ, শত সুখ। রওয়ানার তরকীব (ব্যবস্থা) হওয়ার পর জিনিস পত্র সহ নিজের মুয়াল্লিমের বাসের মধ্যে বসে লাব্বায়িকা পড়তে পড়তে মক্কা মুয়ায্যমা زَادَ ہَا للہُ شَرَفًا وَّ تَعۡظِیۡمًا দিকে রওয়ানা হয়ে যান।