❤❤ফযিলত-২১❤❤
(২১) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “হে লোকেরা! নিশ্চয় কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং হিসাব নিকাশ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে আমার উপর দুনিয়াতে অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকে।” (আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ৫ম খন্ড, ২৭৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৮১৭৫)
❤❤ফযিলত-২২❤❤
(২২) রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “আমার প্রতি অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ কর, নিশ্চয় আমার প্রতি তোমাদের দরূদ শরীফ পাঠ করা, তোমাদের গুনাহের জন্য মাগফিরাত স্বরূপ।” (ইবনে আসাকির, ৬১তম খন্ড, ৩৮১ পৃষ্ঠা)
❤❤ফযিলত-২৩❤❤
(২৩) “যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদে পাক পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য এক ‘ক্বীরাত’ পরিমাণ সাওয়াব লিখে দেন। ক্বীরাত হচ্ছে: উহুদ পর্বতের সম-পরিমাণ।” (মুসান্নিফে আবদুর রাজ্জাক, ১ম খন্ড, ৩৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৫৩)
❤❤ফযিলত-২৪❤❤
(২৪) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার কবরে এক ফিরিশতা নিযুক্ত করেছেন, যাকে সকল সৃষ্টির আওয়াজ সমূহ শুনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছ্ সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ আমার উপর দরূদ পাক পড়ে, তবে সে আমাকে তার নাম এবং তার পিতার নাম পেশ করে থাকে। সে বলে: অমুকের ছেলে অমুক আপনার উপর এই মুহুর্তে দরূদ শরীফ পাঠ করেছে।” (মুসনাদে বাজারিজ, ৪র্থ খন্ড, ২৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৪২৫)
سُبْحٰنَ اللهِ عَزَّوَجَل দরূদ শরীফ পাঠকারী কি পরিমাণ সৌভাগ্যবান যে, তার নাম, পিতার নাম সহ হুযুর পুরনূর, নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মহান দরবারে পেশ করা হয়। এখানে এই বিষয়টি খুবই ঈমান তাজাকারী যে, নূরানী কবরে নিযুক্ত ফিরিশতাকে এমন অধিক শ্রবণ শক্তি প্রদান করা হয়েছে যে, সে দুনিয়ার কোণায় কোণায় একই সময়ে দরূদ শরীফ পাঠকারী লাখো মুসলমানদের খুব ছোট আওয়াজও শুনে থাকে। যখন দরবারের খাদেমের শুনার ক্ষমতার এই শান, তবে ছরকারে মদীনা, মক্কী মাদানী আক্বা, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ক্ষমতার শান কেমন হবে! তিনি صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কেনইবা আপন গোলামদেরকে চিনবেন না, আর কেনইবা তাদের আহবান শুনে আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে সাহায্য করবেন না।
অওর কুয়ী গাইব কিয়া তুমছে নিহা হো ভালা,
জব না খোদা হি ছুপা তুম পে করোড়ো দরূদ।
ম্যায় কুরবা ইছ আদায়ে দস্তগীরী পর মেরে আক্বা,
মদদ কো আগেয়ে জব ভি পুকারা ইয়া রাসুলাল্লাহ
❤❤ফযিলত-২৫❤❤
(২৫) রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “যে (ব্যক্তি) একথা পছন্দ করে যে, আল্লাহ্ তা‘আলার মহান দরবারে পেশ হবার সময় আল্লাহ্ তাআলা তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন, তবে তার উচিত আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠ করা।” (ফিরদৌসুল আখবার, বিমাসুরিল খাত্তাব, ২য় খন্ড, ২৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬০৮৩)
❤❤ফযিলত-২৬❤❤
(২৬) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর জান্নাতরূপী ফরমান, “ফরয হজ্ব আদায় করো, নিশ্চয় এটির সাওয়াব বিশটি যুদ্ধে (গাযওয়া) অংশগ্রহণ করার চেয়েও বেশি, আর আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করা, এটার সমপরিমাণ সাওয়াব।” (ফিরদৌসুল আখবার, বিমাসুরিল খাত্তাব, ১ম খন্ড, ৩৩৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৪৮৪)
❤❤ফযিলত-২৭❤❤
(২৭) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলার আরশের ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না। তিন ব্যক্তি (ঐ দিন) আল্লাহ তা‘আলার আরশের ছায়ায় থাকবে। আরজ করা হল: ইয়া রাসুলাল্লাহ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তারা কারা হবে? ইরশাদ করলেন: (১) ঐ ব্যক্তি যে আমার উম্মতের পেরেশানী দূর করে, (২) আমার সুন্নাতকে জীবিতকারী, (৩) আমার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠকারী।” (আল বাদূরুস সাফিরাতু লিস্ সূয়ুতী, ১৩১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৬৬)
❤❤ফযিলত-২৮❤❤
(২৮) রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি এটা বলে: جَزَ اللهُ عَنّا مُحَمَّدًا مَّا هُوَ اَهْلُه ৭০ জন ফিরিশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত তার জন্য নেকী লিখতে থাকে।” (মুজাম আওসাত, ১ম খন্ড, ৮২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৩৫)
অনুবাদ: আল্লাহ্ তাআলা আমাদের পক্ষ থেকে হযরত মুহাম্মদকে এমন প্রতিদান প্রদান করুন, যেটার তিনি উপযুক্ত।
❤❤ফযিলত-২৯❤❤
(২৯) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর জান্নাতরূপী ফরমান, “আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করো, আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের উপর রহমত নাযিল করবেন।” (আল কামিলু লিইবনে আছি, ৫ম খন্ড, ৫০৫ পৃষ্ঠা)
(২৯) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর জান্নাতরূপী ফরমান, “আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করো, আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের উপর রহমত নাযিল করবেন।” (আল কামিলু লিইবনে আছি, ৫ম খন্ড, ৫০৫ পৃষ্ঠা)
❤❤ফযিলত-৩০❤❤
(৩০) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যখন তোমরা রাসুলগণদের عَلَيْهِمُ السَّلَام উপর দরূদ পাক পড়ো, তখন আমার উপরও দরূদ শরীফ পাঠ করো, নিশ্চয় আমি সমস্ত জাহানের প্রতিপালকের রাসুল।” (জমউল জাওয়ামি লিস্ সূয়ুতী, ১ম খন্ড, ৩২০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৩৫৪)
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত শাবান মাসের ফযিলত সম্পর্কিত “যিয়াঈ দুরূদ ও সালাম” নামক রিসালার ৬-৯ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। রিসালাটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।
যারা মোবাইলে রিসালাটি পড়তে চান তারা ফ্রি ডাউনলোড দিন
দাওয়াতে ইসলামীর সকল বাংলা ইসলামীক বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন
মাদানী চ্যানেল দেখতে থাকুন