আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭

দুরূদ শরীফ পাঠের ফযিলত- পর্ব-৪

❤❤ফযিলত-৩১❤❤
(৩১) রহমতে        আলম,      নূরে      মুজাস্সাম,      রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “যে (ব্যক্তি) কুরআন পড়লো এবং আপন প্রতিপালকের প্রশংসা করলো, অতঃপর আমার উপর দরূদে পাক পড়লো, তারপর নিজ প্রতিপালক থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করল, তবে সে মঙ্গলকে সেটার জায়াগা থেকে তালাশ করে নিলো।” (শুয়াবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২০৮৪)
❤❤ফযিলত-৩২❤❤
(৩২) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ  ﷺ  এর জান্নাতরূপী ফরমান, “আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে তোমরা তোমাদের মজলিশ সমূহকে সজ্জিত করো, কেননা তোমাদের দরূদে পাক পাঠ করা কিয়ামতের দিন তোমাদের জন্য নূর হবে।” (ফিরদৌসুল আখবার, ১ম খন্ড, ৪২২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১৪৯)

বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭

দুরূদ শরীফ পাঠের ফযিলত- পর্ব-৩

❤❤ফযিলত-২১❤❤
(২১) সুলতানে   দো-আলম,   নূরে   মুজাস্সাম,     শাহে বনী আদম,  রাসূলে  মুহ্তাশাম   صَلَّی  اللّٰہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم  ইরশাদ করেন: “হে লোকেরা! নিশ্চয় কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং হিসাব নিকাশ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে আমার উপর দুনিয়াতে অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকে।” (আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ৫ম খন্ড, ২৭৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৮১৭৫)
❤❤ফযিলত-২২❤❤
(২২) রহমতে        আলম,      নূরে      মুজাস্সাম,      রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “আমার প্রতি অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ কর, নিশ্চয় আমার প্রতি তোমাদের দরূদ শরীফ পাঠ করা, তোমাদের গুনাহের জন্য মাগফিরাত স্বরূপ।” (ইবনে আসাকির, ৬১তম খন্ড, ৩৮১ পৃষ্ঠা)

❤❤ফযিলত-২৩❤❤
(২৩) “যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদে পাক পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য এক ‘ক্বীরাত’ পরিমাণ সাওয়াব লিখে দেন। ক্বীরাত হচ্ছে: উহুদ পর্বতের সম-পরিমাণ।” (মুসান্নিফে আবদুর রাজ্জাক, ১ম খন্ড, ৩৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৫৩)

মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭

দুরূদ শরীফ পাঠের ফযিলত- পর্ব-২

❤❤ফযিলত-১১❤❤
(১১) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ  ﷺ  এর জান্নাতরূপী ফরমান, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি ভালবাসা ও আগ্রহের কারণে প্রতিটি দিন ও রাতে তিন তিন বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তাআলা তার বদান্যতার দায়িত্বে একথা অপরিহার্য করে নেন যে, তিনি তার ওই দিন ও রাতের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।” (মু’জামুল কবীর, ১৮তম খন্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯২৮)
❤❤ফযিলত-১২❤❤
(১২) সুলতানে   দো-আলম,   নূরে   মুজাস্সাম,     শাহে বনী আদম,  রাসূলে  মুহ্তাশাম   صَلَّی  اللّٰہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم  ইরশাদ করেন: “তোমরা যেখানেই থাক, আমার উপর দরূদে পাক পাঠ করো, কেননা তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌছে থাকে।” (মু’জামুল কবীর, ৩য় খন্ড, ৮২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৭২৯)

❤❤ফযিলত-১৩❤❤
(১৩) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ  ﷺ  এর জান্নাতরূপী ফরমান, “নিশ্চয় তোমাদের নাম পরিচয় সহ আমার কাছে পেশ করা হয়, এজন্য আমার উপর সুন্দর (অর্থাৎ- সর্বোত্তম শব্দাবলীর মাধ্যমে) দরূদ পাক পাঠ কর। (মুসান্নিফ আবদুল রাজ্জাক, ২য় খন্ড, ১৪০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১১৬)

শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

অপচয় থেকে বাঁচার ১৪টি মাদানী ফুল

(১)      আজ    পর্যন্ত    যতধরণের     অবৈধ     অপচয় করেছেন তা থেকে তাওবা করে ভবিষ্যতে আর কখনও কোন ধরণের অপচয় না করার প্রতিজ্ঞা করে নিন।
(২)  অযু   গোসলও যাতে সুন্নাত মোতাবেক হয় এবং পানিও  যাতে  কম খরচ হয় সেরূপ  নিয়ম  নীতি গড়ে   তোলার চিন্তাভাবনা    করুন   এবং কিয়ামতের   দিন   প্রতিটি     অণু   ও    বিন্দুরই   যে  হিসাব    নিকাশ হবে    তা    ভয়    করুন।    আল্লাহ্  তাআলা পারা ৩০  সূরা যিলযালের ৭  ও  ৮  নং আয়াতের মধ্যে ইরশাদ করেন:


فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ خَیۡرًا یَّرَہٗ  ؕ(7) وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ (8)

কানযুল   ঈমান থেকে অনুবাদ:  সুতরাং  যে অনু পরিমাণ  সৎকাজ  করবে  সে  তা  দেখতে  পাবে  এবং যে    অনু  পরিমাণ   মন্দ    কাজ  করবে,  সে তাও দেখতে পাবে।

অযু গোসলে পানির অপচয় (পর্ব-৬)

অযুতে পানির অপচয়



আজকাল    অযু    করার   সময়   অধিকাংশ   লোক বিনা প্রয়োজনে পানির নল ছেড়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে পানি প্রবাহিত  করতে থাকে।  এমন   কি   কেউ কেউ  অযুখানাতে  আসার  সাথে  সাথেই  প্রথমে  পানির নল খুলে  দিয়ে    তারপর জামার   আস্তিন গুটাতে    থাকে।  ফলে   দীর্ঘক্ষণ  আল্লাহ্র  পানাহ! পানির    অপচয় হতে     থাকে।     অনুরূপ      মাথা মাসেহ   করার      সময়ও অনেকেই   পানির    নল খোলা       রেখে     মাথা মাসেহ     করতে     থাকে। আমাদের  সকলকে আল্লাহ্কে ভয়  করে পানির অপচয়  থেকে    বিরত থাকা উচিত। কিয়ামতের দিন প্রতিটি অণূ ও বিন্দুরই হিসাব নিকাশ হবে। অপচয়ের    নিন্দায় বর্ণিত     চারটি হাদীস   শ্রবণ করুন এবং আল্লাহর ভয়ে কেঁপে উঠুন।
অযু-গোসলে পানির অপচয়

(১) প্রবাহিত নদীতেও পানির অপচয়

একদা  আল্লাহর প্রিয়  রাসূল, রাসূলে মকবুল, মা আমেনার বাগানের সুরভিত ফুল, হুযুর صَلَّی   اللهُ  تَعَالٰی عَلَیۡہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত সায়্যিদুনা সা’দ رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی  عَنۡہُ  এর  নিকট  গমন  করলেন, তখন   তিনি অযু করছিলেন।   অযুতে   পানির অপচয়   হতে  দেখে  রাসূলুল্লাহ্ صَلَّی اللهُ تَعَالٰی  عَلَیۡہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাকে ইরশাদ করলেন: “পানির অপচয় করছ কেন?” উত্তরে     তিনি    বললেন:    অযুতেও     কি    পানির  অপচয়  আছে? রাসূলুল্লাহ্  صَلَّی   اللهُ   تَعَالٰی  عَلَیۡہِ   وَاٰلِہٖ وَسَلَّم   ইরশাদ করলেন:  “হ্যাঁ  আছে।  এমন   কি তুমি প্রবাহিত  নদীতে   অযু করলেও।” (সুনানে  ইবনে  মাযাহ,    ১ম  খন্ড,   ২৫৪   পৃষ্ঠা,  হাদীস-  ৪২৫)

সোমবার, ২৬ জুন, ২০১৭

শাওয়ালের ছয় রোযার ফযিলত

৬টি রোযার ৩টি ফযীলত

১. নবজাত শিশুর মত পাপমুক্ত

হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْا  থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তাআলার রসূল হযরত মুহাম্মদ   صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, তারপর শাওয়াল মাসে ছয়দিন রোযা রাখলো, তবে সে গুনাহ সমূহ থেকে এমনিভাবে মুক্ত হয়ে যাবে, যেন সে আজই মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হলো।” (মাজমাউয যাওয়াইদ, খন্ড-৩য়, পৃ-৪২৫, হাদীস নং-৫১০২)

২. যেন সারা জীবন রোযা রাখল

হযরত সায়্যিদুনা আবু আইয়ুব رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم এর সুগন্ধীময় বাণী হচ্ছে, “যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, তারপর আরো ছয়টি রোযা শাওয়াল মাসে রাখলো, সে যেনো সারা জীবনই রোযা রাখলো।” (সহীহ মুসলিম, পৃ-৫৯২, হাদীস নং-১১৬৪)

রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

ঈদের নামাযের পদ্ধতি

অন্তর জীবিত থাকবে

মদীনার   তাজেদার,   রাসূলদের   সরদার,   হুযুর  পুরনূর  صَلَّی   اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  ইরশাদ  করেন:   “যে         ব্যক্তি    দুই ঈদের        রাতে (অর্থাৎ-ঈদুল    ফিতর    ও    ঈদুল    আযহার   রাত দু’টিতে) সাওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে জেগে থেকে ইবাদত করেছে,  তার  অন্তর  ঐ  দিন  মরবেনা,  যেদিন   মানুষের    অন্তর    মরে   যাবে।”      (ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ৩৬৫ পৃষ্ঠা হাদীস নং-১৭৮২, দারুল মারেফা বৈরুত)

জান্নাত ওয়াজীব হয়ে যায়

অন্য   এক   জায়গায়   হযরত   সায়্যিদুনা   মু‘আয  বিন    জাবাল   رَضِیَ   اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَنْہُ  বলেন:  “যে ব্যক্তি পাঁচটি    রাতে জেগে  থাকে (অর্থাৎ-জেগে সারা রাত ইবাদতে  কাটায়) তার জন্য   জান্নাত  ওয়াজীব     হয়ে    যায়।   (সে  রাতগুলো  হলো, ) যিলহজ্জ শরীফের ৮,  ৯  ও ১০ তারিখের রাত, (তিন   রাততো  এভাবে  হলো)   আর ৪র্থ রাতটি হলো   ঈদুল   ফিতরের রাত   এবং     ৫ম   রাতটি হলো  শাবানের   ১৫  তারিখ  রাত   (অর্থাৎ-শবে  বরাত)  ।  (আত্তারগীব  ওয়াত্তারহীব,  ২য়  খন্ড, ৯৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-২)

ঈদের   নামাযের   উদ্দেশ্যে    যাওয়ার    পূর্বেকার  সুন্নাত

হযরত  সায়্যিদুনা  বুরাইদা  رَضِیَ  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَنْہُ  থেকে  বর্ণিত;   নবীয়ে  রহমত,   শফীয়ে    উম্মত, তাজেদারে রিসালাত, হুযুর صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم    ঈদুল    ফিতরের    দিন    কিছু    খেয়ে  নামাযের উদ্দেশ্যে তাশরীফ নিয়ে যেতেন। আর ঈদুল আযহার দিন  নামায শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু   খেতেন   না।   (তিরমিযী,    ২য়   খন্ড,    ৭০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৫৪২, দারুল ফিকর বৈরুত) বুখারী শরীফের বর্ণনায় হযরত  সায়্যিদুনা আনাস رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ থেকে বর্ণিত; হুযুর صَلَّی  اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  ঈদুল  ফিতরের  দিন  কয়েকটি  খেজুর  না খেয়ে  (নামাযের উদ্দেশ্যে) তাশরীফ  নিয়ে     যেতেন     না।      আর খেজুরের        সংখ্যা বিজোড় হতো। (বুখারী শরীফ, ১ম খন্ড, ৩২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯৫৩)

বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭

অপারেশন ছাড়াই ডেলিভারী

সন্তান      জন্মের      সময়      সহজতার        ব্যবস্থাপত্র  (মরিয়ম বিবির ফুল*)

মরিয়ম  বিবির  ফুল:  কোন  বাচ্চা   জন্মের   সময় ব্যথা শুরু হলে কোন খোলা বাসন বা বোতলের পানিতে ঢেলে দেওয়া হয়, তবে   যতই ভিজতে  থাকবে     ও      প্রষ্ফুটিত হতে     থাকবে       আল্লাহ্ তাআলার দয়ায়  মরিয়ম  বিবির ফুলের বরকতে বাচ্চার জন্ম  খুব সহজ ভাবেই  হবে।

মিসওয়াক বিষয়ক মাদানী ফুল

❁ দু’টি ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم:
১। মিসওয়াক করে দুই রাকাত নামায আদায় করা মিসওয়াক  ছাড়া  ৭০  রাকাতের  চেয়ে  উত্তম।  (আত-তারগীব ওয়াত  তারহীব, ১মখন্ড, ১০২   পৃষ্ঠা, হাদীস-১৮)
২। মিসওয়াকের ব্যবহার নিজের জন্য    আবশ্যক    করে     নাও।     কেননা,     তাতে মুখের       পরিচ্ছন্নতা এবং      আল্লাহ্     তাআলার সন্তুষ্টির মাধ্যম রয়েছে। (মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন    হাম্বল,    ২য়   খন্ড,    ৪৩৮    পৃষ্ঠা, হাদীস- ৫৮৬৯)
মিসওয়াক
❁ হযরত সায়্যিদুনা  ইবনে  আব্বাস  رَضِیَ اللہُ   تَعَالٰی   عَنۡہُ বলেন:  মিসওয়াকে দশটি  গুণাগুণ রয়েছে:    মুখ পরিষ্কার   করে,   মাড়ি    মজবুত করে,  দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়,  কফ দূর  করে, মুখের দূর্গন্ধ     দূর     করে, সুন্নাতের  অনুসরণ       হয়, ফিরিশতারা   খুশি   হয়,   আল্লাহ   তাআলা   সন্তুষ্ট  হন,   নেকী   বৃদ্ধি   করে, পাকস্থলী   ঠিক রাখে।  (জামউল    জাওয়ামি’    লিস   সুয়ুতী,    ৫ম   খন্ড,  ২৪৯      পৃষ্ঠা,      হাদীস-      ১৪৮৬৭)     
❁      হযরত  সায়্যিদুনা    ইমাম    শাফেয়ী    رَحْمَۃُ      اللّٰہِ    تَعَالٰی    عَلَیْہِ বলেন:  চারটি জিনিস জ্ঞান  বৃদ্ধি  করে: অনর্থক কথাবার্তা    থেকে    বিরত    থাকা,    মিস্ওয়াকের  ব্যবহার,     নেককার     লোকদের    সংস্পর্শ    এবং নিজের  জ্ঞানের  উপর   আমল   করা।   (হায়াতুল হায়ওয়ান   লিদ্দামীরী,   ২য়     খন্ড,  ১৬৬   পৃষ্ঠা) 

মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০১৭

অযু সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসাইল (পর্ব-৫)

অযুর মধ্যে সন্দেহ আসার ৫টি বিধান

❁ অযুকালীন সময়ে যদি কোন অঙ্গ ধৌত করা না   করার ক্ষেত্রে সন্দেহ  জাগে এবং   এ সন্দেহ জীবনে প্রথম বারের মত ঘটে থাকে, তাহলে সে অঙ্গ ধুয়ে নিন।  আর   যদি  এরূপ  সন্দেহ প্রায়ই ঘটে থাকে, তাহলে তার প্রতি  ভ্রুক্ষেপ করবেন  না।  অনুরূপ অযুর পরেও  যদি কোন অঙ্গ ধৌত করা  না   করার ক্ষেত্রে   সন্দেহ   সৃষ্টি   হয়,  তার প্রতি কোন দৃষ্টি দিবেন   না।   (বাহারে শরীয়াত, ১ম    খন্ড,  ৩১০    পৃষ্ঠা) 
❁আপনি  অযু  অবস্থায় ছিলেন,    কিন্তু এখন   আপনার অযু আছে কিনা, তাতে          আপনার          সন্দেহ সৃষ্টি            হলো। এমতাবস্থায়ও আপনার অযু বহাল থাকবে নতুন ভাবে  আপনাকে  অযু করতে   হবে না। কেননা, সন্দেহের    কারণে  অযু  ভঙ্গ  হয়  না।    (বাহারে শরীয়াত, ১ম    খন্ড,  ৩১১    পৃষ্ঠা) 
❁   প্ররোচনার   কারণে  অযু  ভেঙ্গে গেছে মনে করে  পুনরায়  অযু   করা   সাবধানতা অবলম্বন      করা      নয়  বরং      তা      শয়তানেরই  অনুকরণ মাত্র। (বাহারে শরীয়াত, ১ম    খন্ড,  ৩১১    পৃষ্ঠা) 
❁নিশ্চিতভাবে আপনি ততক্ষণ   পর্যন্ত   অযু   অবস্থায়   থাকবেন   যতক্ষণ  পর্যন্ত অযু ভঙ্গ হওয়ার উপর শপথ   করে  বলার মত আপনার প্রবল ধারণা না জন্মে।
❁আপনার স্মরণ   আছে  যে,  আপনার  একটি  অঙ্গ   অধৌত রয়ে  গেছে।    তবে  কোন      অঙ্গটি  অধৌত রয়ে গেছে  তা আপনি  নিশ্চিতভাবে   বলতে পারছেন না,   এমতাবস্থায়   আপনি   বাম   পা     ধুয়ে   নিন। (দুররে মুখতার, ১ম খন্ড, ৩১০ পৃষ্ঠা) 
অযুর মাসাইল

তন্দ্রা দ্বারা অযু ভঙ্গ হওয়া ও না হওয়ার বর্ণনা

তন্দ্রা   দ্বারা   অযু   ভঙ্গ   হওয়ার   দু’টি   শর্ত:   
(১)  তন্দ্রার সময় উভয় নিতম্ব    ভালভাবে সংযুক্ত না থাকা।   
(২)     অচেতন   অবস্থায়     তন্দ্রার    ক্ষেত্রে কোন   প্রতিবন্ধকতা  না  হওয়া।   দুটি    শর্ত  এক সাথে পাওয়া গেলে অর্থাৎ    তন্দ্রার সময়    উভয় নিতম্ব     ভালভাবে     সংযুক্ত     না     থাকলে     এবং  অচেতন   অবস্থায় তন্দ্রার   দ্বারা   অযু   ভঙ্গ   হয়ে  যাবে।   আর   একটি    শর্ত   পাওয়া     গেলে   এবং অপরটি  পাওয়া  না  গেলে তন্দ্রা  দ্বারা  অযু  ভঙ্গ  হবে না।

সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭

অযু: অযু ভঙ্গ হওয়া ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন মাসাইল- (পর্ব ৪)

ক্ষত    ইত্যাদি   থেকে     রক্ত     বের   হওয়ার    ৫টি হুকুম



❁    রক্ত,  পুঁজ   বা  হলুদ    রঙের  পানি   শরীরের কোন স্থান থেকে বের হয়ে এমন স্থানে গড়িয়ে পড়ল বা গড়িয়ে পড়ার শক্তি ছিলো যা ধৌত করা অযু বা গোসলের মধ্যে ফরয। তাহলে অযু ভঙ্গ  হয়ে  যাবে। (বাহারে   শরীয়াত,   ১ম  খন্ড, ৩০৪ পৃষ্ঠা) 
❁  রক্ত যদি দেখা  যায় বা বের হয় কিন্তু গড়িয়ে পড়েনি,  যেমন- সূঁচের   মাথা   বা ছুরির     ধারালো     প্রান্ত  ইত্যাদি      বিদ্ধ    হওয়ার কারণে  রক্ত  বের  হয়  বা    দেখা গেলো    অথবা দাঁত খিলাল  করলো  বা   মিসওয়াক  করলো  বা আঙ্গুল   দ্বারা   দাঁত   মাজলো     অথবা   দাঁত দ্বারা কোন   জিনিস   যেমন-আপেল   ইত্যাদি কামড়  দিলো    এবং   এতে    রক্তের   চিহ্ন   দেখা   গেলো অথবা নাকের ছিদ্রে  আঙ্গুল প্রবেশ  করাল  এবং এতে রক্তের  লালচে   রং  দেখা গেলো  কিন্তু তা  প্রবাহিত হওয়ার মত ছিলো না তাহলে অযু ভঙ্গ হবে না।   (বাহারে   শরীয়াত,   ১ম  খন্ড, ৩০৪ পৃষ্ঠা)  
❁    যদি   রক্ত    বের   হয়ে প্রবাহিত হয় কিন্তু  প্রবাহিত  হয়ে এমন স্থানে না পৌঁছে  যা  ধৌত  করা  অযু  বা গোসলের  মধ্যে  ফরয, যেমন-চোখে   দানা  ছিলো তা ফেঁটে বের না হয়ে ভিতরেই রয়ে  গেলো।   অথবা  রক্ত  বা   পুঁজ বের না হয়ে কানের ভিতরেই   রয়ে গেলো অযু      ভঙ্গ    হবে     না।   (প্রাগুক্ত,   ২৭   পৃষ্ঠা)   
❁ ক্ষতস্থান খুবই বড়  এবং এতে  আর্দ্রতাও  দেখা যাচ্ছে, কিন্তু আর্দ্রতা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রবাহিত হবে না   অযু   ভঙ্গ   হবে   না।  (বাহারে   শরীয়াত,   ১ম  খন্ড, ৩০৪ পৃষ্ঠা)

রবিবার, ১১ জুন, ২০১৭

অযুর ফরয, সুন্নাত, মুস্তাহাব, মাকরূহ ও অন্যান্য- (পর্ব-৩)

অযুর ফরয ৪টি 

❁ মুখমন্ডল  ধৌত  করা।                                                        
❁  কনুই সহ দু’হাত ধৌত   করা।  
❁    মাথার   এক  চতুর্থাংশ  মাসেহ্ করা।    
 ❁    টাখনু সহ    দুই    পা    ধৌত    করা। (ফতোওয়ায়ে     আলমগিরী,  ১ম খন্ড, ৩, ৪, ৫ পৃষ্ঠা।   বাহারে  শরীয়াত,  ১ম খন্ড, ২৮৮ পৃষ্ঠা)
অযুর ফরয, সুন্নাত, মুস্তাহাব, মাকরূহ

ধৌত করার সংজ্ঞা


কোন অঙ্গকে ধৌত করার অর্থ হচ্ছে, ঐ অঙ্গের প্রতিটি অংশে কমপক্ষে  দু ফোঁটা পানি প্রবাহিত করা। শুধুমাত্র  ভিজে  যাওয়া, পানিকে    তেলের মত     মালিশ    করা     অথবা    এক    ফোঁটা     পানি প্রবাহিত করাকে “ধৌত করা”  বলা   যাবে    না, আর   না   এইভাবে   অযু   গোসল   আদায়   হবে।  (ফতোওয়ায়ে  রযবীয়া  (সংকলিত) ,  ১ম  খন্ড, ২১৮ পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত,    ১ম   খন্ড, ২৮৮ পৃষ্ঠা)

অযুর পদ্ধতি ও দোআ (পর্ব-২)

অযুর সময় কা’বা শরীফের  দিকে মুখ করে উঁচু জায়গায় বসা মুস্তাহাব। অযুর জন্য নিয়্যত করা সুন্নাত।  নিয়্যত  না   করলেও    অযু  হয়ে   যাবে,   কিন্তু       সাওয়াব    পাবে    না।    অন্তরের     ইচ্ছাকে “নিয়্যত” বলে।    অন্তরে    নিয়্যত   করার   সাথে সাথে মুখে উচ্চারণ করাও  উত্তম। মুখে এভাবে নিয়্যত করুন যে, আমি আল্লাহ্ তাআলার নির্দেশ পালনার্থে     পবিত্রতা    অর্জন     করার    জন্য    অযু করছি।  بِسْمِ  الله  পড়ে নিন”।      এটাও  সুন্নাত। বরং  بِسْمِ   اللهِ   وَالْحَمْدُ   لِلّٰه  বলে  নিন।  এর  কারণে আপনি  যতক্ষণ   অযু অবস্থায় থাকবেন   ততক্ষণ ফিরিস্তাগণ       আপনার       জন্য       নেকী       লিখতে  থাকবেন।   (আল    মু’জামুস   সগীর  লিত তাবারানী, ১ম খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা, হাদীস-১৮৬)
এখন   উভয়   হাত   কব্জি    পর্যন্ত   তিনবার    করে  ধৌত    করুন।     (পানির    নল    বন্ধ   করে)   উভয় হাতের আঙ্গুলগুলোও      খিলাল      করে      নিন।  কমপক্ষে     তিনবার    করে   ডানে   বামে,   উপরে নিচে     দাঁতগুলো  “মিসওয়াক   করুন।   প্রত্যেক বারে  মিসওয়াক   ধুয়ে  নিন।  হুজ্জাতুল   ইসলাম ইমাম      মুহাম্মদ     বিন মুহাম্মদ      বিন     মুহাম্মদ গাযালী  رَحۡمَۃُ   اللّٰہ    ِتَعَالٰی   عَلَیہِ     বলেন:   মিসওয়াক করার   সময়   নামাযে   ক্বিরাত পাঠ   ও  আল্লাহর যিকিরের  জন্য  মুখ   পবিত্র  করার   নিয়্যত  করা  উচিত।”   (ইহ্ইয়াউল   উলুম,   ১ম   খন্ড,   ১৮২  পৃষ্ঠা) 

শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭

অযু: ফযিলত, পদ্ধতি, দোআ ও মাদানী ফুল- (পর্ব-১)

হযরত    ওসমান      গণি    رَضِیَ    اللّٰہُ    تَعَالٰی    عَنْہُ     এর  নবী-প্রেম

একদা  হযরত  সায়্যিদুনা  ওসমান  গণি  رَضِیَ  اللّٰہُ  تَعَالٰی   عَنْہُ  এক জায়গায়  পৌঁছে অযুর জন্য    পানি চাইলেন       এবং     অযু করলেন     আর     আপনা আপনিই  মুচকি হাসলেন। তারপর  সঙ্গীদেরকে  বললেন:   “আপনারা   কি   জানেন!   আমি   কেন মুচকি হাসলাম?” অতঃপর তিনি নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বললেন: “একদা হুযুর পুরনূর صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই জায়গায় অযু  করেছিলেন এবং অযু  শেষ করে তিনি        মুচকি      হেসেছিলেন      এবং      সাহাবায়ে কিরামদের      عَلَیۡہِمُ     الرِّضۡوَان     উদ্দেশ্যে ইরশাদ  করেন:      “তোমরা      কি       জান,      আমি        কেন  হেসেছি?”     তদুত্তরে সাহাবায়ে    কেরাম    عَلَیۡہِمُ  الرِّضۡوَان   আরয     করলেন:   “আল্লাহ্   তাআলা   ও তাঁর রাসূল صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ই এ বিষয়ে ভাল জানেন।”   প্রিয়  মুস্তফা  صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم    ইরশাদ  করেন:  “যখন  মানুষ  অযু     করে তখন      হাত ধোয়ার     সময়        হাতের     গুনাহ্, মুখমন্ডল    ধোয়ার    সময়    মুখমন্ডলের    গুনাহ্,  মাথা মাসেহ্ করার সময় মাথার গুনাহ্, আর পা ধোয়ার   সময়   পায়ের  গুনাহ  সমূহ্   ঝরে  যায়।  (মুসনাদে ইমাম   আহমদ  বিন  হাম্বল, খন্ড ১ম, পৃষ্ঠা ১৩০, হাদীস নং-৪১৫)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد

শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭

ফয়যানে লাইলাতুল ক্বদর

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা ! লাইলাতুল ক্বদর অত্যন্ত বরকতময় রাত। সেটাকে লাইলাতুল ক্বদর এজন্য বলা হয় যে, এতে সারা বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ ফিরিশতাগণ রেজিষ্টারগুলোতে আগামী বছর সংগঠিত হবে এমন বিষয়াদি লিপিবদ্ধ করে নেন। যেমন তাফসীরে সাভী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৩৯৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ হয়েছে:    اَيْ اِظْهَارُ هَافِى دَوَاوِيْنِ الْمَلَاءِ الْاَعْلٰى 
তাছাড়া আরো অনেক মর্যাদা এ মুবারক রাতের রয়েছে। প্রসিদ্ধ মুফাসসির মুফতী আহমদ এয়ার খান নঈমী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  বর্ণনা করেন, “এ রাতকে লাইলাতুর ক্বদর কয়েক কারণে বলা হয়:
শবে ক্বদর, রমযান, কুরআন নাযিলের মাস
১। এতে আগামী বছরের ভালমন্দ নির্ধারিত করে ফিরিশতাদের হাতে অর্পন করা হয়। ক্বদর মানে তকদীর (নির্ধারণ করণ) অথবা ক্বদর মানে সম্মান অর্থাৎ সম্মানিত রাত।
২। এতে ক্বদর বা সম্মানিত কোরআন নাযিল হয়েছে।
৩। যে ইবাদত এ রাতে করা হয়, তাতে মর্যাদা রয়েছে।
৪। ক্বদর অর্থ সংকীর্ণতা, অর্থাৎ ফিরিশতা এ রাতে এতো বেশি পরিমাণে আসে যে, পৃথিবী সংকীর্ণ হয়ে যায়, জায়গা সংকুলান হয়না। এ সব কারণে সেটাকে শবে ক্বদর অর্থাৎ সম্মানিত রাত বলে। (মাওয়াইযে নঈমিয়া, পৃষ্ঠা ৬২)
বোখারী শরীফের হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি এ রাতে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে, তার সারা জীবনের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৬০, হাদিস নং ২০১৪)

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন