❤❤ফযিলত-১❤❤
(১) রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন:
“যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন।” (মুসলিম, ২১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪০৮)
❤❤ফযিলত-২❤❤
“যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন।” (মুসলিম, ২১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪০৮)
❤❤ফযিলত-২❤❤
(২) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “কিয়ামতের দিন আমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে, যে দুনিয়ায় আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়েছে।” (তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪)
❤❤ফযিলত-৩❤❤
(৩) রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন এবং তার আমল নামায় দশটি নেকী লিখে দেন।” (তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪)
❤❤ফযিলত-৪❤❤
(৪) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “মুসলমান যতক্ষণ পর্যন্ত আমার উপর দরূদে পাক পড়তে থাকে, ফিরিশতারা তার উপর রহমতরাজি নাযিল করতে থাকে, এখন বান্দার মর্জি সে কম পড়ক– কিংবা বেশি।” (ইবনে মাজাহ, ১ম খন্ড, ৪৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯০৭)
(৫) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর জান্নাতরূপী ফরমান, “নামাযের পর হামদ, সানা ও দরূদ শরীফ পাঠকারীকে বলা হয়: দোয়া কর, কবুল করা হবে। প্রার্থনা কর, প্রদান করা হবে।” (নাসায়ী, ২২০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১২৮১)
❤❤ফযিলত-৬❤❤
(৬) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: জিব্রাইল عَلَيْهِ السَّلَام আমাকে আরজ করল যে, আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন: “হে মুহাম্মদ! আপনি কি এ কথার উপর সন্তুষ্ট নন যে, আপনার উম্মত আপনার উপর এক বার সালাম প্রেরণ করবে, আর আমি তার উপর দশ বার সালাম প্রেরণ তথা শান্তি বর্ষণ করব?” (নাসায়ী, ২২২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১২৯২)
❤❤ফযিলত-৭❤❤
❤❤ফযিলত-৭❤❤
(৭) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত বর্ষণ করেন, দশটি গুনাহ ক্ষমা করেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।” (নাসায়ী, ২২২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১২৯৪)
❤❤ফযিলত-৮❤❤
(৮) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর জান্নাতরূপী ফরমান, “যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন, আর যে আমার উপর দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ্তা আলা তার প্রতি একশত রহমত নাযিল করেন। যে আমার উপর একশবার দরূদে পাক প্রেরণ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উভয় চোখের মধ্যখানে লিপিবদ্ধ করে দেন, এ বান্দা নিফাক ও দোযখের আগুণ থেকে মুক্ত। আর কিয়ামতের দিন তাকে শহীদদের সাথে রাখবেন।” (মুজামুল আওসাত, ৫ম খন্ড, ২৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৭৩৫)
❤❤ফযিলত-৯❤❤
(৯) আল্লাহর মাহবুব, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা নবী, হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর জান্নাতরূপী ফরমান, “যে (ব্যক্তি) আমার উপর সারা দিনে পঞ্চাশ বার দরূদ শরীফ পড়ে, আমি কিয়ামতের দিন তার সাথে মুসাফাহা করব (অর্থাৎ- হাত মিলাব)।” (আল কুরবাতু ইলা রব্বিল আলামীন, লি ইবনে বশিকওয়াল, ৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯০)
❤❤ফযিলত-১০❤❤
(১০) সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি আমার উপর সারা দিনে এক হাজার বার দরূদে পাক পাঠ করে, সে যতক্ষণ না নিজের স্থান জানড়বাতের মধ্যে দেখে নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না।” (আত্তারগীব ফি ফাযায়িলিল আমাল লি ইবনে শাহিন, ১৪ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৯)
صَلُّوا عَلَى الحَبِيب صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلى مُحَمَّد
নবীর ﷺ আংটি মোবারক |
--------
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত শাবান মাসের ফযিলত সম্পর্কিত “যিয়াঈ দুরূদ ও সালাম” নামক রিসালার ৪-৬ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। রিসালাটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।
যারা মোবাইলে রিসালাটি পড়তে চান তারা ফ্রি ডাউনলোড করুন
বাংলা ইসলামিক বইয়ের লিংক এক সাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন