আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net

সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭

ঈসা عليه السلام এর সময়ের একটি শিক্ষনীয় ঘটনা

তৃতীয় রুটিটি কোথায় গেল?

হযরতে সায়্যিদুনা ঈসা রূহুল্লাহ (على نبينا وعليه الصلوة والسلام) এর সমীপে এক ব্যক্তি আরয করল, “ইয়া রূহুল্লাহ! আমি আপনার বরকতপূর্ণ সংস্পর্শে থেকে আপনার খিদমত করতে ও শরীআতের জ্ঞান অর্জন করতে চাই।”

তিনি (على نبينا وعليه الصلوة والسلام) তাকে অনুমতি দিলেন। চলতে চলতে যখন উভয়ে একটি নহরের কিনারায় পৌঁছলেন তখন তিনি (على نبينا وعليه الصلوة والسلام) বললেন, “এসো খানা খেয়ে নিই।” তাঁর (على نبينا وعليه الصلوة والسلام) নিকট তিনটি রুটি ছিল। একটি করে রুটি উভয়ে খেয়ে নিলো, যখন হযরতে সায়্যিদুনা ঈসা রূহুল্লাহ (على نبينا وعليه الصلوة والسلام) নহর থেকে পানি পান করছিলেন তখন ঐ ব্যক্তি তৃতীয় রুটিটি লুকিয়ে ফেলল।

শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭

রজব মাসের ফযিলত, রোজা রাখা ও আমল (পর্ব ৩)

৬০ মাসের রোযার সাওয়াব

হাদীসে পাকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ২৭ রজবের রোযা রাখবে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য ষাট (৬০) মাসের রোজার সাওয়াব লিখে দিবেন। আর তা সেই দিন, যেই দিনে হযরত জিবরাঈল عليه السلام হযরত মুহাম্মদ এর জন্য প্রথম অহী নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। (তানযিহুশ শরীয়াহ, খন্ড-২য়, পৃ-১৬১, হাদীস নং-৪১)

শত বছরের রোজার সাওয়াব

হযরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী رضى الله عنه থেকে বর্ণিত, আল্লাহর মাহবুব হযরত মুহাম্মদ এর বাণী হচ্ছে, রজবে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে যে, সেই দিনে যে রোযা রাখবে ও রাতে কিয়াম তথা ইবাদত বন্দেগী করবে সে যেন একশত বছর রোযা রাখল। আর সেই দিন হল ২৭ রজব। এই দিন হযরত মুহাম্মদ কে আল্লাহ তাআলার প্রতি প্রেরণ করেছেন। (শুআবুল ঈমান, খণ্ড-৩য়, পৃ-৩৭৪, হাদীস নং-৩৮১১)

রজব মাসের ফযিলত, রোজা রাখা ও আমল (পর্ব ২)

একটি জান্নাতী নহরের নাম রজব

হযরত সায়্যিদুনা আনাস رضى الله عنه থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তাআলার রসূল হযরত মুহাম্মদ ইরশাদ করেন, “জান্নাতে একটা নদী রয়েছে, যাকে ‘রজব’ বলে, যা দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। তাই যে ব্যক্তি রজব মাসের একটি রোযা রাখবে, আল্লাহ তাকে ওই নদী থেকে পান করিয়ে তৃপ্ত করবেন।” (শুয়াবুল ঈমান, খন্ড-৩য়, পৃষ্ঠা-৩৬৭, হাদীস নং-৩৮০০)

নুরানী পাহাড়

একদা হযরত ঈসা عليه السلام আলোক ঝলমল এক পাহাড় দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আল্লাহ তাআলার দরবারে আরয করলেন, “হে আল্লাহ! এই পাহাড়কে কথা বলার শক্তি দান করুন।” তখন ঐ পাহাড় কথা বলতে লাগল। “ইয়া রুহুল্লাহ! আপনি কি চান?” ঈসা عليه السلام বললেন, তোমার অবস্থা বর্ণনা কর।” পাহাড় বলল “আমার ভিতর একজন মানুষ আছে।” তখন হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রুহুল্লাহ عليه السلام আল্লাহর দরবারে আরয করলেন, হে আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে আমার নিকট প্রকাশ করে দিন। (এই কথা বলার সাথে সাথে) সেই পাহাড় এমনিতে ফেটে গেল এবং এর ভিতর থেকে চাঁদের মত উজ্জল চেহারা বিশিষ্ট একজন মানুষ দেখা গেল। তিনি আরয করলেন, “আমি হযরত সায়্যিদুনা মুসা কলিমূল্লাহ عليه السلام এর উম্মত। আমি আল্লাহর কাছে এই দু’আ করেছিলাম যেন তিনি আমাকে তাঁর প্রিয় মাহবুব হযরত মুহাম্মদ এর আগমনের সময় পর্যন্ত জীবিত রাখেন যাতে আমি তার যিয়ারত করতে পারি এবং তাঁর উম্মত হওয়ার সম্মানও অর্জন করতে পারি।

রজব মাসের ফযিলত, রোজা রাখা ও আমল (পর্ব ১)

রজবুল মুরাজ্জবের রোযা

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ তাআলার নিকট চারটি মাস বিশেষভাবে সম্মানিত। সুতরাং আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- (কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ)


নিশ্চয় মাসগুলোর সংখ্যা আল্লাহর নিকট বার মাস, আল্লাহর কিতাবের মধ্যে, যখন থেকে তিনি আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে চারটা সম্মানিত। এটাই সহজ সরল দ্বীন। তাই এ মাসগুলোর মধ্যে নিজেদের আত্মাগুলোর উপর যুলুম করো না এবং মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বদা যুদ্ধ করো, যেমনিভাবে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বদা যুদ্ধ করে এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ খোদাভীরুদের সাথে রয়েছেন। (পারা-১০, সূরা-তওবা, আয়াত-৩৬)


শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭

নখ কাটার ৯টি মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

(১) জুমার দিন নখ কাটা মুস্তাহাব। অবশ্য যদি বড় হয়ে যায় তবে জুমার দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন না। (দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৬৮) সদরুশ শরীয়া মাওলানা আমজাদ আলী আজমী رحمة الله عليه বলেন, বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, আল্লাহ তাআলা তাকে পরবর্তী জুমার পর্যন্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং তিন দিন অতিরিক্ত অর্থাৎ দশদিন পর্যন্ত। অন্য বর্ণনায় এটাও রয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, তবে রহমতের শুভাগমন হবে এবং গুনাহ দূরীভূত হবে।(দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৬৮, বাহারে শরীয়াত, খন্ড-১৬, পৃষ্ঠা-২২৫, ২২৬)

(২) হাতের নখ কাটার পদ্ধতি পেশ করা হচ্ছে : সর্বপ্রথম ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে কনিষ্ঠা আঙ্গুলের নখ কাটবেন তবে বৃদ্ধাঙ্গুল ছেড়ে দিবেন। এবার বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন। এখন সবশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন। (দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৮০, ইহইয়াউল উলূম,খন্ড-১ম, পৃষ্ঠা-১৯৩)

(৩) পায়ের নখ কাটার কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই তবে উত্তম হচ্ছে ডান পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ পর্যন্ত কেটে নিন অতঃপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্টা আঙ্গুলের নখ কাটুন। (দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৮০, ইহইয়াউল উলূম,খন্ড-১ম, পৃষ্ঠা-১৯৩)

জুতা পরার ৭টি মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

হাদীস শরীফ :

(১) অধিকহারে জুতা ব্যবহার করো কেননা মানুষ যতক্ষণ জুতা ব্যবহার করতে থাকে, সে আরোহী হয়ে থাকে। (অর্থাৎ কম ক্লান্ত হয়)। (মুসলিম শরীফ, পৃষ্ঠা-১১২১, হাদীস নং-২০৯৬)
(২) জুতা পরার আগে ঝেড়ে নিন যাতে পোকা বা কংকর ইত্যাদি বের হয়ে যায়।

(৩) সর্বপ্রম ডান পায়ে জুতা পরুন এরপর বাম পায়ের। খুলতে প্রথমে বাম পায়ের জুতা অতঃপর ডান পায়ের। হযরত মুহাম্মদ ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন জুতা পরে, তবে ডান দিক থেকে শুরু করা উচিত এবং যখনই খুলে তবে বাম দিক থেকে শুরু করা উচিত। যাতে ডান পায়ের জুতা পরার সময় প্রথমে এবং খুলতে সবশেষে হয়। (বুখারী শরীফ, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৬৫, হাদীস নং-৫৮৫৫) নুজহাতুল কারী কিতাবে রয়েছে, মসজিদে প্রবেশ করার সময় হুকুম হচ্ছে প্রথমে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং বের হওয়ার সময় এ হাদীসে পাকের উপর আমল করা কঠিন। আলা হযরত رحمة الله عليه এর সমাধান এভাবে করেন, যখনই মসজিদে যাওয়া হয় প্রথমে বাম পায়ের জুতা খুলে জুতার উপর রাখুন অতঃপর ডান পায়ের জুতা খুলে মসজিদে প্রবেশ করুন আর মসজিদ থেকে বের হতে বাম পা বের করে জুতার উপর রাখুন অতঃপর ডান পা বের করে জুতা পরে নিন এরপর বাম পায়ের জুতা পরে নিন। (নুজহাতুল কারী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৫৩০, ফরিদ বুক স্টল) 

(৪) পুরুষ পুরুষালী ও মহিলারা মেয়েলী জুতা পরবে।

বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

হাঁচির আদব সম্পর্কিত ১৭টি মাদানী ফুল

দুটি হাদীস শরীফ :

(১) আল্লাহ তাআলা হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলাকে অপছন্দ করেন। (বুখারী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৬৩, হাদীস নং-৬২২৬)
(২) যখন কারো হাঁচি আসে আর সে বলে اَلحَمدُ لِلّٰهِ তখন ফিরিশতাগণ বলে رَبُّ العلَمِين ,যদি সে বলে  اَلحَمدُ لِلّٰهِ رَبِّ العلَمِين , তবে ফিরিশতাগণ বলেন আল্লাহ তাআলা তোমার উপর দয়া করুন। (আল মুজামুল কবীর, খন্ড-১১,পৃষ্ঠা-৩৫৮, হাদীস নং-১২২৮৪)

(৩) হাঁচি আসলে মাথা নিচু করুন, মুখ ঢেকে রাখুন এবং নিম্ন স্বরে বের করুন, উচ্চ স্বরে হাঁচি দেওয়া বোকামী। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৯, হাদীস নং-৬৮৪)

(৪) হাঁচি আসলে اَلحَمدُ لِلّٰهِ বলা চাই। (খাযাইনুল ইরফান ৩য় পৃষ্ঠায় তাহতাবীর বরাতে লিখেন, হাঁচি আসলে আল্লাহর প্রশংসা করা সুন্নাতে মুআক্কাদা। উত্তম হচ্ছে اَلحَمدُ لِلّٰهِ رَبِّ العلَمِين কিংবা اَلحَمدُ لِلّٰهِ عَلى كُلِّ حَال বলা।

(৫) শ্রবণকারীর উপর তৎক্ষণাৎ يَرحَمُكَ الله  (আল্লাহ তোমার উপর দয়া করুন) বলা ওয়াজিব এবং এতটুকু আওয়াজে বলুন যেন হাঁচিদাতা শুনতে পায়। (বাহারে শরীয়াত, খন্ড-১৬, পৃষ্ঠা-১১৯)

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

কথাবার্তা বলার ১২টি মাদানী ফুল (কথাবার্তা বলার নিয়মাবলী)

(১) মুচকি হেসে ও উৎফুল্লতার সাথে কথাবার্তা বলুন,

(২) মুসলমানের মন খুশি করার নিয়্যতে ছোটদের সাথে স্নেহের ভরা এবং বড়দের সাথে শ্রদ্ধার ভাব রাখুন إنشاء الله عزوجل সাওয়াব অর্জনের সাথে সাথে উভয়ের নিকট আপনি সম্মানিত হবেন, 

(৩) চিৎকার করে কথাবার্তা বলা যেমন আজকাল বন্ধু মহলে হয়ে থাকে এটা সুন্নাত নয়,

(৪) চাই একদিনের বাচ্চাও হোক না কেন ভাল ভাল নিয়্যতে তাদের সাথেও আপনি জনাব করে কথাবার্তা বলার অভ্যাস করুন আপনার চরিত্রও উত্তম হবে সাথে সাথে বাচ্চাও ভদ্রতা শিখবে, 

(৫) কথাবার্তা অবস্থায় পর্দার স্থানে (লজ্জাস্থানে) হাত লাগানো, থুতু ফেলতে থাকা, আঙ্গুলের মাধ্যমে শরীরের ময়লা পরিস্কার করা, অন্যজনের সামনে বারবার নাক স্পর্শ করা কিংবা নাকে বা কানে আঙ্গুল প্রবেশ করানো ভাল অভ্যাস নয়। এগুলোর মাধ্যমে অন্যান্যদের ঘৃণার সৃষ্টি হয়, 

মুসাফাহার ১৪টি মাদানী ফুল (মুসাফাহ করার নিয়মাবলী)

(১) দুজন মুসলমানের সাক্ষাতের সময় সালামের পর উভয় হাতে মুসাফাহা করা অর্থাৎ উভয় হাত মিলানো সুন্নাত। 

(২) বিদায়ের সময় সালাম করুন এবং হাতও মিলাতে পারবেন,

(৩) নবী করীম ইরশাদ করেন, যখন দুজন মুসলমান সাক্ষাত করে মুসাফাহা করে এবং একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করে তবে আল্লাহ তাআলা তাদের মাঝে ১০০টি রহমত অবতীর্ণ করেন তার মধ্যে ৯০টি রহমত একটু বেশী উৎফুল্ল ও ভালভাবে আপন ভাইয়ের কুশল জিজ্ঞাসাকারীর জন্য অবতীর্ণ হয়। (আল মুজামুল আওসাত, লিত তাবরানী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৩৮০, হাদীস নং-৭৬৭৬)

(৪) যখন দুইজন বন্ধু পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে মুসাফাহা করে এবং প্রিয় নবী এর উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করে তবে তাদের পৃথক হওয়ার পূর্বেই তাদের আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (শুআইবুল ঈমান লিল বায়হাকী, হাদীস নং- ৮৯৪৪, খন্ড-৬,পৃষ্ঠা-৪৮১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত) 

সালামের ১১টি মাদানী ফুল (সালামের নিয়মাবলী)

(১) কোন মুসলমানের সাথে সাক্ষাতের সময় সালাম করা সুন্নাত,

(২) মাকতাবাতুল মাদীনা থেকে প্রকাশিত বাহারে শরীয়তের ১৬ তম খন্ডের ১০২ পৃষ্ঠায় লিখিত অংশের সারমর্ম হচ্ছে : “সালাম করার সময় অন্তরে যেন এ নিয়্যত থাকে যে, আমি যাকে সালাম করছি তার সম্পদ ও মান সম্মান সবকিছু আমার হিফাযতে এবং আমি এসব কিছুর কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাকে হারাম মনে করছি,

(৩) দিনে যতবার সাক্ষাত হয়, এক রুম থেকে অন্য রুমে বারবার আসা যাওয়াতে সেখানে উপস্থিত মুসলমানদেরকে সালাম করা সাওয়াবের কাজ,

(৪) আগে সালাম করা সুন্নাত,

(৫) প্রথমে সালামকারী আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী ও প্রিয়,

(৬) প্রথমে সালাম দানকারী ব্যক্তি অহংকার থেকে মুক্ত। যেমন আমাদের প্রিয় নবী ﷺ ইরশাদ করেন, সর্বপ্রথম সালামকারী অহংকারমুক্ত। (শুআইবুল ঈমান, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-৪৩৩)

শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭

রুহানী ইলাজ পর্ব-৪

আমরা এখানে শেয়ার করব আপনাদের সাথে রুহানী চিকিতসা বিষয়ক ৪০ টি এমন কিছু যা দিয়ে আপনারা নিজেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবেন إن شاء الله عزوجل

তো চলুন শুরু করা যাক। এখানে পোস্ট বড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে ৪০ টি কে ১০ টি করে মোট চারটি ধারাবাহিকে বিভক্ত করে পোস্ট করা হবে। তাই ১০ টি পেয়ে ক্ষান্ত হবেন না, পূর্বের ও পরবর্তীগুলোও কালেকশন করুন, পড়ুন, আমল করুন।

(বি.দ্র: প্রতিটি ওয়াজিফার শুরু ও শেষে ১ বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করে নিন। ফলাফল প্রকাশ না হওয়া অবস্থায় অভিযোগের পরিবর্তে নিজের অসতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্য মনে করুন এবং আল্লাহ্ তাআলার প্রজ্ঞার প্রতি দৃষ্টি রাখুন। আরবী উচ্চারণ অবশ্যই শুদ্ধভাবে সঠিক মাখরাজ অনুযায়ী পড়তে হবে)

রুহানী ইলাজ ৩১-৪০ নং ( প্রয়োজনে রুহানী ইলাজ বইটি ডাউনলোড দিতে পারেন এখান থেকে)

রুহানী ইলাজ-৩১>>  বিপদ দূর করার উপায়

“يا قادر” ৪১ বার বিপদ এসে গেলে পাঠ করে নিন, إن شاء الله عزوجل বিপদ দূর হয়ে যাবে।

রুহানী ইলাজ পর্ব-৩

আমরা এখানে শেয়ার করব আপনাদের সাথে রুহানী চিকিতসা বিষয়ক ৪০ টি এমন কিছু যা দিয়ে আপনারা নিজেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবেন إن شاء الله عزوجل
তো চলুন শুরু করা যাক। এখানে পোস্ট বড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে ৪০ টি কে ১০ টি করে মোট চারটি ধারাবাহিকে বিভক্ত করে পোস্ট করা হবে। তাই ১০ টি পেয়ে ক্ষান্ত হবেন না, পূর্বের ও পরবর্তীগুলোও কালেকশন করুন, পড়ুন, আমল করুন।

(বি.দ্র: প্রতিটি ওয়াজিফার শুরু ও শেষে ১ বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করে নিন। ফলাফল প্রকাশ না হওয়া অবস্থায় অভিযোগের পরিবর্তে নিজের অসতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্য মনে করুন এবং আল্লাহ্ তাআলার প্রজ্ঞার প্রতি দৃষ্টি রাখুন। আরবী উচ্চারণ অবশ্যই শুদ্ধভাবে সঠিক মাখরাজ অনুযায়ী পড়তে হবে)

রুহানী ইলাজ ২১-৩০ নং ( প্রয়োজনে রুহানী ইলাজ বইটি ডাউনলোড দিতে পারেন এখান থেকে)

রুহানী ইলাজ-২১>> 

অবাধ্য সন্তান নেককার ও বাধ্যগত করার উপায়
“يا شهيد” ২১ বার। যে সকালে (সূর্য উঠার আগে আগে) অবাধ্য ছেলে-মেয়ের কপালে হাত রেখে আসমানের দিকে মুখ করে পাঠ করবে,إن شاء الله عزوجل তার ছেলে-মেয়ে নেক্কার ও বাধ্যগত হবে।

রুহানী ইলাজ পর্ব-২

আমরা এখানে শেয়ার করব আপনাদের সাথে রুহানী চিকিতসা বিষয়ক ৪০ টি এমন কিছু যা দিয়ে আপনারা নিজেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবেন إن شاء الله عزوجل
তো চলুন শুরু করা যাক। এখানে পোস্ট বড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে ৪০ টি কে ১০ টি করে মোট চারটি ধারাবাহিকে বিভক্ত করে পোস্ট করা হবে। তাই ১০ টি পেয়ে ক্ষান্ত হবেন না, পূর্বের ও পরবর্তীগুলোও কালেকশন করুন, পড়ুন, আমল করুন।

(বি.দ্র: প্রতিটি ওয়াজিফার শুরু ও শেষে ১ বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করে নিন। ফলাফল প্রকাশ না হওয়া অবস্থায় অভিযোগের পরিবর্তে নিজের অসতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্য মনে করুন এবং আল্লাহ্ তাআলার প্রজ্ঞার প্রতি দৃষ্টি রাখুন। আরবী উচ্চারণ অবশ্যই শুদ্ধভাবে সঠিক মাখরাজ অনুযায়ী পড়তে হবে)


রুহানী ইলাজ ১১-২০ নং ( প্রয়োজনে রুহানী ইলাজ বইটি ডাউনলোড দিতে পারেন এখান থেকে)


রুহানী ইলাজ-১১>>বিপদ দূর করার উপায়
يا قهار ১০০ বার। যদি কোন বিপদ আসে তবে পাঠ করুন।إن شاء الله عزوجل বিপদ দূর হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

ইসলামী জীবন লোগো

আমাদের ইসলামী জীবন ব্লগটির দক্ষ টিম গত কিছুদিন আগে নিচের লোগোটি ডিজাইন করে ফেসবুক পেইজ ও এই ব্লগ সাইটটির জন্য। লোগোটির ডান পাশে কুরআনের একটি আয়াতের অংশ আর বাম পাশে তার অর্থ দেয়া হয়েছে। যেহেতু পেজের নাম ইসলামী জীবন তাই এই আয়াতটি বেছে নেয়া হয়েছে। লোগোর পিছনে যে মিনার টি দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে মদিনা পাকের সবুজ গম্বুজের উপরের অংশের শুধুমাত্র বর্ডার টুকু।

আমাদের লজ্জাস্থান: আমাদের করণীয়

(পোষ্টটি যেনা, অবৈধ কাজ ও হস্ত মৈথুন, সমকামীতা সম্পর্কিত, যারা ইসলামী নিয়ম খুঁজছেন আশা করি তাদের জন্য খুব উপকারী।)

লজ্জাস্থানের হিফাযত বলতে বুঝায়, মানুষ এর অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ থেকে বেঁচে থাকা এবং স্বীয় শরীরের জৈবিক চাহিদা পূরণ তথা যৌন স্পৃহা মেটানোর জন্য সেসব পন্থা অবলম্বন করা যা শরীআত কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বীকৃত। অনুপ্রেরণা স্বরূপ লজ্জাস্থান হিফাযত সম্পর্কীত ফযীলত লক্ষ্য করুন।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে
والذين هم لفروجهم حفظون. الا علي ازواجهم او ما ملكت ايمانهم فانهم غير ملومين. فمن ابتفي وراء ذلك فاولئك هم العدون.
কানযুল ঈমান (কৃত আলা হযরত মুফতী আহমদ রযা খাঁন رحمة الله عليه) হতে অনুবাদ:
“এবং যারা যৌনাঙ্গগুলোকে সংযত রাখে, নিজেদের পত্নীগণ অথবা তাদের ওই শরীআত সম্মত দাসীদের নিকট ব্যতীত যারা তাদের হাতের মালিকানাধীন। এতে তাদেরকে তিরস্কার করা হবে না, সুতরাং যারা এ দু’প্রকার ব্যতীত অন্য কিছু কামনা করে তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী।” (পারা-১৮, সূরা আল মুমিন, আয়াত নং-৫-৭)

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন