অনুপম শাস্তি
গোসল বিষয়ক আরো পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব
হযরত সায়্যিদুনা জুনাইদ বাগদাদী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: ইবনুল কুরাইবী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বর্ণনা করেন; একবার আমার স্বপ্নদোষ হলো, আমি তখন গোসল করার ইচ্ছা পোষণ করলাম। প্রচন্ড শীতের রাত ছিলো। তাই আমার নফস আমাকে পরামর্শ দিলো: “এখনও রাতের অনেকাংশ বাকী আছে, এত তাড়াতাড়ি করার কী প্রয়োজন? সকালে প্রশান্ত মনে গোসল করে নিতে পারবে।”
আমি তাড়াতাড়ি আমার নফসকে একটি অনুপম শাস্তি দেয়ার শপথ করলাম। তা হলো: আমি প্রচন্ড শীতের মধ্যেই কাপড় সহ গোসল করব এবং গোসল করার পর কাপড় না নিংড়িয়ে ভিজা কাপড়েই থাকব এবং শরীরেই সে ভিজা কাপড় শুকাব, বাস্তবে আমি তাই করলাম। যে দুষ্ট নফস আল্লাহ্ তাআলার কাজে অলসতা করার জন্য প্ররোচনা দিয়ে থাকে তার এরূপ শাস্তিই হয়ে থাকে। (কিমিআয়ে সাআদাত, ২য় খন্ড, ৮৯২ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হোক।
اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! আমাদের পূর্ববর্তী বুযুর্গরা তাঁদের নফসের ধোঁকাবাজীকে দমন করার জন্য কত বড় বড় কষ্ট সহ্য করেছিলেন। বর্ণিত ঘটনা থেকে সে সকল ইসলামী ভাইদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত, যারা রাতে স্বপ্নদোষ হওয়ার পর পরকালের ভয়ানক লজ্জাকে ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের লজ্জায় বা অলসতার কারণে গোসল থেকে বিরত থেকে ফযরের নামাযের জামাআত নষ্ট করে। এমনকি আল্লাহর পানাহ! নামায পর্যন্তও কাযা করে ফেলে। যখন কোন কারণে গোসল ফরয হবে তখনই আমাদের গোসল করে নেয়া উচিত। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে: “ফিরিশতারা সে ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে ছবি, কুকুর ও জুনুবী ব্যক্তি (অর্থাৎ এমন ব্যক্তি যার উপর স্ত্রী সহবাস বা স্বপ্নদোষ বা যৌন উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হওয়ার কারণে গোসল ফরয হয়েছে) রয়েছে। (সুনানে আবু দাউদ, ১ম খন্ড, ১০৯ পৃষ্ঠা, হাদীস-২২৭)