আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

আংটি সম্পর্কিত ১৯টি মাদানী ফুল (সুন্নাত ও আদব)

১। পুরুষের জন্য স্বর্ণের আংটি পরিধান করা হারাম। সুলতানে দো জাহান, রহমতে আ’লামিন صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم স্বণের্র আংটি পরিধান করা থেকে নিষেধ করেছেন। (বুখারী, ৪র্থ খন্ড, ৬৭ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৫৮৬৩)
২। (অপ্রাপ্তবয়ষ্ক) ছেলেকে স্বর্ণ-রৌপ্যের অলংকার পরানো হারাম। যে ব্যক্তি পরাবে সে গুনাহ্গার হবে। অনুরূপ ছেলের হাতে পায়ে অহেতুক মেহেদী দেওয়াও নাজায়েয। মহিলারা নিজেরা তাদের হাতে-পায়ে মেহেদী লাগাতে পারবে। কিন্তু ছেলেকে লাগালে গুনাহ্গার হবে। (বাহারে শরীয়াত, ৩য় খন্ড, ৪২৮ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ৯ম খন্ড, ৫৯৮ পৃষ্ঠা) ছোট মেয়ের হাতে পায়ে মেহেদী দেওয়াতে কোন বাধা নাই।
৩। লোহার আংটি জাহান্নামীদেরই অলংকার। (তিরমিযী, ৩য় খন্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৭৯২)।
৪। পুরুষের জন্য সেরূপ আংটিই জায়েয যেগুলো (লেডিস ষ্টাইলের নয়) জেন্টস ষ্টাইলের। অর্থাৎ তা হবে কেবল এক পাথর বিশিষ্ট। আর যদি তাতে একের অধিক (কয়েকটি) পাথর থাকে, তাহলে তা রূপার হয়ে থাকলেও পুরুষদের জন্য নাজায়েয। (রদ্দুল মুহতার, ৯ম খন্ড, ৫৯৭ পৃষ্ঠা)।

পাগড়ী বাঁধার ২৫টি মাদানী ফুল (সুন্নাত ও আদব)

নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত, তাজেদারে রিসালাত, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ৬টি বাণী:
১। “পাগড়ী সহকারে দুই রাকাত নামায পাগড়ী বিহীন সত্তর (৭০) রাকাত (নামাযের) চেয়ে উত্তম।” (আল ফিরদৌস বিমাসুরীল খাত্তাব, ২য় খন্ড, ২৬৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩২৩৩, দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ্, বৈরুত)
২। “আমাদের এবং মুশরিকদের মধ্যে পার্থক্য হলো টুপির উপর পাগড়ী (পরিধান করা)। মুসলমান নিজের মাথায় প্রতিটি প্যাঁচ দেওয়াতে কিয়ামতের দিন তাঁর জন্য একটি করে নূর দান করা হবে।” (আল জামেউস সগীর লিস সুয়ুতী, ৩৫৩ পৃষ্ঠা, হাদীস - ৫৭২৫)
৩। “নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তাআলা ও তাঁর ফেরেশতাগণ জুমার দিন পাগড়ী পরিধানকারীর উপর দরূদ প্রেরণ করেন।” (আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ১ম খন্ড, ১৪৭ পৃষ্ঠা, হাদীস৫২৯)
৪। “পাগড়ী সহকারে নামায আদায় করা দশ হাজার নেকীর সমপরিমাণ।” (প্রাগুক্ত, ২য় খন্ড, ৪০৬ পৃষ্ঠা, হাদীস - ৩৮০৫। ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২২০ পৃষ্ঠা)

পোশাকের ১৪টি মাদানী ফুল (সুন্নাত ও আদব)

প্রথমে তিনটি হাদীস লক্ষ্য করুন:
১। “জ্বীনের দৃষ্টি ও মানুষের লজ্জাস্থানের মাঝখানে পর্দা হচ্ছে, যখন কেউ কাপড় খুলে তবে যেন বিসমিল্লাহ পাঠ করে নেয়।” (আল মুজামুল আওসাত, ২য় খন্ড, ৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৫০৪) প্রসিদ্ধ মুফাস্সীর, হাকিমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: যেরূপ দেয়াল ও পর্দা মানুষের দৃষ্টির আড়াল হয়ে থাকে, অনুরূপভাবে আল্লাহ্ তাআলার যিকির জ্বীনদের দৃষ্টি থেকে আড়াল হবে, যার কারণে জ্বিন সেটাকে (অর্থাৎ- লজ্জাস্থান) দেখতে পাবে না। (মিরাত, ১ম খন্ড, ২৬৮ পৃষ্ঠা)
২। “যে ব্যক্তি কাপড় পরিধানের সময় এ দোয়া পাঠ করবে:
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ كَسَانِىْ هٰذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّيْ وَلَا قُوَّةٍ
(অনুবাদ: 'সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তাআলার জন্য, যিনি আমাকে কাপড় পরিধান করিয়েছেন, আর আমার শক্তি ও সামর্থ্য ব্যতীত আমাকে দান করেছেন।) তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।” (শুআবুল ঈমান, ৫ম খন্ড, ১৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬২৮৫)

বাবরী চুল রাখা এবং মাথার চুলের ২২টি মাদানী ফুল (সুন্নাত ও আদব)

১। হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাস্সম صَلَّی اللّٰهُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চুল মোবারক (চুলের গোছা) কখনো কান মোবারকের অর্ধেক পর্যন্ত, কখনো কান মোবারকের লতি পর্যন্ত এবং কখনো চুল মোবারক বেড়ে যেত তখন সেগুলো কাধ মোবারক দু’টিকে স্পর্শ করতো। (আশশামায়িলুল মুহাম্মদীয়া লিত তিরমিযী, ১৮, ৩৫, ৩৪ পৃষ্ঠা)
২। আমাদের উচিত সময়ে সময়ে তিনটি সুন্নাত আদায় করা, অর্থাৎ কখনো অর্ধ কান পর্যন্ত, আর কখনো সম্পূর্ণ কান পর্যন্ত, কোন সময় কাধ বরাবর চুল রাখা।
৩। কাধ পর্যন্ত বাবরী চুল লম্বা করার এ সুন্নাত নিজের উপর একটু কষ্টকর হয়ে থাকে, কিন্তু জীবনের কমপক্ষে একবার হলেও এ সুন্নাত আদায় করা উচিত। অবশ্য এটা খেয়াল রাখা উচিত যে, চুল যেন কাধের নিচে না আসে, পানিতে ভাল ভাবে ভিজার পর বাবরী চুলের লম্বার পরিমাণ লক্ষ্য করা যায়। তাই যে দিনগুলোতে চুল বাড়াবেন ঐ দিনগুলোতে গোসলের পর আঁচড়ানোর সময় ভাল ভাবে লক্ষ্য করবেন চুল কাধ অতিক্রম করেছে কিনা।

সোমবার, ১৮ মে, ২০২০

পানি পান করার ১২টি মাদানী ফুল (সুন্নাত ও আদব)

১। রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুইটি আলীশান ফরমান: “উটের ন্যায় এক নিঃশ্বাসে (পানি) পান করো না। বরং দুই বা তিন (নিঃশ্বাসে) পান করো। আর পান করার পূর্বে بِسْمِ الله  বলে পান  করো এবং পান করার পর اَلْحَمْدُ لله  বলো।” (সুনানে তিরমিযী, ৩য় খন্ড, ৩৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৮৯২)
২। নবীয়ে আকরাম صَلَّی اللهُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পাত্রের ভিতর শ্বাস ফেলতে কিংবা তাতে ফুঁক দিতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, ৩য় খন্ড, ৪৭৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং৩৭২৮)।  প্রখ্যাত মুফাস্সীর, হাকিমুল উম্মত, হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন  رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ আলোচ্য হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন: “পাত্রের ভিতর শ্বাস ফেলা জীব জন্তুদের কাজ। তাছাড়া নিঃশ্বাস কখনো বিষাক্ত হয়ে থাকে। তাই নিতান্তই যদি শ্বাস ফেলতে হয়, তবে পাত্র থেকে মুখ পৃথক করে শ্বাস ফেলবে অর্থাৎ শ্বাস ফেলার সময় মুখ থেকে পানির পাত্রটি সরিয়ে নিতে হবে। গরম দুধ বা চা ফুঁক দিয়ে ঠান্ডা করবেন না। বরং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, ঠান্ডা হওয়ার পরই পান করুন। (মিরআত, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৭৭ পৃষ্ঠা) তবে দরূদ শরীফ ইত্যাদি পাঠ  করে শিফার নিয়্যতে পানিতে ফুঁক দিলে তাতে কোন অসুবিধা নেই।”
৩। পান করার পূর্বে بِسْمِ الله পাঠ করে নিন।
৪। চুমুক দিয়ে ছোট ছোট ঢোঁকে পান করুন। বড় বড় ঢোঁকে পান করলে যকৃতের (Liver) রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
৫। পানি তিন নিঃশ্বাসে পান করুন।
৬। বসে এবং ডান হাতে পানি পান করুন।
৭। বদনা (লোটা) ইত্যাদি দ্বারা অযু করা হলে সেটার অবশিষ্ট পানি পান করা ৭০টি রোগ থেকে শিফা স্বরূপ। কেননা, সেটা পবিত্র জমজমের পানির সাদৃশ্য রাখে। এই দুই প্রকার (অর্থাৎ অযুর অবশিষ্ট পানি এবং যমযমের পানি) ব্যতীত অন্য যে কোন পানি দাঁড়িয়ে পান করা মাকরূহ। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়্যাহ, ৪র্থ খন্ড, ৫৭৫ পৃষ্ঠ-, খন্ড-২১, পৃষ্ঠা-৬৬৯) এ দু’ধরণের পানি কিবলামূখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করবেন। 
৮। পান করার পূর্বে দেখে নিন পাত্রে ক্ষতিকর জিনিস ইত্যাদি আছে কিনা (ইত্তেহাফুস সাদাত লিয যুবাইদী, ৫ম খন্ড, ৫৯৪ পৃষ্ঠা)। 
৯। পানীয় বস্তু পান করার পর اَلْحَمْدُ لله বলবেন। 
১০। হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী  رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: بِسْمِ الله পাঠ  করে পান করা শুরু করবেন, ১ম নিঃশ্বাসের পর اَلْحَمْدُ لِلهِ! দ্বিতীয় নি:শ্বাসের পর اَلحَمدُ لِلهِ رَبِّ العلَمِين এবং   তৃতীয় নিঃশ্বাসের পর اَلحَمدُ لِلهِ رَبِّ العلَمِين الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ পাঠ করবেন। (ইহ্ইয়াউল উলূম, ২য় খন্ড, ৮ পৃষ্ঠা)। 
১১। গ্লাসে  অবশিষ্ট মুসলমানের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন উচ্ছিষ্ট পানি ব্যবহারের উপযোগী হওয়া সত্ত্বেও তা অযথা ফেলে দিবেন না। 
১২। বর্ণিত রয়েছে: سُوْرُ الْمُؤْمِنِ شِفَاءٌ অর্থাৎ মুসলমানের উচ্ছিষ্টে শিফা রয়েছে। (আল ফতোয়াল ফিকহিয়্যাতুল কুবরা লি ইবনে হাজর আল হায়তামী, ৪র্থ খন্ড, ১১৭ পৃষ্ঠা। কাশফুল খিফা, ১ম খন্ড, ৩৮৪ পৃষ্ঠা) পানি পান করার কিছুক্ষণ পর খালি গ্লাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে, গ্লাসের উপর থেকে বেয়ে কয়েক ফোঁটা পানি গ্লাসের তলায় জমা হয়ে যায়। তাও পান করে নিবেন। 

রবিবার, ১৭ মে, ২০২০

দুধ পানকারী মাদানী মুন্না (২)

প্রিয় মাদানী মুন্না এবং মাদানী মুন্নীরা! (পূর্বের পোস্টে) ৬টি মু’জিযা পড়ার পর এখন আসুন! আরও  ঘটনা শুনি:

(৭) আমার হাত পাত্রে ঘুরাঘুরি করতো

হযরত ওমর বিন আবি সালামা رضى الله عنه বলেন: আমি বাল্যকালে রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর লালন-পালনে (তত্বাবধানে) ছিলাম। (খাবারের সময়) আমার হাত পাত্রে ঘুরাঘুরি করতো (অর্থাৎ চতুর্দিক থেকে খাবার খেতাম।) রাসূলুল্লাহ্ صَلَّی اللهُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে ইরশাদ করলেন: “হে বৎস! بِسْمِ الله পড়ো, ডান হাতে নিজের সামনে থেকে খাও। ” এর পর থেকে আমি সেভাবে (অর্থাৎ হুযুর صَلَّی اللهُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কথা মতো) খেয়ে থাকি। (বুখারী, ৩য় খন্ড, ৫২১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৫৩৭৬)

দুধ পানকারী মাদানী মুন্না (শিশু)

{নবী করীম صَلَّی اللّٰهُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ৬ টি মু'যিজা}

(১) দুগ্ধপোষ্য মাদানী মুন্না  কথা বললো!

রাসূলে পাক صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মক্কা শরীফের একটি ঘরে উপস্থিত ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰهُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর খেদমতে এক মুন্নাকে (Infant) কাপড়ে জড়ায়ে নিয়ে আসলো। যে সেদিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলো। হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সে মুন্নাকে জিজ্ঞাসা করলেন: আমি কে? সে বললো: “আপনি আল্লাহর রাসূল।” রাসূলে পাক, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰهُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: “তুমি সত্য বলেছ, আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে বরকত দান করুক।” (মা’রিফাতুচ্ছাহাবা, ৪র্থ খন্ড, ৩১৪, ৬৩৯৫ পৃষ্ঠা)

প্রিয় মাদানী মুন্না এবং মাদানী মুন্নীরা! আল্লাহ্ তাআলা আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللّٰهُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে এমন মর্যাদা দান করেছেন যে, দুগ্ধপোষ্য মাদানী মুন্নাও রহমতে আলম, হুযুর পুরনূর  صَلَّی اللّٰهُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہ وَسَلَّم  কে রাসূল হওয়ার স্বাক্ষী দিলো। আসুন! আল্লাহ্ তাআলার প্রিয় রাসূল صَلَّی اللّٰهُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আরো মু’জিযা শুনি:

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

বসন্তমেলা ও ঘুড়ি উড়ানো


যখনই শীত বিদায় নেয় এবং ফেব্রুয়ারীতে বসন্ত কালের আগমন ঘটে তখন বাংলাদেশে (মূল ঘটনা পাকিস্তানের) অনেক ছোট-বড় শহরে ‘বসন্ত’ নামে নাচ-গানের আসরের ব্যবস্থা করা হয়। মদ ইত্যাদি পান করা হয়, আর ঘুড়ি ওড়ানোর মেলা সাজানো হয়। যেটাতে আমাদের অসংখ্য মুসলমান ভাইয়েরা নফস ও শয়তানের প্ররোচনায় এসে বেপরোয়া ভাবে গুনাহ করে থাকে এবং কোটি কোটি টাকা বাতাসে উড়িয়ে দেয়। সাধারণত এই ধারাবাহিকতা মার্চের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

বসন্ত মেলা এক রাসূল বিদ্বেষীর স্মৃতিচারণ!

আমার সহজ সরল ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা কি জানেন? ‘বসন্ত মেলার’ শুরু কেন ও কিভাবে হয়েছে? মনযোগ সহকারে শুনুন; এটি এক রাসূল বিদ্বেষীর স্মৃতিচারণ। জী হ্যাঁ! ভারত বিভাজনের অনেক দিন পূর্বে সিয়ালকোটের এক অমুসলিম আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْهِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এবং তাঁর শাহজাদী সায়্যিদাতুনা বিবি ফাতেমা رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا এর মহান শানে আল্লাহর পানাহ! বেয়াদবী করে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

নূর নবী ﷺ (মুজিযা)

মাদানী মুন্নী (ছোট বাচ্চা) যখন কূপে থুথু ফেলল…

হযরত সায়্যিদুনা মুহাম্মদ বিন সোলায়মান জাযুলী رحمة الله عليه বলেন: আমি সফরে ছিলাম। এক স্থানে আসার পর নামাযের সময় হয়ে গেল। সেখানে একটি কূপ ছিল, কিন্তু বালতি আর রশি ছিল না। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। তখন একটি ঘরের উপর হতে এক মাদানী মুন্নী আমাকে আড়াল হতে দেখছিল, আর জিজ্ঞাসা করল: আপনি কি খুঁজছেন? আমি বললাম: কন্যা, রশি আর বালতি। সে জিজ্ঞাসা করল: আপনার নাম? বললাম: মুহাম্মদ বিন সোলায়মান জাযুলী। মাদানী মুন্নীটি আশ্চার্যান্বিত হয়ে বলল: আচ্ছা! আপনিই সেই ব্যক্তি, যার প্রসিদ্ধির ডঙ্কা চারিদিকে বাজছে। অথচ আপনার অবস্থা এই যে, কূপ থেকে পানিও নিতে পারছেন না। এ কথা বলেই সে কূপে থুথু ফেলল। মুহুর্তের মধ্যে পানি উপরের দিকে উঠে গেল।

বুধবার, ১৩ মে, ২০২০

সূরা আল নাশরাহ (বঙ্গানুবাদ সহ)

بسم اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ 
আল্লাহ্‌র     নামে     আরম্ভ,     যিনি     পরম      দয়ালু,   করুণাময়।

اَلَمۡ نَشۡرَحۡ  لَکَ صَدۡرَکَ ۙ﴿۱﴾  
94:1 আমি কি আপনার বক্ষ প্রশস্ত করি নি?

وَ وَضَعۡنَا عَنۡکَ وِزۡرَکَ ۙ﴿۲﴾ 
94:2 এবং  আপনার উপর থেকে আপনার  ওই  বোঝা নামিয়ে নিয়েছি,

الَّذِیۡۤ  اَنۡقَضَ ظَہۡرَکَ ۙ﴿۳﴾ 
94:3 যা আপনার পৃষ্ঠ ভেঙ্গেছিলো,

وَ رَفَعۡنَا لَکَ ذِکۡرَکَ ؕ﴿۴﴾ 
94:4    এবং    আমি   আপনার   জন্য   আপনার   স্মরণকে সম্মুন্নত করেছি।

সোমবার, ১১ মে, ২০২০

সূরা আল আসর (বঙ্গানুবাদ সহ)

بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
আল্লাহ্‌র     নামে     আরম্ভ,     যিনি     পরম      দয়ালু,   করুণাময়।

وَ الۡعَصۡرِ ۙ﴿۱﴾ 
103:1 ওই মাহবূবের যুগের শপথ,

اِنَّ  الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ ۙ﴿۲﴾ 
103:2 নিশ্চয় মানুষ অবশ্য ক্ষতির মধ্যে রয়েছে,

اِلَّا  الَّذِیۡنَ  اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ  وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ ﴿۳﴾ 
103:3     কিন্তু     (তারা     নয়)    যারা     ঈমান    এনেছে    ও সৎকাজ   করেছে   এবং   একে   অপরকে   সত্যের   জন্য  জোর       দিয়েছে      আর      একে     অপরকে      ধৈর্যধারণের উপদেশ দিয়েছে।

সূরা আল ক্বদর (বঙ্গানুবাদ সহ)

بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
আল্লাহ্‌র     নামে     আরম্ভ,     যিনি     পরম      দয়ালু,   করুণাময়।

اِنَّاۤ  اَنۡزَلۡنٰہُ  فِیۡ  لَیۡلَۃِ  الۡقَدۡرِ ۚ﴿ۖ۱﴾ 
97:1    নিশ্চয়    আমি    সেটা      ক্বদরের     রাতে    অবতীর্ণ   করেছি;

وَ مَاۤ  اَدۡرٰىکَ مَا لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ؕ﴿۲﴾ 
97:2 এবং আপনি কি জানেন ক্বদর রাত্রি কি?

لَیۡلَۃُ  الۡقَدۡرِ ۬ۙ خَیۡرٌ  مِّنۡ  اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕ﴿ؔ۳﴾
97:3 ক্বদরের রাত হাজার মাস থেকে উত্তম।

تَنَزَّلُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ الرُّوۡحُ  فِیۡہَا بِاِذۡنِ رَبِّہِمۡ ۚ مِنۡ  کُلِّ  اَمۡرٍ ۙ﴿ۛ۴﴾ 
97:4   এতে ফিরিশ্‌তাগণ   ও  জিবরাঈল  অবতীর্ণ হয়ে থাকে স্বীয় রবের আদেশে প্রত্যেক কাজের জন্য।

সূরা আল তীন (বঙ্গানুবাদ সহ)

بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
আল্লাহ্‌র     নামে     আরম্ভ,     যিনি     পরম      দয়ালু,   করুণাময়।

وَ التِّیْنِ وَ الزَّیْتُوْنِۙ(۱)
95:1 ডুমুরের শপথ ও যায়তূনের, 

وَ طُوْرِ سِیْنِیْنَۙ(۲)
95:2 এবং সিনাই পর্বতের, 

وَ هٰذَا الْبَلَدِ الْاَمِیْنِۙ(۳)
95:3 এবং এ নিরাপদ শহরের- 

لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ فِیْۤ اَحْسَنِ تَقْوِیْمٍ٘(۴)
95:4  নিশ্চয়   আমি   মানুষকে  উৎকৃষ্ট  আকৃতিতে  সৃষ্টি  করেছি। 

সূরা আল নাস (বঙ্গানুবাদ সহ)

بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
আল্লাহ্‌র     নামে     আরম্ভ,     যিনি     পরম      দয়ালু,   করুণাময়।

قُلْ          اَعُوْذُ   بِرَبِّ   النَّاسِۙ(۱)
114:1   আপনি  বলুন,  ‘আমি   তারই  আশ্রয়ে  এসেছি, যিনি সকল মানুষের রব, 

مَلِكِ  النَّاسِۙ(۲)
114:2 সকল মানুষের বাদশাহ্‌, 

اِلٰهِ    النَّاسِۙ(۳)
114:3 সকল লোকের মা’বূদ- 

مِنْ    شَرِّ الْوَسْوَاسِ       ﳔ الْخَنَّاسِﭪ(۴)
114:4   তারই  অনিষ্ট  থেকে, যে  অন্তরে কু-মন্ত্রণা দেয় এবং আত্নগোপন করে, 

সূরা আল ফালাক (বঙ্গানুবাদ সহ)

بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
আল্লাহ্‌র     নামে     আরম্ভ,     যিনি     পরম      দয়ালু,   করুণাময়।

قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ  الْفَلَقِۙ(۱)
113:1 আপনি বলুন, ‘আমি তারঁই আশ্রয় নিচ্ছি, যিনি প্রভাতের সৃষ্টিকর্তা। 

مِنْ شَرِّ  مَا  خَلَقَۙ(۲)
113:2 তাঁর সৃষ্টিকুলের অনিষ্ট থেকে, 

وَ مِنْ  شَرِّ   غَاسِقٍ  اِذَا وَقَبَۙ(۳)
113:3  এবং অন্ধকারাচ্ছন্নকারীর অনিষ্ট  থেকে,  যখন   সেটা অস্তমিত হয়, 

وَ مِنْ  شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِۙ(۴)
113:4    এবং    ওই    সব    নারীর    অনিষ্ট    থেকে,    যারা  গ্রন্থিসমূহে ফুঁৎকার দেয়, 

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন