আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

বুধবার, ৭ জুন, ২০১৭

ফয়যানে তারাবীহ

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَلّ রমযানুল মুবারকে যেখানে আমরা অগণিত নে’মত পেতে পারি, সেগুলোর মধ্যে ‘তারাবীর সুন্নত’ও রয়েছে। সুন্নতের মহত্ত্বের কথা কি বলবো? আমিনার বাগানের সুবাসিত ফুল, আল্লাহর প্রিয় রসূল হযরত মুহাম্মদ এর জান্নাতরূপী বাণী, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে ভালবাসে, সে আমাকে ভালবাসে, আর যে আমাকে ভালবাসে, সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।” (জামে তিরমিযী, খন্ড-৪র্থ, পৃ-৩১০, হাদীস নং-২৬৮৭)

ফয়যানে তারাবীহ

রমযানে ৬১ বার খতমে কোরআন

তারাবীহ সুন্নতে মুআক্কাদাহ। তাতে কমপক্ষে একবার খতমে কুরআনও সুন্নতে মুআক্কাদাহ। আমাদের ইমামে আযাম আবু হানীফা  رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عليه  , " রমযানুল মুবারকে ৬১ বার কুরআন করীম খতম করতেনঃ ত্রিশ খতম দিনে, ত্রিশ খতম রাতে আর একবার তারাবীহের নামাযে। তাছাড়া, তিনি  رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عليه  , " ৪৫ বছর ইশার ওযু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছেন। (বাহারে শরীআত, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ-৩৭)
এক বর্ণনায় অনুযায়ী ইমাম আযম رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عليه , " জীবনে ৫৫ বার হজ্ব করেছেন আর যে স্থানে তিনি ইন্তিকাল করেছেন সেখানে তিনি সাত হাজার বার কুরআন মজিদ খতম করেছেন। (উকুদুন হিমান, পৃ-২২১)

রোযা না রাখার অনুমতি সম্বলিত ৩৩টি বিধান

১. মুসাফিরের জন্য রোযা রাখা ও না রাখার মধ্যে নিজের স্বাধীনতা রয়েছে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০৩)
২. যদি স্বয়ং ওই মুসাফিরের জন্য এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য রোযা ক্ষতিকর না হয়, তবে সফরে রোযা রাখা উত্তম। আর উভয়ের কিংবা তাদের কোন একজনের জন্য ক্ষতিকারক হয়, তাহলে রোযা না রাখা উত্তম। (দুররুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০৫)
রোযার বিধান
৩. মুসাফির ‘দ্বাহওয়ায়ে কুবরা* এর পূর্বক্ষণে মুকীম হিসেবে অবস্থান করলো, এখনো পর্যন্ত কিছুই খায়নি, এমতাবস্থায় রোযার নিয়্যত করে নেয়া ওয়াজিব। (আল-জাওয়াহারাতুন নাইয়েরাহ, খন্ড-১ম, পৃ-১৮৬) যেমন, আপনার ঘর বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ শহর চট্টগ্রামে। আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হলেন। সকাল দশটার সময় পৌঁছে গেলেন। আর সোবহে সাদিক থেকে রাস্তায় কোন কিছু পানাহার করেননি। এমতাবস্থায় রোযার নিয়্যত করে নিন।
*দ্বাহওয়ায়ে কুবরা এর সংজ্ঞা রোজার নিয়্যতের বর্ণনার মধ্যে পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে।
৪. দিনে যদি সফর করেন, তবে ওই দিনের রোযা না রাখার জন্য আজকের সফর ওযর নয়। অবশ্য, যদি সফরের মধ্যভাগে ভঙ্গ করেন তবে কাফফারা অপরিহার্য হবে না, কিন্তু গুনাহ্ অবশ্যই হবে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৬) আর রোযা কাযা করা ফরয হবে।

শুক্রবার, ২ জুন, ২০১৭

রোযার কাযা ও কাফফারার বিধানাবলী

(এখন ওইসব বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হচ্ছে, যে কাজ করলে শুধু কাযা অপরিহার্য হয়। কাযা করার পদ্ধতি হচ্ছে প্রতিটি রোযার পরিবর্তে রমযানুল মুবারকের পর কাযার নিয়্যতে একটি করে রোযা রাখা।)
রোযার কাযা ও কাফফারার বিধানাবলী
১. এটা ধারণা ছিলো যে, সেহরীর সময় শেষ হয়নি। তাই পানাহার করেছে, স্ত্রী সহবাস করেছে। পরে জানতে পারলো যে, তখন সেহরীর সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় রোযা হয়নি, এ রোযার কাযা করা জরুরী। অর্থাৎ ওই রোযার পরিবর্তে একটা রোযা রাখতে হবে। (রদ্দুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৮০)
২. খানা খাওয়ার জন্য কঠোরভাবে বাধ্য করা হয়েছে। অর্থাৎ শরীয়ত সম্মত বাধ্যবাধকতা (কেউ হত্যা কিংবা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে বললো, “রোযা ভেঙ্গে ফেল।” যদি রোযাদার নিশ্চিতভাবে মনে করে যে, সে যা বলছে তা করেই ছাড়বে। তাহলে শরীয়তসম্মত বাধ্য করণ পাওয়া গেলো। এমতাবস্থায় রোযা ভাঙ্গার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে এ রোযার কাযা করে দেয়া অপরিহার্য। এখন যেহেতু বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই শুধু কাযা ওয়াজিব হবে। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০২)
৩. ভুলবশতঃ পানাহার করেছে কিংবা স্ত্রী সহবাস করেছিলো, অথবা এমনভাবে দৃষ্টি করেছে যে, বীর্যপাত হয়েছে, কিংবা স্বপ্নদোষ হয়েছে, অথবা বমি হয়েছে, এসব অবস্থায় এ ধারণা করল যে, রোযা ভেঙ্গে গেছে, তাই এখন স্বেচ্ছায় পানাহার করে নিল। কাজেই, এখন শুধু কাযা ফরয হবে। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৭৫)

রোযার ভঙ্গের কারণ, রোযার মাকরূহ ও রোযা না রাখার ওযর সমূহ

রোযা ভঙ্গকারী ১৪ টি কারণ

১. পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়; যদি রোযাদার হবার কথা স্মরণ থাকে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৫)
২. হুক্কা, সিগারেট, চুরুট ইত্যাদি পান করলেও রোযা ভেঙ্গে যায়, যদিও নিজের ধারণায় কণ্ঠনালী পর্যন্ত ধোঁয়া পৌছেনি। (বাহারে শরীআত, খন্ড-৫ম, পৃ-১১৭)
রোযা ভঙ্গের কারণ, রোযার মাকরূহ, রোযা রাখার ওযর
৩. পান কিংবা নিছক তামাক খেলেও রোযা ভেঙ্গে যায়। যদিও আপনি সেটার পিক বারংবার ফেলে দিয়ে থাকেন। কারণ, কণ্ঠনালীতে সেগুলোর হালকা অংশ অবশ্যই পৌছে থাকে। (বাহারে শরীআত, খন্ড-৫ম, পৃ-১১৭)
৪. চিনি ইত্যাদি, এমন জিনিষ, যা মুখে রাখলে গলে যায়, মুখে রাখলো আর থুুথু  গিলে ফেললো এমতাবস্থায় রোযা ভেঙ্গে গেল। (বাহারে শরীআত, খন্ড-৫ম, পৃ-১১৭)
৫. দাঁতগুলোর মধ্যভাগে কোন জিনিষ ছোলা বুটের সমান কিংবা তদপেক্ষা বেশি ছিল। তা খেয়ে ফেললো। কিংবা কম ছিলো; কিন্তু মুখ থেকে বের করে পুনরায় খেয়ে ফেললো। এমতাবস্থায় রোযা ভেঙ্গে যাবে।(দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৪)
৬. দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে তা কণ্ঠনালীর নিচে নেমে গেলো। আর রক্ত থুুথু অপেক্ষা বেশি কিংবা সমান অথবা কম ছিলো, কিন্তু সেটার স্বাদ কণ্ঠে অনুভুত হলো। এমতাবস্থায় রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং যদি কম ছিলো আর স্বাদও কণ্ঠে
অনুভুত হয়নি, তাহলে এমতাবস্থায় রোযা ভাঙ্গবে না। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৮)
৭. রোযার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও ‘ঢুস’ (*) নিলো, কিংবা নাকের ছিদ্র দিয়ে ঔষধ প্রবেশ করালো, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৪)
(*) অর্থাৎ কোন ঔষধের ফিতা কিংবা সিরিঞ্জ পায়খানার রাস্তায় প্রবেশ করালো, আর তা সেখানে স্থায়ীও হলো।

কন্যা সন্তানের ফযীলত

মনে রাখবেন! কন্যা সন্তানের ফযীলত কোন অংশে কম নয়। এই ব্যাপারে ৩টি হাদীসে রসূল শুনুন।

(১) যে ব্যক্তি নিজের তিনজন কন্যা সন্তানের লালন পালন করবে সে জান্নাতে যাবে এবং তাকে এমন মুজাহিদের সাওয়াব দান করবে, যে মুজাহিদ জিহাদ অবস্থায় রোযা রাখে ও নামায কায়েম করে। (আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, খন্ড-৩য়, পৃ-৪৬, হাদীস নং-২৬ দারুল কুতবিল ইলমিয়্যাহ্ বৈরত)
কন্যা সন্তানের ফযিলত
(২) যার তিনজন কন্যা বা তিনজন বোন থাকবে এবং সে তাদের সাথে সদাচারণ করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(জামে তিরমিযী, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৬, হাদীস নং-১৯১৯, দারুল ফিকর, বৈরুত)

(৩) যে ব্যক্তি তিন জন কন্যা বা বোনকে এভাবে লালন-পালন করে যে তাদেরকে শিষ্টাচার (আদব) শিখায় এবং তাদের উপর দয়া করে এমনকি আল্লাহ তাআলা তাদের অমুখাপেক্ষী করে দেয় (অর্থাৎ তারা সাবালেগা হয়ে যায় বা তাদের বিবাহ শাদী হয়ে যায় বা তারা মাল-সম্পদের মালিক হয়ে যায়)। (লুমআত এর পাদটিকা,৪র্থ খন্ড, পৃঃ ১৩২)

বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০১৭

দুধপানকারী শিশুদের জন্য ১৬টি মাদানী ফুল

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! মাদানী কাফিলার কি বাহার রয়েছে। বাচ্চাদের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচানোর জন্য প্রথমেই যে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় তা যথেষ্ট। এই মর্মে এখানে ১৬টি মাদানী ফুল দেখুন।
Baby Care, শিশুর যত্ন 
(১) ছেলে বা মেয়ে জন্ম হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ৭ সাতবার يَا بَرُّ (প্রথমে ও শেষে একবার করে দুরূদ শরীফ) পড়ে যদি বাচ্চাকে ফুঁক দেয়া হয় তাহলে اِنْ شَاءَ اَلله عَزَّوَجَل বালিগ হওয়া পর্যন্ত বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।

(২) জন্ম হওয়ার পর বাচ্চাকে প্রথমে নিমপাতার সাথে লবণ মিশিয়ে গরম পানি দিয়ে গোসল দিন, এরপর শুধু পানি দ্বারা গোসল দিন। তাহলে اِنْ شَاءَ اَلله عَزَّوَجَل বাচ্চা ঘা, বিচি, ফোড়া ইত্যাদি চর্মরোগ থেকে মুক্ত থাকবে।

(৩) লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে কিছুদিন বাচ্চাদের গোসল করাতে থাকুন যা বাচ্চাদের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী।

রোযার নিয়ত ও নিয়তের ২০ টি বিধান

রোযার নিয়ত

রোযার জন্যও এমনিভাবে নিয়্যত করা পূর্বশর্ত যেভাবে নামায ও যাকাত ইত্যাদির জন্য পূর্বশর্ত। সুতরাং যদি কোন ইসলামী ভাই কিংবা বোন রোযার নিয়্যত ছাড়া সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একেবারে পানাহার বর্জন করে থাকে, তবে তাদের রোযা হবে না। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৩১)
রমযান শরীফের রোযা হোক কিংবা নফল অথবা নির্দিষ্ট কোন মান্নতের রোযা অর্থাৎ আল্লাহর জন্য কোন নির্দিষ্ট দিনের রোযার মান্নত করে, যেমন নিজের কানে শুনতে পায় এমন আওয়াজে বলে, “আমার উপর এ বছর আল্লাহ তাআলার জন্য রবিউন নূর (রবিউল আউয়াল) শরীফের প্রত্যেক সোমবারের রোযা ওয়াজিব।” তখন এটা ‘নির্ধারিত মান্নত’ হলো। আর এ মান্নত পূরণ করা ওয়াজিব হয়ে গেলো। এ তিন ধরণের রোযার জন্য সূর্যাস্ত থেকে পরদিন ‘শরীয়তসম্মত অর্ধ দিবস’ (যাকে দ্বাহওয়ায়ে কুবরা বলা হয়) এর পূর্ব পর্যন্ত সময়-সীমার মধ্যে নিয়ত করে নিলে রোযা হয়ে যাবে।

রোযার নিয়ত

রোযার নিয়্যতের বিশটি মাদানী ফুল

১. রমযানের রোযা ও ‘নির্ধারিত মান্নত ও নফল রোযার জন্য নিয়্যতের সময়সীমা হচ্ছে- সূর্যাস্তের পর থেকে পরদিন ‘দ্বাহওয়ায়ে কুবরা’ অর্থাৎ ‘শরীয়ত সম্মত অর্ধ দিবস’ এর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত। এ পূর্ণ-সময়ের মধ্যে আপনি যখনই নিয়্যত করে নেবেন, এ রোযাগুলো বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৩২)

নামাযের ওয়াজিব সমূহ

ইসলামী ভাই ও ইসলামী বোনদের নামাযের নিয়মাবলীতে কিছু কাজ হচ্ছে ফরয, যেগুলো ব্যতীত নামাযই হবে না, কতিপয় বিষয় ওয়াজীব, যেগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্জন করা গুনাহ্ এবং এর জন্য তাওবা করে নামাযকে পুনরায় আদায় করে দেয়া ওয়াজীব। আর ভূলবশতঃ ছুটে গেলে “সিজদায়ে সাহু” দেওয়া ওয়াজীব। আর কিছু রয়েছে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, সেগুলো ছেড়ে দেয়ার অভ্যাস করলে গুনাহ্ হয়, আর কতিপয় মুস্তাহাব রয়েছে যেগুলো করলে সাওয়াব, না করলে গুনাহ্ নেই। (বাহারে শরীয়াত, ৩য় অংশ, ৬৬ পৃষ্ঠা)

(১) তাকবীরে তাহরীমার মধ্যে “أَللهُ اَكْبَرْ” বলা,
(২) ফরয নামাযের ৩য় ও ৪র্থ রাকাত ব্যতীত অবশিষ্ট সকল নামাযের প্রত্যেক রাকাতে ‘আলহামদু’ শরীফ পাঠ করা ও সূরা মিলানো (অর্থাৎ কুরআনে পাকের একটি বড় আয়াত যা ছোট তিন আয়াতের সমান হয় কিংবা তিনটি ছোট আয়াত পাঠ করা।)
(৩) আলহামদু শরীফ সূরার পূর্বে পাঠ করা,
(৪) আলহামদু শরীফ ও সূরার মাঝখানে ‘আমীন’ ও بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ব্যতীত আর কিছু না পড়া,

বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭

খেজুরের ২৫ টি মাদানী ফুল

১. চিকিৎসকদের চিকিৎসক আল্লাহর হাবীব হযরত মুহাম্মদ এর বিশুদ্ধ বাণী, “উন্নতমানের ‘আজওয়াহ’ (মদীনা মুনাওয়ারার সর্বাপেক্ষা মূল্যবান খেজুরের নাম) এর মধ্যে প্রতিটি রোগের আরোগ্য রয়েছে।” আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী হানাফী رضى الله عنه এর বর্ণনা অনুসারে, “সাতদিন যাবত প্রতিদিন সাতটি করে ‘আজওয়াহ’ খেজুর খেলে ‘কুষ্ঠরোগ’ (সাদারোগ) দূরীভূত হয়।” (ওমদাতুল কারী, খন্ড-১৪, পৃ-৪৪৬, হাদীস নং-৫৭৬৮)

খেজুর
২. প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা  এর জান্নাত রূপী বাণী হচ্ছে, “আজওয়া খেজুর জান্নাত থেকে।” এটা বিষ-আক্রান্তকে আরোগ্য দান করে।”(তিরমিযী শরীফ, খন্ড-৪র্থ, পৃ-১৭, হাদীস নং-২০৭৩) বোখারী শরীফের বর্ণনানুসারে, যে ব্যক্তি সকালে ৭টা ‘আজওয়া’ খেজুর খেয়ে নেয়, ওই দিন যাদু এবং বিষ তাকে ক্ষতি করতে পারবে না।” (সহীহ বোখারী, খন্ড-৩য়, পৃ-৫৪০, হাদীস নং-৫৪৪৫)

সাহরী ও ইফতারী: ফযিলত ও বিধানাবলী

সাহারী খাওয়া সুন্নত

আল্লাহ তাআলার কোটি কোটি অনুগ্রহ যে, তিনি আমাদেরকে রোযার মতো মহান নে’মত দান করেছেন। আর সাথে সাথে শক্তি অর্জনের জন্য সাহারীর শুধু অনুমতি দেন নি, বরং এতে আমাদের জন্য সাওয়াব রেখে দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় আকা, মাদানী ওয়ালে মোস্তফা হযরত মুহাম্মদ যদিও আমাদের মতো পানাহারের মুখাপেক্ষী নন, তবুও আমাদের প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা আমরা গোলামদের খাতিরে সাহারী করতেন, যাতে প্রিয় গোলামগণ তাদের দয়ালু মুনিব, সৃষ্টিকুলের বাদশাহ হযরত মুহাম্মদ এর সুন্নত মনে করে সাহারী করে নেয়। অনুরূপভাবে তারা দিনের বেলায় রোযা পালনে শক্তির সাথে সাথে সুন্নতের উপর আমল করার সাওয়াবও পেয়ে যায়। কোন কোন ইসলামী ভাইকে দেখা যায় যে, কখনো কখনো তাঁরা সাহারী করেন না। তখন সকালে নানা ধরনের কথা রচনা করে আর এভাবে বলে বেড়াতে শোনা যায়, “আমরা তো সাহারী ছাড়াই রোযা রেখে ফেলেছি।” মক্কী-মাদানী আকা হযরত মুহাম্মদ এর আশিকরা! সাহারী ছাড়া রোযা রাখার মধ্যে গর্বের কিছুই নেই, যার উপর গর্ব করা হচ্ছে বরং সাহারীর সুন্নত হাতছাড়া হয়ে যাবার জন্য লজ্জিত হওয়া চাই। আফসোস করা চাই। কারণ, তাজদারে রিসালাত হযরত মুহাম্মদ এর এক মহা সুন্নত হাতছাড়া হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭

আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোযা (পর্ব ৩)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আজকাল তো মামলাই উল্টা নজরে পড়ছে বরং এখনতো বাস্তবিক অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে, যখন কেউ কারো সাথে ঝগড়া করে বসে, তখন গর্জে ওঠে এমনি বলে ফেলে, “চুপ হয়ে যা! নতুবা মনে রাখিশ! আমি রোযাদার। আর এ রোযার ইফতার তোকে দিয়েই করবো।” অর্থাৎ তোকে খেয়ে ফেলবো। আল্লাহর পানাহ! তওবা!! তওবা!!! এ ধরণের কথা কখনো মুখ থেকে বের না হওয়া চাই; বরং বিনয়ই প্রকাশ করা চাই। এসব বিপদ থেকে আমরা শুধু তখনই বাঁচতে পারবো, যখন নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে নিয়মিতভাবে রোযা পালনের চেষ্টা করাবো।
বাকী পর্ব পড়তে ক্লিক করুন- প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব
বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রোযা

অঙ্গ প্রত্যঙ্গের রোযার সংজ্ঞা

সুতরাং এখন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোযা অর্থাৎ দেহের সমস্ত অঙ্গকে গুনাহ্ থেকে রক্ষা করা’ এটা শুধু রোযার জন্য নির্দিষ্ট নয়, বরং গোটা জীবনই ওইসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে গুনাহ্ থেকে বিরত রাখা জরুরী। আর এটা তখনই সম্ভব, যখন আমাদের অন্তর গুলোতে আল্লাহর ভয় পাকাপোক্ত হয়ে যাবে। আহ! কিয়ামতের ওই বেহুঁশকারী দৃশ্য স্মরণ করুন, যখন চতুর্দিকে নফসী নফসী’ এর অবস্থা হবে, সূর্য-আগুন বর্ষণ করবে, জিহ্বাগুলো পিপাসার তীব্রতার কারণে মুখ থেকে বের হয়ে পড়বে, স্ত্রী স্বামী থেকে, মা তার কলিজার টুকরা সন্তান থেকে, পিতা আপন পুত্র, আপন চোখের মণি থেকে পালাবে, অপরাধী-পাপীদেরকে ধরে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে, তাদের মুখের উপর মোহর চেপে দেয়া হবে এবং তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের গুনাহসমুহের তালিকা শুনাতে থাকবে, যা কুরআন পাকের সূরা ‘ইয়াসীন’-এ এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُم بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ-
আজ আমি তাদের মুখগুলোর উপর মোহর করে দেবো। আর তাদের হাতগুলো আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পাগুলো তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। (পারা-২৩, ইয়াসিন, আয়াত-৬৫)

হায়! দূর্বল ও অক্ষম মানুষ! কিয়ামতের ওই কঠিন সময় সম্পর্কে নিজের হৃদয়কে সতর্ক করুন। সর্বদা নিজের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে গুনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টায় অব্যাহত রাখুন। এখন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোযার বিস্তারিত বর্নণা পেশ করা হচ্ছে-

রবিবার, ২৮ মে, ২০১৭

মাহে রমযান: ফযিলত ও বিধানাবলী (পর্ব ২)

রোযা কার উপর ফরয?

বাকী পর্ব পড়তে ক্লিক করুন- প্রথম পর্ব তৃতীয় পর্ব
তাওহীদ ও রিসালাতকে বিশ্বাস করা ও দ্বীনের সব জরুরী বিষয়ের উপর ঈমান আনার পর যেভাবে প্রত্যেক মুসলমানের উপর নামায ফরয বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে, অনুরূপভাবে রমযান শরীফের রোযাও প্রত্যেক মুসলমান (নর ও নারী) বিবেকসম্পন্ন ও প্রাপ্ত বয়স্কের উপর ফরয। ‘দুররে মুখতার’ এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, রোযা ২য় হিজরীর ১০ই শা’বানুল মুআয্যামে ফরয হয়েছে। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৩০)

মাহে রমাদ্বান: ফযিলত ও বিধানাবলী

রোযা ফরয হবার কারণ

ইসলামে বেশিরভাগ কাজ কোন না কোন মহান ব্যক্তির ঘটনাকে জীবিত রাখার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। যেমন, সাফা ও মারওয়ার মধ্যখানে হাজীদের ‘সাঈ’ হযরত সায়্যিদাতুনা হাজেরা رضى الله عنها এর স্মৃতিময়ী। তিনি رضى الله عنها তাঁর কলিজার টুকরা হযরত সায়্যিদুনা ইসমাঈল যবীহুল্লাহ عليه السلام এর জন্য পানি তালাশ করতে গিয়ে এ দুটি পাহাড়ের মাঝখানে সাতবার প্রদক্ষিণ করেছেন ও দৌঁড়িয়েছেন। আল্লাহর নিকট হযরত সায়্যিদাতুনা হাজেরা رضى الله عنها এর এ কাজটা অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে। তাই এই ‘সুন্নতে হাজেরা’ رضى الله عنها কে আল্লাহ তাআলা স্থায়ীত্ব দানের জন্য হাজীগণ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’র সাঈকে (প্রদক্ষিণ করাকে) ওয়াজিব করে দিয়েছেন। অনুরূপভাবে, রমযানের দিনগুলোতে কিছুদিন, আমাদের প্রিয় আকা, মক্কা ও মদীনার তাজেদার হুযুর পুরনূর হযরত মুহাম্মদ হেরা পর্বতের গুহায় অতিবাহিত করেছিলেন। তখন হুযুর দিনের বেলায় পানাহার থেকে বিরত থাকতেন, আর রাতে আল্লাহ তাআলার যিকরে মশগুল থাকতেন। তাই আল্লাহ তাআলা ওই দিন গুলোর স্মরণকে তাজা করার জন্য রোযা ফরয করেছেন; যাতে তাঁর মাহবুব এর সুন্নতও স্থায়ী হয়ে যায়।

নামাযের শর্ত ও ফরয সমূহ

ইসলামী ভাই ও ইসলামী বোনদের নামাযের নিয়মাবলীতে কিছু কাজ হচ্ছে ফরয, যেগুলো ব্যতীত নামাযই হবে না, কতিপয় বিষয় ওয়াজীব, যেগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্জন করা গুনাহ্ এবং এর জন্য তাওবা করে নামাযকে পুনরায় আদায় করে দেয়া ওয়াজীব। আর ভূলবশতঃ ছুটে গেলে “সিজদায়ে সাহু” দেওয়া ওয়াজীব। আর কিছু রয়েছে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, সেগুলো ছেড়ে দেয়ার অভ্যাস করলে গুনাহ্ হয়, আর কতিপয় মুস্তাহাব রয়েছে যেগুলো করলে সাওয়াব, না করলে গুনাহ্ নেই। (বাহারে শরীয়াত, ৩য় অংশ, ৬৬ পৃষ্ঠা)
(এখানে রয়েছে নামাযের শর্ত  ও নামাযের ফরজ সহ  এগুলোর বিস্তারিত আলোচনা-এডমিন)
নামাযের শর্ত ও ফরজ সমূহ

নামাযের ৬টি শর্ত

১. পবিত্রতা, ২. সতর ঢাকা, ৩. ক্বিবলামূখী হওয়া, ৪. সময়সীমা, ৫. নিয়্যত করা, ৬. তাকবীরে তাহরীমা।
এই ৬টির বিস্তারিত নিচে দেয়া হলো-
(১) পবিত্রতা: নামায আদায়কারীর শরীর, পোষাক ও যে স্থানে নামায আদায় করবে ঐ স্থান যে কোন ধরণের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়া আবশ্যক। ( তাহতাবীর পাদটিকা সম্বলিত মারাকিউল ফালাহ, ২০৭ পৃষ্ঠা)

মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭

নামাযের পদ্ধতি (হানাফী)

অযু করে কিবলামুখী হয়ে এভাবে দাঁড়ান যেন উভয় পায়ের পাঞ্জার মধ্যভাগে চার আঙ্গুল দূরত্ব থাকে। এখন উভয় হাতকে কান পর্যন্ত নিয়ে যান যেন বৃদ্ধাঙ্গুল কানের লতি স্পর্শ করে। এ অবস্থায় আঙ্গুলকে বেশি খোলাও রাখবেন না আবার বেশি মিলিয়েও ফেলবেন না বরং স্বাভাবিক অবস্থায় রাখবেন আর হাতের তালু কিবলার দিকে করে রাখবেন এবং দৃষ্টি সিজদার জায়গায় থাকবে। এবার যে নামায আদায় করবেন সেটার নিয়্যত করুন। অর্থাৎ অন্তরে দৃঢ় ইচ্ছা করুন, সাথে সাথে মুখেও উচ্চারণ করুন, কেননা এটা উত্তম। (যেমন- আমি আজকের যোহরের চার রাকাত ফরয নামাযের নিয়্যত করলাম, যদি জামাত সহকারে আদায় করেন তবে এটাও বলুন, এই ইমামের পিছনে) এবার তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ “أَللهُ اَكْبَرْ” বলতে বলতে হাত নিচে নামিয়ে আনুন এরপর নাভীর নিচে উভয় হাত এভাবে বাঁধুন যেন ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর এবং ডান হাতের মাঝখানের তিন আঙ্গুল বাম হাতের কব্জির পিঠের উপর আর বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠা আঙ্গুল কব্জির উভয় পার্শ্বে থাকে। এখন এভাবে সানা পড়ুন:

سُبحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالى جَدُّكَ وَلَآ اِلهَ غَيْرُكَ
অনুবাদ:- অনুবাদ: হে আল্লাহ্! তুমি পবিত্র! আর আমি তোমার প্রশংসা করছি। তোমার নাম বরকতময়। তোমার মর্যাদা অতীব মহান। তুমি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই।


নামায পড়ার পদ্ধতি
অতঃপর, তাআউয পড়ুন:
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطن الرَّجِيْم
অনুবাদ: আমি বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

অতঃপর তাসমিয়া পড়ুন:

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
অনুবাদ: আল্লাহর নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু করুণাময়।

সোমবার, ১ মে, ২০১৭

রমযানের ফযিলত ও মাসআলা- পর্ব-১

স্বর্ণের দরজা বিশিষ্ট মহল

বাকী পর্ব পড়তে ক্লিক করুন- দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব
সায়্যিদুনা আবূ সাঈদ খুদরী رضى الله عنه থেকে বর্ণিত, মক্কী মাদানী সুলতান, রহমতে আলামিয়ান হযরত মুহাম্মদ রহমতপূর্ণ বাণী হচ্ছে, “যখন রমযান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন আসমানগুলো ও জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। আর সেগুলো সর্বশেষ রাত পর্যন্ত বন্ধ হয় না। যে কোন বান্দা এ বরকতময় মাসের যে কোন রাতে নামায পড়ে, তবে আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি সিজদার পরিবর্তে (অর্থাৎ বিনিময় স্বরূপ) তার জন্য পনের শত নেকী লিপিবদ্ধ করেন। আর তার জন্য জান্নাতে লাল পদ্মরাগ পাথরের মহল তৈরী করেন, যার ষাট হাজার দরজা থাকবে, প্রতিটি দরজার কপাট স্বর্ণের তৈরী হবে, যাতে লাল বর্ণের পদ্মরাগের পাথর খচিত থাকবে। সুতরাং যে কেউ রমযানের প্রথম রোযা রাখে তার জন্য আল্লাহ তাআলা রমযানের শেষ দিন পর্যন্ত গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশতা মাগফিরাতের দু‘আ করতে থাকে। রাত ও দিনে যখনই সে সিজদা করে তার ওই প্রতিটি সিজদার বিনিময়ে তাকে (জান্নাতে) একেকটা এমন গাছ দান করা হবে, সেটার ছায়া অতিক্রম করতে ঘোড়ার আরোহীকে পাঁচশ বছর দৌঁড়াতে হবে।” (শু‘আবুল ঈমান, খন্ড-৩য়, পৃষ্ঠা-৩১৪, হাদিস-৩৬৩৫)

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন