بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ সগে মদীনা মুহাম্মদ ইলিয়াছ আত্তার কাদেরী রযবীর عُفِىَ عَنْهُ পক্ষ থেকে মদীনার প্রেমে আত্মহারা, প্রিয় নবী, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ইশ্কে পাগলপারা, দা’ওয়াতে ইসলামীর মহিলা মুবাল্লিগার* ........... খেদমতে মাদানী শরীফের আশপাশ ঘুরে আসা, নূরানী বাতাসের এবং সেখানখার পরিবেশের ঘনঘটার বরকতে পরিপূর্ণ সুগন্ধিময় সালাম!
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه اَلحَمدُ لِلهِ رَبِّ العلَمِين عَلٰى كُلِّ حَال
---------------
*বিপদগ্রস্থ এক মহিলা মুবাল্লিগাকে শান্তনা দেবার জন্য এবং তাঁরই আবেদনের প্রেক্ষিতে দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী কাজের কর্ম-পদ্ধতির উপর লিখিত এক গুরুত্বপূর্ণ শান্ত¡নামূলক মাকতুব পরিবর্ধন সহকারে পেশ করা হল। ... মজলিসে মাকতুব।
--------------
ইশকে রাসুল এ ভরপুর আপনারই হাতের লেখা এক মাকতুব আমি গুনাহগারের হাতে এসেছে। আমি আপনার সেই মাদানী সুধায় পরিপূর্ণ মাকতুবটি সম্পূর্ণ পাঠ করেছি। আপনি দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রতি অত্যন্ত আন্তরিকতা রাখেন এবং চেষ্টারত রয়েছেন জেনে আমার মন আনন্দিত হয়ে মদীনার বাগানে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। হে আমার মাদানী কন্যা! আপনি লোকজনের অপবাদের ভয় করবেন না। বর্তমানে যারাই সুন্নাতের পথে চলার চেষ্টা করে সমাজ তাদের সাথে এই ধরনের গর্হিত ব্যবহারই করে থাকে। হায়!
ওহ দওর আয়া কে দীওয়ানায়ে নবী কে লিয়ে
হার এক হাত মেঁ পাত্থর দেখাই দেতা হে।
কারবালার রক্তিম দৃশ্য
যখনই সুন্নাতের উপর আমল করার কারণে কিংবা সুন্নাতের খেদমত করার কারণে আপনার উপর কোনরূপ অত্যাচার, নিপীড়ন নেমে আসবে, তখনই মনে মনে কল্পনা করবেন ‘কারবালার রক্তিম দৃশ্যের’ কথা। নবী-বংশের পূণ্যাত্মাগণের সর্বশেষ অপরাধ কি ছিল? এটিই ছিল না যে, তাঁরা ইসলামের উন্নতিই চাইতেন। কেবল এই পবিত্র কাজের অপরাধেই না নবী-বাগানের আলো-ছড়ানো ফুলগুলোর উপর সীমাহীন নৃশংস আচরণ করা হয়েছে! হায়, হায়! জোহরা رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا এর বাগানের সেসব কলি যাঁরা তখনো পরিপূর্ণ রূপে ফুটেই উঠেন নি, তাঁদেরকে যে কি ধরণের নির্দয় ও পৈশাচিকতামূলক ভাবে ঘোড়া দিয়ে পিষ্ট করা হয়েছিল! যখন তাঁদের তাজা কলিজাগুলো চিরে টুকরো টুকরো হয়ে মাটি আর রক্তে সিক্ত হয়ে ছটপট করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে সায়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْه এর মনের অনুভূতি কেমন হতে পারে!
হায় রে! শিশু আলী আসগর!!
হায়, হায়! দুধের শিশু আলী আসগর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْه ! মাদানী এই সত্যিকার মুন্নীটির পিপাসার্ত কণ্ঠে যেই মুহূর্তে তীর বিদ্ধ হল, আর তিনি যখন ব্যথায় কাতর হয়ে তাঁর বাবাজানের কোলে ছটপট করছিলেন এবং পরে হিক মারতে মারতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছিলেন, সেই মুহূর্তে নবীতনয়া হযরত ফাতিমা رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا এর কলিজার টুকরা নূর নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রিয় দৌহিত্র সায়্যিদুনা ইমাম আলী মকাম ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْه এর মনোজগতের দুঃখের অনুভূতির অবস্থা কি রকম হতে পারে!
দেখা জো ইয়ে নজারা কাঁপা হে আরশ সারা
আসগর কে জব গলে পর জালিম নে তীর মারা।
আর... আর... দুধের শিশু আলী আসগর رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْه ছোট শিশুর রক্তাক্ত মৃত দেহ যখন তাঁরই আদরিনী আম্মাজান সায়্যিদা শহর বানু নিজ চোখে দেখেছিলেন, তখন তাঁর আহত হৃদয়ের যে কী মহা কিয়ামত সংঘটিত হচ্ছিল, তা কে অনুভব করতে পারে!
আয় জমীনে কারবালা ইয়ে তো বাতা কিয়া হো গেয়া!
নন্না আলী আসগর তেরি গোদী মেঁ কেয়সে সো গেয়া!
ইমাম আলী মকামের শেষ বিদায়
হে আমার মাদানী কন্যা! সায়্যিদুশ শুহাদা, ইমামে আলী মকাম, ইমামে আরশে মকাম, ইমামে তিস্নাকাম, ইমামুল হুমাম সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْه এর কলিজার টুকরাদের সকলেই যখন একে একে শত্রু বাহিনীর অপয়া তরবারির আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিলেন, অতঃপর স্বয়ং নিজেই যখন শহীদ হওয়ার অদম্য বাসনা বুকে নিয়ে মহান আল্লাহর নামে তাবু থেকে বেরিয়ে পড়ছিলেন, সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তটিতে হযরত সায়্যিদা জায়নাব, হযরত সায়্যিদা সকীনা সহ অপরাপর সকল বিবিগণের رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُنَّ মনোজগতে কী করুণ অবস্থা যে সৃষ্টি হয়েছিল, তা কি এক বার ভেবে দেখেছেন!
ফতেমা কে লাডলে কা আখেরী দিদার হে
হাশর কা হাঙ্গামা বর পা হে মিয়ানে আহলে বাইত।
ওয়াক্তে রোখসার কেহ্ রহা হে খাক মেঁ মিল্তা সোহাগ
লও সালামে আখেরী আয় বেওয়াগানে আহলে বাইত।
কারবালার করুণ তান্ডব!
অতঃপর... কেবল একজন অসুস্থ ইবাদতকারী এবং কেবল কয়েকজন পর্দানশীন অবলা নারী কি থেকে যাবেন? এদিকে সব তাবুই লন্ডভন্ড হয়ে থাকবে। বাহিরে চতুর্দিকে পবিত্র মহান নবীর বংশধরদের যুবক এবং বাচ্চাদের লাশ সমূহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। তার উপরও নির্যাতনের অন্ত না থাকা? নর পিশাচ ইয়াজিদ বাহিনীর চরম লুটতরাজ, তাবু জ্বালিয়ে দেওয়ার মত জঘন্য নিপীড়ন! সবাইকে বন্দী করে নেওয়ার ঘৃন্য স্পর্ধা! সকল শহীদানদের পবিত্র ও নূরানী শির মোবারকগুলো বর্ষাবিদ্ধ করে কারবালার প্রান্তরে জঘন্য তান্ডবে মেতে ওঠা ইয়াজিদ বাহিনীর জালিমদের পৈশাচিক কান্ড! ওসব কথা ভাবতেও মন কেমন ব্যথিত হয়ে উঠে। তাঁদের উপরে আপতিত হওয়া সেসব হৃদয়-বিদারক দৃশ্যের কথা স্মরণ করে আমাদের রক্তের প্রবাহে কান্নার সুর বেজে ওঠে। কলিজা কেপেঁ উঠে।
হে আমার মাদানী কন্যা! আপনি যখন সেসব দৃশ্যের কথা স্মরণ করবেন। তা হলে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ আপনার এই ধরনের নগণ্য ও তুচ্ছ কষ্টের উপর আপনি বরং নিজেই হাসবেন। হাসবেন এই বলেই যে, সেই তুলনায় আমাদের এসব কষ্টও কোনই কষ্টই না!
পেয়ারে মুবাল্লিগ! মামুলি ছি মুশকিল পে ঘবরাতা হে
দেখ হোসাইন নে দ্বীন কি খাতির সারা ঘর কুরবান কিয়া।
মোটকথা, আপনি সর্বদা ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার পথ অবলম্বন করবেন। চরিত্রের অনুপম আদর্শ হয়েই থাকবেন। আপনার সংক্ষিপ্ত জীবনটিকে শরীয়াত ও সুন্নাত মোতাবেক অতিবাহিত করবেন। কুরআন সুন্নাত প্রচারের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক সংগঠণ ‘দা’ওয়াতে ইসলামীর’ মাদানী মাহলের সাথে সর্বদা সম্পৃক্ত থাকবেন, আর ইসলামী বোনদেরকে নেকীর দাওয়াত দিতে থাকবেন।
মৃত্যু অনিবার্য
মনে রাখবেন! মৃত্যু অনিবার্য। আমাদের সাথে আজ যারা হাসিতামাশা ও মেলামেশায় প্রতিনিয়ত মশগুল রয়েছে অচিরে তারাই আমাদের লাশ কাঁধে নিয়ে বিরান কবরস্থানের অন্ধকার কবরে কয়েক মণ মাটির নিচে দাফন করে আমাদের একাকী রেখে চলে আসবে। আল্লাহ্ না করুন, আমাদের জীবন যদি শরীয়াত বিরোধী ফ্যাশনের জীবন হয়ে থাকে, বেহায়াপনার জীবন হয়ে থাকে, জীবনে যদি নামাজ-রোজার প্রতি উদাসীনতা থেকে থাকে, আর এ কারণে যদি আল্লাহ্ তাআলা ও আল্লাহর রাসুল صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন এবং সেই কারণে আমাদের উপর যদি আজাব অবতীর্ণ হয়, তদুপরি কবরের অন্ধকারে, তাতে যদি সাপ আর বিচ্ছু থাকে! তা হলে কিয়ামত পর্যন্ত আমরা সেখানে কীভাবে থাকব? অতএব, মৃত্যুকে সর্বদা আপনার দুই চোখের সামনে বলে মনে করবেন। আর অনতিবিলম্বে নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার মত সংক্ষিপ্ত এই জীবনেই বিশাল ও সুদীর্ঘ আখিরাতের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
মেরা দিল কাঁপ উঠতা হে কলিজা মুঁহ্ কো আতা হে
করম ইয়া রব! আন্ধেরা কবর কা জব ইয়াদ আতা হে।
মাদানী মাহলের বরকত
আমার মাদানী কন্যা! কুরআন সুন্নাত প্রচারের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক সংগঠন দা’ওয়াতে ইসলামীর কাজ করাতে একদিকে যেমন অসংখ্য সাওয়াব রয়েছে, অন্যদিকে অনেক উপকারও রয়েছে। এতে করে মাদানী মাহল (পরিবেশ) নছীব হয়। নিজের মাঝে ভাল ভাল আমল করার অভ্যাস সৃষ্টি হয়। মদীনা শরীফের মুহাব্বত সহ তাজেদারে মদীনা صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ইশ্ক নছীব হয়। আর নেকীর দাওয়াত পেশ করার ফযীলতের কথা এই বাণী থেকে অনুমান করতে পারেন:
নেকীর দাওয়াতের সাওয়াব
হযরত সায়্যিদুনা মূসা কলীমুল্লাহ্ عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام একদা আল্লাহ্ তাআলার দরবারে আরজ করলেন: হে আল্লাহ! যে আপন ভাইকে নেকীর দাওয়াত পেশ করে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করে, সেই ব্যক্তির প্রতিদান কী? জবাবে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন: আমি তার এক একটি শব্দের পরিবর্তে তাকে পূর্ণ এক বৎসরের ইবাদত করার সাওয়াব লিখে থাকি আর তাকে জাহান্নামের শাস্তি দিতে আমার লজ্জা হয়। (মুকাশাফাতুল কুলুব, ৪৮ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ্, বৈরুত)
নেকীর ভান্ডার
سُبْحٰنَ اللهِ عَزَّوَجَل আমরা যদি কাউকে একটি ভাল কথা বলে থাকি, তা হলে এক বৎসর ইবাদত করার সাওয়াব পাব। তবে ভেবে দেখুন, আপনি যদি মাত্র একজন ইসলামী বোনকেও ‘ফয়যানে সুন্নাতের’ দরস দিয়ে থাকেন, মনে করুন, আপনি তাকে দুইটি পৃষ্ঠা পাঠ করে শুনিয়েছেন আর সেখানে যদি বিশটি ভাল কথা থাকে, তাহলে পাঠ শ্রবণকারী সেই ইসলামী বোন তদানুযায়ী আমল করুক বা না করুক اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ আপনার আমলনামায় বিশ বৎসরের ইবাদত করার সাওয়াব লিপিবদ্ধ হয়ে যাবে। আর যদি আপনার কাছ থেকে শুনে সেই ইসলামী বোন আমল করা আরম্ভ করে দেন, তবে তিনি যত দিন পর্যন্ত আমল করতে থাকবেন, সেই সাথে আপনিও একই হারে সাওয়াব পেতে থাকবেন। আর সেই ইসলামী বোন যদি আপনার নিকট থেকে শুনে তা আবার অন্যের নিকট শোনান, তা হলে তার সাওয়াব সেই ইসলামী বোনও পাবে আর আপনিও পাবেন। এভাবে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ আপনার সাওয়াব কেবল বৃদ্ধি পেতে থাকবে। নেকীর দাওয়াতের কারণে আখিরাতে যে সাওয়াব পাওয়া যাবে, তা যদি কেউ দুনিয়াতেই দেখে নেয়, তাহলে মনে হয় এক মুহূর্ত সময়ও সে অযথা অতিবাহিত করবে না। সে সর্বদাই নেকীর দাওয়াতের সাড়া জাগাতে থাকবে। শয়তানের কুমন্ত্রণাকে কাছেও আসতে দিবেন না। কেননা, সে তো এমন অবস্থারই অবতারণা করবে যে, আপনি যেন নেকীর দাওয়াতের ন্যায় মহান কাজ বাদ দিয়ে দেন। ফয়যানে সুন্নাতের দরস দান করাও দা’ওয়াতে ইসলামীর একটি মাদানী কাজ। আগে থেকে সময় নির্ধারণ করে প্রতি দিন দরস দানের মাধ্যমে সুন্নাতের মাদানী ফুল বিতরণ করতে থাকুন। আর বেশি বেশি সাওয়াব অর্জন করতে থাকুন।
ফয়যানে সুন্নাতের দরস দানের মাদানী ফুল
(এই পদ্ধতিটি ইসলামী ভাই, ইসলামী বোন সবার জন্য সমভাবেই উপকারী)
মদীনা ১: নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “সুন্নাত প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কিংবা বদ-মাযহাব দূরীকরণের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি আমার উম্মতের নিকট ইসলামের কোন বিষয় পৌঁছিয়ে দিবে, সেই ব্যক্তি জান্নাতী।” (হিলিয়াতুল আউলিয়া, ১০ম খন্ড, ৪৫ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৪৪৬৬, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ্, বৈরুত)
মদীনা ২: ছরকারে মদীনা صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি আমার হাদীস শুনবে, স্মরণ রাখবে এবং অন্যের নিকট পৌঁছিয়ে দিবে, আল্লাহ্ তাআলা সেই ব্যক্তিকে সজীব রাখুন।” (সুনানে তিরমিযী, ৪র্থ খন্ড, ২৯৮ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২৬৬৫, দারুল ফিকর, বৈরুত)
মদীনা ৩: হযরত সায়্যিদুনা ইদ্রিস عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام এর নাম মোবারক ইদ্রিস হওয়ার একটি কারণ এও যে, তিনি অধিক হারে আল্লাহর কিতাবাদির দরস ও তাদরিস করতেন অর্থাৎ পাঠ করতেন এবং পাঠদানও করতেন বলে তাঁর عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام নাম ইদ্রিস হয়। (তাফসীরে কবীর, ৭ম খন্ড, ৫৫০ পৃষ্ঠা, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরবি, বৈরুত। তাফসীরুল হাসানাত, ৪র্থ খন্ড, ১৪৮ পৃষ্ঠা, জিয়াউল কুরআন পাবলিকেশন্স্, মারকযুল আউলিয়া, লাহোর)
মদীনা ৪: হুজুর গাউছে আযম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেছেন: دَرَسْتُ العِلْمَ حَتّٰى صِرْتُ قُطْبََا- অর্থাৎ, আমি ইলমের দরস দিয়েছি, এক পর্যায়ে আমি কুতুবিয়াতের মর্যাদায় উপনীত হয়ে গেছি। (কাসীদায়ে গাউছিয়া)
মদীনা ৫: দিনে কম পক্ষে দুইটি করে হলেও ফয়যানে সুন্নাত থেকে দরস দেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবেন। পারা: ২৮, সূরা: আত্ তাহরীমের ষষ্ঠ আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেছেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে ঈমানদারেরা! তোমরা তোমাদের নিজেদের এবং পরিবার-পরিজনদেরকে সেই আগুন থেকে রক্ষা কর যেই আগুনের ইন্ধন ইচ্ছে মানুষ আর পাথর। (পারা: ২৮, সূরা: আত তাহরীম, আয়াত: ৬)
‘ফয়যানে সুন্নাতে’র দরসও নিজেকে এবং পরিবার-পরিজনদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করার একটি মাধ্যম। সম্ভব হলে দরস দেওয়ার পাশাপাশি মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত সুন্নাতে ভরা বয়ান কিংবা মাদানী মুযাকারার ক্যাসেটগুলোও পরিবারের সবাইকে দৈনিক অথবা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে শুনাতে পারেন।
মদীনা ৬: যাইলী মুশাওয়ারাতের নিগরান নিজের মসজিদে এমন দুইজন খেরখোয়া ইসলামী ভাই নিয়োগ করবেন, যারা দরসের (বয়ানের)সময় চলে যেতে উদ্যত লোকদেরকে বিনয়ের সাথে থামাবেন এবং সবাইকে কাছাকাছি করে বসাবার ব্যবস্থা নিবেন।
মদীনা ৭: পর্দার উপর পর্দা করে দু’জানু হয়ে বসে দরস দিবেন। শ্রোতা অধিক হয়ে থাকলে দাঁড়িয়ে দরস দেওয়াতেও কোন অসুবিধা নেই।
মদীনা ৮: আওয়াজ বেশ জোরেও করবেন না; বেশ ছোটও হবে না। যত দূর সম্ভব এমন আওয়াজে দরস দিবেন যেন কেবল উপস্থিত লোকজনেরাই শুনতে পায়। এই কথাটি অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন যে, দরস ও বয়ানের আওয়াজের কারণে যেন কোন নামাজী কিংবা কুরআন তিলাওয়াতকারীর অসুবিধা না হয়।
মদীনা ৯: দরস সর্বদা থেমে থেমে আর নিচু আওয়াজে দিবেন।
মদীনা ১০: যে বিষয়টি দরস দিবেন সেই বিষয়টি পূর্বে একবার অধ্যয়ন করে নিবেন যেন ভুল-ত্রুটি না হয়।
মদীনা ১১: ফয়যানে সুন্নাতের আরবি শব্দগুলো প্রদত্ত হরকত অনুযায়ীই উচ্চারণ করবেন। এতে করে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ শুদ্ধরূপে উচ্চারণ করার অভ্যাস গড়ে উঠবে।
মদীনা ১২: হামদ ও সালাত, দরূদ ও সালামের বাক্যগুলো, দরূদ শরীফের এবং আখেরী আয়াত ইত্যাদি কোন সুন্নী আলিম অথবা কোন ক্বারী সাহেবকে অবশ্যই শুনিয়ে নিবেন। অনুরূপ নামাজে যেগুলো পড়তে হয়, সেগুলো সহ অপরাপর আরবি দোআ ইত্যাদিও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলিমদের নিকট শুনিয়ে বিশুদ্ধ করে নিবেন।
মদীনা ১৩: ফয়যানে সুন্নাত ছাড়াও মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত মাদানী রিসালা থেকেও দরস দেওয়া যেতে পারে।{কেবল আমীরে আহলে সুন্নাত কর্তৃক প্রণীত কিতাবাদি থেকেই দরস দিবেন। (মারকাযী মজলিসে শূরা।)}
মদীনা ১৪: আখেরী দোআ সহ সম্পূর্ণ দরস সাত মিনিটের মধ্যেই শেষ করে নিবেন।
মদীনা ১৫: দরসের পদ্ধতি, পরবর্তী তারগীব ও আখেরী দোআ ইত্যাদি প্রত্যেক মুবাল্লিগ ও মুবাল্লিগার মুখস্ত করে নেওয়া উচিত।
ফয়যানে সুন্নাত থেকে দরস দেওয়ার পদ্ধতি
তিন বার এভাবে ঘোষণা দিবেন: আপনারা সবাই কাছাকাছি হয়ে বসুন। পর্দার উপর পর্দা করে দু’জানু হয়ে বসে এভাবে আরম্ভ করবেন:
اَلۡحَمۡدُ لِلہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ وَالصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلٰی سَیِّدِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ
اَمَّا بَعۡدُ فَاَعُوۡذُ بِا للہِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ ط بِسۡمِ اللہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
এবার এভাবে দরূদ-সালাম পড়াবেন :
اَلصَّلٰوةُ والسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ الله - وَعَلٰى اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ يَا حَبِيْبَ الله
اَلصَّلٰوةُ والسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ الله - وَعَلٰى اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ يَا نُوْرَ الله
অতঃপর এভাবে বলবেন: প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আপনারা সবাই কাছাকাছি এসে দরসের সম্মানের নিয়্যতে সম্ভব হলে দু’জানু হয়ে বসে পড়ুন। কোন ওজর থাকলে আপনাদের সুবিধা মত বসে দৃষ্টিকে নত রেখে মনোযোগ সহকারে ফয়যানে সুন্নাতের দরস শুনুন। অমনোযোগী হয়ে, এদিক-সেদিক তাকিয়ে, আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে খেলতে খেলতে, গায়ের কাপড় বা চুল ইত্যাদি নড়াচড়া করতে করতে শুনলে দরসের বরকত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। (বয়ানের শুরুতেও এই ধরনের তারগীব দিবেন)। এ কথাগুলো বলার পর ফয়যানে সুন্নাত থেকে দেখে দেখে একটি দরূদ শরীফের ফযীলত বয়ান করবেন। তার পর বলবেন : صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
যা লিখা রয়েছে সেগুলোই পড়ে শুনাবেন। আয়াত ও আরবি ইবারতগুলোর কেবল অনুবাদগুলোই পাঠ করবেন। নিজের পক্ষ থেকে কখনো কোন আয়াত বা হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা করতে যাবেন না।
দরসের শেষে এভাবে তারগীব দিবেন
(সকল মুবাল্লিগ ও মুবাল্লিগার উচিত এটি মুখস্থ করে নেওয়া এবং কোন রকম কমবেশী না করে দরস ও বয়ানের শেষে এভাবে তারগীব দিবেন) কুরআন সুন্নাত প্রচারের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক সংগঠন দা’ওয়াতে ইসলামীর সুবাসিত মাদানী পরিবেশে অসংখ্য সুন্নাতের শিখা ও শিক্ষা দেওয়া হয়। (আপনার এলাকার সাপ্তাহিক ইজতিমার ঘোষণা এভাবে করবেন: (যেমন) বাবুল মদীনা করাচীর তাহসীলে মক্কা মুকাররামা ওয়ালারা*** বলবেন) “প্রতি রবিবারে ফয়যানে মদীনা, মহল্লা সওদাগরান, পুরানা সব্জীমন্ডিতে বেলা প্রায় ২ টা ৩০ মিনিটের সময় আরম্ভ হওয়া সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় যোগদান করার জন্য মাদানী অনুরোধ রইল।” প্রতি দিন ফিকরে মদীনার মাধ্যমে মাদানী ইন্আমাতের রিসালা পূরণ করে প্রতি মাদানী মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যে আপনার এলাকার যিম্মাদারের নিকট জমা দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে এর বরকতে সুন্নাতের অনুসারী হওয়ার, গুনাহকে ঘৃণা করার এবং ঈমানের হিফাজতের মন-মানসিকতা সৃষ্টি হবে। সকল ইসলামী বোনেরা এই মাদানী যেহেন বানিয়ে নিন যে, আমাকে নিজের এবং সারা দুনিয়ার মানুষের সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ
(***আন্তর্জাতিক মাদানী মারকায ফয়যানে মদীনায় সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি অনুযায়ী প্রতি রবিবার বেলা প্রায় ২ টা ৩০ মিনিটের সময় ইসলামী বোনদের বাবুল মদীনার তিনটি তাহসীলের ইজতিমা শুরু হয়ে থাকে। ওসব তাহসীলের সাংগঠনিক নাম হল: (১) তাহসীলে মক্কা মুকাররামা (সোলজার বাজার, পুরানা গুলিমার, লায়ন্স এরিয়া, গার্ডেন), (২) তাহসীলে আতায়ে আত্তার (মাদানী কলোনী, চান্দনী চক, পীর কালোনী), (৩) গুলশানে আত্তার (পুরা গুলশানে ইকবাল)। প্রতি বুধবারে বাবুল মদীনায় এই দুপুরের সময় অসংখ্য স্থানে এবং প্রতি রোববারে এখন পর্যন্ত ২৭টি স্থানে তাহসীলের আওতায় ইসলামী বোনদের সুন্নাতে ভরা ইজতিমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।)
আল্লাহ করম এয়সা করে তুঝ পে জাহাঁ মেঁ
আয় দা’ওয়াতে ইসলামী তেরি ধূম মচী হো।
অবশেষে খুযূ-খুশূ সহকারে (অর্থাৎ, শরীরকে বিনয় ও নম্রতা সহকারে এবং মনকে হাজির রেখে) দোআর জন্য হাত উঠানোর আদব রক্ষা করতঃ কোন রকম কমবেশী না করে নিচের মত করে দোয়া করবেন।
اَلۡحَمۡدُ لِلہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ وَالصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلٰی سَیِّدِ الۡمُرۡسَلِیۡنَ -হে রব্বে মুস্তফা! নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সদকায় তুমি আমাদের, আমাদের পিতা-মাতার এবং সকল উম্মতদের গুনাহ মাফ করে দাও। হে আল্লাহ্! তুমি দরসের ভুল-ত্রুটি সহ সকল গুনাহ মাফ করে দাও। আমলের জযবা দান কর। আমাদের পরহেজগার এবং পিতা-মাতার অনুগত বানিয়ে দাও। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে তোমার এবং তোমার মাদানী হাবীব صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সত্যিকার আশিক বানিয়ে দাও। আমাদেরকে গুনাহের রোগসমূহ থেকে মুক্তি দান কর। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদেরকে মাদানী ইন্আমাতের আমল করার এবং ইনফিরাদী কৌশিশের মাধ্যমে অন্যদেরকেও মাদানী কাজের উৎসাহ প্রদান করার জযবা দান কর। হে আল্লাহ্! তুমি মুসলমানদেরকে রোগ সমূহ থেকে, ঋণগ্রস্ততা, বেকারত্ব, সন্তানহীনতা, অহেতুক মামলা-মোকাদ্দমা এবং বিভিন্ন ধরণের পেরেশানী থেকে মুক্তি দান কর। হে আল্লাহ্! তুমি ইসলামের উন্নতি দান কর। ইসলামের শত্রুদের অপদস্থ কর। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদেরকে দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী মাহলে দৃঢ় ও অটল রাখ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদেরকে সবুজ গম্বুজের নিচে তোমার মাহবুব صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর জলওয়ায় শাহাদাত, জান্নাতুল বাক্বীতে দাফন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে তোমার প্রিয় হাবীব صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতিবেশিত্ব দান কর। হে আল্লাহ্! মদীনার সুগন্ধিময় শীতল হাওয়ার ওসীলায় তুমি আমাদের দোআগুলো কবুল কর।
জিস কেসি নে ভি দোআ কে ওয়াস্তে ইয়া রব! কাহা
কর দেয় পুরি আরজু হার বে কস ও মজবুর কি।
اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
এই শেরটি পড়ার পর নিম্নে প্রদত্ত দরূদ শরীফের আখেরী আয়াতটি পাঠ করবেন:
إِنَّ اللهَ وَمَلٰئِكَتَہٗ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ط يٰاَ يُّهَا الَّذِينَ اٰمَنُوْا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
(পারা: ২২, সূরা: আহযাব, আয়াত: ৫৬)
সবাই দরূদ শরীফ পড়ে নিবেন। অতঃপর নিচের আয়াতটি পাঠ করবেন:
سُبْحٰنَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ (180) وَسَلٰمٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ (181) وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِينَ (182)
(পারা: ২৩, সূরা: আস সাফফাত, আয়াত: ১৮০-১৮২)
দরসের পাওনা পাওয়ার উদ্দেশ্যে (দাঁড়িয়ে না, বরং) বসে বসেই হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে ইসলামী বোনদের সাথে সাক্ষাত করবেন। কিছু নতুন ইসলামী বোনদেরকে নিজের কাছে বসাবেন এবং ইনফিরাদী কৌশিশের মাধ্যমে মাদানী ইন্আমাত সহ আরো কিছু মাদানী কাজের বরকতের কথা বুঝিয়ে তাঁদের মাঝে মাদানী পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার মন-মানসিকতা সৃষ্টি করবেন।
তুমহে আয় মুবাল্লিগ! ইয়ে মেরি দোআ হে
কিয়ে জাও তায় তুম তরক্কি কা যীনা।
আত্তারের দোআ: হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে এবং নিয়মিত ভাবে ফয়যানে সুন্নাত থেকে প্রতি দিন কম পক্ষে দুইটি দরস দানকারী এবং শ্রোতাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও। তুমি আমাদেরকে সুন্দর চরিত্রের আদর্শ বানিয়ে দাও। اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
মুঝে দরসে ফয়যানে সুন্নাত কি তৌফিক
মিলে দিন মেঁ দো মর্তবা ইয়া ইলাহী।
এই রিসালার বাকি লিখা এখানে
--------
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা “মুহাম্মদ ইলয়াস আত্তার” কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত ৩২ পৃষ্ঠা সম্বলিত "কারবালার রক্তিম দৃশ্য" নামক রিসালার ০১-১৪ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রিসালাটি অবশ্যই সংগ্রহে রাখুন। অন্যকে উপহার দিন।
ইসলামিক বাংলা বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন