অযুর মধ্যে সন্দেহ আসার ৫টি বিধান
❁ অযুকালীন সময়ে যদি কোন অঙ্গ ধৌত করা না করার ক্ষেত্রে সন্দেহ জাগে এবং এ সন্দেহ জীবনে প্রথম বারের মত ঘটে থাকে, তাহলে সে অঙ্গ ধুয়ে নিন। আর যদি এরূপ সন্দেহ প্রায়ই ঘটে থাকে, তাহলে তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না। অনুরূপ অযুর পরেও যদি কোন অঙ্গ ধৌত করা না করার ক্ষেত্রে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, তার প্রতি কোন দৃষ্টি দিবেন না। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩১০ পৃষ্ঠা)
❁আপনি অযু অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু এখন আপনার অযু আছে কিনা, তাতে আপনার সন্দেহ সৃষ্টি হলো। এমতাবস্থায়ও আপনার অযু বহাল থাকবে নতুন ভাবে আপনাকে অযু করতে হবে না। কেননা, সন্দেহের কারণে অযু ভঙ্গ হয় না। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা)
❁ প্ররোচনার কারণে অযু ভেঙ্গে গেছে মনে করে পুনরায় অযু করা সাবধানতা অবলম্বন করা নয় বরং তা শয়তানেরই অনুকরণ মাত্র। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা)
❁নিশ্চিতভাবে আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত অযু অবস্থায় থাকবেন যতক্ষণ পর্যন্ত অযু ভঙ্গ হওয়ার উপর শপথ করে বলার মত আপনার প্রবল ধারণা না জন্মে।
❁আপনার স্মরণ আছে যে, আপনার একটি অঙ্গ অধৌত রয়ে গেছে। তবে কোন অঙ্গটি অধৌত রয়ে গেছে তা আপনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না, এমতাবস্থায় আপনি বাম পা ধুয়ে নিন। (দুররে মুখতার, ১ম খন্ড, ৩১০ পৃষ্ঠা)
|
অযুর মাসাইল |
তন্দ্রা দ্বারা অযু ভঙ্গ হওয়া ও না হওয়ার বর্ণনা
তন্দ্রা দ্বারা অযু ভঙ্গ হওয়ার দু’টি শর্ত:
(১) তন্দ্রার সময় উভয় নিতম্ব ভালভাবে সংযুক্ত না থাকা।
(২) অচেতন অবস্থায় তন্দ্রার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা না হওয়া। দুটি শর্ত এক সাথে পাওয়া গেলে অর্থাৎ তন্দ্রার সময় উভয় নিতম্ব ভালভাবে সংযুক্ত না থাকলে এবং অচেতন অবস্থায় তন্দ্রার দ্বারা অযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর একটি শর্ত পাওয়া গেলে এবং অপরটি পাওয়া না গেলে তন্দ্রা দ্বারা অযু ভঙ্গ হবে না।