আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net
কুরবানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কুরবানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭

কুরবানীর চামড়া সংগ্রহকারীর জন্য ২২ টি নিয়্যত এবং সতর্কতা

নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দু’টি বাণী:

(১) “মুসলমানের নিয়্যত তার আমল থেকে উত্তম।”(মুজাম কবীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৮৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৫৯৪২)

(২) “ভাল নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়।”(আল ফিরদাউছ বিমাছুরিল খাত্তাব, ৪র্থ খন্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬৮৯৫)
কুরবানীর চামড়া সংগ্রহ
দু’টি মাদানী ফুল: 
 ভাল নিয়্যত ছাড়া কোন ভাল কাজের সাওয়াব অর্জিত হয়না।
 ভাল নিয়্যত যত বেশি, সাওয়াবও তত বেশি।

পশুর এমন ২২টি অংশ, যা খাওয়া যায়না

“ফয়যানে সুন্নাত” ১ম খন্ডের ৪০৫-৪০৮ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে: আমার আক্বা আ‘লা হযরত, ইমামে আহমদ রযা খাঁন رحمة الله عليه বলেন: হালাল পশুর সব অংশই হালাল কিন্তু কিছু অংশ আছে যা খাওয়া হারাম, নিষিদ্ধ অথবা মাকরূহ। যেমন: (১) রগের রক্ত (২) পিত্ত (৩) মূত্রথলি (৪, ৫) পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ (৬) অন্ডকোষ (৭) জোড়া, শরীরের গাঁট (৮) হারাম মজ্জা (৯) ঘাড়ের দো পাট্টা, যা কাঁধ পর্যন্ত টানা থাকে (১০) কলিজার রক্ত (১১) তিলির রক্ত (১২) মাংসের রক্ত, যা যবেহ করার পর মাংস থেকে বের হয় (১৩) হৃদপিন্ডের রক্ত (১৪) পিত্ত অর্থাৎ ঐ হলদে পানি যা পিত্তের মধ্যে থাকে (১৫) নাকের আর্দ্রতা (ভেড়া-ভেড়ীর মধ্যে অধিক হারে থাকে) (১৬) পায়খানার রাস্তা (১৭) পাকস্থলি (১৮) নাড়িভূড়ি (১৯) বীর্য (২০) ঐ বীর্য, যা রক্ত হয়ে গেছে (২১) ঐ বীর্য, যা মাংসের টুকরো হয়ে গেছে (২২) ঐ বীর্য, যা পূর্ণ জানোয়ার হয়ে গেছে এবং মৃত অবস্থায় বের হয়েছে অথবা জবেহ করা ছাড়া মারা গেছে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২০তম খন্ড, ২৪০-২৪১ পৃষ্ঠা)

>>Donate Us<< ⬅ Click For More...



বিবেকবান কসাইরা এসব হারাম বস্তু বের করে ফেলে দিয়ে থাকে কিন্তু অনেকের তা জানা থাকে না কিংবা অসাবধানতাবশতঃ এরকম করে থাকে। তাই আজকাল প্রায় অজ্ঞাতবশতঃ যেসব জিনিস তরকারীর সাথে রান্না করা হয়, সেগুলোর পরিচয় প্রদানের চেষ্টা করছি।

রক্ত

জবাই করার সময় যে রক্ত বের হয় সেটাকে “দমে মাসফূহ” (প্রবাহিত রক্ত) বলা হয়। তা অপবিত্র, খাওয়া হারাম, জবাই করার পর যে রক্ত মাংসের মধ্যে থেকে যায়, যেমন- ঘাড়ের কাটা অংশে, হৃদপিন্ডের ভিতর, কলিজা, প্লীহা ও মাংসের আভ্যন্তরিণ ছোট ছোট রগের মধ্যে, এসব যদিও নাপাক নয় তবুও এসব রক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ। তাই রান্না করার পূর্বে এগুলো পরিস্কার করে নিন। মাংসের মধ্যে কিছু জায়গায় ছোট ছোট রগে রক্ত থাকে তা চোখে পড়া খুবই কঠিন। রান্নার পর ঐ রগগুলো কালো রেখার ন্যায় হয়ে যায়। বিশেষতঃ মগজ, মাথা, পা ও মুরগীর রান ও ডানার মাংস ইত্যাদির মধ্যে হালকা কালো রেখা দেখা যায়, খাওয়ার সময় তা বের করে ফেলে দিন। মুরগীর হৃদপিন্ডও সরাসরি রান্না করবেন না, লম্বাতে চার ভাগ করে কেটে ফাঁক করে প্রথমে সেটার রক্ত ভালভাবে পরিস্কার করে নিন।

কসাইদের জন্য ২০টি মাদানী ফুল (করণীয়)

(১) প্রথমে কোন অভিজ্ঞ মাংস বিক্রেতার তত্ত্বাবধানে জবেহ ইত্যাদির কাজ শিখে নিবে, কেননা অনভিজ্ঞের জন্য এ কাজ জায়েয নেই। এ কারণে কারো পশুর মাংস এবং চামড়া ইত্যাদিকে প্রচলিত নিয়ম থেকে সরে গিয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(২) অভিজ্ঞ কসাইরও উচিত, তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অসাবধানতাবশতঃ চামড়ার সাথে প্রচলিত নিয়মের চেয়ে বেশি মাংস লেগে থাকতে না দেয়া। এভাবে নাড়িভূড়ি বের করার সময়েও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী, যেন অযথা মাংস ও চর্বি এর সাথে চলে না যায়। এমনকি খাওয়ার উপযুক্ত হাঁড়গুলোও ফেলে না দিয়ে টুকরো টুকরো করে মাংসের সাথে ঢেলে দিন এবং অভিজ্ঞ মাংস বিক্রেতারও নিয়ম বহির্ভূত মাংস ও চামড়ার ক্ষতি করা জায়েয নেই।

কুরবানীর মাংস বন্টন করার বিস্তারিত জেনে নিন

কুরবানীতে আকীকার অংশ

কুরবানীর গরু বা উটে আকীকার অংশ হতে পারে। (রদ্দুল মুহতার, ৯ম খন্ড, ৫৪০ পৃষ্ঠা)


সম্মিলিত কুরবানীর মাংস ওজন করে বন্টন করতে হবে

একাধিক ব্যক্তি মিলে গরু দিয়ে কুরবানী করলে মাংস ওজন দিয়ে বন্টন করা আবশ্যক। অনুমান করে মাংস বন্টন করা জায়েয নেই, এরকম করলে গুনাহগার হবে। বেশি বা কম হলে সন্তুষ্টচিত্তে একে অপরকে ক্ষমা করে দেওয়াও যথেষ্ট নয়। (বাহারে শরীয়াত থেকে সংক্ষেপিত, ৩য় খন্ড, ৩৩৫ পৃষ্ঠা) তবে যদি অংশীদার সকলেই একই ঘরে বসবাস করে, মিলে-মিশে বন্টন করে এবং এক সাথে খায় অথবা অংশীদাররা নিজেদের অংশের মাংস নিতে না চায়, এমতাবস্থায় ওজন করে ভাগ করার প্রয়োজন নেই।

অনুমানের ভিত্তিতে মাংস বন্টনের দু’টি কৌশল

যদি অংশীদাররা নিজেদের অংশের মাংস নিয়ে যেতে চায়, তাহলে ওজন করার ঝামেলা ও পরিশ্রম থেকে বাঁচতে চাইলে নিম্নলিখিত দুটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
১) জবেহ করার পর ঐ গরুর সম্পূর্ণ মাংস এমন একজন বালেগ মুসলমানকে দান করে মালিক বানিয়ে দিবে, যে তাদের সাথে কুরবানীতে অংশীদার নয়। এখন সে অনুমান করে সবাইকে মাংস বন্টন করে দিতে পারবে।

বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

কুরবানীর পদ্ধতি

(কুরবানী হোক কিংবা এমনি অন্য কোন জবেহ হোক)
আমাদের দেশে এই নিয়মটা চলে আসছে যে, জবেহকারী কিবলামূখী হয় এবং পশুকেও কিবলামূখী করা হয়। কিবলা যেহেতু আমাদের পাক ভারত উপমহাদেশের (WEST) পশ্চিম দিকে, সেহেতু পশুর মাথা (SOUTH) দক্ষিণমুখী করতে হবে। যাতে পশুকে বাম পাজরে শোয়ালে এটির পিঠ (EAST) পূর্ব দিকে হয় এবং তার মুখমন্ডল কিবলামুখী হয়ে যায়। আর জবেহকারী নিজের ডান পা পশুর গর্দানের ডান অংশের (গর্দানের নিকটবর্তী অংশের) উপর রাখবে এবং জবেহ করবে। জবেহকারী নিজের কিংবা পশুর মুখমন্ডল কিবলামূখী না করলে মাকরূহ হবে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২০তম খন্ড, ২১৬ ও ২১৭ পৃষ্ঠা)
কুরবানীর পদ্ধতি ও দোআ

কুরবানীর পশু জবেহ করার পূর্বে নিম্নলিখিত দোয়া পাঠ করবেন

إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ۖ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
{কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আমি আমার মুখমন্ডল তাঁর দিকে ফিরালাম একমাত্র তাঁরই জন্যে, যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। একমাত্র তাঁরই হয়ে এবং আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভূক্ত নই। (পারা-৮, সূরা- আনআম, আয়াত- ৭৯)}

ঘোড়ার আরোহী (কুরবানীর পূর্ণাঙ্গ মাসআলা মাসাইল)

হযরত সায়্যিদুনা আহমদ বিন ইছহাক رحمة الله عليه বলেন : আমার ভাই দরিদ্র হওয়া সত্বেও আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়্যতে প্রতি বছর কুরবানীর ঈদে কুরবানী করতেন। তাঁর ইন্তিকালের পর আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, কিয়ামত সংগঠিত হয়ে গেছে আর মানুষ তাদের নিজ নিজ কবর থেকে বের হয়েছে হঠাৎ আমার মরহুম ভাইকে একটি সুন্দর বিচিত্র বর্ণের ঘোড়ায় আরোহী অবস্থায় দেখলাম। তাঁর সাথে আরো অনেক ঘোড়া ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম : ‘হে আমার ভাই আল্লাহ্ তাআলা আপনার সাথে কি ধরনের আচরণ করেছেন? তিনি বললেন : ‘আল্লাহ্ তাআলা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (জিজ্ঞাসা করলাম) “কোন আমলের কারণে?” উত্তরে বললেন: “একদিন কোন এক গরীব বৃদ্ধা মহিলাকে সাওয়াবের নিয়্যতে আমি একটি দিরহাম দান করেছিলাম, ঐ দানই কাজে এসেছে।” আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম: “এগুলো কিভাবে পেলেন?” উত্তরে বললেন: “এই সব ঘোড়া আমার কুরবানীর ঈদের (আমার দেওয়া) কুরবানীর পশু এবং যেই ঘোড়ায় আমি আরোহণ করেছি তা আমার জীবনের প্রথম কুরবানী।” আমি জিজ্ঞাসা করলাম: “এখন কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করেছেন?” তিনি উত্তরে বললেন: “জান্নাতের উদ্দেশ্যে”। এই কথা বলে তিনি আমার দৃষ্টি থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। (দুররাতুন নাছেহীন, ২৯০ পৃষ্ঠা) 
আল্লাহ্ তাআলার রহমত তারঁ উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক। 

صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد

প্রিয় নবীর ﷺ চারটি বাণী

(১) “কুরবানী দাতার কুরবানীর পশুর প্রত্যেকটি লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকী অর্জিত হয়।” (তিরমিযি, ৩য় খন্ড, ১৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৪৯৮)

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন