বিভাগ সমূহ

মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

দরূদ শরীফ পাঠের ফযিলত (৭)

❤❤ফযিলত-৫১❤❤
হযরত সায়্যিদুনা শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সোলায়মান জাযুলী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: আমি সফরে ছিলাম। এক স্থানে আসার পর নামাযের সময় হয়ে গেল। সেখানে একটি কূপ ছিল, কিন্তু বালতি আর রশি ছিল না। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম, তখনি একটি ঘরের উপর হতে এক মাদানী মুন্নী আমাকে আড়াল হতে দেখছিল, আর জিজ্ঞাসা করল: আপনি কী খুঁজছেন? আমি বললাম: কন্যা, রশি আর বালতি। সে জিজ্ঞাসা করল: আপনার নাম? বললাম: মুহাম্মদ ইবনে সোলায়মান জাযুলী। মাদানী মুন্নীটি আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলল: আচ্ছা! আপনিই কি সেই ব্যক্তি, যার প্রসিদ্ধির ডঙ্কা বাজছে চারদিকে। অথচ আপনার অবস্থা এই যে, কূপ থেকে পানিও নিতে পারছেন না! এ কথা বলেই সে কূপে থুথু ফেলল। মুহুর্তেই পানি উপরের দিকে উঠে গেল এবং পানি কুপ থেকে উপচে পড়তে লাগল। তিনি জাযুলী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ ওযু করার পর সেই অসাধারণ মাদানী মুন্নীকে বললেন: কন্যা! তুমি সত্যি করে বল তো, এ অসাধারণ ক্ষমতা তুমি কিভাবে অর্জন করেছ? সে বলল: আমি দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকি আর তার বরকতেই এই দয়া হয়েছে। তিনি বলেন: এই অসাধারণ মাদানী মুন্নীর কথায় প্রভাবিত হয়ে আমি সেখানেই সংকল্প করলাম যে, দরূদ শরীফের উপর কিতাব লিখব। (সা’আদাতুদ দারাইন, পৃষ্ঠা-১৫৯, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া বৈরুত) অতঃপর তিনি দরূদ শরীফের কিতাব রচনা করেন। যেটি সর্বজন গৃহীত হয়েছে আর সেই কিতাবের নাম হল “দালায়িলুল খায়রাত”।





❤❤ফযিলত-৫২❤❤
একদা কোন এক ভিখারী কাফিরদের নিকট ভিক্ষা চাইলো। তারা ঠাট্টা স্বরূপ হযরত মওলা আলী رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর নিকট পাঠিয়ে দিলো, তিনি সামনে উপস্থিত ছিলেন। ভিক্ষুক হাযির হয়ে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করলো। তিনি رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ দশবার দুরূদ শরীফ পাঠ করে তার হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে দিলেন। আর বললেন, “মুষ্টি বন্ধ করে নাও আর যারা তোমাকে পাঠিয়েছে, তাদের সামনে গিয়ে খুলে নাও।” (কাফিরগণ হাসছিলো। কারণ, খালি ফুঁক মারলে কি হয়?) কিন্তু যখন ভিখারী তাদের সামনে গিয়ে মুষ্টি খুললো, তখন দেখা গেলো তা স্বর্ণের দীনারে ভর্তি ছিলো। এ কারামত দেখে কয়েকজন কাফির মুসলমান হয়ে গেলো। (রাহাতুল কুলুব, পৃ-৭২)


❤❤ফযিলত-৫৩❤❤
আফতাবে শরীয়াত ও তরিকত, শাহাজাদায়ে আলা হযরত,হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত মাওলানা হামিদ রযা খাঁন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ অনেক বড় ইসলামী জ্ঞানে জ্ঞানী, আশিকে রাসূল, সাহাবীদের শানে প্রাণ উৎসর্গকারী, আউলিয়ায়ে কিরামের ভালবাসা পোষণকারী এবং দরূদ ও সালামের আশিক ছিলেন। যখনই জ্ঞান অর্জন ও পাঠদান থেকে অবসর হতেন তখন যিকির ও দরূদ শরীফ পাঠে ব্যস্ত হয়ে যেতেন। তার শরীর মোবারকে ফোঁড়া হয়ে গিয়েছিলো, যার অপারেশন করা আবশ্যক হয়ে গিয়েছিলো। ডাক্তার বেহুশ করার ইনজেক্শন দিতে চাইলে তিনি নিষেধ করে দেন, অতঃপর তিনি দরূদ ও সালামের ওযীফা পাঠে ব্যস্ত হয়ে যান, এরূপ অনুভূতি ও হুশ থাকাবস্থায় দুই-তিন ঘন্টা পর্যন্ত অপারেশন হতে থাকে। দরূদ শরীফের বরকতে তিনি কোন ধরণের কষ্টকর অবস্থা প্রকাশ হতে দেননি। (তাযকিরায়ে মাশায়িখে কাদেরীয়া রযবীয়া, ৪৮৫ পৃষ্ঠা)

❤❤ফযিলত-৫৪❤❤
রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা পোষণকারী দু’জন বন্ধু যখন পরস্পর সাক্ষাৎ করে এবং হাত মিলায় আর নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর দরূদ পাক পাঠ করে, তখন তারা পরস্পর পৃথক হওয়ার পূর্বে তাদের উভয়ের আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ” (মুসনাদে আবু ইয়া’লা, ৩য় খন্ড, ৯৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ২৯৫১)
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد