প্রথমে তিনটি হাদীস লক্ষ্য করুন:
১। “জ্বীনের দৃষ্টি ও মানুষের লজ্জাস্থানের মাঝখানে পর্দা হচ্ছে, যখন কেউ কাপড় খুলে তবে যেন বিসমিল্লাহ পাঠ করে নেয়।” (আল মুজামুল আওসাত, ২য় খন্ড, ৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৫০৪) প্রসিদ্ধ মুফাস্সীর, হাকিমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: যেরূপ দেয়াল ও পর্দা মানুষের দৃষ্টির আড়াল হয়ে থাকে, অনুরূপভাবে আল্লাহ্ তাআলার যিকির জ্বীনদের দৃষ্টি থেকে আড়াল হবে, যার কারণে জ্বিন সেটাকে (অর্থাৎ- লজ্জাস্থান) দেখতে পাবে না। (মিরাত, ১ম খন্ড, ২৬৮ পৃষ্ঠা)
২। “যে ব্যক্তি কাপড় পরিধানের সময় এ দোয়া পাঠ করবে:
২। “যে ব্যক্তি কাপড় পরিধানের সময় এ দোয়া পাঠ করবে:
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ كَسَانِىْ هٰذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّيْ وَلَا قُوَّةٍ
(অনুবাদ: 'সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তাআলার জন্য, যিনি আমাকে কাপড় পরিধান করিয়েছেন, আর আমার শক্তি ও সামর্থ্য ব্যতীত আমাকে দান করেছেন।) তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।” (শুআবুল ঈমান, ৫ম খন্ড, ১৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬২৮৫)৩। “যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিনয়বশতঃ উন্নত কাপড় পরিধান করা ছেড়ে দেয়, আল্লাহ্ তাআলা তাকে কারামাতের পোষাক পরিধান করাবেন।” (আবু দাউদ শরীফ, ৪র্থ খন্ড, ৩২৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৪৭৭৮)
৪। রহমাতুল্লিল আলামিন, খাতামুল মুরসালিন, রাসূলে আমীন صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বরকতময় পোশাক অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাদা কাপড়ের হতো। (কাশফুল ইলতেবাছ ফি ইস্তেহবাবিল লিবাস লিশশেখ আবদুল হক আদ দেহলভী, ৩৬ পৃষ্ঠা)
৫। পোশাক পরিচ্ছদ যেন হালাল উপার্জনে হয়, আর যে পোশাক হারাম উপার্জনের মাধ্যমে অর্জিত হয়, তা দ্বারা ফরজ ও নফল কোন নামায কবুল হয় না। (প্রাগুক্ত, ৪১ পৃষ্ঠা)
৬। বর্ণিত রয়েছে: যে (ব্যক্তি) বসে ইমামা (পাগড়ী) বাঁধে বা দাঁড়িয়ে পায়জামা পরিধান করে, তবে আল্লাহ্ তাআলা তাকে এমন রোগে আক্রান্ত করবেন, যার কোন চিকিৎসা নেই। (প্রাগুক্ত, ৩৯পৃষ্ঠা)
৭। কাপড় পরিধান করার সময় ডান দিক থেকে আরম্ভ করবেন (কেননা, এটা সুন্নাত) যেমন: যখন জামা পরিধান করবেন তখন সর্বপ্রথম ডান আস্তিনে ডান হাত প্রবেশ করান অতঃপর বাম আস্তিনে বাম হাত প্রবেশ করান। (প্রাগুক্ত, ৪৩ পৃষ্ঠা)
৬। বর্ণিত রয়েছে: যে (ব্যক্তি) বসে ইমামা (পাগড়ী) বাঁধে বা দাঁড়িয়ে পায়জামা পরিধান করে, তবে আল্লাহ্ তাআলা তাকে এমন রোগে আক্রান্ত করবেন, যার কোন চিকিৎসা নেই। (প্রাগুক্ত, ৩৯পৃষ্ঠা)
৭। কাপড় পরিধান করার সময় ডান দিক থেকে আরম্ভ করবেন (কেননা, এটা সুন্নাত) যেমন: যখন জামা পরিধান করবেন তখন সর্বপ্রথম ডান আস্তিনে ডান হাত প্রবেশ করান অতঃপর বাম আস্তিনে বাম হাত প্রবেশ করান। (প্রাগুক্ত, ৪৩ পৃষ্ঠা)
৮। এভাবে পায়জামা পরিধান করার সময় ডান পা প্রবেশ করান, আর যখন (জামা বা পায়জামা) খুলবেন তবে এর বিপরীত করুন অর্থাৎ বাম দিক থেকে শুরু করুন।
৯। দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ১১৯৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব “বাহারে শরীয়াত” ৩য় খন্ডের ৪০৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে: সুন্নাত হচ্ছে, জামার দৈর্ঘ্য অর্ধগোছা এবং আস্তিনের দৈর্ঘ্য বেশি হলে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত, আর প্রস্থে এক বিঘত পরিমাণ। (রদ্দুল মুখতার, ৯ম খন্ড, ৫৭৯ পৃষ্ঠা)।
১০। সুন্নাত হচ্ছে, পুরুষের লুঙ্গি অথবা পায়জামা টাখনুর উপর রাখা। (মিরাত, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৯৪ পৃষ্ঠা)
১১। পুরুষ পুরুষালী এবং মহিলা মহিলা সূলভ পোশাকই পরিধান করুন। ছোট ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রেও এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখুন।
১২। দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ১২৫০ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব “বাহারে শরীয়াত” ১ম খন্ডের ৪৮১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে; পুরুষের জন্য নাভীর নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত “সতর” অর্থাৎ এতটুকু ঢেকে রাখা ফরয। নাভী সতরের অন্তর্ভূক্ত নয়, কিন্তু হাটু অন্তর্ভূক্ত। (দুররে মুখতার, রুদ্দুল মুখতার, ২য় খন্ড, ৯৩ পৃষ্ঠা)।
১৩। বর্তমানে অনেক লোক লুঙ্গি অথবা পায়জামা এভাবে পরিধান করে যে, নাভীর নিচের কিছু অংশ খোলা থাকে, যদি জামা দ্বারা এভাবে ঢাকা থাকে যে, যার মাধ্যমে চামড়ার রং প্রকাশ না পায়, তাহলে ভাল নতুবা হারাম। নামাযে এক চতুর্থাংশ পরিমাণ খোলা থাকলে নামায হবে না। (বাহারে শরীয়াত) বিশেষত হজ্ব অথবা ওমরার ইহরাম পরিধানকারীরা এ ব্যাপারে অধিক সতর্ক থাকা উচিত। * বর্তমানে অনেকে সর্ব-সাধারণের সামনে হাফ প্যান্ট পরিধান করে ঘুরাফেরা করে যার দ্বারা তার হাঁটু এবং উরু দৃষ্টিগোচর হয়, এরকম করা হারাম। এদের খোলা হাটু ও উরুর দিকে দেখাও হারাম। বিশেষত খেলার মাঠে, ব্যায়ামাগার, সমুদ্রে সৈকতে এরূপ দৃশ্য অধিক পরিলক্ষিত হয়। তাই এসব জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
১৪। অহংকার মূলক যত পোশাক রয়েছে তা পরিধান করা নিষেধ। অহংকার আছে কি নেই এর যাচাই এভাবে করুন যে, এ কাপড় পরিধান করার পূর্বে নিজের ভিতর যে অনুভূতি ছিল তা যদি এ কাপড় পরিধান করার পরেও পূর্বের অনুভূতি অবশিষ্ট থাকে তবে বুঝতে হবে এ কাপড় দ্বারা অহংকার সৃষ্টি হয়নি। আর যদি এ অনুভূতি এখন অবশিষ্ট না থাকে তবে বুঝতে হবে অহংকার সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং এ ধরণের কাপড় থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। কেননা, অহংকার অনেক খারাপ বিষয়। (বাহারে শরীয়াত, ৩য় খন্ড, ৪০৯ পৃষ্ঠা। রদ্দুল মুখতার, ৯ম খন্ড, ৫৭৯ পৃষ্ঠা)
৯। দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ১১৯৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব “বাহারে শরীয়াত” ৩য় খন্ডের ৪০৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে: সুন্নাত হচ্ছে, জামার দৈর্ঘ্য অর্ধগোছা এবং আস্তিনের দৈর্ঘ্য বেশি হলে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত, আর প্রস্থে এক বিঘত পরিমাণ। (রদ্দুল মুখতার, ৯ম খন্ড, ৫৭৯ পৃষ্ঠা)।
১০। সুন্নাত হচ্ছে, পুরুষের লুঙ্গি অথবা পায়জামা টাখনুর উপর রাখা। (মিরাত, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৯৪ পৃষ্ঠা)
১১। পুরুষ পুরুষালী এবং মহিলা মহিলা সূলভ পোশাকই পরিধান করুন। ছোট ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রেও এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখুন।
১২। দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ১২৫০ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব “বাহারে শরীয়াত” ১ম খন্ডের ৪৮১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে; পুরুষের জন্য নাভীর নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত “সতর” অর্থাৎ এতটুকু ঢেকে রাখা ফরয। নাভী সতরের অন্তর্ভূক্ত নয়, কিন্তু হাটু অন্তর্ভূক্ত। (দুররে মুখতার, রুদ্দুল মুখতার, ২য় খন্ড, ৯৩ পৃষ্ঠা)।
১৩। বর্তমানে অনেক লোক লুঙ্গি অথবা পায়জামা এভাবে পরিধান করে যে, নাভীর নিচের কিছু অংশ খোলা থাকে, যদি জামা দ্বারা এভাবে ঢাকা থাকে যে, যার মাধ্যমে চামড়ার রং প্রকাশ না পায়, তাহলে ভাল নতুবা হারাম। নামাযে এক চতুর্থাংশ পরিমাণ খোলা থাকলে নামায হবে না। (বাহারে শরীয়াত) বিশেষত হজ্ব অথবা ওমরার ইহরাম পরিধানকারীরা এ ব্যাপারে অধিক সতর্ক থাকা উচিত। * বর্তমানে অনেকে সর্ব-সাধারণের সামনে হাফ প্যান্ট পরিধান করে ঘুরাফেরা করে যার দ্বারা তার হাঁটু এবং উরু দৃষ্টিগোচর হয়, এরকম করা হারাম। এদের খোলা হাটু ও উরুর দিকে দেখাও হারাম। বিশেষত খেলার মাঠে, ব্যায়ামাগার, সমুদ্রে সৈকতে এরূপ দৃশ্য অধিক পরিলক্ষিত হয়। তাই এসব জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
১৪। অহংকার মূলক যত পোশাক রয়েছে তা পরিধান করা নিষেধ। অহংকার আছে কি নেই এর যাচাই এভাবে করুন যে, এ কাপড় পরিধান করার পূর্বে নিজের ভিতর যে অনুভূতি ছিল তা যদি এ কাপড় পরিধান করার পরেও পূর্বের অনুভূতি অবশিষ্ট থাকে তবে বুঝতে হবে এ কাপড় দ্বারা অহংকার সৃষ্টি হয়নি। আর যদি এ অনুভূতি এখন অবশিষ্ট না থাকে তবে বুঝতে হবে অহংকার সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং এ ধরণের কাপড় থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। কেননা, অহংকার অনেক খারাপ বিষয়। (বাহারে শরীয়াত, ৩য় খন্ড, ৪০৯ পৃষ্ঠা। রদ্দুল মুখতার, ৯ম খন্ড, ৫৭৯ পৃষ্ঠা)
মাদানী হুলিয়া (পোশাক)
দাঁড়ি, যুলফি (বাবরি চুল), মাথায় সবুজ পাগড়ী (সবুজ রং যেন গাঢ় না হয়), কলার বিহীন সাদা জামা, সুন্নাত অনুযায়ী দৈর্ঘ্য অর্ধগোছা পর্যন্ত লম্বা, এক বিঘত প্রশস্থ হাতা, বুকে হৃদয়ের পার্শ্ববর্তী দিকের পকেটে সুস্পষ্ট মিসওয়াক, লুঙ্গি কিংবা পায়জামা টাখনুর উপর। (এছাড়া মাথায় সাদা চাদর ও মাদানী ইন্আমাতের উপর আমলের নিমিত্তে পর্দার উপর পর্দা করার জন্য খয়েরী রংয়ের চাদরও সঙ্গে থাকলে তো মদীনা মদীনা।)
আত্তারের দোয়া: হে আল্লাহ্! আমাকে ও মাদানী হুলিয়া পরিধানকারী সকল ইসলামী ভাইকে সবুজ গম্বুজের ছায়াতে শাহাদাত, জান্নাতুল বাক্বীতে দাফন, জান্নাতুল ফেরদৌসে আপন প্রিয় মাহবুব, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰهْ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতিবেশী হওয়ার সৌভাগ্য দান করো। হে আল্লাহ্! সকল উম্মতকে ক্ষমা করে দাও।
আত্তারের দোয়া: হে আল্লাহ্! আমাকে ও মাদানী হুলিয়া পরিধানকারী সকল ইসলামী ভাইকে সবুজ গম্বুজের ছায়াতে শাহাদাত, জান্নাতুল বাক্বীতে দাফন, জান্নাতুল ফেরদৌসে আপন প্রিয় মাহবুব, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰهْ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতিবেশী হওয়ার সৌভাগ্য দান করো। হে আল্লাহ্! সকল উম্মতকে ক্ষমা করে দাও।
اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
উনকা দিওয়ানা ইমামা আওর জুলফে ও রেশ মে,
লাগ রাহাহে মাদানী হুলিয়ে মে ওহ কিতনা শানদান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for supporting.