১। আমার আক্বা আ’লা হযরত মাওলানা শাহ্ ইমাম আহমদ রযা খাঁন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বর্ণনা করেন: খাবারের পূর্বে তরমুজ খেলে পেটকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে দেয় এবং রোগকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৫ম খন্ড, ৪৪২ পৃষ্ঠা) ❃ গোল মরিচ, কালো জিরা, লবণ একত্রে পিষে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন, তরমুজের উপর ছিটিয়ে সেবন করলে তরমুজের স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ হজমের ক্ষেত্রে ও উত্তম ঔষধ হিসাবে কাজ দিবে, আর ক্ষুধাও বৃদ্ধি পাবে।
২। তরমুজ মিষ্টি কিনা চিনার উপায়: তরমুজ এর পুরো সিলকা কিংবা ধারা সমূহে কিংবা সিলকায় গোলাকার দাগ থাকে তবে এটির সবুজ রং যত গাঢ় হবে, اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَل ততই লাল ও মিষ্টি হবে। তরমুজের উপর হালকাভাবে হাত মারতেই যদি মাঝারী ধরণের আওয়াজ আসে, এটি উন্নত ও পরিপক্ক হওয়ারই আলামত।
৩। যদি গর্ভবতী মহিলা ১২০ গ্রাম তরমুজের মধ্যে সামান্য মধু মিশ্রিত করে প্রতিদিন সেবন করে, তবে আল্লাহ্ তাআলার রহমতে খুব সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্মলাভ করবে।
৪। তরমুজের মধ্যে গ্লুকুজ, ফসফরাস, নাশাস্তা, দারু চিনি, ভিটামিন এ, বি, ফোলাদ পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও মাংস তৈরীকারী উপাদান পাওয়া যায়।
৫। যে সমস্ত রোগীর প্রস্রাব ধীরে ধীরে আসে, সে যেন তরমুজ ব্যবহার করে। কেননা, এটা মূত্রথলী পরিস্কার করে।
৬। তরমুজ মূত্রথলীর ব্যথা ও এর ক্ষতের জন্য খুবই উপকারী বস্তু।
৭। তরমুজ হৃদপিন্ডে শক্তি যোগায় এবং কলিজা, মুত্রথলী ও কিডনী প্রভৃতির উষ্ণতা দূর করে।
৮। তরমুজ সেবনের ফলে হাত-পা এর জ্বালা-ব্যথা, নাভীর স্থান বা তার আশপাশের ভারী অনুভব হওয়া বা শারীরিক অশান্তি দূর করে। পাকস্থলীর জ্বালাপোড়ার জন্যও উপকারী।
৯। রাতে হোক কিংবা দিনে তরমুজ খেয়ে পানি পান করা উচিত নয়। এটা খেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘুমালে কলেরা (Cholera) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১০। শ্লেষ্মা রোগী, পাকস্থলীর ব্যথা, যাদের মেরুদন্ডে ব্যথা রয়েছে, প্রশ্রাব বেশি হয়, ডায়বেটিক রোগীদের তরমুজ খাওয়া উচিত নয়।
১১। তরমুজের সিলকা দুধ প্রদানকারী পশুকে খাওয়ালে সেগুলোর দুধ বৃদ্ধি পায় এবং পশু মোটা তাজা হয়।
১২। রমযানুল মোবারকে তরমুজ সেহেরীতে খেলে দিনের বেলায় তৃষ্ণার্ত হবে না।
১৩। উগ্র মেজাজের মানুষের জন্য বিশেষ করে রমযানুল মোবারকে তরমুজ খুবই উপযোগী।
১৪। তরমুজ গরম জ্বরের জন্য খুবই ফলদায়।
১৫। যে দিন তরমুজ খাবেন, সেদিন ভাত খাওয়া মোটেও উচিত নয়।
১৬। কিডনী ও মূত্রথলীর পাথরকে তরমুজ ভেঙ্গে দেয়।
১৭। রমযানুল মোবারকে ইফতারের দুই ঘন্টা পর তরমুজ খাবেন।
১৮। তরমুজ শরীরকে মোটা-তাজা করে।
১৯। তরমুজ অন্তরে প্রশান্তি আনে।
২০। তরমুজ রক্ত চলাচল এবং গরম দূর করে।
২১। টাইফয়েড জ্বরে তরমুজ খুবই উপকারী খাবার।
২২। সেহেরীর সময় অল্প পরিমান তরমুজ খেলে সারাদিন গরম ও লু বাতাস থেকে মুক্তি পাবে।
২৩। বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য তরমুজ খাওয়া উচিত।
২৪। রক্ত শূণ্যতা, লিভারের দূর্বলতা, বদ হজমী রক্ত দূষণ, বাষ্প দূর করার জন্য তরমুজ খুবই উত্তম খাদ্য। (এমন বাষ্প যা খাবারের পর মাথায় উঠে যায় এবং শরীর গরম করে দেয়)।
২৫। গ্রীষ্মকালে রমযানুল মোবারকে তরমুজ সেবন করলে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّঅসংখ্য উপকার দেয়। এটা আপনার পানি শূণ্যতা ও দূর করে। আপনার শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং সারা দিন তৃষ্ণা অনুভূত হতে দিবে না।
--------
--------
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা “মুহাম্মদ ইলয়াস আত্তার” কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত ২৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত "গরম থেকে বেঁচে থাকার মাদানী ফুল" নামক রিসালার ১৮-২০ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রিসালাটি অবশ্যই সংগ্রহে রাখুন। অন্যকে উপহার দিন।
ইসলামিক বাংলা বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন
ইসলামিক বাংলা বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for supporting.