বিভাগ সমূহ

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮

কবর ও দাফনের মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

۞আল্লাহ্ তাআলার বাণী: 

أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ كِفَاتًا (25) أَحْيَاءً وَأَمْوَاتًا (26) 

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আমি কি জমিনকে একত্রকারী করিনি। তোমাদের জীবিত ও মৃতদের। (পারা- ২৯, সূরা- মুরসালাত, আয়াত- ২৫, ২৬) 

এ আয়াতে মোবারাকার ব্যাখ্যায় “নূরুল ইরফান” ৯২৭ পৃষ্ঠার বর্ণিত আছে; এভাবে যে, জীবিতরা যমীনের পৃষ্ঠের উপর আর মৃতরা যমীনের পেটে একত্রিত আছে। 

۞মৃতকে দাফন করা ফরযে কিফায়া (অথার্ৎ একজনও দাফন করে দেয় তবে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে, নতুবা যার কাছে সংবাদ পৌঁছেছিল আর দাফন করাইনি গুনাহগার হবে) মৃতকে যমীনে রেখে চারিদিক থেকে দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয়া জায়েয নেই। (বাহারে শরীয়তে, ১ম খন্ড, ৮৪২ পৃষ্ঠা) 

۞কবর সমুহ আল্লাহ্ তাআলার নেয়ামত। কেননা, এতে মৃতকে দাফন করে দেয়া হয়। যাতে পশু এবং অন্যান্য বস্তগুলো তার খেয়ানত না করে। 

মৃত ব্যক্তির অসহায়ত্ব

লাশ এবং গোসলদাতা 
প্রখ্যাত আলিম ও মুহাদ্দিস এবং প্রসিদ্ধ তাবেয়ী বুযুর্গ হযরত সায়্যিদুনা সুফিয়ান ছওরী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ থেকে বর্ণিত; “মৃত ব্যক্তি সবকিছু জানতে পারে। এমনকি (সে) গোসলদাতাকে বলে: তোমাকে আল্লাহ্ তাআলার শপথ দিচ্ছি, তুমি গোসলদানে আমার সাথে নম্রতা প্রদর্শন করো। আর যখন তাকে খাটে রাখা হয়, তখন তাকে বলা হয়: “নিজের ব্যাপারে মানুষের মন্তব্যগুলো শুনো। (শরহুস্ সুদূর, ৯৫ পৃষ্ঠা) 

মৃত ব্যক্তি কি বলে? 
আমীরুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুকে আযম رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বর্ণনা করেন; মদীনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার, নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “মৃত ব্যক্তিকে যখন খাটে রাখা হয় এবং তাকে নিয়ে এখনোও তিন কদম পথ অতিক্রম করা হয়েছে মাত্র, তখন সে বলে, আর তার কথা মানুষ এবং জ্বীন ব্যতীত আল্লাহ্ তাআলা যাদের চান তাদেরকে শুনান। মৃত ব্যক্তি বলে: “হে আমার ভাইয়েরা! এবং হে আমার লাশ বহনকারীরা! তোমাদেরকে যেন দুনিয়া ধোকায় না ফেলে, যেভাবে আমাকে ধোঁকায় ফেলেছিল। আর সৃষ্টি যেন তোমাদেরকে খেলায় (মগ্ন) না রাখে। যেভাবে সে আমাকে মগ্ন রেখেছিল। আমি যা কিছু উপার্জন করেছি তা নিজের ওয়ারিশদের জন্য রেখে যাচ্ছি। আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন আমার কাছ থেকে হিসাব নিবেন। আর আমাকে পাকড়াও করবেন। অথচ (আজ) তোমরা আমাকে বিদায় জানাচ্ছ এবং আমাকে আহবান করছো (অর্থাৎ আমার জন্য কান্নাকাটি করছ)। (শরহুস সুদুর, ৯৩ পৃষ্ঠা, কিতাবুল কুবুর মাআ মাওসুআতে ইবনে আবিদ দুনিয়া, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৬১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৫)