স্বপ্নদোষ একটি প্রাকৃতিক উপায়। যা কস্মিন কালেও অসুস্থতা নয়। মানুষের বীর্য প্রতিনিয়ত উৎপাদন হতে থাকে। উৎপাদিত বীর্য একটি থলিতে জমা হয়। যখন থলি ভরে যায় তখনি তা বের হতে চায়। যৌন মিলন না করে থাকলে তা ঘুমের মধ্যে উত্তেজনায় বেরিয়ে আসে। যা পুরুষের যৌন কষ্ট থেকে বাঁচার একটি মাধ্যম বটে। স্বপ্নদোষ যদি রোগ হত, তা প্রত্যেক পুরুষের (খুব কম সংখ্যক বাদে) বালেগ হওয়ার পর হতে হত না । কারণ একটি রোগ সবার একই সময়ে হতে পারে না। যা স্বাভাবিক বিষয় তা-ই সবার মাঝে দেখা দেয়। যেমন দাঁড়ি মুছ গজানো নির্দিষ্ট বয়সের সাথে স্বাভাবিক তেমনি স্বপ্নদোষও নির্দিষ্ট বয়সের সাথে একটি স্বাভাবিক বিষয়। প্রস্রাব থলি ভরে গেলে যেমন প্রস্রাব করতে হয়, তেমনি বীর্য থলিও ভরে গেলে তা বের করার প্রয়োজন হয়। তাই ঘুমের মধ্যে তা বের হয়ে আসে।
যদিও বাংলায় একে স্বপ্নদোষ নাম দেয়া হয়েছে ইংরেজীতে কিন্তু কোন দোষ বিষয়ক শব্দ এতে নাই। ইংরেজী শব্দ- Wet Dream বা ভিজা স্বপ্ন।
যদিও বাংলায় একে স্বপ্নদোষ নাম দেয়া হয়েছে ইংরেজীতে কিন্তু কোন দোষ বিষয়ক শব্দ এতে নাই। ইংরেজী শব্দ- Wet Dream বা ভিজা স্বপ্ন।
হকার বা ভুয়া প্রতিষ্ঠান (এমনকি অনেক এমবিবিএস ডাক্তারও) যে লিফলেট বিলি করে তাতে লিখা থাকে স্বপ্নদোষ একটি রোগ বা মহা রোগ। আপনাকে রোগের ভয় দেখিয়ে পয়সা কামানো তাদের মুল উদ্দেশ্য। আপনি প্রতারিত হবেন যদি তাদের কথায় পা বাড়ান। আপনাকে পুরুষত্ব হীন করে বাড়ি পাঠাবে।
আল্লাহর অশেষ রহমত যে, উৎপাদিত অতিরিক্ত বীর্য স্বপ্নদোষ এর মাধ্যমে বের করে দেন। স্বপ্নদোষ না হলে পুরুষের কিছু সমস্যা হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হত পুরুষ যৌনতায় পাগল হয়ে নিজের মা বোনও চিনত না। এছাড়াও হস্তমৈথুন করা, জিনা করা, লিঙ্গ ও অন্ডকোষ ব্যথা করা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিত।
আসুন না, আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করি- যে তিনি আমাদের কষ্ট না দিয়ে স্বপ্নদোষ এর মত বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। الحمد لله
এ সম্পর্কিত আরো পড়ুন-আমাদের লজ্জাস্থান: আমাদের করণীয় হস্তমৈথুন: এক অভিশাপ!