بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়।
اَلَمْ تَرَ كَیْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِاَصْحٰبِ الْفِیْلِؕ(۱)
105:1 হে মাহবূব! আপনি কি দেখেন নি আপনার রব ওই হস্তী আরোহী বাহিনীর কি অবস্থা করেছেন?
اَلَمْ یَجْعَلْ كَیْدَهُمْ فِیْ تَضْلِیْلٍۙ(۲)
105:2 তাদের চক্রান্তগুলোকে কি ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করেন নি?
وَّ اَرْسَلَ عَلَیْهِمْ طَیْرًا اَبَابِیْلَۙ(۳)
105:3 এবং তাদের উপর পাখির ঝাঁকসমূহ প্রেরণ করেছেন;
تَرْمِیْهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّیْلٍ(۴)
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّاْكُوْلٍ۠(۵)
105:5 অতঃপর তাদেরকে চর্বিত ক্ষেতের পল্লবের মতো করেছেন।
>>>আরো সূরা দেখুন: সূরা ফাতিহা, সূরা কুরাইশ, সূরা মাঊন, সূরা কাওছার, সূরা কাফিরূন, সূরা নাসর, সূরা লাহাব, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা ত্বীন, সূরা ক্বদর, সূরা আসর, সূরা নাশরাহ।
>>>'সূরা ফীল' ত্রিশ পারার ১০৫ নং সূরা। ঘটনা: 'হাবশাহ' (আবিসিনিয়া)'র বাদশাহ আবরাহা ইবনে সাবাহ আশরামকে ইয়েমেনের গভর্নর বানিয়ে সেখানকার রাজধানী সানায় প্রেরণ করলেন। আবরাহা দেখলো যে, ইয়েমেনবাসীগণ আপন আপন নযর-নেয়ায ও তোহফা-উপঢৌকন কা'বা মু'আযযমায় প্রেরণ করছে। এতে তার মনে হিংসার আগুন জ্বলে উঠলো। সে কা'বার মোকাবেলায় সানাতে মর্মর পাথর খচিত একটা ঘর তৈরি করলো; যার নাম রাখলো 'ক্বালীস '। আর ইয়েমেনবাসীদের দ্বারা এর তাওয়াফ ইত্যাদি করাতে লাগলো। যোবায়ের ইবনে আমর মক্কী সেখানে পৌঁছে সুযোগ পেয়ে ক্বালীস এর ভিতর 'প্রাকৃতিক কাজ' করে দিলো। অতঃপর মক্কা মু'আযযমার এক মুসাফির ক্বাফেলা ক্বালীসের নিকট আগুন জ্বালানোর, যার স্ফুলিঙ্গ উড়ে গিয়ে ক্বালীস-এ গিয়ে পড়লো এবং তা জ্বলে গেলো। ফলে আবরাহা ক্রোধে ফেটে পড়লো। আর বারটি হাতি এবং এক বিরাট সৈন্যবাহিনী নিয়ে কা'বা ধ্বংস করার জন্য মক্কা মু'আযযমাহ পৌঁছলো। 'ওয়াদী-ই মুহাসসার'-এ গিয়ে যাত্রা বিরতি করলো। কেননা, তার বড় হাতি 'মাহমুদ' এর আগে বাড়লো না।
আবরাহার সৈন্যরা হযরত আব্দুল মুত্তালিবের উপর ধরে নিয়ে গেলো। তিনি আবরাহার নিকট গেলেন। সেও তাঁর প্রতি খুব সম্মান দেখালেন। তিনি বললেন, "আমার উট ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করো!" সে বললো, "আমি মনে করেছিলাম, আপনি কা'বা বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্য এসেছেন।" তিনি বললেন, "উট হচ্ছে আমার আর কা'বা হচ্ছে- মহান রবের। সেটাকে তিনিই রক্ষা করবেন।"
শেষ পর্যন্ত জিদ্দার দিক থেকে সবুজ সবুজ রংয়ের ছোট ছোট পাখির ঝাঁক আত্মপ্রকাশ করলো। প্রত্যেক পাখির নিকট মশুরের সমান তিনটি করে পাথর ছিলো- একটা ঠোঁটে আর দুটি দু পায়ে। তাদের উপর এ পাখিগুলো পাথর ছুঁড়লো; যার ফলে এরা সবাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হলো। এ ঘটনা ৭ ই মুহাররম ঘটেছে। (রূহুল বয়ান ও তাফসীর-ই আযীযী ইত্যাদি)।
>>>আরো সূরা দেখুন: সূরা ফাতিহা, সূরা কুরাইশ, সূরা মাঊন, সূরা কাওছার, সূরা কাফিরূন, সূরা নাসর, সূরা লাহাব, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা ত্বীন, সূরা ক্বদর, সূরা আসর, সূরা নাশরাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for supporting.