আপডেট
সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণমুক্ত সাইট। শিখুন-জানুন বিরক্তিছাড়া।
বাংলা ভাষায় অলাভজনক বৃহত্তম ইসলামিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী জীবন টিম। আসছে মোবাইল অ্যাপলিকেশন... সাইট www.islamijibon.net
সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

মেহমানদারীর ২০টি মাদানী ফুল

۞ছয়টি হাদীস শরীফ:

  • (১) “যে (ব্যক্তি) আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার উচিত মেহমানকে সম্মান করা।” (বুখারী, ৪র্থ খন্ড, ১০৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬০১৮) প্রখ্যাত মুফাস্সীর হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন: মেহমানের সম্মান হলো; তার সাথে উৎফুল্লভাবে সাক্ষাৎ করবে, তার জন্য খাবার এবং অন্যান্য খেদমতের ব্যবস্থা করবে, যথাসম্ভব নিজের হাতে তার সেবা করবে। (মিরআত, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫২ পৃষ্ঠা)

(২) “যখন কোন মেহমান কারো কাছে আসে তখন নিজের রিযিক (সাথে) নিয়ে আসে আর (যখন) তার কাছ থেকে চলে যায় তখন ঘরের মালিকের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার মাধ্যম হয়ে থাকে।” (কানযুল উম্মাল, ৯ম খন্ড, ১০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৫৮৩১)
(৩) “যে নামায কায়েম করলো, যাকাত আদায় করলো, হজ্ব সম্পাদন করলো, রমযানের রোযা রাখলো এবং মেহমানদারী করলো তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (আল মুজামুল কবীর, ১২তম খন্ড, ১০৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১২৬৯২)
(৪) “যে ব্যক্তি (সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও) মেহমানদারী করে না, তার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।” (মুসনদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৪২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭৪২৪)

রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭

মসজিদ সুবাশিত রাখুন (মসজিদের আদব)

মসজিদে কফ দেখে হুযুর পুরনূর এর অসন্তুষ্টি

একবার নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত, তাজেদারে রিসালাত صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মসজিদে নববী শরীফের زَادَهَا اللهُ شَرَفًا وَّتَعْظِيْمًا কিবলার দিকে কফ পড়ে থাকতে দেখে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। তা দেখে এক আনসারী সাহাবীয়া رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا উঠলেন এবং তা পরিস্কার করে সেখানে সুগন্ধি লাগিয়ে দিলেন। অতঃপর হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আনন্দচিত্তে ইরশাদ করলেন: مَا اَحْسَنَ هٰذا অর্থাৎ এই মহিলা কতইনা উত্তম কাজ করলো। (নাসাঈ, ১২৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৭২৫)

ফারুকে আযম এবং মসজিদে সুগন্ধি

সায়্যিদুনা ফারুকে আযম رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ প্রতি জুমা মোবারকে মসজিদে নববী শরীফে زَادَهَا اللهُ شَرَفًا وَّتَعْظِيْمًا সুগন্ধির ধোঁয়া দিতেন। (মুসনদে আবি ইয়ালা, ১ম খন্ড, ১০৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ১৮৫)

صَلُّوا عَلَى الحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد 


মসজিদ সুবাসিত রাখুন!

উম্মুল মু’মিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দীকা رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا বর্ণনা করেন: প্রিয় আক্বা, উভয় জাহানের দাতা, রাসূলুল্লাহ্ صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণের ও সেগুলো পরিস্কার এবং সুবাসিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। (সুনানে আবি দাউদ, ১ম খন্ড, ১৯৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং: ৪৫৫)

বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

কারবালার রক্তিম দৃশ্য (ধৈর্য্য বিষয়ে)

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمَِ সগে মদীনা মুহাম্মদ ইলিয়াছ আত্তার কাদেরী রযবীর عُفِىَ عَنْهُ পক্ষ থেকে মদীনার প্রেমে আত্মহারা, প্রিয় নবী, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ইশ্কে পাগলপারা, দা’ওয়াতে ইসলামীর মহিলা মুবাল্লিগার* ........... খেদমতে মাদানী শরীফের আশপাশ ঘুরে আসা, নূরানী বাতাসের এবং সেখানখার পরিবেশের ঘনঘটার বরকতে পরিপূর্ণ সুগন্ধিময় সালাম!

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه اَلحَمدُ لِلهِ رَبِّ العلَمِين عَلٰى كُلِّ حَال
---------------
*বিপদগ্রস্থ এক মহিলা মুবাল্লিগাকে শান্তনা দেবার জন্য এবং তাঁরই আবেদনের প্রেক্ষিতে দা’ওয়াতে ইসলামীর মাদানী কাজের কর্ম-পদ্ধতির উপর লিখিত এক গুরুত্বপূর্ণ শান্ত¡নামূলক মাকতুব পরিবর্ধন সহকারে পেশ করা হল। ... মজলিসে মাকতুব।
--------------
ইশকে রাসুল এ ভরপুর আপনারই হাতের লেখা এক মাকতুব আমি গুনাহগারের হাতে এসেছে। আমি আপনার সেই মাদানী সুধায় পরিপূর্ণ মাকতুবটি সম্পূর্ণ পাঠ করেছি। আপনি দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রতি অত্যন্ত আন্তরিকতা রাখেন এবং চেষ্টারত রয়েছেন জেনে আমার মন আনন্দিত হয়ে মদীনার বাগানে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। হে আমার মাদানী কন্যা! আপনি লোকজনের অপবাদের ভয় করবেন না। বর্তমানে যারাই সুন্নাতের পথে চলার চেষ্টা করে সমাজ তাদের সাথে এই ধরনের গর্হিত ব্যবহারই করে থাকে। হায়! 

ওহ দওর আয়া কে দীওয়ানায়ে নবী কে লিয়ে
হার এক হাত মেঁ পাত্থর দেখাই দেতা হে।

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

চলাফেরা করার ১৫টি সুন্নাত ও আদব

(১) পারা ১৫ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত নং ৩৭ এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّكَ لَن تَخْرِقَ الْأَرْضَ وَلَن تَبْلُغَ الْجِبَالَ طُولًا (৩৭)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং ভূ পৃষ্ঠে অহংকার করে চলাফেরা করো না নিশ্চয় কখনো তুমি ভূ-পৃষ্ঠকে বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং কখনো উচ্চতার মধ্যে পাহাড় সমান হতে পারবে না।

(২) দাওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মাদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ৩১২ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব বাহারে শরীয়ত এর ১৬ অংশের, ৭৮ পৃষ্টার মধ্যে ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বর্ণিত রয়েছে, এক ব্যক্তি দুইটি চাদর পরিহিত অবস্থায় অহংকার করে চলছিল তাকে ভূ-পৃষ্ঠে দাবিয়ে দেয়া হল। সে কিয়ামত পর্যন্ত দাবতেই থাকবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৪৬৫)

(৩) মাদীনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কখনো কখনো পথ চলতে চলতে কোন সাহাবীর হাত আপন হাত মুবারকে নিয়ে নিতেন। (আল মুজামুল কাবীর লিত তাবরানী, খন্ড-৭, পৃ-১৬২)

আমরাদ অর্থাৎ সুশ্রী বালকদের হাত ধরবেন না, কামভাব নিয়ে যে কোন ইসলামী ভাইয়ের হাত ধরা কিংবা মুসাফাহা করা (অর্থাৎ হাত মিলানো) অথবা কুলাকুলি করা হারাম ও জাহান্নামে নিক্ষেপকারী কাজ।

শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

অপচয় থেকে বাঁচার ১৪টি মাদানী ফুল

(১)      আজ    পর্যন্ত    যতধরণের     অবৈধ     অপচয় করেছেন তা থেকে তাওবা করে ভবিষ্যতে আর কখনও কোন ধরণের অপচয় না করার প্রতিজ্ঞা করে নিন।
(২)  অযু   গোসলও যাতে সুন্নাত মোতাবেক হয় এবং পানিও  যাতে  কম খরচ হয় সেরূপ  নিয়ম  নীতি গড়ে   তোলার চিন্তাভাবনা    করুন   এবং কিয়ামতের   দিন   প্রতিটি     অণু   ও    বিন্দুরই   যে  হিসাব    নিকাশ হবে    তা    ভয়    করুন।    আল্লাহ্  তাআলা পারা ৩০  সূরা যিলযালের ৭  ও  ৮  নং আয়াতের মধ্যে ইরশাদ করেন:


فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ خَیۡرًا یَّرَہٗ  ؕ(7) وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ (8)

কানযুল   ঈমান থেকে অনুবাদ:  সুতরাং  যে অনু পরিমাণ  সৎকাজ  করবে  সে  তা  দেখতে  পাবে  এবং যে    অনু  পরিমাণ   মন্দ    কাজ  করবে,  সে তাও দেখতে পাবে।

বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭

মিসওয়াক বিষয়ক মাদানী ফুল

❁ দু’টি ফরমানে মুস্তফা صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم:
১। মিসওয়াক করে দুই রাকাত নামায আদায় করা মিসওয়াক  ছাড়া  ৭০  রাকাতের  চেয়ে  উত্তম।  (আত-তারগীব ওয়াত  তারহীব, ১মখন্ড, ১০২   পৃষ্ঠা, হাদীস-১৮)
২। মিসওয়াকের ব্যবহার নিজের জন্য    আবশ্যক    করে     নাও।     কেননা,     তাতে মুখের       পরিচ্ছন্নতা এবং      আল্লাহ্     তাআলার সন্তুষ্টির মাধ্যম রয়েছে। (মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন    হাম্বল,    ২য়   খন্ড,    ৪৩৮    পৃষ্ঠা, হাদীস- ৫৮৬৯)
মিসওয়াক
❁ হযরত সায়্যিদুনা  ইবনে  আব্বাস  رَضِیَ اللہُ   تَعَالٰی   عَنۡہُ বলেন:  মিসওয়াকে দশটি  গুণাগুণ রয়েছে:    মুখ পরিষ্কার   করে,   মাড়ি    মজবুত করে,  দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়,  কফ দূর  করে, মুখের দূর্গন্ধ     দূর     করে, সুন্নাতের  অনুসরণ       হয়, ফিরিশতারা   খুশি   হয়,   আল্লাহ   তাআলা   সন্তুষ্ট  হন,   নেকী   বৃদ্ধি   করে, পাকস্থলী   ঠিক রাখে।  (জামউল    জাওয়ামি’    লিস   সুয়ুতী,    ৫ম   খন্ড,  ২৪৯      পৃষ্ঠা,      হাদীস-      ১৪৮৬৭)     
❁      হযরত  সায়্যিদুনা    ইমাম    শাফেয়ী    رَحْمَۃُ      اللّٰہِ    تَعَالٰی    عَلَیْہِ বলেন:  চারটি জিনিস জ্ঞান  বৃদ্ধি  করে: অনর্থক কথাবার্তা    থেকে    বিরত    থাকা,    মিস্ওয়াকের  ব্যবহার,     নেককার     লোকদের    সংস্পর্শ    এবং নিজের  জ্ঞানের  উপর   আমল   করা।   (হায়াতুল হায়ওয়ান   লিদ্দামীরী,   ২য়     খন্ড,  ১৬৬   পৃষ্ঠা) 

বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০১৭

দুধপানকারী শিশুদের জন্য ১৬টি মাদানী ফুল

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! মাদানী কাফিলার কি বাহার রয়েছে। বাচ্চাদের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচানোর জন্য প্রথমেই যে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় তা যথেষ্ট। এই মর্মে এখানে ১৬টি মাদানী ফুল দেখুন।
Baby Care, শিশুর যত্ন 
(১) ছেলে বা মেয়ে জন্ম হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ৭ সাতবার يَا بَرُّ (প্রথমে ও শেষে একবার করে দুরূদ শরীফ) পড়ে যদি বাচ্চাকে ফুঁক দেয়া হয় তাহলে اِنْ شَاءَ اَلله عَزَّوَجَل বালিগ হওয়া পর্যন্ত বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।

(২) জন্ম হওয়ার পর বাচ্চাকে প্রথমে নিমপাতার সাথে লবণ মিশিয়ে গরম পানি দিয়ে গোসল দিন, এরপর শুধু পানি দ্বারা গোসল দিন। তাহলে اِنْ شَاءَ اَلله عَزَّوَجَل বাচ্চা ঘা, বিচি, ফোড়া ইত্যাদি চর্মরোগ থেকে মুক্ত থাকবে।

(৩) লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে কিছুদিন বাচ্চাদের গোসল করাতে থাকুন যা বাচ্চাদের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী।

বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭

খেজুরের ২৫ টি মাদানী ফুল

১. চিকিৎসকদের চিকিৎসক আল্লাহর হাবীব হযরত মুহাম্মদ এর বিশুদ্ধ বাণী, “উন্নতমানের ‘আজওয়াহ’ (মদীনা মুনাওয়ারার সর্বাপেক্ষা মূল্যবান খেজুরের নাম) এর মধ্যে প্রতিটি রোগের আরোগ্য রয়েছে।” আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী হানাফী رضى الله عنه এর বর্ণনা অনুসারে, “সাতদিন যাবত প্রতিদিন সাতটি করে ‘আজওয়াহ’ খেজুর খেলে ‘কুষ্ঠরোগ’ (সাদারোগ) দূরীভূত হয়।” (ওমদাতুল কারী, খন্ড-১৪, পৃ-৪৪৬, হাদীস নং-৫৭৬৮)

খেজুর
২. প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা  এর জান্নাত রূপী বাণী হচ্ছে, “আজওয়া খেজুর জান্নাত থেকে।” এটা বিষ-আক্রান্তকে আরোগ্য দান করে।”(তিরমিযী শরীফ, খন্ড-৪র্থ, পৃ-১৭, হাদীস নং-২০৭৩) বোখারী শরীফের বর্ণনানুসারে, যে ব্যক্তি সকালে ৭টা ‘আজওয়া’ খেজুর খেয়ে নেয়, ওই দিন যাদু এবং বিষ তাকে ক্ষতি করতে পারবে না।” (সহীহ বোখারী, খন্ড-৩য়, পৃ-৫৪০, হাদীস নং-৫৪৪৫)

রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

কবর যিয়ারত করার নিয়মাবলী, সুন্নাত ও দোআ সমূহ

তাজেদারে রিসালত, শাহেনশাহে নবুয়ত, মুস্তফা জানে রহমত, শময়ে বজ্‌মে হিদায়ত, নওশায়ে বজ্‌মে জান্নাত, নবী করীম ﷺ ইরশাদ করেছেন: “যে আমার সুন্নাতকে ভালবাসল, সে আমাকেই ভালবাসল। আর যে আমাকে ভালবাসল, সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। (মিশকাতুল মাছাবীহ্, ১ম খন্ড, ৫৫ পৃষ্ঠা, হাদিস- ১৭৫)

সীনা তেরি সুন্নাতো মদীনা বনে আক্বা, 
জান্নাত মে পড়ূসী মুঝে তুম আপনা বনানা।
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد

কবরস্থানে হাজির হওয়ার ১১টি মাদানী ফুল
(১) নবী করীম, রউফুর রহীম ﷺ ইরশাদ করেছেন: “আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করার জন্য নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা কবর যিয়ারত কর কেননা সেটা দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির কারণ, আর আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়।” (সুনানে ইবনে মাযাহ্, ২য় খন্ড, ২৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৫৭১, দারুল মারিফাহ, বৈরুত)

মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭

শয়ন ও জাগরনের ১৫টি মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

ইসলাম শাশ্বত ধর্ম। ইসলামে যত নিয়ম কানুন রয়েছে সবই বান্দার উপকারের জন্য। কিভাবে চললে বান্দার ভাল হবে তা স্রষ্টা-ই ভাল জানেন। তাই ইসলামী পদ্ধতি কখনোই বান্দার কষ্টের জন্য নয় বরং কষ্ট ও রোগ বালাই থেকে বাঁচানোর জন্যই ইসলামী পদ্ধতি গুলো। চলুন দেখে নিই ঘুমানো ও ঘুম থেকে উঠার বিষয়ে ইসলাম কি বলছে-
শয়ন ও জাগরনের ১৫টি মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)
(১) শয়ন করার আগে বিছানাকে ভালভাবে ঝেড়ে নিন যাতে কোন ক্ষতিকর পোকা-মাকড় ইত্যাদি থাকলে বের হয়ে যায়, 

(২) শয়ন করার আগে এ দুআটি পড়ে নিন,

اَللهُمَّ بِاسمِكَ اَمُوتُ وَاَحى
অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নামে মৃত্যুবরণ করছি এবং জীবিত হব। (অর্থাৎ শয়ন করি ও জাগ্রত হই)।
(বুখারী শরীফ, খন্ড-৪র্থ, পৃষ্ঠা-১৯৬, হাদীস নং-৬৩২৫), 

সুরমা লাগানোর ৪টি মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

কিভাবে সুরমা লাগাবেন?

(১) সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফের রিওয়াতে রয়েছে যে, সব সুরমার চাইতে উত্তম সুরমা হচ্ছে ইসমাদ। কেননা এটা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পালক গজায়। (সুনানে ইবনে মাজাহ, খন্ড-৪র্থ, পৃষ্ঠা-১১৫, হাদীস নং-৩৪৯৭)

(২) পাথুরী সুরমা ব্যবহার করাতে অসুবিধা নেই এবং কালো সুরমা কিংবা কাজল রূপচর্চার নিয়্যতে পুরুষের লাগানো মাকরূহ। আর যদি রূপচর্চা উদ্দেশ্যে না হয় তবে মাকরূহ নয়। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৩৫৯) 

(৩) শয়ন করার সময় সুরমা লাগানো সুন্নাত।(মিরআতুল মানাজিহ, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-১৮০)

(৪) সুরমা ব্যবহারের বর্ণিত তিনটি পদ্ধতির সারাংশ উপস্থাপন করছি: 

(ক) কখনো উভয় চোখে তিন তিন শলাই 

(খ) কখনো ডান চোখে তিন শলাই এবং বাম চোখে দুই শলাই,

ঘরে আসা যাওয়ার ১২টি মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

কিভাবে ঘরে আসব, কিভাবে বের হবো?

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। প্রত্যেকটি বিষয়ে আছে পূঙ্খানু পূঙ্খানু বর্ণনা। ঘরে আসা যাওয়ার বিষয়টিও বাদ নেই এর থেকে। চলুন দেখে নেয়া যাক-
(১) যখন ঘর থেকে বের হবেন তখন এই দুআ পড়ুন
بِسمِ اللهِ تَوَكَّلتُ عَلَى اللهِ لَا حَولَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ
অনুবাদ : আল্লাহর নামে আরম্ভ, আমি আল্লাহর উপর ভরসা করছি। আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যতীত কোন সামর্থ্য ও শক্তি নেই। (আবু দাউদ, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৪২০, হাদীস নং- ৫০৯৫) إنشاء الله عزوجل এ দুআ পড়ার বরকতে সঠিক পথে থাকবে বিপদ আপদ থেকে মুক্ত থাকবে। আল্লাহর সাহায্যের আওতায় থাকবে।

(২) ঘরে প্রবেশের দুআ
اَللهُمَّ اِنِّى اَسأَلُكَ خَيرَ المَولَجِ وَخَيرَ المَخرَجِ بِسمِ اللهِ وَلَجنَا وبِسمِ اللهِ خَرَجنَا وَعَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلنَا
অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রবেশকালে এবং বের হওয়ার সময় মঙ্গল প্রার্থনা করছি আল্লাহর নামে আমি (ঘরে) প্রবেশ করছি এবং তারই নামে বের হই এবং আপন প্রভুর উপর আমরা ভরসা করছি) (আবু দাউদ, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৪২০, হাদীস-৫০৯৬) এ দুআটি পড়ে ঘরের অধিবাসীদের সালাম করুন। অতঃপর নবী ﷺ এর দরবারে সালাম পেশ করুন এরপর সুরা ইখলাস পাঠ করুন إنشاء الله عزوجل ঘরে বরকত ও পারিবারিক কলহ থেকে মুক্ত থাকবে।

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭

নখ কাটার ৯টি মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

(১) জুমার দিন নখ কাটা মুস্তাহাব। অবশ্য যদি বড় হয়ে যায় তবে জুমার দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন না। (দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৬৮) সদরুশ শরীয়া মাওলানা আমজাদ আলী আজমী رحمة الله عليه বলেন, বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, আল্লাহ তাআলা তাকে পরবর্তী জুমার পর্যন্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং তিন দিন অতিরিক্ত অর্থাৎ দশদিন পর্যন্ত। অন্য বর্ণনায় এটাও রয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, তবে রহমতের শুভাগমন হবে এবং গুনাহ দূরীভূত হবে।(দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৬৮, বাহারে শরীয়াত, খন্ড-১৬, পৃষ্ঠা-২২৫, ২২৬)

(২) হাতের নখ কাটার পদ্ধতি পেশ করা হচ্ছে : সর্বপ্রথম ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে কনিষ্ঠা আঙ্গুলের নখ কাটবেন তবে বৃদ্ধাঙ্গুল ছেড়ে দিবেন। এবার বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন। এখন সবশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন। (দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৮০, ইহইয়াউল উলূম,খন্ড-১ম, পৃষ্ঠা-১৯৩)

(৩) পায়ের নখ কাটার কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই তবে উত্তম হচ্ছে ডান পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ পর্যন্ত কেটে নিন অতঃপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্টা আঙ্গুলের নখ কাটুন। (দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-৬৮০, ইহইয়াউল উলূম,খন্ড-১ম, পৃষ্ঠা-১৯৩)

জুতা পরার ৭টি মাদানী ফুল (নিয়মাবলী)

হাদীস শরীফ :

(১) অধিকহারে জুতা ব্যবহার করো কেননা মানুষ যতক্ষণ জুতা ব্যবহার করতে থাকে, সে আরোহী হয়ে থাকে। (অর্থাৎ কম ক্লান্ত হয়)। (মুসলিম শরীফ, পৃষ্ঠা-১১২১, হাদীস নং-২০৯৬)
(২) জুতা পরার আগে ঝেড়ে নিন যাতে পোকা বা কংকর ইত্যাদি বের হয়ে যায়।

(৩) সর্বপ্রম ডান পায়ে জুতা পরুন এরপর বাম পায়ের। খুলতে প্রথমে বাম পায়ের জুতা অতঃপর ডান পায়ের। হযরত মুহাম্মদ ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন জুতা পরে, তবে ডান দিক থেকে শুরু করা উচিত এবং যখনই খুলে তবে বাম দিক থেকে শুরু করা উচিত। যাতে ডান পায়ের জুতা পরার সময় প্রথমে এবং খুলতে সবশেষে হয়। (বুখারী শরীফ, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৬৫, হাদীস নং-৫৮৫৫) নুজহাতুল কারী কিতাবে রয়েছে, মসজিদে প্রবেশ করার সময় হুকুম হচ্ছে প্রথমে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং বের হওয়ার সময় এ হাদীসে পাকের উপর আমল করা কঠিন। আলা হযরত رحمة الله عليه এর সমাধান এভাবে করেন, যখনই মসজিদে যাওয়া হয় প্রথমে বাম পায়ের জুতা খুলে জুতার উপর রাখুন অতঃপর ডান পায়ের জুতা খুলে মসজিদে প্রবেশ করুন আর মসজিদ থেকে বের হতে বাম পা বের করে জুতার উপর রাখুন অতঃপর ডান পা বের করে জুতা পরে নিন এরপর বাম পায়ের জুতা পরে নিন। (নুজহাতুল কারী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৫৩০, ফরিদ বুক স্টল) 

(৪) পুরুষ পুরুষালী ও মহিলারা মেয়েলী জুতা পরবে।

বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

হাঁচির আদব সম্পর্কিত ১৭টি মাদানী ফুল

দুটি হাদীস শরীফ :

(১) আল্লাহ তাআলা হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলাকে অপছন্দ করেন। (বুখারী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৬৩, হাদীস নং-৬২২৬)
(২) যখন কারো হাঁচি আসে আর সে বলে اَلحَمدُ لِلّٰهِ তখন ফিরিশতাগণ বলে رَبُّ العلَمِين ,যদি সে বলে  اَلحَمدُ لِلّٰهِ رَبِّ العلَمِين , তবে ফিরিশতাগণ বলেন আল্লাহ তাআলা তোমার উপর দয়া করুন। (আল মুজামুল কবীর, খন্ড-১১,পৃষ্ঠা-৩৫৮, হাদীস নং-১২২৮৪)

(৩) হাঁচি আসলে মাথা নিচু করুন, মুখ ঢেকে রাখুন এবং নিম্ন স্বরে বের করুন, উচ্চ স্বরে হাঁচি দেওয়া বোকামী। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৯, হাদীস নং-৬৮৪)

(৪) হাঁচি আসলে اَلحَمدُ لِلّٰهِ বলা চাই। (খাযাইনুল ইরফান ৩য় পৃষ্ঠায় তাহতাবীর বরাতে লিখেন, হাঁচি আসলে আল্লাহর প্রশংসা করা সুন্নাতে মুআক্কাদা। উত্তম হচ্ছে اَلحَمدُ لِلّٰهِ رَبِّ العلَمِين কিংবা اَلحَمدُ لِلّٰهِ عَلى كُلِّ حَال বলা।

(৫) শ্রবণকারীর উপর তৎক্ষণাৎ يَرحَمُكَ الله  (আল্লাহ তোমার উপর দয়া করুন) বলা ওয়াজিব এবং এতটুকু আওয়াজে বলুন যেন হাঁচিদাতা শুনতে পায়। (বাহারে শরীয়াত, খন্ড-১৬, পৃষ্ঠা-১১৯)

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

কথাবার্তা বলার ১২টি মাদানী ফুল (কথাবার্তা বলার নিয়মাবলী)

(১) মুচকি হেসে ও উৎফুল্লতার সাথে কথাবার্তা বলুন,

(২) মুসলমানের মন খুশি করার নিয়্যতে ছোটদের সাথে স্নেহের ভরা এবং বড়দের সাথে শ্রদ্ধার ভাব রাখুন إنشاء الله عزوجل সাওয়াব অর্জনের সাথে সাথে উভয়ের নিকট আপনি সম্মানিত হবেন, 

(৩) চিৎকার করে কথাবার্তা বলা যেমন আজকাল বন্ধু মহলে হয়ে থাকে এটা সুন্নাত নয়,

(৪) চাই একদিনের বাচ্চাও হোক না কেন ভাল ভাল নিয়্যতে তাদের সাথেও আপনি জনাব করে কথাবার্তা বলার অভ্যাস করুন আপনার চরিত্রও উত্তম হবে সাথে সাথে বাচ্চাও ভদ্রতা শিখবে, 

(৫) কথাবার্তা অবস্থায় পর্দার স্থানে (লজ্জাস্থানে) হাত লাগানো, থুতু ফেলতে থাকা, আঙ্গুলের মাধ্যমে শরীরের ময়লা পরিস্কার করা, অন্যজনের সামনে বারবার নাক স্পর্শ করা কিংবা নাকে বা কানে আঙ্গুল প্রবেশ করানো ভাল অভ্যাস নয়। এগুলোর মাধ্যমে অন্যান্যদের ঘৃণার সৃষ্টি হয়, 

মুসাফাহার ১৪টি মাদানী ফুল (মুসাফাহ করার নিয়মাবলী)

(১) দুজন মুসলমানের সাক্ষাতের সময় সালামের পর উভয় হাতে মুসাফাহা করা অর্থাৎ উভয় হাত মিলানো সুন্নাত। 

(২) বিদায়ের সময় সালাম করুন এবং হাতও মিলাতে পারবেন,

(৩) নবী করীম ইরশাদ করেন, যখন দুজন মুসলমান সাক্ষাত করে মুসাফাহা করে এবং একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করে তবে আল্লাহ তাআলা তাদের মাঝে ১০০টি রহমত অবতীর্ণ করেন তার মধ্যে ৯০টি রহমত একটু বেশী উৎফুল্ল ও ভালভাবে আপন ভাইয়ের কুশল জিজ্ঞাসাকারীর জন্য অবতীর্ণ হয়। (আল মুজামুল আওসাত, লিত তাবরানী, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৩৮০, হাদীস নং-৭৬৭৬)

(৪) যখন দুইজন বন্ধু পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে মুসাফাহা করে এবং প্রিয় নবী এর উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করে তবে তাদের পৃথক হওয়ার পূর্বেই তাদের আগের ও পরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (শুআইবুল ঈমান লিল বায়হাকী, হাদীস নং- ৮৯৪৪, খন্ড-৬,পৃষ্ঠা-৪৮১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত) 

সালামের ১১টি মাদানী ফুল (সালামের নিয়মাবলী)

(১) কোন মুসলমানের সাথে সাক্ষাতের সময় সালাম করা সুন্নাত,

(২) মাকতাবাতুল মাদীনা থেকে প্রকাশিত বাহারে শরীয়তের ১৬ তম খন্ডের ১০২ পৃষ্ঠায় লিখিত অংশের সারমর্ম হচ্ছে : “সালাম করার সময় অন্তরে যেন এ নিয়্যত থাকে যে, আমি যাকে সালাম করছি তার সম্পদ ও মান সম্মান সবকিছু আমার হিফাযতে এবং আমি এসব কিছুর কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাকে হারাম মনে করছি,

(৩) দিনে যতবার সাক্ষাত হয়, এক রুম থেকে অন্য রুমে বারবার আসা যাওয়াতে সেখানে উপস্থিত মুসলমানদেরকে সালাম করা সাওয়াবের কাজ,

(৪) আগে সালাম করা সুন্নাত,

(৫) প্রথমে সালামকারী আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী ও প্রিয়,

(৬) প্রথমে সালাম দানকারী ব্যক্তি অহংকার থেকে মুক্ত। যেমন আমাদের প্রিয় নবী ﷺ ইরশাদ করেন, সর্বপ্রথম সালামকারী অহংকারমুক্ত। (শুআইবুল ঈমান, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-৪৩৩)

পোস্ট শ্রেণি

অযু-গোসল-পবিত্রতা (12) আপডেট চলমান (25) আমাদের কথা ও অন্যান্য বিষয়াবলী (6) আমাদের প্রিয় নবী ﷺ (5) আরবি মাস ও ফযীলত (11) ইসলামী ইতিহাস ও শিক্ষনীয় ঘটনা (6) ইসলামী জীবন ও সুন্দর চরিত্র (4) ঈদ-কাযা-জানাযা-তারাবী-নফল ও অন্যান্য নামায (5) উত্তম আমল ও সাওয়াবের কাজ (4) কুরআন-তাফসীর ও হাদিস (16) কুরবানী (6) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কথন (14) জিকির-দোআ-দুরূদ ও ফযীলত (8) নবী-সাহাবী ও আওলিয়াদের জীবনী (8) নামায (17) পর্দা ও লজ্জাশীলতা (16) ফয়যানে জুমা (3) বদ আমল ও গুনাহের কাজ (3) মওত-কবর-হাশর ও আযাব (12) মাসআলা-মাসাইল ও প্রশ্নোত্তর (15) মাসাইল (21) যাকাত-ফিতরা ও সদক্বাহ'র বিধান (1) রোযা/রমযানের বিধান ও ফযীলত (9) সুন্নাত ও আদব/ মাদানী ফুল (41) হজ্ব-ওমরাহ ও যিয়ারতে মদিনা (27)

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন