বিভাগ সমূহ

শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০

কসম সম্পর্কিত ১৫টি মাদানী ফুল

দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ১১৮২ পৃষ্ঠা সম্বলিত ‘বাহারে শরীয়াত’ ২য় খন্ডের ২৯৮ থেকে ৩১১ এবং ৩১৯ পৃষ্ঠা হতে কসম ও কাফ্ফারা সংক্রান্ত ১৫টি মাদানী ফুল পেশ করছি (প্রয়োজনে কোন কোন স্থানে পরিবতর্ন করা হয়েছে)। 

কথায় কথায় কসম করা উচিত নয় 

(১) কসম করা জায়েয। কিন্তু যতটুকু সম্ভব কম করা উত্তম। কথায় কথায় কসম করা উচিত নয়। কেউ কেউ তো কসমকে কথার অংশ বানিয়ে ফেলেছে। (অর্থাৎ কথার ফাঁকে ফাঁকে কসম করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে)।  ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় তাদের মুখ হতে কসম বের হতেই থাকে। সে এতটুকু খেয়ালও করে না যে, তার কথাটা কি সত্য না মিথ্যা। এ খুবই দোষণীয় বিষয়, আর আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কোন নামে কসম করা মাকরূহ্। শরীয়াতের দৃষ্টিতে তা কসমও না। অর্থাৎ এ ধরনের কসম ভঙ্গ করাতে কাফ্ফারাও দিতে হয় না। 

ভুলে কসম করে ফেলল তবে? 

(২) ভুলবশতঃ কসম করে বসল, যেমন: বলতে চেয়েছিল, ‘পানি নাও, পানি পান করব।’ কিন্তু অসাবধানতা বশতঃ ভুলে তার মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল, ‘আল্লাহর কসম! আমি পানি পান করব না।’ এমতাবস্থায় এটিও কসমই হয়ে গেল। ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা দিতে হবে। (বাহারে শরীয়াত, ২য় খন্ড, ৩০০ পৃষ্ঠা) 
(৩) কসম কেউ নিজে থেকে ভঙ্গ করুক, কিংবা কারো চাপের মুখে, ইচ্ছাকৃত ভাঙ্গুক বা অনিচ্ছায় বা ভুলে, সর্বাবস্থায় কাফ্ফারা দিতে হবে। বরং বেহুশি বা মাতাল অবস্থাতেও যদি কসম ভঙ্গ করে তবে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে, যখন সে হুশ অবস্থায় কসম খেয়ে থাকে আর যদি বে-হুশ অবস্থায়, পাগল অবস্থায় কসম খেয়ে থাকলে কসম হবে না, কারণ! কসমে আকল (বুদ্ধি) বিদ্যমান থাকা শর্ত, আর সে বুদ্ধিমান নয়। (তাবঈনুল হাকায়িক, ৩য় খন্ড, ৪২৩ পৃষ্ঠা) 

এমন কতগুলো শব্দ যেগুলো দিয়ে কসম হয় না 

(৪) এসব শব্দ কসম নয়, যদিও এগুলো বলাতে গুনাহ্গার হবে, যদি সে তার কথায় মিথ্যুক হয়ে থাকে: আমি যদি এরূপ করি, তাহলে আমার উপর আল্লাহ্ তা‘আলার গযব হবে। তার  আযাব হোক। খোদার লানত পড়ুক। আমার উপর আসমান ভেঙ্গে পড়বে। আমি মাটিতে ধ্বসে যাব। আমার উপর খোদার শাস্তি হবে। রাসুলুল্লাহ্    صَلَّ اللهُ تَعَلى عَلَيْهِ وَسَلَّم   এর শাফাআত মিলবে না। আমার আল্লাহর দিদার নসিব হবে না। মরার সময় কলেমা নসিব হবে না। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ২য় খন্ড, ৫৪ পৃষ্ঠা) 

চার প্রকারের কসম 

(৫) কিছু কসম এমন যে, সেগুলো পূর্ণ করা আবশ্যক। যেমন: কোন ব্যক্তি এমন কোন বিষয়ে কসম করল, যে বিষয়টি কসম না করলেও তার উপর করা আবশ্যক ছিল অথবা সে গুনাহ্ হতে বাঁচার কসম করল (অথচ কসম না করলেও গুনাহ্ থেকে এমনিতেই বাঁচা আবশ্যক) এমতাবস্থায় কসমটিকে সত্যে পরিণত করা তার উপর আবশ্যক। যেমন: (সে বলল) আল্লাহর কসম, আমি যোহরের নামায পড়ব। অথবা বলল: আল্লাহর কসম, আমি চুরি, যেনা করব না। 
কসমের দ্বিতীয় প্রকার হল সেটি ভঙ্গ করে দেওয়া আবশ্যক। যেমন: কেউ গুনাহ্ করার কিংবা ফরজ-ওয়াজিব জাতীয় কোন কাজ না করার কসম করল। যেমন: কসম করল নামায পড়ব না বা চুরি করব বা মাতা-পিতার সাথে কথা বলব না, তাহলে সে অবশ্যই কসম ভঙ্গ করবে। 
তৃতীয় প্রকার কসম হল সেটি ভঙ্গ করে দেওয়া মুস্তাহাব। যেমন: সে এমন কোন বিষয়ে কসম করল, যেটি ভঙ্গ করলে মঙ্গল বেশি রয়েছে। তাহলে এমন কসম ভেঙ্গে দিয়ে সেটিই করবে যা এর চেয়ে মঙ্গলজনক। 
চতুর্থ প্রকার হল সে মুবাহ্ কোন বিষয়ে কসম করল। অর্থাৎ যেটি করা আর না করা সমান কথা। সেক্ষেত্রে কসম রক্ষা করা উত্তম। (আল মাবসুত লিস সরখ্সী, ৪র্থ খন্ড, ১৩৩ পৃষ্ঠা)।
 
(৬) আল্লাহ্ তা‘আলার যে সমস্ত নাম আছে সেগুলোর যে কোন একটির উপর কসম করলে কসম হয়ে যাবে। যদিও কথাবার্তায় সেসব নামের কসম করা হোক বা না হোক। যেমন: আল্লাহ্‌র কসম, খোদার কসম, রহমানের কসম, রহীমের কসম, পরওয়ারদিগারের কসম। এমনিভাবে আল্লাহ্ তা‘আলার যে সমস্ত গুণাবলীর কসম করা যায় করল, কসম হয়ে যাবে। যেমন: আল্লাহ্ তা‘আলার ইজ্জত ও জালালিয়াতের কসম, আল্লাহ্ তা‘আলার কিবরিয়ায়ির কসম, আল্লাহর মহত্বের কসম, আল্লাহর বড়ত্বের কসম, আল্লাহর মহানত্বের কসম, আল্লাহর কুদরতও কুওয়তের কসম কুরআনের কসম, কালামুল্লাহ্‌র কসম ইত্যাদি। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ২য় খন্ড, ৫২ পৃষ্ঠা) 

(৭) এসব শব্দ ব্যবহার করলেও কসম হয়ে যাবে: আমি শপথ করছি, আমি কসম করছি, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমার উপর কসম, 
لَآ اِلٰهَ اِلَّا الله আমি একাজ করব না। (প্রাগুক্ত) 

এমন কসম যা ভেঙ্গে দেওয়াতে কুফরের সম্ভাবনা রয়েছে 

(৮) আমি যদি এ কাজটি করি কিংবা করেছি তাহলে আমি ইহুদী, খ্রীষ্টান, কাফির, কাফেরের দলের, মৃত্যু কালে ঈমান নসিব হবে না, বে-ঈমান মরব, কাফির হয়ে মরব, আর এ ধরনের বাক্য উচ্চারণ অত্যন্ত জঘন্য। কারণ, সে যদি মিথ্যা কসম করে থাকে কিংবা কসম ভঙ্গ করে থাকে, তাহলে ক্ষেত্র বিশেষে সে কাফির হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি এ ধরনের মিথ্যা কসম করে তার সম্পর্কে হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে: “সে তেমনই যেমন সে বলেছে। অর্থাৎ ইহুদী হওয়ার কসম করলে ইহুদী হয়ে গেছে।” এমনিভাবে সে যদি বলে: আল্লাহ্ জানেন যে, আমি এমনটি করিনি। অথচ সে তা মিথ্যা বলেছে। এমতাবস্থায় অধিকাংশ আলিমে দ্বীনের মত অনুযায়ী সে কাফির হয়ে যাবে। (বাহারে শরীয়াত, ২য় খন্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা) 

কোন বস্তুকে নিজের উপর হারাম করে নেওয়া 

(৯) যে ব্যক্তি কোন বস্তুকে নিজের উপর হারাম করে নেয়, যেমন বলে:‘অমুক জিনিসটি আমার জন্য হারাম’, এরূপ বলে দেওয়াতে সে জিনিসটি তার জন্য হারাম হবে না। কারণ, যে বস্তু স্বয়ং আল্লাহ্ তা‘আলা হালাল করে দিয়েছেন, কে তা হারাম করতে পারে? কিন্তু যে জিনিসটিকে নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছে, সেটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই কাফফারা দিতে হবে। কারণ, এটিও কসম। (তাবঈনুল হাকায়িক, ৩য় খন্ড, ৪৩৬ পৃষ্ঠা) ‘তোমার সাথে কথা বলা আমার জন্য হারাম’ এটিও কসম। কথা বলতে গেলে কাফ্ফারা দিতে হবে। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ২য় খন্ড, ৫৮ পৃষ্ঠা) 

আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করা কসম নয় 

(১০) আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কারো নামে কসম কসমই নয়। যেমন: তোমার কসম, আমার কসম, তোমার প্রাণের কসম, আমার জীবনের কসম, তোমার মাথার কসম, আমার মাথার কসম, চোখের কসম, যৌবনের কসম, মাতা-পিতার কসম, সন্তানের কসম, ধমের্র কসম, মাজহাবের কসম, ইলমের কসম, কাবার কসম, আল্লাহর আরশের কসম, আল্লাহর রাসুলের কসম। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ২য় খন্ড, ৫১ পৃষ্ঠা) 
(১১)‘আল্লাহ্ এবং রাসুলের কসম এ কাজটি করব না’এটি কসম নয়। (প্রাগুক্ত, ৫৭-৫৮ পৃষ্ঠা) 
(১২)‘আমি যদি এরূপ করে থাকি, তাহলে কাফেরের চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে যাব বলা কসম। আর যদি বলে, ‘আমি এ কাজটি করলে কাফির আমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হবে’কসম নয়। (প্রাগুক্ত, ৫৮ পৃষ্ঠা) 

অন্যকে কসম দেওয়ানো কসম নয় 

(১৩) অপরকে কসম দেওয়ানোতে কসম হবে না। যেমন: বলল, ‘তোমাকে খোদার কসম দেওয়ালাম, এ কাজটি করবে’ এতে যাকে কসম দেওয়ানো হল তার পক্ষ থেকে কসম হবে না। অর্থাৎ কাজটি না করার কারণে তার উপর কাফ্ফারা আবশ্যক হবে না। এক ব্যক্তি কারো কাছে গেল ঐ ব্যক্তি উঠতে চাইল, আগত ব্যক্তি বলল: খোদার কসম উঠবেন না আর (যাকে বললেন) ঐ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে গেলেন, তবে ঐ শপথকারীর উপর কাফফারা দিতে হবে না।  (প্রাগুক্ত, ৫৯, ৬০ পৃষ্ঠা) 
(১৪) এ ক্ষেত্রে একটি নীতি মনে রাখতে হবে যে, কসমের ব্যাপারে যে বিষয়টি সর্বদা গুরুত্ব দিতে হবে সেটি হল কসমের  শব্দগুলো থেকে সেই অর্থটিই গ্রহণ করতে হবে, স্থানীয় জনগণ সেই শব্দগুলোকে যে অর্থে ব্যবহার করে থাকে। যেমন: কেউ কসম করল, ‘আমি কোন ঘরে যাব না। অথচ সে মসজিদে বা কাবা শরীফে গেল। তাহলে তার কসম ভঙ্গ হবে না, যদিও এগুলোও ঘরই। এভাবে গোসল খানায় গেলেও কসম ভঙ্গ হবে না। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ২য় খন্ড, ৬৮ পৃষ্ঠা) 

কসমে নিয়্যত ও উদ্দেশ্যের গুরুত্ব নেই 

(১৫) কসমে শব্দেরই গুরুত্ব হবে। এর গুরুত্ব হবে না যে, এই কসম দ্বারা উদ্দেশ্য কী? অর্থাৎ শব্দগুলোর অর্থ গ্রহণ করা হবে  স্থানীয়ভাবে কথাবার্তায় যে অর্থে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয় তা। কসমকারীর নিয়্যত বা উদ্দেশ্য গুরুত্ব পাবে না। যেমন: কেউ কসম করল, ‘অমুকের জন্য এক পয়সার কোন জিনিস আমি কিনব না’। অথচ সে এক টাকার জিনিস কিনল, তাহলে কসম ভঙ্গ হবেনা। অথচ তার কথার উদ্দেশ্য এই হয় যে, না পয়সার কিনব না টাকার। কিন্তু যেহেতু শব্দগুলো দিয়ে এই মর্ম বুঝা যায় না, তাই সেটির গুরুত্ব হবে না। অথবা কেউ কসম করল, ‘আমি দরজার দ্বারা বাইরে যাব না’। 
সে কিন্তু দেওয়াল ভেঙে বা সিঁড়ি লাগিয়ে বের হল। তাহলে কসম ভাঙ্গেনি। যদিও তার কথার উদ্দেশ্য এ হতে পারে যে, ঘর থেকে বাইরে যাব না। (দুররে মুখতার রদ্দুল মুখতার, ৫ম খন্ড, ৫৫০ পৃষ্ঠা) এরই আলোকে হযরত সায়্যিদুনা ইমাম আযম এর এক ঘটনা শুনুন এবং আন্দোলিত হোন। যেমন: 

ডিম না খাওয়ার কসম করল 

এক ব্যক্তি কসম করল, ‘আমি ডিম খাব না’। সে আবার কসম করল, ‘অমুক ব্যক্তির পকেটে যা আছে তা আমি অবশ্যই খাব। দেখা গেল তার পকেটে ডিমই ছিল। কোটি কোটি হানাফীদের মহান ইমাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম আযম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন: এই ডিমটিকে কোন মুরগির নিচে রেখে দিন। যখন বাচ্চা বের হয়ে আসবে, তখন সেটিকে ভুনে খেয়ে নিবেন। কিংবা রান্না করে ঝোলসহ খেয়ে নিবেন। (এভাবে কসম পূর্ণ হয়ে যাবে)। (আল খাইরাতুল হিসান, ১৮৫ পৃষ্ঠা) আল্লাহ্ তা‘আলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।    اٰمِين بِجا  هِ  النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

কসমের কতিপয় শব্দ 

কেউ যদি ‘وَالله ، بِالله ، تَالله’ বলে তাহলে তিনটি কসম হয়ে গেছে। ‘বখোদা’ কসম। ‘বহলফে শরয়ী বলছি’, ‘আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি’, ‘আল্লাহকে সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা জেনে বলছি এসব কসমেরই শব্দ। আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি এ ধরনের কথাতে কসম অবশ্য হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহ্কে  হাজির নাজির’ বলা নিষেধ।

 তাজেদারে মদীনা ﷺ এর কসমের শব্দাবলী 

নবী করীম হুযুর পুর নূর  صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই  وَمُقَلِّبَ الْقُلُوْب (অন্তরসমূহ পরিবতর্নকারীর নামে কসম),  وَالْذِىْ نَفْسِى بِيَدِهِ  (যাঁর কুদরতের হাতে আমার জীবন তাঁর কসম) এই শব্দাবলী দিয়ে কসম করে থাকতেন। যেমন: হযরত সায়্যিদুনা ইবনে ওমর   رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ হতে বর্ণিত নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সর্বাধিক যে শব্দাবলী দিয়ে কসম করতেন তা হল, وَمُقَلِّبَ الْقُلُوْب (অর্থাৎ অন্তর সমূহ পরিবর্তনকারীর নামে কসম)। (বুখারী, ৪র্থ খন্ড , ২৭৮ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২২১৭) 

হুযুর পুরনূর ﷺ এর নামে কসম 

দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ৫৬১ পৃষ্ঠা সম্বলিত ‘মলফুজাতে আ’লা হযরত’ কিতাবের ৫২৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে: আমার আক্বা আ’লা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত মাওলানা শাহ আহমদ রযা খান  رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর নিকট আবেদন করা হয়, হুযুর صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নামে কসম করে ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা দিতে হবে কি না? জবাবে তিনি ইরশাদ করেছেন: না। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ২য় খন্ড, ৫১ পৃষ্ঠা) 

পিতার নামে কসম করা কেমন? 

আল্লাহর মাহবুব, দানায়ে গুয়ুব, হুযুর   صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারূক   رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর আরোহী অবস্থায় সাক্ষাৎ হল। তখন তিনি (ওমর ফারূক رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ ) আপন পিতার নামে কসম করছিলেন।  রাসুলুল্লাহ্    صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  ইরশাদ করেন: “আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাকে পিতার নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। কেউ যদি কসম করে তাহলে সে যেন আল্লাহর নামেই কসম করে, না হয় চুপ থাকে।” (সহীহ্ বুখারী, ৪র্থ খন্ড, ২৮৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৬৬৪৬) 
প্রসিদ্ধ মুফাস্সির,হাকীমুল উম্মত, হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ উক্ত হাদীসে পাকের টীকায় বলেছেন: অর্থাৎ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করা নিষেধ করা হয়েছে। যেহেতু আরবরা সাধরণতঃ পিতা ও পিতামহের নামে কসম করে থাকত, তাই সেটির উল্লেখ হয়েছে। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করা মাকরূহ্।  (মিরকাত, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫৭৯ পৃষ্ঠা) আল্লাহর নামে উদ্দেশ্য আল্লাহর সত্তাবাচক ও গুণবাচক নামসমূহের নামে। অতএব, কুরআন শরীফের নামে কসম করা জায়েয। কারণ, কুরআন মজীদ আল্লাহর ই কালাম, আর আল্লাহর কালাম আল্লাহর গুণই। কুরআন শরীফে যুগ, আঙ্গুর, যাইতুন ইত্যাদির নামে কসম উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো শরয়ী কসম নয়। তাছাড়া এসব বিধি-বিধান আমাদের উপরই প্রযোজ্য; আল্লাহ্ তা‘আলার উপর নয়। (মিরআত, ৫ম খন্ড, ১৯৪. ১৯৫ পৃষ্ঠা) 

কসমকালে   اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ  বললে কসম হবে কি না? 

ফুকাহায়ে কেরাম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِمْ বলেছেন: কসমে اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ বললে সেই কসম পূর্ণ করা আবশ্যক নয়। শর্ত হল   اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ  বলাটা তার কসমের শব্দের সাথে সংযুক্ত থাকে, আর সংযক্ত না থেকে যদি আলাদা হয়ে থাকে,যেমন: কসম করে চুপ হয়ে গেল কিংবা মাঝখানে অন্য কোন কথাবার্তা বলল: এরপর اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ  বলল: তাহলে কসম বাতিল হবে না। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ৫ম খন্ড, ৫৪৮ পৃষ্ঠা) 
হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর  رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا  থেকে বর্ণিত, হুযুর নবী করীম صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি কসম করে আর সেই সাথে   اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ জুড়ে দেয়, তাহলে সে কসম ভঙ্গকারী হবে না।” (তিরমিযী, ৩য় খন্ড, ১৮৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৫৩৬) 
প্রসিদ্ধ মুফাস্সির, হাকীমুল উম্মত,হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ উক্ত হাদীসের টীকায় লিখেছেন: অর্থাৎ কসমের সাথে   اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ  জুড়ে দেয়। সার কথা হল, যদি ওয়াদা কিংবা কসমের সাথে সম্পৃক্ত করে   اِنْ شَاءَ الله عَزَّوَجَلّ  বলে, তাহলে এর বিপরীত করাতে গুনাহ্ হবে না, কাফ্ফারা দিতে হবে না। (মিরআতুল মানাজীহ্, ৫ম খন্ড, ২০১ পৃষ্ঠা) ।

বড় বড় গোঁফধারী বদমাশ 

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ইলমে দ্বীন অর্জনের জন্য দা’ওয়াতে ইসলামীর সুন্নাতে ভরা ইজতিমাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আপনিও আপনার শহরে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় অংশগ্রহণ করুন।এসব ইজতিমার বরকতে কেমন কেমন বিগড়ে যাওয়া লোকদের জীবনে মাদানী পরিবতর্ন এসে গেছে, তার একটি ঝলক এই মাদানী বাহার হতে বুঝে নিন। যেমন: দা’ওয়াতে ইসলামীর একজন মুবাল্লিগ আলিমে দ্বীন বলেন: ১৯৯৫ সনে জনৈক ব্যক্তি যার নামে ১১টি ডাকাতির মামলা রয়েছে, যাতে একটি হত্যা মামলাও রয়েছে, এক বৎসরকাল জেলখানায়ও বন্দী ছিল। মহকুমায় চাকুরিও ছিল। বেতন ছিল ৩০০০। সে কিন্তু অবৈধ পন্থায় যেমন: গাছ বিক্রি করে, মদ ইত্যাদি বিক্রি করে মাসে ১০,০০০ পর্যন্ত উর্পাজন করত। তার বড় বড় গোঁফ ছিল। দেখলে ভয় সৃষ্টি হত। একদা আমি ইনফিরাদী কৌশিশ করে তাকে দা’ওয়াতে ইসলামীর সুন্নাতে ভরা ইজতিমার দাওয়াত দিই।সে কিন্তু আমার দাওয়াত নাকচ করে দেয়। আমি সাহস হারায়নি। সময়ে সময়ে তাকে দাওয়াত দিতে থাকি। অবশেষে কম বেশি দুই বৎসর পর সে দাওয়াত কবুল করে নিল, আর সে রিভলবার (অস্ত্র) সহ ইজতিমায় যোগ দিল। সৌভাগ্যক্রমে সেদিন আমারই বয়ান ছিল। তাও ছিল জাহান্নামের শাস্তি সংক্রান্ত। জাহান্নামের ধ্বংসাত্মকতা সম্পর্কে শুনে প্রচন্ড শীতকাল হওয়া সত্ত্বেও সেই বদমাশটি ঘামে ভিজে গেল। ইজতিমার পরে সে কান্না করতে থাকলো আর বলতে থাকলো, হায়! আমার কী অবস্থা হবে। আমি তো অনেক অনেক গুনাহ করেছি। অতঃপর সে তিন দিন জ্বরে আক্রান্ত ছিল। সে নিজের গুনাহের আধিক্য বুঝতে পেরেছিল। সে তাওবা করে নিল। নামাযও পড়তে লাগল। দ্বিতীয় বৃহস্পতিবারে সে আবার ইজতিমায় আসার সৌভাগ্য অর্জন করল। জান্নাতের বিষয়ে বয়ান শুনে তার আগ্রহ জাগল। ধীরে ধীরে সে মাদানী রঙে রঙ্গিন হতে লাগল। এমনকি সে দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেল। সে ঘর হতে টিভি বের করে ফেলল। (কেননা তাতে কেবল গুনাহপূর্ণ চ্যানেলগুলো দেখা হয়ে থাকত, মাদানী চ্যানেল তখনও আরম্ভ হয়নি)। সে দাঁড়ি ও সবুজ পাগড়ী পরিধান করার সৌভাগ্যও অর্জন করল। এই বয়ান দেয়ার সময়কালে সে দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী কাজে লিপ্ত সাংগঠনিকভাবে বিভাগীয় পর্যায়ে খোদ্দামুল মাসাজিদ মজলিশের দায়িত্বে রত আছে। 

কসমের হিফাজত করবেন 

দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত অনুদিত কুরআন শরীফ ‘খাযায়িনুল ইরফান সম্বলিত কানযুল ঈমান-এর ৫১৬ থেকে ৫১৭ পৃষ্ঠায় ১৪ পারার সূরাতুন নাহলের ৯১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন: 

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ:যখন পরস্পর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হও এবং শপথগুলোকে দৃঢ় করে ভঙ্গ নিজেদের উপর জামিন করেছো, নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের কাজ সম্পর্কে জানেন।” ৭ম পারার সূরা মায়িদার ৮৯ নং আয়াতে আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন:কানযলু ঈমান থেকে অনুবাদ: “এবং স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর।” সদরুল আফাজিল হযরত আল্লামা মাওলানা সায়্যিদ মাওলানা মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ তাফসীরে খাযায়িনুল ইরফানে উক্ত আয়াতের টীকায় লিখেছেন: অর্থাৎ সেগুলো পূর্ণ করবে, যদি এতে শরীয়াত মতে কোন অসুবিধা না থাকে, আর হিফাজতের আওতায় এও যে, কসম করার অভ্যাস বাদ দিয়ে দেওয়া। 


উত্তম কাজ করার জন্য কসম ভঙ্গ করা 
হযরত সায়্যিদুনা আদী বিন হাতিম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেছেন:“আমার কাছে এক ব্যক্তি ১০০ দিরহাম চাইতে এল। আমি অসন্তুষ্ট‘ হয়ে বললাম: তুমি তো আমার কাছে শুধু ১০০ দিরহাম চেয়েছ। অথচ আমি হচ্ছি হাতিম তাঈর পুত্র। আল্লাহর কসম! আমি তোমাকে দেব না। অতঃপর আমি বললাম: আমি যদি নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এই বাণীটি না শুনতাম যে, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করল, অতঃপর সে তার চেয়ে উত্তম কিছুর ইচ্ছা পোষণ করে,তাহলে সে সেই উত্তম কাজটিই করবে।অতএব,আমি তোমাকে ৪০০ দিরহাম দিব।” (সহীহ মুসলিম, ৮৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৬৫১) 


উত্তম কাজের জন্য কসম ভঙ্গ করা জায়েয কিন্তু কাফ্ফারা দিতে হবে 
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! উত্তম কোন কাজের জন্য কসম ভঙ্গ করার অনুমতি অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু ভঙ্গ করার পর কাফ্ফারা দিতে হয়। যেমন: হযরত সায়্যিদুনা আবুল আহওয়াছ আওফ বিন মালেক رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ আপন পিতা থেকে বণর্না করেন: আমি আরজ করলাম: ইয়া রাসুলাল্লাহ্ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! মেহেরবানী করে ফয়সালা দিন, আমি আমার চাচাত ভাইয়ের কাছে কিছু চাইতে গেলে, সে আমাকে দেয় না। আত্মীয়তার সম্পর্কও রক্ষা করে না। কিন্তু সে যখন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, তখন সে আমার নিকট আসে। আমার কাছে কিছু চায়। আমি কসম করে নিয়েছি যে, আমি তাকে কিছু দিব না, তার সাথে সম্পর্কও রাখব না। তখন মদীনার তাজেদার, রাসুরদের সরদার, হুযুরে আনওয়ার صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে আদেশ দিলেন: যে কাজটি উত্তম সেটিই যেন আমি করি আর আমার কসমের কাফ্ফারা দিয়ে দিই। (সুনানে নাসায়ী, ২১৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩৭৯৩) 


অত্যাচারমূলক কষ্ট দেয়ার জন্য কসম করে ফেলল, এবার কী করবে? 
কাউকে যদি অত্যাচারমূলক কষ্ট দেয়ার জন্য কসম করে থাকে, তাহলে সেই কসমটি পূর্ণ করা গুনাহ। সেই কসমের বদলায় কাফফারা দিয়ে দিতে হবে।যেমন:বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে: রহমতে আলম, নূরে মুজাসসাম, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “কোন ব্যক্তি যদি আপন পরিবারের কাউকে কষ্ট এবং ক্ষতি করার জন্য কসম করে, তাহলে তাকে কষ্ট দেওয়া আর কসম পূর্ণ করা, আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট সেই কসমের বদলায় কাফ্ফারা (যা  আল্লাহ্ তার উপর ধায্য করে দিয়েছেন তা) দিয়ে দেওয়ার তুলনায় জঘন্য গুনাহ।” 
(বুখারী, ৪র্থ খন্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৬৬২৫। ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ১৩তম খন্ড, ৫৪৯ পৃষ্ঠা) 
প্রসিদ্ধ মুফাস্সির, হাকীমুল উম্মত, হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এই হাদীসটির টীকায় লিখেছেন: অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজের ঘরের অধিবাসীদের কারো হক বিনষ্ট করার জন্য কসম করে বসে, যেমন: বলে, ‘আমি আমার মায়ের খেদমত করব না’ বা ‘পিতার সাথে কথাবার্তা বলব না’ এমন কসমগুলো পূর্ণ করা গুনাহ। তার উপর ওয়াজিব এমন কসম ভঙ্গ করে দেওয়া, আর পরিবারের হকসমূহ আদায় করা। মনে রাখবেন! এখানে উদ্দেশ্য এই নয় যে, এই কসমটি পূর্ণ না করাও গুনাহ্, কিন্তু পূর্ণ করা অধিক গুনাহ্। বরং উদ্দেশ্য এই যে, এমন কসম পূর্ণ করা খুবই বড় গুনাহ্। পক্ষান্তরে পূর্ণ না করা সাওয়াবের কাজ। যদিও কসম ভঙ্গ করাতে আল্লাহ্ তা‘আলার নামের বেয়াদবী হয়ে থাকে। তাই তো এর উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হচ্ছে। কিন্তু এখানে কসম ভঙ্গ না করা অধিক গুনাহেরই কারণ হয়ে দাঁড়াবে। (মিরআতুল মানাজীহ্, ৫ম খন্ড, ১৯৮ পৃষ্ঠা) 


তালাকের কসম করা ও করানো কেমন? 
কারো কাছ থেকে তালাকের কসম নেওয়া মুনাফিকের আলামত। যেমন: কাউকে এভাবে বলা: ‘তুমি কসম কর, আমি যদি অমুক কাজটি করে থাকি, তাহলে আমার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। এমনকি আমার আক্বা আ’লা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত মাওলানা শাহ্ ইমাম আহমদ রযা খান رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ ‘ফতোওয়ায়ে রযবীয়ার ১৩ তম খন্ডের ১৯৮ পৃষ্ঠায় হাদীস পাক উল্লেখ করেছেন: “কোন মুমিন তালাকের কসম করে না, আর তালাকের কসম কেবল মুনাফিকরাই নিয়ে থাকে।” (ইবনে আসাকির, ৫৭তম খন্ড, ৩৯৩ পৃষ্ঠা) 
👉কসম বিষয়ে আরো পড়ুন: কসমের বিধানকাফফারা সম্পর্কিত 
--------
লেখাটি হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত “কসম সম্পর্কিত মাদানী ফুল" নামক বই থেকে সংগৃহীত। 
👉বইটি ফ্রি ডাউনলোড করুন।
ইসলামিক বাংলা বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন।
মাদানী চ্যানেল দেখতে থাকুন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for supporting.