বিভাগ সমূহ

শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭

হজ্বের মাসাইল: পর্ব ১৯- বদলী হজ্ব

যার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। কিন্তু নফল হজ্বের জন্য কোন শর্ত নেই। ইহা তো ইছালে সাওয়াবের একটি পদ্ধতি মাত্র। আর ঈসালে সাওয়াব ফরয নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত, সদকা এবং দান খয়রাত ইত্যাদি সর্ব প্রকার আমলের হতে পারে। তাই যদি নিজের মৃত মা-বাবা ও অন্যান্যদের পক্ষ থেকে আপনি আপনার ইচ্ছায় হজ্ব করতে চান, অর্থাৎ তাদের উপর যা ফরযও ছিলনা আবার তারা অছিয়তও করেনি, তাহলে এর জন্য কোন রকম শর্ত নেই। হজ্বের ইহরাম পিতা অথবা মাতার পক্ষ হতে নিয়্যত করে বেঁধে নিন এবং হজ্বের যাবতীয় বিধানাবলী আদায় করে নিন। এই পদ্ধতিতে এ উপকার অর্জন হবে যে, তার (অর্থাৎ যার পক্ষ থেকে হজ্ব করা হয়েছে) নিকট একটি হজ্জের সাওয়াব মিলবে এবং হজ্ব আদায়কারীকে হাদীসের হুকুম অনুযায়ী দশটি হজ্বের সাওয়াব দান করা হবে। (দারু কুতনী, ২য় খন্ড, ৩২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২৫৭৮) তাই যখনই নফল হজ্ব করবেন তখনই উত্তম হল যে, পিতা অথবা মাতার পক্ষ থেকে আদায় করবেন। মনে রাখবেন! ইছালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে করা হজ্বে তামাত্তু অথবা হজ্বে কিরান এর কোরবানী করা ওয়াজিব, আর হজ্বকারী স্বয়ং নিজের নিয়্যতে তা করবে এবং এর ইছালে সাওয়াব করে দিবে।
বদলী হজ্ব 
বদলী হজ্বের ১৭টি শর্তাবলী

যে সকল মানুষের উপর হজ্ব ফরয হয়েছে, তাদের বদলী হজ্বের জন্য যে সকল শর্তাবলী রয়েছে তা এখন উল্লেখ করা হচ্ছে:-

﴾১﴿ যে ব্যক্তি বদলী হজ্ব করাবে তার জন্য আবশ্যক যে, তার উপর হজ্ব ফরয হতে হবে। অর্থাৎ যদি ফরয না হওয়া সত্ত্বেও সে বদলী হজ্ব করায় তাহলে ফরজ হজ্ব আদায় হল না। অর্থাৎ পরবর্তীতে যদি তার উপর হজ্ব ফরজ হয়, তাহলে পূর্বের হজ্ব তার জন্য যথেষ্ট হবে না। 
﴾২﴿ যার পক্ষ থেকে হজ্ব আদায় করা হবে সে এমন অক্ষম অপারগ হতে হবে যে, সে নিজে হজ্ব করতে সক্ষম নয়। যদি সে নিজে হজ্ব করতে সক্ষম হয়, তাহলে তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব আদায় হবে না। 
﴾৩﴿ হজ্ব আদায় করানোর সময় থেকে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত অপারগতা পূর্ণ অবশিষ্ট থাকতে হবে। অর্থাৎ বদলী হজ্ব করানোর পর থেকে মৃত্যুর পূর্ববর্তী সময় কারো মধ্যে যদি ঐ ব্যক্তি নিজের হজ্ব আদায় করার উপযুক্ত হয়ে যায়, তাহলে যে হজ্ব অন্যের মাধ্যমে আদায় করেছে উহা বাতিল হয়ে যাবে। 
﴾৪﴿ হ্যাঁ! যদি এমন অপারগতা ছিল যা দূর হয়ে যাওয়ার আশাও ছিল না যেমন অন্ধ ব্যক্তি, আর বদলী হজ্ব করানোর পর তার চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল। তাহলে এখন আর দ্বিতীয় বার হজ্ব করার প্রয়োজন নেই। 
﴾৫﴿ যার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করা হবে তিনি নিজেই তার পক্ষ থেকে হজ্ব করার আদেশ দিতে হবে। তার আদেশ ব্যতীত তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব হবে না। 
﴾৬﴿ হ্যাঁ! যদি ওয়ারিশ তার মূরিছ (অর্থাৎ যে তাকে ওয়ারিশ বানিয়েছে) এর পক্ষ থেকে আদায় করে, তাহলে সেক্ষেত্রে আদেশের প্রয়োজন নেই। 
﴾৭﴿ যাবতীয় ব্যয় অথবা কমপক্ষে অধিকাংশ ব্যয় হজ্বে যে পাঠিয়েছে তার পক্ষ থেকে হতে হবে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২০১-১২০২ পৃষ্ঠা) 
﴾৮﴿ অছিয়ত করেছিল যে, আমার সম্পদ হতে যেন হজ্ব আদায় করানো হয়। কিন্তু ওয়ারিশগণ নিজেদের সম্পদ দ্বারা হজ্ব করিয়ে দিল, তাহলে বদলী হজ্ব হল না। হ্যাঁ! যদি এই নিয়্যত থাকে যে, পরিত্যক্ত সম্পদ (অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির ছেড়ে যাওয়া সম্পদ) হতে (হজ্বের যাবতীয় ব্যয়) নিয়ে নিবে, তাহলে বদলী হজ্ব হয়ে যাবে। আর যদি নেওয়ার ইচ্ছা না থাকে তাহলে হবে না। আর যদি কোন আজনবী (তথা যে ঐ ব্যক্তির ওয়ারিশ নয়) নিজের সম্পদ হতে হজ্ব করিয়ে দেয়, তাহলে হবে না। যদিও ইহা (ব্যয়) ফেরত নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, আর মৃত ব্যক্তি যদিও নিজে ঐ লোকটিকে বদলী হজ্ব করার জন্য বলে যায় (তার পরও হজ্ব আদায় হবে না)। (রদ্দুল মুহতার, ৪র্থ খন্ড, ২৮ পৃষ্ঠা) 
﴾৯﴿ যদি (মৃত ব্যক্তি) এরকম বলল ‘আমার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করিয়ে দেয়া হোক’, আর এটা বলে নি যে, ‘আমার মাল থেকে’। এখন যদি ওয়ারিশ নিজের মাল থেকে বদলী হজ্ব করিয়ে দেয় এবং (হজ্বের খরচাদি) ফেরৎ নেয়ারও ইচ্ছা না থাকে, তবে হজ্ব হয়ে যাবে। (প্রাগুক্ত) 
﴾১০﴿ যাকে আদেশ করা হয়েছে সেই করবে। যদি যাকে আদেশ করা হয়েছে সে অন্যের দ্বারা আদায় করে দেয়, তাহলে আদায় হবে না। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২০২ পৃষ্ঠা) 
﴾১১﴿ মৃত ব্যক্তি যার ব্যাপারে অছিয়ত করেছে যদি তারও মৃত্যু হয়ে যায় অথবা সে যদি হজ্বে যেতে রাজী না হয় এবং এজন্য অন্যের দ্বারা হজ্ব আদায় করে নেয়া হল তাহলে জায়েয হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার, ৪র্থ খন্ড, ১৯ পৃষ্ঠা) 
﴾১২﴿ বদলী হজ্ব আদায়কারী অধিকাংশ রাস্তা আরোহনরত অবস্থায় (গাড়ী অথবা প্রাণীর উপর আরোহণ করে) অতিক্রম করবে। নতুবা বদলী হজ্ব হবে না এবং যে হজ্বে পাঠিয়েছে সেই খরচ বহন করবে। তবে হ্যাঁ! যদি খরচের টাকা পয়সা কমে যায়, তাহলে পায়ে হেঁটেও যেতে পারবে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২০৩ পৃষ্ঠা) 
﴾১৩﴿ যার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করবে, তার দেশ থেকেই হজ্বে রওয়ানা হবে। (প্রাগুক্ত) 
﴾১৪﴿ যদি আদেশদাতা হজ্ব করার আদেশ দেয়, আর মা’মুর (অর্থাৎ যাকে আদেশ করা হয়েছে সে) নিজে ‘হজ্বে তামাত্তু’ করল। তাহলে খরচ ফেরত দিতে হবে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ১০ম খন্ড, ৬৬০ পৃষ্ঠা) কারণ ‘তামাত্তু হজ্বের’ মধ্যে হজ্বের ইহরাম আদেশ দাতার মীকাত থেকে হবে না। বরং হেরম শরীফ থেকেই বাঁধতে হয়। হ্যাঁ! যদি আদেশ দাতার অনুমতি সাপেক্ষে এরকম করা হয় (অর্থাৎ তামাত্তু হজ্ব করে) তাহলে কোন ক্ষতি নেই। 
﴾১৫﴿ অছি (অর্থাৎ যাকে অছিয়ত করে গেছেন যে, তুমি আমার পক্ষ থেকে হজ্ব করিয়ে দিবে সে) যদি মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদের এক তৃতীয়াংশ এই পরিমাণ হয় যে ঐ সম্পদ দ্বারা তার দেশ হতে কোন মানুষকে হজ্বে পাঠাতে পারবে, তা সত্ত্বেও যদি অন্য জায়গা থেকে লোক হজ্বে পাঠিয়ে থাকে তাহলে এ হজ্ব মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে আদায় হবে না। হ্যাঁ! যদি ঐ স্থান নিজ দেশ হতে এত নিকটবর্তী হয় যে, সেখানে গিয়ে রাত হওয়ার আগেই ফিরে আসা যায় তাহলে আদায় হয়ে যাবে। নতুবা তার জন্য আবশ্যক হবে যে, নিজের সম্পদ হতে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বার হজ্ব করিয়ে দেওয়া। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ২৫৯ পৃষ্ঠা। রাদ্দুল মুহতার, ৪র্থ খন্ড, ২৭ পৃষ্ঠা) 
﴾১৬﴿ আমের (অর্থাৎ যে হজ্বের আদেশ করেছে) তার পক্ষ থেকেই হজ্ব করতে হবে। আর উত্তম হল যে, মুখেও বলবে لَبَّیۡکَ عَنۡ فُلَان লাব্বায়কা আন ফুলান১৭, আর যদি তার নাম ভুলে যায় তাহলে এ নিয়্যত করে নিবে যে, যে পাঠিয়েছে (অথবা যার জন্য পাঠিয়েছে) তার পক্ষ থেকে করছি। (রদ্দুল মুহতার, ৪র্থ খন্ড, ৪০ পৃষ্ঠা) 
﴾১৭﴿ যদি ইহরাম বাঁধার সময় নিয়্যত করতে ভুলে যায়, তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত হজ্বের বিধান সমূহ শুরু না করে ততক্ষণ তার জন্য নিয়্যত করার অনুমতি রয়েছে। (প্রাগুক্ত, ১৮ পৃষ্ঠা)
-------------------
১৭ فُلَان(ফুলান)এর স্থলে যার নামে হজ্ব করতে চায় তার নাম উল্লেখ করবে। যেমন বলবে; لَبَّیۡکَ عَنۡ عَبْدِ الرَّحْمٰن اَللّٰهُمَّ لَبَّیۡکَ শেষ পর্যন্ত বলবে।
-------------------
বদলী হজ্বের ৯টি পৃথক মাদানী ফুল

﴾১﴿ ওছি (অর্থাৎ অছিয়তকারী) এই বৎসর কাউকে বদলী হজ্বের জন্য নিয়োগ করেছেন। কিন্তু সে এই বৎসর যায়নি। পরের বৎসর গিয়ে আদায় করল। আদায় হয়ে যাবে, তার উপর কোন জরিমানা নেই। (আলমগীরী, ১ম খন্ড, ২৬০ পৃষ্ঠা) 
﴾২﴿ বদলী হজ্ব সম্পাদনকারীর জন্য আবশ্যক যে, হজ্ব শেষে যে টাকা পয়সা অবশিষ্ট থাকবে উহা ফেরত দিয়ে দিবে। যদিও উহা পরিমাণে খুবই অল্প হোক। উহা রেখে দেওয়া জায়েয হবে না। যদিও শর্ত করে নেয় যে, যা কিছু অবশিষ্ট থাকবে উহা ফেরত দেব না। কারণ এই শর্ত বাতিল। তবে হ্যাঁ! দুই পদ্ধতিতে উহা রেখে দেওয়া জায়েয হবে। (ক) প্রেরক যদি প্রেরিত ব্যক্তিকে উকিল নিয়োগ করে এ কথা বলে দেয় যে, যা কিছু অবশিষ্ট থাকে তা সে যেন নিজে নিজেকে হেবা (অর্থাৎ দান) করে গ্রহণ করে নেয়। (খ) প্রেরক যদি মৃত্যু পথ যাত্রী হয়ে থাকে এবং সে এরকম অছিয়ত করে যায় যে, যা কিছু অবশিষ্ট থাকে তা আমি তোমাকে অছিয়ত করে দিলাম। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২১০ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ৪র্থ খন্ড, ৩৮ পৃষ্টা) 
﴾৩﴿ উত্তম হল, এমন ব্যক্তিকে বদলী হজ্বের জন্য প্রেরণ করা যে পূর্বে নিজের ফরয হজ্ব আদায় করে দায়িত্বমুক্ত হয়ে গেছে। যদি এমন ব্যক্তিকে পাঠায় যে নিজে হজ্ব করেনি, তারপরও বদলী হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ২৫৭ পৃষ্ঠা) যার উপর হজ্ব ফরয হওয়ার পরও হজ্ব আদায় করেনি, এমন ব্যক্তিকে বদলী হজ্বের জন্য পাঠানো মাকরুহে তাহরিমী। (আল মাসলাকুল মুতাকাস্‌সিত লিলক্বারী, ৪৫৩ পৃষ্ঠা) 
﴾৪﴿ উত্তম হল যে, এমন ব্যক্তি পাঠানো, যে হজ্বের বিধান সমূহ এবং পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত। যদি মুরাহিক অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার নিকটবর্তী হয়েছে এমন বাচ্চা দ্বারা বদলী হজ্ব করায় তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২০৪ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, ৪র্থ খন্ড, ২৫ পৃষ্ঠা) 
﴾৫﴿ প্রেরকের টাকা পয়সা দ্বারা কাউকে খাবার খাওয়াতেও পারবে না, কোন ফকীরকে দানও করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ! যদি প্রেরণকারী অনুমতি দেয়, তাহলে কোন ক্ষতি নেই। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১২১০ পৃষ্ঠা। লুবাবুল মানাসিক, ৪৫৭ পৃষ্ঠা) 
﴾৬﴿ সব ধরনের ইচ্ছাকৃত অপরাধের ‘দম’ বদলী হজ্ব আদায়কারীর জিম্মায় থাকবে, প্রেরণকারীর জিম্মায় নয়। (অর্থাৎ বদলী হজ্ব আদায়কারী তা আদায় করবে) 
﴾৭﴿ যদি কেউ নিজেও হজ্ব করেনি, ওয়ারিশকে অছিয়তও করেনি, এমতাবস্থায় মারা গেল। আর ওয়ারিশ নিজের ইচ্ছায় নিজের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করিয়ে দিল। (অথবা নিজে আদায় করল) তাহলে اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلّ আশা করা যায় যে, তার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। (আলমগীরী, ১ম খন্ড, ২৫৮ পৃষ্ঠা) 
﴾৮﴿ বদলী হজ্ব আদায়কারী যদি মক্কা শরীফে থেকে যায়, তাহলে ইহাও জায়েজ হবে। কিন্তু উত্তম হল যে, যেন দেশে ফিরে আসে। আসা যাওয়ার যাবতীয় ব্যয়ভার প্রেরণকারীর জিম্মায় থাকবে। (প্রাগুক্ত) 
﴾৯﴿ বদলী হজ্বকারী প্রেরণ কারীর টাকা থেকে মদীনা মুনাওয়ারার একবার সফর করতে পারবে। মক্কা মদীনার জেয়ারতে খরচ করতে পারবে না। মাঝারি পর্যায়ের খাবার খেতে পারবে। যার মধ্যে মাংসও অন্তর্ভূক্ত। তবে অবশ্য সিক কাবাব, চারগা ইত্যাদি দামি খাবার খাওয়া, মিষ্টান্ন দ্রব্যাদি, ঠান্ডা পানিয়, ফলমূল ইত্যাদি খেতে পারবে না। এমনকি খেজুর, তাসবীহ ইত্যাদি তাবারুক সামগ্রীও আনতে পারবে না। (বদলী হজ্বের বিস্তারিত জানার জন্য মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত “বাহারে শরীয়াত” ১ম খন্ডের ১১৯৯-১২১১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত গভীরভাবে অধ্যয়ণ করা অত্যন্ত জরুরী)

صَلُّوْا عَلَی الۡحَبِیۡب! صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for supporting.