অনেকেই বলে থাকেন হস্তমৈথুন কোন ক্ষতিকারক না। তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে থাকে। যেমন- এক শিয়ালের লেজ কাটা যাওয়ার কারণে সে কৌশলে সব শিয়ালের লেজ কাটার ফন্দি আঁটে ঠিক তেমনি যারা নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করে ফেলেছে তারা চাচ্ছে যে এবার নেটে বা যে কোন উপায়ে আরো দশজনকে এই ফাঁদে আটকাই। যাই হোক এগুলো পশ্চিমা বা বিধর্মীদের এক কুট কৌশল। আজকাল অনেক ডাক্তারও পরামর্শ দিয়ে থাকে যে, হস্তমৈথুন ক্ষতিকর না। কেননা, যদি হস্তমৈথুন ছেড়ে দেয় তবে তাদের কাস্টমার অনেক কমে যাবে তাই তারা সুকৌশলে রোগীও বাড়াচ্ছে, অপরদিকে ব্যবসাও চাঙ্গা রাখছে। তাই নিজের অঙ্গ বিকল করার আগে নিজেই স্বিদ্ধান্ত নিন। পরে পস্তাবেন না।
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক ২৬টি দিক১। মন দুর্বল হয়ে পড়ে।
২। পাকস্থলী, ৩। যকৃত এবং ৪। হৃদপিন্ড নষ্ট হয়ে যায়।
৫। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়।
৬। কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ অনুভূত হয়।
৭। সর্বদা খিটখিটে মেজাজ থাকে।
৮। সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর কাহিল (ক্লান্ত) হয়ে পড়ে।
৯। শরীরের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা অনুভব হয় এবং চোখে ঝাপসা দেখে।
১০। বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়ার কারনে সর্বদা সামান্য সামান্য বীর্য নির্গত হতে থাকে, প্রস্রাবের নালীতে বীর্য জমে থাকে ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রস্রাবের নালীতে ক্ষত হয়ে যায় এবং ক্ষতস্থান হতে পুঁজ বের হয়।
১১। প্রথমে প্রথমে প্রস্রাবের সময় সামান্য জ্বালা যন্ত্রনা অনুভব হয়।
১২। পরবর্তীতে প্রস্রাবের সাথে পুঁজ বের হয়।
১৩। অতঃপর প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়।
১৪। এমনকি গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনকে এমনই তিক্ত করে তোলে, যার ফলে মানুষ মৃত্যুকে আহ্বান করতে থাকে।
১৫। বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে কোন কল্পনা ব্যতীত প্রস্রাবের আগে বা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য নির্গত হয়। একে প্রমেহ রোগ বলা হয়, যা কঠিন কঠিন রোগ সমূহের মূল।
১৬। অঙ্গ বিকল হয়ে যায়।
১৭। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
১৮। মেরুদন্ড দূর্বল হয়ে পড়ে।
১৯। বিবাহের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
২০। যদিও স্ত্রীর সাথে মিলন করার ক্ষেত্রে সফলও হয়, কিন্তু সন্তান সন্তুতি জন্ম নেয় না, ফলে নিঃসন্তান থেকে যায়।
২১। কোমরে ব্যথা অনুভব হয়।
২২। চেহারা হলুদ বর্ণ ধারন করে।
২৩। চোখে গাড়া পড়ে।
২৪। শরীর দিন দিন ক্ষীন হয়ে যায়, স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে।
২৫। টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়।
২৬। মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়।
(বি.দ্র. উপরে বর্ণিত ২৬টি ক্ষতি হতে সব গুলো যে একজনের একসাথে প্রকাশ পাবে তা নয়। আস্তে আস্তে এগুলোর অধিকাংশই হস্তমৈথুন কারীগনের মাঝে পাওয়া যাবে।)
হস্ত মৈথুনের শাস্তি
আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মাওলানা শাহ আহমদ রযা খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ এর খেদমতে আরয করা হলো: এক ব্যক্তি হস্ত মৈথুন করে, সে এই খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত থাকে না। প্রত্যেকবার তাকে বুঝানো হয়েছে, এখন আপনি বলুন, তার হাশর কিরূপ হবে এবং তাকে সে অভ্যাস থেকে মুক্তি লাভের জন্য কি দোয়া পড়তে হবে?
আ’লা হযরতের জবাব: সে গুনাহগার ও অপরাধী। সে কাজ বারবার করার কারণে কবীরা গুনাহকারী এবং ফাসিক সাব্যস্ত হবে। হাশরের ময়দানে হস্ত মৈথুনকারীরা গর্ভিত হাত নিয়ে উঠবে। ফলে বিশাল জনসম্মুখে তাদের অপদস্ত হতে হবে। যদি তারা এ কাজ থেকে তাওবা না করে, আর আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা শাস্তিও দিতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমাও করে দিতে পারেন। এ অভ্যাস থেকে মুক্তি লাভের জন্য হস্ত মৈথুনকারী ব্যক্তিদের সর্বদা لَا حَوْل শরীফ পাঠ করা উচিত। যখন শয়তান তাদের এ খারাপ কাজের প্রতি প্ররোচিত করবে, তখন সাথে সাথে আল্লাহ তাআলার প্রতি ধ্যানমগ্ন হয়ে অধিকহারে لَا حَوْل শরীফ পাঠ করবে। সর্বদা পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। ফযরের নামাযের পর নিয়মিত সূরায়ে ইখলাস পাঠ করবে। وَ اللهُ تَعَالٰی اَعْلَمُ (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২২তম খন্ড, ২৪৪ পৃষ্ঠা)
শাজরায়ে আত্তারীয়্যার ২১ পৃষ্ঠাতে উল্লেখ আছে: যে ব্যক্তি প্রতিদিন ফযরের নামাযের পর এগারবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, শয়তান তার সৈন্য সামন্ত দ্বারা গুনাহ করানোর শত চেষ্টা করলেও তার দ্বারা গুনাহ করাতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজ ইচ্ছায় গুনাহ না করে। (হস্তমৈথুনের শাস্তি অংশটি “নামাযের আহকাম” নামক কিতাবের ৮৩-৮৪ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। )
--------
উপাস্থাপনায়- আল মদীনাতুল ইলমিয়্যাহ
প্রকাশনায়
মাকতাবাতুল মাদীনা, জনপদ মোড়, সায়দাবাদ, ঢাকা। মোবাইল-01920078517
মাকতাবতুল মাদীনা, কে.এম. ভবন, ২য় তলা, ১১ আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম। 01813671572
মাকতাবাতুল মাদীনা, নিয়ামতপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী। 01712671446
এছাড়াও এডমিনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন
নিজের ঘরে রাখার মত একটি চমৎকার গ্রন্থ।
দাওয়াতে ইসলামীর সকল বাংলা ইসলামীক বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন
এ সম্পর্কিত আরো পড়ুন- আমাদের লজ্জাস্থান: আমাদের করণীয় স্বপ্নদোষ কোন রোগ নয়!