আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭

পশুর এমন ২২টি অংশ, যা খাওয়া যায়না

“ফয়যানে সুন্নাত” ১ম খন্ডের ৪০৫-৪০৮ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে: আমার আক্বা আ‘লা হযরত, ইমামে আহমদ রযা খাঁন رحمة الله عليه বলেন: হালাল পশুর সব অংশই হালাল কিন্তু কিছু অংশ আছে যা খাওয়া হারাম, নিষিদ্ধ অথবা মাকরূহ। যেমন: (১) রগের রক্ত (২) পিত্ত (৩) মূত্রথলি (৪, ৫) পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ (৬) অন্ডকোষ (৭) জোড়া, শরীরের গাঁট (৮) হারাম মজ্জা (৯) ঘাড়ের দো পাট্টা, যা কাঁধ পর্যন্ত টানা থাকে (১০) কলিজার রক্ত (১১) তিলির রক্ত (১২) মাংসের রক্ত, যা যবেহ করার পর মাংস থেকে বের হয় (১৩) হৃদপিন্ডের রক্ত (১৪) পিত্ত অর্থাৎ ঐ হলদে পানি যা পিত্তের মধ্যে থাকে (১৫) নাকের আর্দ্রতা (ভেড়া-ভেড়ীর মধ্যে অধিক হারে থাকে) (১৬) পায়খানার রাস্তা (১৭) পাকস্থলি (১৮) নাড়িভূড়ি (১৯) বীর্য (২০) ঐ বীর্য, যা রক্ত হয়ে গেছে (২১) ঐ বীর্য, যা মাংসের টুকরো হয়ে গেছে (২২) ঐ বীর্য, যা পূর্ণ জানোয়ার হয়ে গেছে এবং মৃত অবস্থায় বের হয়েছে অথবা জবেহ করা ছাড়া মারা গেছে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২০তম খন্ড, ২৪০-২৪১ পৃষ্ঠা)

>>Donate Us<< ⬅ Click For More...



বিবেকবান কসাইরা এসব হারাম বস্তু বের করে ফেলে দিয়ে থাকে কিন্তু অনেকের তা জানা থাকে না কিংবা অসাবধানতাবশতঃ এরকম করে থাকে। তাই আজকাল প্রায় অজ্ঞাতবশতঃ যেসব জিনিস তরকারীর সাথে রান্না করা হয়, সেগুলোর পরিচয় প্রদানের চেষ্টা করছি।

রক্ত

জবাই করার সময় যে রক্ত বের হয় সেটাকে “দমে মাসফূহ” (প্রবাহিত রক্ত) বলা হয়। তা অপবিত্র, খাওয়া হারাম, জবাই করার পর যে রক্ত মাংসের মধ্যে থেকে যায়, যেমন- ঘাড়ের কাটা অংশে, হৃদপিন্ডের ভিতর, কলিজা, প্লীহা ও মাংসের আভ্যন্তরিণ ছোট ছোট রগের মধ্যে, এসব যদিও নাপাক নয় তবুও এসব রক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ। তাই রান্না করার পূর্বে এগুলো পরিস্কার করে নিন। মাংসের মধ্যে কিছু জায়গায় ছোট ছোট রগে রক্ত থাকে তা চোখে পড়া খুবই কঠিন। রান্নার পর ঐ রগগুলো কালো রেখার ন্যায় হয়ে যায়। বিশেষতঃ মগজ, মাথা, পা ও মুরগীর রান ও ডানার মাংস ইত্যাদির মধ্যে হালকা কালো রেখা দেখা যায়, খাওয়ার সময় তা বের করে ফেলে দিন। মুরগীর হৃদপিন্ডও সরাসরি রান্না করবেন না, লম্বাতে চার ভাগ করে কেটে ফাঁক করে প্রথমে সেটার রক্ত ভালভাবে পরিস্কার করে নিন।

কসাইদের জন্য ২০টি মাদানী ফুল (করণীয়)

(১) প্রথমে কোন অভিজ্ঞ মাংস বিক্রেতার তত্ত্বাবধানে জবেহ ইত্যাদির কাজ শিখে নিবে, কেননা অনভিজ্ঞের জন্য এ কাজ জায়েয নেই। এ কারণে কারো পশুর মাংস এবং চামড়া ইত্যাদিকে প্রচলিত নিয়ম থেকে সরে গিয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(২) অভিজ্ঞ কসাইরও উচিত, তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অসাবধানতাবশতঃ চামড়ার সাথে প্রচলিত নিয়মের চেয়ে বেশি মাংস লেগে থাকতে না দেয়া। এভাবে নাড়িভূড়ি বের করার সময়েও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী, যেন অযথা মাংস ও চর্বি এর সাথে চলে না যায়। এমনকি খাওয়ার উপযুক্ত হাঁড়গুলোও ফেলে না দিয়ে টুকরো টুকরো করে মাংসের সাথে ঢেলে দিন এবং অভিজ্ঞ মাংস বিক্রেতারও নিয়ম বহির্ভূত মাংস ও চামড়ার ক্ষতি করা জায়েয নেই।

কুরবানীর মাংস বন্টন করার বিস্তারিত জেনে নিন

কুরবানীতে আকীকার অংশ

কুরবানীর গরু বা উটে আকীকার অংশ হতে পারে। (রদ্দুল মুহতার, ৯ম খন্ড, ৫৪০ পৃষ্ঠা)


সম্মিলিত কুরবানীর মাংস ওজন করে বন্টন করতে হবে

একাধিক ব্যক্তি মিলে গরু দিয়ে কুরবানী করলে মাংস ওজন দিয়ে বন্টন করা আবশ্যক। অনুমান করে মাংস বন্টন করা জায়েয নেই, এরকম করলে গুনাহগার হবে। বেশি বা কম হলে সন্তুষ্টচিত্তে একে অপরকে ক্ষমা করে দেওয়াও যথেষ্ট নয়। (বাহারে শরীয়াত থেকে সংক্ষেপিত, ৩য় খন্ড, ৩৩৫ পৃষ্ঠা) তবে যদি অংশীদার সকলেই একই ঘরে বসবাস করে, মিলে-মিশে বন্টন করে এবং এক সাথে খায় অথবা অংশীদাররা নিজেদের অংশের মাংস নিতে না চায়, এমতাবস্থায় ওজন করে ভাগ করার প্রয়োজন নেই।

অনুমানের ভিত্তিতে মাংস বন্টনের দু’টি কৌশল

যদি অংশীদাররা নিজেদের অংশের মাংস নিয়ে যেতে চায়, তাহলে ওজন করার ঝামেলা ও পরিশ্রম থেকে বাঁচতে চাইলে নিম্নলিখিত দুটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
১) জবেহ করার পর ঐ গরুর সম্পূর্ণ মাংস এমন একজন বালেগ মুসলমানকে দান করে মালিক বানিয়ে দিবে, যে তাদের সাথে কুরবানীতে অংশীদার নয়। এখন সে অনুমান করে সবাইকে মাংস বন্টন করে দিতে পারবে।

বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

কুরবানীর পদ্ধতি

(কুরবানী হোক কিংবা এমনি অন্য কোন জবেহ হোক)
আমাদের দেশে এই নিয়মটা চলে আসছে যে, জবেহকারী কিবলামূখী হয় এবং পশুকেও কিবলামূখী করা হয়। কিবলা যেহেতু আমাদের পাক ভারত উপমহাদেশের (WEST) পশ্চিম দিকে, সেহেতু পশুর মাথা (SOUTH) দক্ষিণমুখী করতে হবে। যাতে পশুকে বাম পাজরে শোয়ালে এটির পিঠ (EAST) পূর্ব দিকে হয় এবং তার মুখমন্ডল কিবলামুখী হয়ে যায়। আর জবেহকারী নিজের ডান পা পশুর গর্দানের ডান অংশের (গর্দানের নিকটবর্তী অংশের) উপর রাখবে এবং জবেহ করবে। জবেহকারী নিজের কিংবা পশুর মুখমন্ডল কিবলামূখী না করলে মাকরূহ হবে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২০তম খন্ড, ২১৬ ও ২১৭ পৃষ্ঠা)
কুরবানীর পদ্ধতি ও দোআ

কুরবানীর পশু জবেহ করার পূর্বে নিম্নলিখিত দোয়া পাঠ করবেন

إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ۖ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
{কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আমি আমার মুখমন্ডল তাঁর দিকে ফিরালাম একমাত্র তাঁরই জন্যে, যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। একমাত্র তাঁরই হয়ে এবং আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভূক্ত নই। (পারা-৮, সূরা- আনআম, আয়াত- ৭৯)}

ঘোড়ার আরোহী (কুরবানীর পূর্ণাঙ্গ মাসআলা মাসাইল)

হযরত সায়্যিদুনা আহমদ বিন ইছহাক رحمة الله عليه বলেন : আমার ভাই দরিদ্র হওয়া সত্বেও আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়্যতে প্রতি বছর কুরবানীর ঈদে কুরবানী করতেন। তাঁর ইন্তিকালের পর আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, কিয়ামত সংগঠিত হয়ে গেছে আর মানুষ তাদের নিজ নিজ কবর থেকে বের হয়েছে হঠাৎ আমার মরহুম ভাইকে একটি সুন্দর বিচিত্র বর্ণের ঘোড়ায় আরোহী অবস্থায় দেখলাম। তাঁর সাথে আরো অনেক ঘোড়া ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম : ‘হে আমার ভাই আল্লাহ্ তাআলা আপনার সাথে কি ধরনের আচরণ করেছেন? তিনি বললেন : ‘আল্লাহ্ তাআলা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (জিজ্ঞাসা করলাম) “কোন আমলের কারণে?” উত্তরে বললেন: “একদিন কোন এক গরীব বৃদ্ধা মহিলাকে সাওয়াবের নিয়্যতে আমি একটি দিরহাম দান করেছিলাম, ঐ দানই কাজে এসেছে।” আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম: “এগুলো কিভাবে পেলেন?” উত্তরে বললেন: “এই সব ঘোড়া আমার কুরবানীর ঈদের (আমার দেওয়া) কুরবানীর পশু এবং যেই ঘোড়ায় আমি আরোহণ করেছি তা আমার জীবনের প্রথম কুরবানী।” আমি জিজ্ঞাসা করলাম: “এখন কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করেছেন?” তিনি উত্তরে বললেন: “জান্নাতের উদ্দেশ্যে”। এই কথা বলে তিনি আমার দৃষ্টি থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। (দুররাতুন নাছেহীন, ২৯০ পৃষ্ঠা) 
আল্লাহ্ তাআলার রহমত তারঁ উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক। 

صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد

প্রিয় নবীর ﷺ চারটি বাণী

(১) “কুরবানী দাতার কুরবানীর পশুর প্রত্যেকটি লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকী অর্জিত হয়।” (তিরমিযি, ৩য় খন্ড, ১৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৪৯৮)

মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭

হজ্বের মাসাইল: পর্ব-২ হজ্ব ও ওমরাকারীদের জন্য ৫৬টি নিয়্যত

(রিওয়ায়াত,       হিকায়াত        ও        মাদানী        ফুল  সম্বলিত)

(উপরোক্ত       নিয়্যত       সমূহ       থেকে       হজ্ব       ও  ওমরাকারী নিজেদের সামর্থ   অনুসারে ঐ সমস্ত  নিয়্যত গুলো  করবেন,  যার উপর আমল করার আপনার পরিপূর্ণ মন-মানসিকতা আছে।)

﴾১﴿  শুধুমাত্র   আল্লাহ  তাআলার   সন্তুষ্টি  অর্জনের জন্য   হজ্ব করব।   (কবুল  হওয়ার  জন্য ইখলাছ তথা অন্তরের    একনিষ্টতা  থাকা   পূর্বশর্ত,   আর ইখলাছ   অর্জনের   ক্ষেত্রে   এই   বিষয়টি   একান্ত  সহায়ক   যে, রিয়া   তথা   লোক   দেখানো   ভাব  এবং খ্যাতি   অর্জনের  সকল   উপাদান গুলোকে বর্জন  করা।)  নবী কারীম  صَلَّی   اللہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন:  “লোকদের  মাঝে এমন   একটি   সময়   আসবে, আমার   উম্মতের  মধ্যকার     ধনীরা     ভ্রমণ     ও     আনন্দের     জন্য,  মধ্যবিত্তরা  ব্যবসার জন্য, ক্বারীরা দেখানোর ও শোনানোর  জন্য  আর    গরীবেরা   ভিক্ষার   জন্য  হজ্ব    করবে।   (তারিখে    বাগদাদ,      ১০ম খন্ড, ২৯৫ পৃষ্ঠা)

﴾২﴿   এই   আয়াতে    মোবারাকার    উপর    আমল করব:
وَ    اَتِمُّوا  الۡحَجَّ  وَ الۡعُمۡرَۃَ  لِلّٰہِ   

কানযুল   ঈমান   থেকে    অনুবাদ:    এবং   হজ্ব   ও ওমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে পূর্ণ করো।   (পারা:   ২,    সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৯৬)

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

হজ্বের মাসাইল: পর্ব ১- আপনার “মদীনার সফর” মোবারক হোক

اَلۡحَمۡدُ  لِلہِ رَبِّ  الۡعٰلَمِیۡنَ وَالصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلٰی  سَیِّدِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ اَمَّا  بَعۡدُ فَاَعُوۡذُ  بِا  للہِ  مِنَ   الشَّیۡطٰنِ  الرَّجِیۡمِ  ؕ  بِسۡمِ اللہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ ؕ

নবী  করীম,  রউফুর রহীম,  রাসুলে আমীন صَلَّی  اللہُ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ      وَسَلَّم  ইরশাদ   করেছেন: “ইলমে   দ্বীন অর্জন  করা   প্রত্যেক  মুসলমানের উপর  ফরয।”  (ইবনে  মাযাহ,  ১ম  খন্ড,  ১৪৬  পৃষ্ঠা,   হাদীস   নং: ২২৪)      এর ব্যাখ্যায়    এটা রয়েছে যে, হজ্ব আদায়কারীর উপর ফরয হচ্ছে হজ্বের  প্রয়োজনীয়  মাসআলা জানা। সাধারণত  হাজী সাহেবগণকে  তাওয়াফ  ও সাঈ ইত্যাদির  সময়ে   যে  সমস্ত   দোআ পাঠ করা হয়   ঐ সমস্ত  আরবী        দোআ        খুব        মনোযোগ        সহকারে  আনন্দচিত্তে পড়তে দেখা যায়। যদিও এটা খুব ভালো।  বিশুদ্ধভাবে  পাঠ  করতে  হবে।   আবার  যদি কেউ এই দোআগুলো নাও পড়ে তবুও সে গুনাহগার হবে না। কিন্তু হজ্বের জরুরী মাসআলা সমূহ        না     জানলে     গুনাহ     হবে।       “রফীকুল হারামাঈন”   اِنۡ   شَآءَ   اللہ      عَزَّوَجَلّ   আপনাকে  অনেক     গুনাহ    থেকে     বাঁচাবে,    হজ্বের     সময়  “ফ্রি”তে দেওয়া হজ্বের অনেক কিতাবের মধ্যে দেখা   যায়    শরীয়াতের  মাসআলার  ক্ষেত্রে   খুব বেশী অসতর্কতার সাথে কাজ করানো হয়েছে। এতে খুবই দুশ্চিন্তা হয় যে, এই সমস্ত কিতাবের দিক নির্দেশনা গ্রহণকারী   হাজীদের  কি অবস্থা  হবে! اَلْحَمْدُ  لِلّٰہِ عَزَّوَجَلَّ  “রফিকুল  হারামাঈন”  অনেক   বছর ধরে   লক্ষ     লক্ষ    কপি   ছাপানো হচ্ছে। এতে অধিকাংশ  মাসআলা ফতোওয়ায়ে রযবীয়া    শরীফ      ও বাহারে    শরীয়াতের     মত সনদযুক্ত    কিতাবে    বর্ণিত    মাসআলাকে    খুবই  সহজ করে লিখার চেষ্টা  করা হয়েছে। বর্তমানে এতে   আরো    অধিক   সংশোধন    ও   বৃদ্ধি   করা  হয়েছে,   আর   দা’ওয়াতে     ইসলামীর মজলিস  “আল মদীনাতুল ইলমিয়্যাহ” এর এবং “দারুল ইফতা  আহ্‌লে    সুন্নাত”  শুরু  থেকে  শেষ পর্যন্ত এর     একেকটি     মাসআলা     দেখে       খুব     বেশী উপকার করেছেন। اَلْحَمْدُ لِلّٰہِ عَزَّوَجَلَّ খুব বেশী ভাল ভাল         নিয়্যত          সহকারে        “রফিকুল হারামাঈন”      এর       প্রকাশনার        ব্যবস্থা       করা হয়েছে।              আল্লাহর   শপথ!              “রফিকুল হারামাঈন”এর   মাধ্যমে  মদীনার   মুসাফিরদের সুপথ প্রদর্শন করে শুধু আল্লাহ  তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন   করা মূল  উদ্দেশ্য  নিজের  আয়ের  কোন চিন্তা নেই।

রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

তায়াম্মুমের বর্ণনা

তায়াম্মুমের    ফরয    সমূহ

তায়াম্মুমের    ফরয  তিনটি       যথা:     
(১)    নিয়্যত    করা,    
(২)     সমস্ত মুখমন্ডল মাসেহ করা, 
(৩) কনুইসহ উভয় হাত মাসেহ    করা।    (বাহারে    শরীয়াত,    ১ম    খন্ড,  ৩৫৩-৩৫৫ পৃষ্ঠা)

তায়াম্মুমের ১০টি সুন্নাত

(১) بِسْمِ الله পাঠ করা, 
(২) উভয় হাত মাটিতে  মারা, 
(৩) উভয় হাত মাটিতে মারার পর প্রথমে উভয় হাত   সামনের দিকে নিয়ে পরে  পিছনের  দিকে ফিরিয়ে  আনা। 
(৪)  মাটিতে   হাত  মারার সময় আঙ্গুল সমূহ   ফাঁক  রাখা,  
(৫)  উভয় হাত মাটি থেকে   উঠানোর পর   ঝেড়ে ফেলা অর্থাৎ এক  হাতের   বৃদ্ধাঙ্গুলির   গোঁড়া  অপর হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির       গোঁড়ার         সাথে        আঘাত       করে ধুলা-বালি  ঝেড়ে  ফেলা।  তবে  আঘাত  করার  সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তালির আওয়াজ না  হয়,   
(৬)  প্রথমে    মুখমন্ডল    তারপর   উভয় হাত মাসেহ করা, 
(৭) মুখমন্ডল মাসেহ   করার সাথে    সাথেই     হাত    মাসেহ     করা,    মাঝখানে বিরতি গ্রহণ না করা, 
(৮) প্রথমে ডান হাত তার পর   বাম হাত মাসেহ করা,  
(৯)  দাঁড়ি  খিলাল করা,

শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭

পবিত্রতা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ মাসাইল

কোরআন  শরীফ  পড়া  বা   স্পর্শ   করার  দশটি আদব

পবিত্রতা বিষয়ক আরো পড়ুন প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব
(১) যার উপর গোসল ফরয তার জন্য মসজিদে প্রবেশ করা, তাওয়াফ করা,   কোরআন    শরীফ স্পর্শ করা,  কোরআন শরীফ স্পর্শ না করে এর কোন   আয়াত  বা  সূরা  মুখস্থ   পড়া,  কোরআন শরীফের কোন আয়াত লিখা, আয়াতের তাবিজ লিখা (এটা ঐ অবস্থায় হারাম যখন কাগজ স্পর্শ করা  পাওয়া যাবে।    যাতে  আয়াতে   কোরআন  আছে  আর    যদি   কাগজ    স্পর্শ   না  করে  লিখে তাহলে     জায়েয) (অপ্রকাশিত      ফতোওয়ায়ে আহলে সুন্নাত)  এমন তাবিজ স্পর্শ  করা, এমন আংটি    স্পর্শ      করা     বা পরিধান     করা    যাতে কোরআন        শরীফের           আয়াত        বা        হুরুফে  মুকাত্তিয়াত  লিখিত  আছে সম্পূর্ণরূপে   হারাম।  (বাহারে  শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩২৬ পৃষ্ঠা) (মোম দ্বারা      জামানো,     প্ল্যাস্টিক      দ্বারা মোড়ানো   কাপড় বা চামড়াতে সেলাই করা তাবিজ স্পর্শ করলে বা গাঁয়ে দিলে কোন অসুবিধা নেই।)
 (২)  যদি কোরআন শরীফ জুজদানের (গিলাফ) মধ্যে    থাকে,   তাহলে    অযু   বা   গোসল    বিহীন অবস্থায় জুজদান   স্পর্শ    করলে  কোন  অসুবিধা নেই। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩২৬   পৃষ্ঠা)

(৩) অনুরূপভাবে  অযু বা গোসলবিহীন অবস্থায় এমন কাপড় বা রুমাল দ্বারাও কোরআন শরীফ স্পর্শ   করা    জায়েয   যা   নিজের   বা     কোরআন শরীফের অধীনে নয়। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩২৬   পৃষ্ঠা)

অযু ও বিজ্ঞান (পর্ব-৭)

অযুর রহস্য শুনার কারণে ইসলাম গ্রহণ

এক  ব্যক্তির  বর্ণনা:  “আমি  বেলজিয়ামে  কোন  এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অমুসলিম শিক্ষার্থীকে ইসলামের     দাওয়াত দিলাম।       সে       জিজ্ঞাসা করলো:   “অযুর মধ্যে   কি কি বৈজ্ঞানিক রহস্য  আছে?” আমি নির্বাক হয়ে যাই। তাকে একজন আলিমের নিকট নিয়ে গেলাম কিন্তু তাঁর কাছেও এর  কোন জ্ঞান  ছিল  না।  অবশেষে  বিজ্ঞানের  জ্ঞান    রাখেন    এমন এক   ব্যক্তি    তাকে   অযুর যথেষ্ট সৌন্দর্য বর্ণনা করলো কিন্তু গর্দান মাসেহ করার     রহস্য   বর্ণনা   করতে    তিনিও অপারগ হলেন।  এরপর  সে  অমুসলীম  (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) চলে যায়। কিছু  দিন পর  এসে বলল, “আমাদের      প্রফেসর লেকচারের মাঝখানে  বলেছেন, “যদি  গর্দানের পৃষ্ঠদেশে  ও  দু’পার্শ্বে  দৈনিক কয়েক ফোটা  পানি  লাগিয়ে    দেয়া হয়  তাহলে    মেরুদন্ডের    হাড়  ও দূষিত     মজ্জার  সংক্রমণ  থেকে সৃষ্ট ব্যাধি সমূহ  থেকে  নিরাপদ থাকা যায়।”    এটা     শুনে অযুর    মধ্যে    গর্দান মাসেহ্   করার   রহস্য  আমার  বুঝে  এসে   যায়। অতএব  আমি মুসলমান  হতে  চাই    এবং  শেষ পর্যন্ত বাস্তবেই সে মুসলমান হয়ে গেলো।

صَلُّوْا عَلَی  الْحَبِیْب!          صَلَّی اللهُ  تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد

পশ্চিম জার্মানীর সেমিনার

সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

গোসল বিষয়ক মাসআলা মাসাইল-২

কখন গোসল করা সুন্নাত

গোসল বিষয়ক আরো পড়ুন প্রথম পর্ব তৃতীয় পর্ব
জুমার দিন, ঈদুল ফিতরের দিন, ঈদুল আযহার দিন, ৯ই জিলহজ্জ আরাফার দিন এবং  ইহরাম  বাধার সময় গোসল করা সুন্নাত। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৬ পৃষ্ঠা)

কখন গোসল করা মুস্তাহাব

(১)          আরাফায়          অবস্থানের          জন্য,          
(২)  মুযদালিফায়      অবস্থানের      জন্য,      
(৩)      হেরম  শরীফে  প্রবেশ  করার    জন্য,    
(৪)  নবী  করীম, রউফুর   রহীম,   রাসূলে   আমীন   صَلَّی   اللّٰہُ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রওজা মোবারক যিয়ারতের জন্য,  
(৫)  তাওয়াফ  করার  জন্য, 
(৬)  মিনাতে প্রবেশ     করার   জন্য,  
 (৭)   (১০,   ১১    ও   ১২ই জিলহজ্জ)    জমরাতে   কংকর    নিক্ষেপের   জন্য, 
(৮)    কদরের রাতে, 
(৯) বরাতের  রাতে, 
(১০) আরাফার    রাতে,    
(১১)  মীলাদ       শরীফের মাহফিলে অংশগ্রহণ করার জন্য, 
(১২) অন্যান্য মাহফিলে   অংশগ্রহণ   করার   জন্য,   
  (১৩)   মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পর,

গোসলের পদ্ধতি- পর্ব ১

অনুপম শাস্তি

গোসল বিষয়ক আরো পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব
হযরত  সায়্যিদুনা  জুনাইদ  বাগদাদী  رَحْمَۃُ  اللّٰہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  বলেন:  ইবনুল  কুরাইবী  رَحْمَۃُ  اللّٰہِ   تَعَالٰی     عَلَیْہِ     বর্ণনা করেন;     একবার     আমার  স্বপ্নদোষ হলো, আমি তখন গোসল করার ইচ্ছা পোষণ  করলাম।   প্রচন্ড শীতের  রাত   ছিলো।   তাই    আমার   নফস    আমাকে   পরামর্শ   দিলো:  “এখনও  রাতের  অনেকাংশ  বাকী আছে,  এত  তাড়াতাড়ি     করার     কী     প্রয়োজন?    সকালে প্রশান্ত মনে গোসল করে নিতে পারবে।”
আমি     তাড়াতাড়ি     আমার     নফসকে     একটি অনুপম শাস্তি দেয়ার শপথ করলাম।  তা  হলো: আমি প্রচন্ড শীতের মধ্যেই কাপড় সহ গোসল করব     এবং    গোসল    করার    পর    কাপড়     না নিংড়িয়ে ভিজা কাপড়েই থাকব এবং শরীরেই সে   ভিজা   কাপড়   শুকাব,   বাস্তবে   আমি   তাই  করলাম। যে দুষ্ট নফস আল্লাহ্ তাআলার কাজে অলসতা করার জন্য প্ররোচনা দিয়ে থাকে তার এরূপ        শাস্তিই        হয়ে        থাকে। (কিমিআয়ে  সাআদাত, ২য় খন্ড, ৮৯২ পৃষ্ঠা)

আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায়  আমাদের ক্ষমা হোক। 
اٰمِين بِجا   هِ  النَّبِىِّ   الْاَمين     صَلَّی   اللہُ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  
প্রিয়   ইসলামী   ভাইয়েরা!    আপনারা    দেখলেন  তো! আমাদের পূর্ববর্তী বুযুর্গরা তাঁদের নফসের ধোঁকাবাজীকে দমন করার জন্য কত বড় বড় কষ্ট  সহ্য  করেছিলেন।  বর্ণিত  ঘটনা  থেকে  সে  সকল ইসলামী    ভাইদের     শিক্ষা    গ্রহণ     করা   উচিত,      যারা     রাতে      স্বপ্নদোষ      হওয়ার     পর পরকালের ভয়ানক লজ্জাকে ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র পরিবারের    সদস্যদের     লজ্জায়     বা    অলসতার কারণে    গোসল   থেকে বিরত   থেকে   ফযরের নামাযের জামাআত নষ্ট করে। এমনকি আল্লাহর পানাহ! নামায পর্যন্তও কাযা করে ফেলে। যখন কোন      কারণে       গোসল      ফরয     হবে     তখনই আমাদের    গোসল   করে   নেয়া   উচিত। হাদীস শরীফে      বর্ণিত   আছে:   “ফিরিশতারা   সে   ঘরে প্রবেশ করে  না, যে ঘরে  ছবি,  কুকুর ও  জুনুবী ব্যক্তি (অর্থাৎ এমন ব্যক্তি যার উপর স্ত্রী সহবাস বা  স্বপ্নদোষ  বা  যৌন    উত্তেজনাবশত  বীর্যপাত হওয়ার কারণে গোসল ফরয হয়েছে)   রয়েছে। (সুনানে   আবু     দাউদ,   ১ম    খন্ড,   ১০৯   পৃষ্ঠা,  হাদীস-২২৭)

রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭

দুরূদ শরীফ না পড়ার ক্ষতিসমূহ

দুরূদ শরীফ না পড়ার ক্ষতি-১
(১) ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم “যে লোক নিজেদের মজলিশ থেকে আল্লাহ্তা আলার যিকির এবং হুযুর  صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা ব্যতীত উঠে যায়, তবে সে দুর্গন্ধময় লাশ থেকে উঠল।” (শুয়াবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ২১৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৫৭০)
দুরূদ শরীফ না পড়ার ক্ষতি-২
(২) ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  “যার কাছে আমার আলোচনা হল, আর সে আমার উপর দরূদ শরীফ পড়ল না, তবে সে জানড়বাতের রাস্তা ভূলে গেল।” (মুজাম কবীর, ৩য় খন্ড, ১২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৮৮৭)

দুরূদ শরীফ না পড়ার ক্ষতি-৩
(৩) ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  “ঐ ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, যার কাছে আমার আলোচনা হল, আর সে আমার উপর দরূদ পাক পড়ল না।” (তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ৩২০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৫৫৬)

দুরূদ শরীফ না পড়ার ক্ষতি-৪
(৪) ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  “যে ব্যক্তির নিকট আমার আলোচনা হল, আর সে আমার উপর দরূদ শরীফ পড়ল না, তবে সে লোকদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ব্যক্তি।” (মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ১ম খন্ড, ৪২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭৩৬)

শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৭

দুরূদ শরীফ পাঠের ফযিলত- পর্ব-৬

দুরূদ শরীফ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামদের رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ  ৫ টি বাণী

বাণী-১
(১) হযরত সায়্যিদুনা আবু বকর সিদ্দিক رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বলেন: “নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা গুনাহ সমূহকে এত দ্রুত মিটিয়ে দেয় যে, পানিও আগুণকে তত দ্রুত নিভাতে পারে না, আর রাসুলুল্লাহ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর সালাম প্রেরণ করা গর্দান সমূহ (অর্থাৎ- গোলামদেরকে) আযাদ করার চেয়েও উত্তম।” (তারিখে বাগদাদ, ৭ম খন্ড, ১৭২ পৃষ্ঠা)
বাণী-২
(২) হযরত সায়্যিদুনা আয়েশা সিদ্দিকা رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا বলেন: “তোমরা তোমাদের মজলিশ সমূকে আল্লাহর নবী, রাসুলে আরবী صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে সজ্জিত করো।” (তারিখে বাগদাদ, ৭ম খন্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা)

শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭

দুরূদ শরীফ পাঠের ফযিলত- পর্ব-৫

❤❤ফযিলত-৪১❤❤
একদা হযরত সায়্যিদুনা শায়খ আবূ বকর শিবলী رحمة الله عليه বাগদাদ শরীফের বিজ্ঞ আলিম হযরত সায়্যিদুনা আবূ বকর মুজাহিদ رحمة الله عليه এর নিকট তাশরিফ নিলেন। হযরত সায়্যিদুনা আবু বকর মুজাহিদ رحمة الله عليه তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন আর কপালে চুমু দিয়ে খুবই সম্মানের সাথে নিজের পাশে বসালেন। সেখানে উপস্থিত লোকেরা আরয করলেন: হে সায়্যিদী! আপনি ও বাগদাদের অধিবাসীরা এতদিন যাবৎ তাঁকে পাগল বলে আসছেন কিন্তু আজকে কেন তাঁকে এমন সম্মান দেখালেন?
জবাবে বললেন: আমি এমনিতেই এরূপ করিনি। الحمد لله عزوجل আজ রাতে আমি স্বপ্নে এরূপ ঈমান তাজাকারী দৃশ্য দেখেছি যে, হযরত সায়্যিদুনা আবু বকর শিবলী رحمة الله عليه বারগাহে রিসালাত  এ উপস্থিত হয়েছেন, তখন ছরকারে দোআলম, নূরে মুজাস্সম, নবী করীম ﷺ দাঁড়িয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন আর কপালে চুমু দিয়ে তাঁর পাশে বসালেন। আমি আরয করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ শিবলীর প্রতি এরূপ দয়া প্রদর্শনের কারণ কি? আল্লাহর মাহবুব (অদৃশ্যের সংবাদ দিয়ে) বললেন: সে প্রত্যেক নামাযের পর এ আয়াত পাঠ করে:


لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ 

আয়াত পাঠ করার পর আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে। (আল কাওলুল বদী, ৪৬ পৃষ্ঠা, মু’সিসাতুর রাইয়ান, বৈরুত)

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন