হাদীস শরীফ :
(১) অধিকহারে জুতা ব্যবহার করো কেননা মানুষ যতক্ষণ জুতা ব্যবহার করতে থাকে, সে আরোহী হয়ে থাকে। (অর্থাৎ কম ক্লান্ত হয়)। (মুসলিম শরীফ, পৃষ্ঠা-১১২১, হাদীস নং-২০৯৬)
(২) জুতা পরার আগে ঝেড়ে নিন যাতে পোকা বা কংকর ইত্যাদি বের হয়ে যায়।
(৩) সর্বপ্রম ডান পায়ে জুতা পরুন এরপর বাম পায়ের। খুলতে প্রথমে বাম পায়ের জুতা অতঃপর ডান পায়ের। হযরত মুহাম্মদ ﷺ ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন জুতা পরে, তবে ডান দিক থেকে শুরু করা উচিত এবং যখনই খুলে তবে বাম দিক থেকে শুরু করা উচিত। যাতে ডান পায়ের জুতা পরার সময় প্রথমে এবং খুলতে সবশেষে হয়। (বুখারী শরীফ, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৬৫, হাদীস নং-৫৮৫৫) নুজহাতুল কারী কিতাবে রয়েছে, মসজিদে প্রবেশ করার সময় হুকুম হচ্ছে প্রথমে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং বের হওয়ার সময় এ হাদীসে পাকের উপর আমল করা কঠিন। আলা হযরত رحمة الله عليه এর সমাধান এভাবে করেন, যখনই মসজিদে যাওয়া হয় প্রথমে বাম পায়ের জুতা খুলে জুতার উপর রাখুন অতঃপর ডান পায়ের জুতা খুলে মসজিদে প্রবেশ করুন আর মসজিদ থেকে বের হতে বাম পা বের করে জুতার উপর রাখুন অতঃপর ডান পা বের করে জুতা পরে নিন এরপর বাম পায়ের জুতা পরে নিন। (নুজহাতুল কারী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৫৩০, ফরিদ বুক স্টল)
(৪) পুরুষ পুরুষালী ও মহিলারা মেয়েলী জুতা পরবে।
(৫) কেউ হযরত আয়েশা رضى الله عنها কে বলল যে, এক মহিলা (পুরুষের মত) জুতা পরিধান করে, তিনি বললেন, রাসূল ﷺ পুরুষালী মেয়েদের উপর অভিশাপ দিয়েছেন। (আবু দাউদ, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৮৪, হাদীস নং-৪০৯৯) সদরুশ শরীআ হযরত আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আজমী رحمة الله عليه বলেন : অর্থাৎ মহিলাদের পুরুষ সুলভ জুতা পরা উচিত নয় বরং ঐ সমস্ত বিষয় যা দ্বারা পুরুষ ও মহিলার মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় এ সমস্ত প্রতিটি বিষয়ে একে অপরের অনুরূপ করা নিষেধ। পুরুষ মেয়ে সুলভ আকার ধারণ করবে না, মহিলাগণ পুরুষ সুলভ আকার ধারণ করবে না। (বাহারে শরীয়াত, খন্ড-১৬তম, পৃষ্ঠা-৬৫, মাকতাবাতুল মাদীনা)
(৭) দারিদ্রতার একটি কারণ এটাও যে, উল্টা জুতা দেখে সেগুলোকে ঠিক না করা। দাওলাতে বে যাওয়াল কিতাবে লিখেছেন যে, যদি সারারাত উল্টা জুতা পড়ে রইল তবে শয়তান এর উপর শান শওকাত সহকারে বসে। সেটা তার আসন। (সুন্নী বেহেশতী যেওর, খন্ড-৫ম, পৃ-৬০১) ব্যবহৃত উল্টা হয়ে পড়ে থাকা জুতা সোজা করে নিন।
(বি.দ্র. উপরের সবগুলোকে সুন্নাত বলবেন না। যা সুন্নাত নয় তা সুন্নাত বলা নিষেধ। তবে সবগুলোকে এক সাথে সুন্নাত ও আদব বলতে পারবেন।)
--------
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত ১০১ টি মাদানী ফুল নামক রিসালার ১৭-১৯ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।
যারা মোবাইলে রিসালাটি পড়তে চান তারা ফ্রি ডাউনলোড করুন
বাংলা ইসলামিক বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন
বাংলা ইসলামিক বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন
মাদানী চ্যানেল দেখতে থাকুন